নিরাপদ
মাওলানা সাদ কান্ধলভীর নিরাপদ আগমনের দাবি তাবলিগ জামাতের কিছু অনুসারীর
মাওলানা সাদপন্থী তাবলিগ জামাতের নেতারা বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উলামায়ে মাশায়েখ আয়োজিত ইসলামী সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের ৯০ শতাংশই দাওয়াত ও জামাতে অংশ নেননি।
এক লিখিত বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা বলেন, 'দাওয়াত ও তাবলিগ জামাতের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও তারা ইস্যু সৃষ্টি করে স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই মাদ্রাজের ছাত্র ছিল।
বুধবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি নিয়ে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের বিশ্ব আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভির নির্বিঘ্ন উপস্থিতি নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।
কাকরাইল মসজিদে সাদ সমর্থকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং বাংলাদেশে কাদিয়ানিদের আনুষ্ঠানিকভাবে অমুসলিম ঘোষণাসহ ৯ দফা দাবি ঘোষণার মধ্য দিয়ে উলামা-মাশায়েখ আয়োজিত মঙ্গলবারের ইসলামিক সম্মেলন শেষ হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে তাবলীগ জামাতের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
বক্তারা সম্প্রতি টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সাদ কান্ধলভির সমর্থকদের বিচার এবং স্বঘোষিত আমির সাদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকানোর দাবি জানান।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- কাকরাইল মসজিদে সাদ সমর্থকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং বাংলাদেশে কাদিয়ানিদের আনুষ্ঠানিকভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা।
২০১৮ সালে টঙ্গীতে সাদ সমর্থককে হত্যা ও চার শতাধিক অনুসারী আহত করার অভিযোগে জুবায়েরের সমর্থকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
দাওয়াত তাবলিগকে বিশ্বব্যাপী একটি অরাজনৈতিক, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে তারা বলেন, এসব দাওয়াত কার্যক্রমের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ অর্জন করেছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং খ্যাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সরকার ও প্রশাসনের ব্যাপক সহায়তায় বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।
তাদের দাবি, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে একটি বিশেষ গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে তথাকথিত 'জুবায়েরপন্থী' তাবলিগের একটি স্বার্থান্বেষী দল দেশের কিছু উলামাকে বিভ্রান্ত করে এবং তরুণ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে।
নেতারা আরও বলেন, মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে অসংখ্য মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
তবে তারা জানান, গত ৩ নভেম্বর জাতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের আলেমদের ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে জুবায়ের সমর্থক, কিছু অদূরদর্শী আলেম সমঝোতায় না এসে তাবলিগ ও বিশ্ব ইজতেমা ইস্যুতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছেন এবং পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য মরিয়া হয়ে অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছেন।
দারুল উলুম দেওবন্দের মুখপাত্র মাওলানা সৈয়দ আরশাদ মাদানী হাফিজুল্লাহ বলেন, ‘তাবলিগের দুই পক্ষই ঠিক। উভয় পক্ষের দারুল উলুম দেওবন্দ এবং উভয় পক্ষই দারুল উলুম দেওবন্দের অন্তর্গত। দূরত্ব কমান।’
পাকিস্তানের শায়খুল ইসলাম মুফতি তাকি উসমানীও কিছুদিন আগে বলেছিলেন, 'তাবলিগের দুই পক্ষই আমাদের ভাই। ঠিক যেমন হানাফী ও শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারীরা। যে কেউ যাকে খুশি তাকে নিয়ে কাজ করতে পারে। এর আগে তিনি দুইবার বাংলাদেশের আলেমদের সহিংসতা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান।’
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে প্রায় ৫৭ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই বৈশ্বিক দাওয়া সংগঠন বা বিশ্ব ইজতেমা।
আরও পড়ুন: শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন: জামাত সকাল ৯টায়
২ সপ্তাহ আগে
টেকসই-নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের চুক্তি সই
টেকসই খাদ্য উৎপাদনকে আরও সুসংহত করার লক্ষ্যে ‘স্ট্রাটেজিক সেক্টর কোঅপারেশন (এসএসসি)’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্প চুক্তি সই করেছে ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ।
প্রকল্পটি খাদ্য উৎপাদনের বিভিন্ন সমস্যা যেমন অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় এই চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: ত্রাণ নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চান খুলনার ১৪ গ্রামের মানুষ
চুক্তিতে ডেনমার্কের পক্ষে সই করেন ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) পক্ষে সই করেন চেয়ারম্যান জাকারিয়া।
রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বলেন, ‘ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। এই নতুন চুক্তি আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং নিরাপদ ও টেকসই খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা উভয় দেশের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে।’
বিএফএসএ’র চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, ‘সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপদ বিষয়ক কার্যক্রম আরও জোরদার হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের প্রবেশাধিকারে সহায়তা করবে।’
চুক্তির সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুই দেশ একসঙ্গে খাদ্য এবং কৃষিক্ষেত্রে আরও নিরাপদ এবং টেকসই উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করবে।
ডেনিশ ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফুড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিভিএফএ) ডেনমার্কের পক্ষে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। আর বাংলাদেশের পক্ষে থাকবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস)।
এই প্রকল্পের তিনটি প্রধান লক্ষ্য হলো- প্রথমত, ডেইরি শিল্পে খাদ্য নিরাপদতা বাড়ানো। দ্বিতীয়ত, প্রাণিসম্পদ খাতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা এবং তৃতীয়ত ডেইরি খামারিদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে আরও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার ঘটনায় অধ্যক্ষের মামলা
বলপূর্বক গুম নিয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সই করলো বাংলাদেশ
২ মাস আগে
ভারতীয় শিক্ষার্থীদের নিরাপদে ফিরতে ঢাকার সহযোগিতার প্রশংসা দিল্লির
ভারতীয় ৬ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী নিরাপদে দেশে ফিরে যেতে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে যে 'চমৎকার সহযোগিতা’ পেয়েছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেছে ভারত।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, 'এ পর্যন্ত আমাদের ৬ হাজার ৭০০ ভারতীয় শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে চমৎকার সহযোগিতা পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস সচল, জরুরি নয় এমন কর্মীদের স্বেচ্ছায় প্রস্থানের অনুমোদন: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতায় তারা তাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপদে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য তারা 'গভীরভাবে' কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতে সম্পর্ক দৃঢ়, উষ্ণ ও অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। ‘এভাবেই আমরা দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে দেখি।’
তিনি বলেন, ভারতের হাইকমিশন সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্ট বা বিমানবন্দরে তাদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুন: চলমান পরিস্থিতিকে বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ হিসেবে পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত
মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের হাইকমিশন ও সহকারী হাইকমিশনের বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন রয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক হেল্পলাইন পরিচালনা করছে এবং সেখানে থাকা আমাদের সব লোক, শিক্ষার্থী ও আমাদের নাগরিকরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা যেকোনো সহায়তার অনুরোধ করলে, তা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে তাদের সঙ্গে অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে অনুভব করে। ‘আমরা আশাবাদী, দেশের পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
ভারত বাংলাদেশের ঘটনাবলী 'নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ' করছে এবং ভারত দেশটির চলমান পরিস্থিতিকে বাংলাদেশের 'অভ্যন্তরীণ বিষয়' বলে মনে করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও মূল্যবোধ নবায়নের আশাবাদ ইইউ রাষ্ট্রদূতের
৩ মাস আগে
ট্রেড ডিজিটালাইজেশনে লেনদেন দ্রুত-নিরাপদ হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিজিটালাইজেশন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি, বিকাশ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ‘প্রথাগত বাণিজ্যের সঙ্গে অনেক কাগজের ডকুমেন্টস ও প্রক্রিয়া জড়িত। ট্রেড ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ডকুমেন্টস দ্রুত পাঠানো, যাচাই করা ও যেকোনো স্থান থেকে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হবে। যা ব্যবসার খরচ ও সময় কমাবে। এর ফলে লেনদেন দ্রুত ও নিরাপদ হবে।’
সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকায় হোটেল রেনেসাঁয় ‘ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইসিসি) বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘ডিজিটালাইজেশন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অব বাংলাদেশ’ ওয়ার্কশপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আগামী বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিধান রাখা নিয়ে সংকোচে অর্থ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ রপ্তানি বাণিজ্য প্রধান দেশ। বাংলাদেশ ক্রস-বর্ডার ট্রেড ও পেমেন্টের জন্য ট্রেড আমাদের দেশ ডিজিটালাইজেশন জন্য অত্যন্ত জরুরি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারে পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। আইসিসি বাংলাদেশের আজকের ওয়ার্কশপ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। যার ফলে অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন হবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রেক্ষাপটে দেশের চলমান উন্নয়ন ধরে রাখতে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট শাখাকে স্বয়ংক্রিয় ও ডিজিটালাইজড করে করদাতা, ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।’
আইসিসি বাংলদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং, ইউএনএসকাপের পরিচালকরুপা চন্দ ও আইটিএফসির রিজিওনাল হেড ইফতেখার আলম।
এত স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিসি বাংলাদেশের ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এ. রুমী আলী। স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বাংলাদেশের চিফ এক্সিকউটিভ অফিসার নাছের এজাজ বিজয় কর্মশালায় সমাপনী বক্তব্য দেন।
ওয়ার্কশপে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি ডিজিটাল স্টান্ডার্ড ইনিশিয়েটিভের পামেলা ও তিয়ানমি স্টিলফেন।
এই ওয়ার্কশপে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে সরকার সঠিক পথে রয়েছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে জেন্ডার বাজেটের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
৪ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধস,বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং
খাগড়াছড়িতে টানা ভারী বর্ষণে বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করছে প্রশাসন।
পাহাড় ধসের ঘটনাগুলোর মধ্যে সোমবার (১ জুলাই) জেলা শহরের মধ্য শালবন এলাকায় রান্না ঘরের উপর পাহাড় ধ্বসে পড়ে। এতে স্থানীয় বেলালের রান্নাঘরটি ভেঙে গেছে।
এছাড়া সদরের কমলছড়ি ইউনিয়নের ভুয়াছড়ি এলাকার সড়কের উপর পাশের পাহাড় ধসে পড়ে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে ঐ এলাকার সড়ক পথের চলাচল। এছাড়াও বেশ কয়েকটি স্থানে ছোট ছোট পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির মায়ুং কপাল, হাতিমুড়া বা হাতি মাথা ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়েছে। চেঙ্গি, মাঈনি এবং ফেনী নদীর পানি বেড়েছে। বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে গঞ্জপাড়া, মুসলিম পাড়া, দীঘিনালার মেরুং ও মহালছড়ির নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
জেলায় পাহাড়ের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার সবুজবাগ, শালবাগান, কুমিল্লাটিলা, কলাবাগানসহ শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় ধসের শঙ্কা করছে প্রশাসন।
ঝুকিপূর্ণ বাসিন্দাদের বিভিন্নভাবে সচেতন করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
এদিকে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সকাল থেকে শালবন, মোহাম্মদপুর, সবুজবাগ ও কুমিল্লাটিলা ঘুরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীতে সরিয়ে নিতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।
এ দিকে, ভারী বর্ষণে সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি মহালছড়ি সড়কের মহালছড়ির চব্বিশ মাইলে সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে রাঙ্গামাটির সঙ্গে খাগড়াছড়ির যান চলাচল বন্ধ।
পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে জেলার নদ-নদীতে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরে যেতে মাইকিং চলছে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকায় এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকির পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রেজাউল বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি ধসের ঝুঁকি বাড়ছে। আতঙ্ক নিয়ে বাস করছে মানুষ। প্রতিবছর ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেই নড়েচড়ে উঠে প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। পাহাড় ধসে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে খাগড়াছড়ি থেকে ২ সন্দেহভাজন আটক: ডিবি
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি: খাগড়াছড়ির সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার
৪ মাস আগে
সরকার নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়ার লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশপ্রেম না থাকলে, দেশের জন্য কাজ না করলে এগিয়ে যাওয়া যায় না। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট এর পর সবকিছু হারিয়ে যেতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: দেশে এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি হবে, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি প্রদেশকে (স্বাধীন বাংলাদেশকে) রাষ্ট্রমর্যাদা, শাসনব্যবস্থা দিয়েছেন। দারিদ্রপীড়িত দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিডিপিতে ৯ ভাগ অগ্রগতি ছিল। লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা হয়েছে। এরপর কি পেলাম? ৭৫ পরবর্তী সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙ্গে ফেলেছিল। ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করেছিল। ১৫ আগস্টের পর বুড়িগঙ্গাসহ নদ-নদী খাল-বিল সবকিছু দূষিত করা হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ৭৫ এর পর নদ নদী নিয়ে কোন সরকার বা রাষ্ট্র প্রধান কথা বলেনি। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীর নাব্যতা, দখল ও দূষণমুক্ত রাখার কথা বলেছেন। ২০১৯ সালে নদী তীরের অবৈধ দখল মুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। কোভিডের কারণে এগিয়ে যেতে পারিনি।
তিনি বলেন, ম্যানমেইড বর্জ্য, শিল্প-কারখানার বর্জ্য দূষণমুক্ত করতে কাজ করছি। দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্মত জাহাজ তৈরি হচ্ছে। ‘সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশ ভিজিট করে গেছেন। তিনি অভিভূত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছেন- এটা বড় অর্জন।’
আরও পড়ুন: বিআইডব্লিউটিসিকে উন্নয়নের রোল মডেল হতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর অন্য দেশেও এর কার্যক্রম চালাবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুর্ঘটনামুক্ত নৌ চলাচল ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০২৪’ পালিত হচ্ছে।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রাখবে অবদান’।
৫ মাস আগে
পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগাদা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে আমাদের প্রাণিজ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে এ উৎপাদন বৃদ্ধি হতে হবে পরিবেশসম্মতভাবে। পশু খাদ্যের প্রকৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে পশু খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই লেকের যৌবন ফেরাতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে ইউএসডিএ (ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার) এবং এসিডিআই/ভোকার (এগ্রিকালচারাল কোঅপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল/ভলেন্টিয়ারস ইন ওভারসিজ কোঅপারেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্স) যৌথ উদ্যোগে গৃহীত বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভস্টক প্রকল্প আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ তাগাদা দেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিকভাবে গো খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো গেলে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমে আসবে।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এসময় উল্লেখ করেন।
একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
পশুর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনার জন্য খামারিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের গবাদিপশুর শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না। বরং পরিবেশসম্মতভাবে তা বাড়াতে হবে।
এক্ষেত্রে গো খাদ্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য ঘাসের উৎপাদন বাড়ানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং ঘাস চাষের উপর জোর দেওয়ার জন্য খামারিদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, পশু থেকে যে বর্জ্য বের হয় তা কীভাবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে। গোবর থেকে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর উপায় বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এসময় আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ সব জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৬ মাস আগে
অগ্নি নিরাপত্তা: ঢাকার অভিজাত এলাকার রেস্টুরেন্টগুলো কতটা নিরাপদ?
রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত ধানমন্ডি, গুলশান ও বনানী এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। যেগুলোর বেশিরভাগই করা হয়েছে বহুতল ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকার বেশির ভাগ রেস্টুরেন্টে নেই অগ্নি নিরাপত্তা। লিফট ও একটি সিঁড়ি ছাড়া জরুরি বহির্গমনে আর কোনো সিঁড়িও নেই অধিকাংশের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বেইলি রোডের ঘটনায় মানুষের মধ্যে এখন একটি আতঙ্ক কাজ করছে।
আরও পড়ুন: রেস্টুরেন্টে খেতে লাগবে ভ্যাকসিন কার্ড: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ধানমন্ডি-গুলশান-বনানীর বিভিন্ন এলাকায়ও যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এমন বহু রেস্টুরেন্ট। অগ্নি নিরাপত্তা লাইসেন্স ছাড়া বছরের পর বছর চলছে এসব রেস্টুরেন্ট। আবাসিক ভবনগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা ও রেস্টুরেন্টগুলোতে খেতে আসা অনেকেই বলছেন, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনার মতো অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্ক আছে ধানমন্ডি-গুলশান-বনানী এলাকাতেও। আগে থেকে ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব এলাকার প্রায় প্রতিটি অলিগলিতে রয়েছে ক্যাফে ও রেস্টুরেন্ট। কিছু ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে রেস্তোরাঁ। এসব ভবনের প্রায় পুরোটাই কাচে ঘেরা। ফলে, বাইরে থেকে ভেতরে আলো-বাতাস ঢোকার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে কাচ ভাঙা ছাড়া ভেতরে পানি দেওয়ারও কোনো উপায় নেই।
এসব ভবনে ছোট পরিসরে সিঁড়ি রয়েছে। ওই সিঁড়ি দিয়ে জরুরি বহির্গমনের সুযোগ খুব কম। কারণ সিঁড়িগুলোতে হয় বিভিন্ন মালামাল রাখা, নয়তো রেস্টুরেন্টগুলোর ভেতর থেকে সিঁড়িতে যাওয়ার গেট বন্ধ থাকে। সেক্ষেত্রে রেস্টুরেন্টগুলোতে কখনো আগুনের ঘটনা ঘটলে রেস্টুরেন্টে খেতে আসা মানুষ বুঝতেই পারবে না সিঁড়ি কোনদিকে আছে।
গুলশানে বসবাসকারী ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান ইউএনবিকে বলেন, ‘বেইলি রোডের ঘটনার পর গুলশান-বনানী এলাকায় রেস্টুরেন্টেগুলোতে পরিবার নিয়ে যেতে চাইলে আতঙ্ক কাজ করছে। কোন রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি আছে বা নেই আমাদের জানা নেই।’
একই ভাবে বনানীতে বসবাসকারী আরেক ব্যবসায়ী দিদারুল হক সানি ইউএনবিকে বলেন, ‘বেইলি রোডের ঘটনার পর আপাতত রেস্টুরেন্টে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ অগ্নি নিরাপত্তা এখন বড় একটি ইস্যু। গুলশান-বানানী এলাকায় রেস্টুরেন্টে নেই ফায়ার সেফটি।এ বিষয়ে রাজউক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সঠিকভাবে তদারকি করলে সব রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি মানতে বাধ্য হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ইউএনবিকে বলেন, ‘ধানমন্ডি-গুলশান-বনানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিটি অলিগলিতে রয়েছে ক্যাফে ও রেস্টুরেন্ট। কিছু কিছু ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে রেস্টুরেন্ট। এসব ভবনের প্রায় পুরোটাই কাচে ঘেরা। ফলে, বাইরে থেকে ভেতরে আলো-বাতাস ঢোকার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে কাচ ভাঙা ছাড়া ভেতরে পানি দেওয়ারও কোনো উপায় নেই।’
আদিল বলেন, বেইলি রোডের ঘটনার পর মানুষের মধ্যে একটি আতঙ্ক কাজ করছে। বেইলি রোডের মতো আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনি ব্যবস্হা নিতে হবে। না হলে আবার আরেক জায়গায় আগুনের ঘটনা ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, বেইলি রোডের মতো ধানমন্ডি, গুলশান ও বনানী এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। এসব রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি আছে কি না রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেস্টুরেন্টের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
ড. আদিল বলেন, ‘বহুতল ও বিশেষ ব্যবহারের ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার এলার্ম এগুলো ছিল কি না তা তদারকি করা প্রয়োজন। ভবনের সেফটি অডিট করানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’
‘অনেক ভবন নিয়ম অনুযায়ী ২টি সিঁড়ি রাখলেও ফায়ার বহির্গমনের সিঁড়িটা অনেকে গুদামঘর হিসেবে ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে জরুরি বহির্গমনের সিঁড়ি অন্য কোনো কাজে বা উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরৎসাহিত করতে হবে।’
অনেকেই ভবনের ব্যবহার পরিবর্তন করে অ-আবাসিক ক্যাটাগরিতে ফেলে। এই “অ-আবাসিক” নাম ব্যবহার করে আবাসিক ভবন বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে বলে জানান অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।
এ বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা ইউএনবিকে বলেছেন, বেইলি রোডের মতো যেন আর ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। সেসব রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি নেই সেগুলো আমরা ব্যবস্হা নেব। ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করতে কাজ করছি।
চেয়ারম্যান বলেন, যেসব আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। আবাসিক ভবনের নামে অনুমোদন নিয়ে সেখানে রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলা হয়েছে, অথচ তাদের বাণিজ্যিক অনুমোদন নেই। এ বিষয়ে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, রাজউক থেকে নকশা অনুমোদন নেয় একভাবে আর বিল্ডিং করে নকশা বহির্ভূতভাবে। আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক ব্যবহার করছে অনুমোদনের বাইরে। এসব বিষয়ে যখনই নজরে আসছে তখনই ব্যবস্হা নিচ্ছি। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে জানা যায়, রাজধানীতে রাজউকের আওতায় ৫ লাখ ১৭ হাজার ভবন রয়েছে। এর মধ্যে অনুমোদন রয়েছে ২ লাখের। অনুমোদিত ভবনের মধ্যে ৯০ শতাংশ নকশার বিচ্যুতি ঘটিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এক টাকার রেস্টুরেন্ট!
