সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে দেবব্রত দাস নামে এক স্কুল শিক্ষকের আট বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত।
সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালত এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় স্কুল শিক্ষক দেবব্রত দাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দেবব্রত নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণ চরইশ্বর এলাকার সুবল চন্দ্র দাশের ছেলে। তিনি স্থানীয় চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির থাকা আসামিকে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মোট আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়।’
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের অক্টোবরের ১৫ ও ২৮ তারিখে নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইসলাম ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে অবমাননাকর পোস্টের অভিযোগ ওঠে দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় হাতিয়া থানা পুলিশ সদস্য হুমায়ূন কবীর বাদী হয়ে তাকে আসামি করে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করে।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শিক্ষক দেবব্রত ১৫ অক্টোবর রাত ৯টা ১২ মিনিটে ও ২৮ অক্টোবর রাত ৮টা ৫৯ মিনিটে তার ফেসবুক আইডি থেকে দেয়া পৃথক দুটি পোস্টে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করে নানা বক্তব্য লিখেন। এতে ইসলাম ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত সৃষ্টি হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ওইদিনই পুলিশ দেবব্রত দাসকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: সঙ্গীত শিল্পী আব্দুল মান্নান রানার কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড