নিরাপদ
নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান যাত্রী কল্যাণ সমিতির
একইসাথে বিপুল মানুষের যাতায়াতে গণপরিবহনের সংকট মোকাবিলায় এবার ঈদের লম্বা ছুটি সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে যাত্রীদের ভোগান্তিমুক্ত, স্বস্তিদ্বায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ক্র্যাব মিলনায়তনে ‘ঈদযাত্রায় সড়কে ডাকাতি, নগরজুড়ে ছিনতাই, সড়ক দুর্ঘটনার শঙ্কা উত্তোরণের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সড়কে বাড়তি চাপ কমাতে ও ফিটনেসবিহীন সিটিবাসে পোশাক শ্রমিকদের যাত্রা বন্ধে ২৪ মার্চের মধ্যে তাদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করে ধাপে ধাপে বাড়ি পাঠানো নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রধান সড়ক থেকে ছোট যানবাহন অপসারণের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘এবারের ঈদে ঢাকা ও আশেপাশের জেলা থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে যাত্রা করবেন। দেশের এক জেলা থেকে অপর জেলায় আরও ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি মানুষের যাতায়াত হতে পারে, যার ৭৫ শতাংশ সড়কপথে, ১৭ শতাংশ নৌপথে এবং ৮ শতাংশ রেলপথে যাতায়াত হবে।
পথে পথে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করা, সড়কে ডাকাতি, ছিনতাই ও দুর্ঘটনারোধে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
সংগঠনটির পর্যবেক্ষণে মতে, বিগত ঈদুল ফিতরে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত এবং ১৩৯৮ জন আহত হয়েছেন। বিগত ৯ বছরে শুধু ঈদুল ফিতরে দুই হাজার ৩৭৭টি দুর্ঘটনায় দুই হাজার ৭১৪ জন নিহত এবং সাত হাজার ৪২০ জন আহত হয়েছেন।
এবারের ঈদে দুর্ঘটনারোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মালিক সমিতি, শ্রমিক ফেডারেশন, পুলিশ ও বিআরটিএ’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
৮৩ শতাংশ কোচ ও ৬০ শতাংশ লোকোমোটিভ মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ৮২ শতাংশ রেলক্রসিং অরক্ষিত উল্লেখ করে এমন পরিস্থিতিতে রেল দুর্ঘটনা ও লাইনচ্যুতি, টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করে হয়রারিমুক্ত রেলসেবা প্রদানের দাবি জানান আলোচনার সভার বক্তারা।
এ সময়ে নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ঘাট ও নৌবন্দর কেন্দ্রিক যাত্রী হয়রানি, খেয়া পারাপারে, বন্দরের যাত্রী পারাপারে বেসরকারি ইজারাদারদের লুটপাটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করার দাবি উঠে আসে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম বলেন, সরকারের পরিকল্পনার গলদে নানান অব্যবস্থাপনায় যাত্রী দুর্ভোগ ও সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এর দায় অন্যায়ভাবে মালিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এবারের ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে মালিক সমিতি কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯৮ জন নিহত, আহত ৯৭৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবদুর রহিম বক্স দুদু বলেন, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিতে হবে। এবারের ঈদযাত্রায় শ্রমিক ফেডারেশন যাত্রীসাধারণের পাশে থাকবে, যেকোনো অভিযোগ সাথে সাথে আমলে নেবে।
বিআরটিএ’র পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে বিআরটিএ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ৬৪ জেলায় ভিজিলেন্স টিম তৎপরতা চালাবে। যাত্রী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ভিজিলেন্স টিমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সড়ক দুর্ঘটনারোধে সীমিত সামর্থ্য নিয়ে বিআরটিএ প্রাণপন চেষ্টা চালাবে। যাত্রী সচেতনতা, পরিবহন মালিক সমিতি, শ্রমিক ফেডারেশন ও পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টায় নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব।
হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি অপারেশন শফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কে ডাকাতিতে জড়িত ১৪৪৩ জন ডাকাতকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। তিন হাজার ৯০০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে ৩৪০টি অপারেশন টিম কাজ করছে। ঈদে যাত্রাপথে হাইওয়ে পুলিশের হটলাইন নম্বর সাথে রাখুন। আমাদের কল করার ১৫ মিনিটের মধ্যে সাড়া মিলবে। তিনি প্রবাসীদের ঈদে লাগেজ-ব্যাগেজ নিয়ে বাড়ি যেতে হাইওয়ে পুলিশের সেবা নেওয়ার আহ্বান জানান।
৪৮ দিন আগে
সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাধীন পরিবেশ জরুরি: কাদের গনি চৌধুরী
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ হলেও এটি এখন বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আইনি ও ক্ষমতামুখী সাংবাদিকতা সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে বড্ড অন্তরায় সৃষ্টি করছে।
‘সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাধীন পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষায় কোনো আইন নেই। এই যখন অবস্থা, তখন সাংবাদিকদের একটি অংশ সেলফ সেন্সরশিপে চলে গিয়ে নিজেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছে। আমাদের প্রশ্ন হলো, সাংবাদিকতা কি অপরাধ? জনস্বার্থে তথ্য অনুসন্ধান এবং তা প্রকাশ করতে গিয়ে কেন সাংবাদিকেরা অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবেন?’