৮ মাস আগে
বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরাপদ মনে করে ডেনমার্ক-সৌদি আরব: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা নিরাপদ মনে করে পায়রা বন্দরে বিনিয়োগ করতে চায় ডেনমার্ক ও সৌদি আরব।
তিনি বলেন, দেশ বিক্রি করার চুক্তি আমরা কারও সঙ্গে করিনি, করবও না। ডিজিটাল সিস্টেমে মানুষের বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ব আমরা।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম বন্দরের সিপিএআর এবং ৪ নম্বর গেটে বসানো স্ক্যানার উদ্বোধন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দিবে:নৌ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী সব বন্দরে স্ক্যানার বসাতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার আন্তরিকতায় অনেক স্ক্যানার বসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্দরের সঙ্গে কাস্টমসের বোঝাপড়ার অভাব ছিল। কয়েক বছরের অনেক সমস্যা তিন চার বছরেই সমাধান হয়েছে-এটা বড় প্রাপ্তি। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে দুইটি ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার এটি।
তিনি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা সীমিত সময়ে মুনাফা লাভের চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর হয়ে গেলে মেরিটাইম সেক্টরে আমরা অন্যরকম উচ্চতায় চলে যাব। বে-টার্মিনালে ১২ মিটার ড্রাফটের জাহজ আসবে। ব্যস্ততা বেড়ে যাবে। এর জন্য অবকাঠামো দরকার। প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর করেছেন, গভীর সমুদ্রবন্দর করেছেন। মেরিটাইম সেক্টরে আমরা সি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপান্তরিত বাংলাদেশের মহানায়কের নাম শেখ হাসিনা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর চেষ্টা থাকবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
সেন্টমার্টিনে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
জাইকার অর্থায়নে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) একটি প্রকল্পের আয়োজনে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত, প্রক্রিয়াকরণ, পরিবেশন ও সংরক্ষণবিষয়ক একটি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ‘স্ট্রেন্দেনিং দ্য ইনস্পেকশন, রেগুলেটরি অ্যান্ড কোঅরডিনেটিং ফাংশন অব বিএফএসএ প্রোজেক্ট’- শীর্ষক প্রশিক্ষণটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) আব্দুল কাইউম সরকার।
কর্মশালায় উপস্থিত খাদ্য ব্যবসায়ীদের তিনি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইন ও বিধি-বিধান সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেন।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো পর্যটন নগরীর মূল আকর্ষণ হলো খাবার-দাবার। তাই খাদ্য প্রস্তুতকালে পোড়া তেলের ব্যবহার পরিহার করে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার প্রস্তুতের উপর জোর দিতে হবে। এতে করে সেন্টমার্টিনে পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।’
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচিব এবং এসটিআইআরসি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুন নাসের খান।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দিবে কমিউনিটি ক্লিনিক: সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা
তিনি পর্যটকদের নিরাপদ খাবার পরিবেশনের জন্য খাদ্য ব্যবসায়ীদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং উন্নত বিশ্বের মতো পর্যটকবান্ধব নিরাপদ খাবার পরিবেশনের নির্দেশনা দেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ'র অতিরিক্ত পরিচালক (উপসচিব) মো. কাওছারুল ইসলাম সিকদার।
তিনি উপস্থিত খাদ্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিরাপদ খাদ্যসম্পর্কিত বিষয়ে মুক্ত আলোচনা পরিচালনা এবং ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে করণীয় শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন কক্সবাজারের নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম, মনিটরিং অফিসার মো. আবদুল হান্নান এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গবেষণা কর্মকর্তা মো. তাইফ আলী।
কর্মসূচিতে উপস্থিত খাদ্য ব্যবসায়ীদের সচেতনতামূলক লিফলেট, নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক পারিবারিক খাদ্য নির্দেশিকা, অ্যাপ্রোন, ক্যাপ ও হ্যান্ড গ্লাভস দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধ-শতাধিক খাদ্য ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সমস্যা, নিরসনের পদক্ষেপ নিয়ে জাতিসংঘের কর্মশালায় সাংবাদিকরা
শেষ হলো ওয়াইল্ডটিমের বাঘ সংরক্ষণ কর্মশালা
১১ মাস আগে