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি গণেশ দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহকারি মহাসচিব ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন, বিএফইউজে নির্বাহী পরিষদ সদস্য মির্জা সেলিম রেজা, বগুড়া প্রেস ক্লাবের আহবায়ক ওয়াসিকুর রহমান বেচাল, সদস্য সচিব সবুর শাহ লোটাস, আবদুল ওয়াদুদ, মমিনুর রশিদ শাইন, আবদুর রহিম, সৈয়দ ফজলে রাব্বি ডলার, মতিউল ইসলাম সাদি, মাহফুজ মন্ডল মোস্তফা মোগল।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের সামনে যে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এ পেশার স্বাধীনতা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকলে সত্য তুলে ধরা যায় না। আর সত্য লিখা না গেলে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে না। বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকলে পাঠক বা দর্শক প্রত্যাখ্যান করে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বিবেকের মাধ্যমে পরিচালিত হতে হবে। অপসাংবাদিকতা, হলুদ সাংবাদিকতা, তথ্য সন্ত্রাস পরিহার করে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে হবে। সঠিক তথ্য জেনে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়, সংবাদ মাধ্যমের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলে। সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হলো সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা।
‘আজকের তথ্য-প্রযুক্তির যুগে ভুয়া খবর বা প্রোপাগান্ডা খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই প্রকৃত সাংবাদিকতা এবং ভুয়া সংবাদ বিভ্রান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে অনেক সংবাদমাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ প্রকাশ করে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি আস্থা কমিয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরা অনেক সময় নিজেদের কাজের যথার্থতা প্রমাণে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। গুজব, মিথ্যা আর চেক অ্যান্ড ব্যালান্স ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য সমাজ তথা রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা বাড়াচ্ছে।তাই সাংবাদিকদের আরো সচেতন হতে হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে সংঘর্ষে সাবেক বিএনপি নেতা নিহত, আহত ২
বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, সাংবাদিকদের মধ্যে বিভক্তির কারণে ভয়ভীতি মাথায় রেখে সাংবাদিকদের কাজ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বিভাজনের কারণে সাংবাদিকরা এই ভয়-ভীতি থেকে নিজেদের বের করতে পারেন না। আগে ইউনিয়ন যখন একটা ছিল। চাকরি গেলে বা কোনও চাপের মুখে পড়লে বা প্রতিষ্ঠান পাওনাদি না দিলে, মালিকদের সঙ্গে দেন দরবারের জন্য, বা অধিকার নিশ্চিত করতে গেলে তার পাশে নেতারা আছেন, এই ভরসাটুকু পেলে পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যেতো।এখন অনৈক্যের কারণে ইউনিয়ন সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না।তাই সংকট উত্তরণের জন্য ঐক্যের কোনও বিকল্প নেই।
সাংবাদিকদের এনেতা বলেন, 'আমরা-ওরা', এসব বিভাজন আগের সাংবাদিকতায় ছিল না। ইদানিং এটা বড্ড বেড়ে গেছে।এক বলয়ের সাংবাদিকরা অন্য বলয়ের সাথে এক টেবিলে বসেও না। ইদানীং সাংবাদিকদের প্রথমেই একটি জার্সি গায়ে দিতে হয়। অর্থাৎ তুমি সরকারি দলের কিংবা বিরোধী দলের এ রকম কিছু একটা হতে হবে। খুব কম সাংবাদিকই আজকের সাহস করে বলতে পারছেন- 'আমি কোনো রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষক নই, আমার গায়ে কোনো জার্সি নেই, আমি কেবল।দেশের সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধি'। আগেও সাংবাদিকরা রাজনৈতিক মতাদর্শ লালন করতেন, কিন্তু সাংবাদিক হিসেবে থাকতেন পুরো নিরপেক্ষ।এখন সাংবাদিকদের কেউ কেউ দলদাসের ভূমিকায় অবতীর্ণ।
তিনি বলেন, নিজেদের কারণে অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা মর্যাদা হারাচ্ছেন। যখন কোনো একজন ব্যক্তি কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, তিনি তখন সে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। কিন্তু যখন কোনো সাংবাদিক কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হন, তখন তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নন। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে মিডিয়ার প্রতিনিধি। আমরা যেন সাংবাদিক থাকি, কর্মচারী হয়ে না যাই।আগে সাংবাদিকরা কাউকে স্যার বলতো না, তোষামোদি করতো না। এখন এই তোষামোদি বেড়ে গেছে। মালিক পক্ষ ও সম্পাদকদের স্যার বলতে বলতে এখন ফেনা তুলে ফেলেন সাংবাদিকরা। অর্থাৎ আমরা মিডিয়া প্রতিনিধি না থেকে কর্মচারী হয়ে যাচ্ছি। সাংবাদিকের কাজ সত্যকে খুঁজে বের করা এবং সে সত্যকে রক্ষা করা। সত্য না থাকলে আস্থা থাকে না; আর আস্থার অভাব হলে গণতন্ত্র থাকে না। ক্ষমতাশালীদের অপকর্মগুলো সাংবাদিকরা তুলে না ধরলে এসব অপকর্মের লাগাম পরানোর কাজটি করবেন কি করে।তাহলে তো অপকর্ম বাড়তেই থাকবে। সমাজ ভেঙ্গে পড়বে।
তিনি বলেন, এত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সাংবাদিকরা দমে যেতে পারেন না। সাংবাদিকদের মোটা বেতন নেই; ঈদ-পূজোয় বোনাসের নিশ্চয়তা নেই,অবসরের পর নিশ্চিন্ত জীবনযাপনের মতো পেনশন নেই; ক্যালেন্ডারে লাল কালি দিয়ে দাগিয়ে দেওয়া ছুটি তো নেই-ই।ক'টা দিন ছুটি নিয়ে পরিবারকে নিয়ে একটু ঘুরের বেড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। উৎসবের দিনেও সংবাদ সংগ্রহে কিংবা প্রচার-প্রকাশে ব্যস্ত থাকতে হয়। তার পরও নিরলসভাবে কাজ করে যান সাংবাদিকরা।
তিনি বলেন, ইতিহাসের ছত্রে ছত্রে যেখানেই রাষ্ট্রের দমন-পীড়ন কিংবা অত্যাচার হয়েছে, সেখানেই চিন্তাশীল মানুষদের প্রতিরোধ এসেছে। সাংবাদিকরা এ চিন্তাশীলদের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন সমাজের বুকে। তাই তাদের কাজে থাকে সুন্দর আর সত্য সৃষ্টির গভীর উন্মাদনা। পাশাপাশি প্রতিদিন নতুন কিছু জানার, জানাবার, নতুন কিছু শেখার এবং অন্য কিছু করার ভীষণ রকম তাগিদও আছে সাংবাদিকতায়। সে তাগিদেই সব ঝুঁকি, সব কষ্ট এড়িয়ে দুঃসাহস দেখাতে পারেন সাংবাদিকরা। সত্য অনুসন্ধানে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে তাদের অদম্য মানসিকতার সব চাহিদা।এজন্য সাংবাদিকদের বলা হয়, সমাজের ওয়াচডগ।
৫৬ দিন আগে
পরবর্তী সরকারের জন্য 'নিরাপদ ও দৃঢ়' ভিত্তির প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তাদের সঙ্গে কাজ করার 'অত্যন্ত নিরাপদ ও দৃঢ়' গণতান্ত্রিক ভিত্তি থাকবে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাপান সরকারের আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘যখন আমরা ক্ষমতায় এসেছিলাম, সেই সময়ের পরিস্থিতি বিবেচনায় আমি মনে করি আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি, কারণ এটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত সমাজ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, বিধ্বস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, সবকিছুই বিধ্বস্ত।’
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার জন্য নির্বাচন একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোট গ্রহণ করা যাবে, এ বছরের শেষের দিকে।
ড. ইউনূস বলেন, 'নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে যে নতুন সরকার নির্বাচিত হবে, তাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য খুব নিরাপদ ও দৃঢ় ভিত্তি থাকবে।’
এনএইচকের খবরে বলা হয়, শান্তিতে নোবেলজয়ী এই নেতা চান তার দেশ স্বনির্ভর ও আরও শক্তিশালী হবে।
ড. ইউনূস বলেন, এ বছরের শেষের দিকে ভোট অনুষ্ঠানের প্রাথমিক সময় নির্ধারণ করা হবে।
দেশের তরুণরাই আগামীতে প্রভাবশালী হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
ইউনূস বলেছেন, ‘তরুণরা চায়, তাদের সৃজনশীল শক্তি প্রদর্শন করতে এবং এটি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে। সুতরাং এই উচ্চাকাঙ্ক্ষাটাই আমাদের মনের মধ্যে রয়েছে এবং দেখুন আমরা কীভাবে এগিয়ে যাই।’
তিনি দেশটির সবচেয়ে বড় উন্নয়নশীল অংশীদার জাপানের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এর প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ তরুণ বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
কীভাবে তিনি বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করছেন বুধবার রাজধানীতে এনএইচকে'র সঙ্গে কথা বলার সময় তা ড. ইউনূস তুলে ধরেন।
এনএইচকে বলছে, ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়।
অভ্যুত্থানের পর ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন।
গত ১৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস বলেছিলেন, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
৮৬ দিন আগে
মাওলানা সাদ কান্ধলভীর নিরাপদ আগমনের দাবি তাবলিগ জামাতের কিছু অনুসারীর
মাওলানা সাদপন্থী তাবলিগ জামাতের নেতারা বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উলামায়ে মাশায়েখ আয়োজিত ইসলামী সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের ৯০ শতাংশই দাওয়াত ও জামাতে অংশ নেননি।
এক লিখিত বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা বলেন, 'দাওয়াত ও তাবলিগ জামাতের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও তারা ইস্যু সৃষ্টি করে স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই মাদ্রাজের ছাত্র ছিল।
বুধবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি নিয়ে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের বিশ্ব আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভির নির্বিঘ্ন উপস্থিতি নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।
কাকরাইল মসজিদে সাদ সমর্থকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং বাংলাদেশে কাদিয়ানিদের আনুষ্ঠানিকভাবে অমুসলিম ঘোষণাসহ ৯ দফা দাবি ঘোষণার মধ্য দিয়ে উলামা-মাশায়েখ আয়োজিত মঙ্গলবারের ইসলামিক সম্মেলন শেষ হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে তাবলীগ জামাতের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
বক্তারা সম্প্রতি টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সাদ কান্ধলভির সমর্থকদের বিচার এবং স্বঘোষিত আমির সাদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকানোর দাবি জানান।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- কাকরাইল মসজিদে সাদ সমর্থকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং বাংলাদেশে কাদিয়ানিদের আনুষ্ঠানিকভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা।
২০১৮ সালে টঙ্গীতে সাদ সমর্থককে হত্যা ও চার শতাধিক অনুসারী আহত করার অভিযোগে জুবায়েরের সমর্থকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
দাওয়াত তাবলিগকে বিশ্বব্যাপী একটি অরাজনৈতিক, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে তারা বলেন, এসব দাওয়াত কার্যক্রমের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ অর্জন করেছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং খ্যাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সরকার ও প্রশাসনের ব্যাপক সহায়তায় বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।
তাদের দাবি, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে একটি বিশেষ গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে তথাকথিত 'জুবায়েরপন্থী' তাবলিগের একটি স্বার্থান্বেষী দল দেশের কিছু উলামাকে বিভ্রান্ত করে এবং তরুণ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে।
নেতারা আরও বলেন, মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে অসংখ্য মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
তবে তারা জানান, গত ৩ নভেম্বর জাতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের আলেমদের ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে জুবায়ের সমর্থক, কিছু অদূরদর্শী আলেম সমঝোতায় না এসে তাবলিগ ও বিশ্ব ইজতেমা ইস্যুতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছেন এবং পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য মরিয়া হয়ে অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছেন।
দারুল উলুম দেওবন্দের মুখপাত্র মাওলানা সৈয়দ আরশাদ মাদানী হাফিজুল্লাহ বলেন, ‘তাবলিগের দুই পক্ষই ঠিক। উভয় পক্ষের দারুল উলুম দেওবন্দ এবং উভয় পক্ষই দারুল উলুম দেওবন্দের অন্তর্গত। দূরত্ব কমান।’
পাকিস্তানের শায়খুল ইসলাম মুফতি তাকি উসমানীও কিছুদিন আগে বলেছিলেন, 'তাবলিগের দুই পক্ষই আমাদের ভাই। ঠিক যেমন হানাফী ও শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারীরা। যে কেউ যাকে খুশি তাকে নিয়ে কাজ করতে পারে। এর আগে তিনি দুইবার বাংলাদেশের আলেমদের সহিংসতা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান।’
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে প্রায় ৫৭ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই বৈশ্বিক দাওয়া সংগঠন বা বিশ্ব ইজতেমা।
আরও পড়ুন: শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন: জামাত সকাল ৯টায়
১৭৮ দিন আগে
টেকসই-নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের চুক্তি সই
টেকসই খাদ্য উৎপাদনকে আরও সুসংহত করার লক্ষ্যে ‘স্ট্রাটেজিক সেক্টর কোঅপারেশন (এসএসসি)’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্প চুক্তি সই করেছে ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ।
প্রকল্পটি খাদ্য উৎপাদনের বিভিন্ন সমস্যা যেমন অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় এই চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: ত্রাণ নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চান খুলনার ১৪ গ্রামের মানুষ
চুক্তিতে ডেনমার্কের পক্ষে সই করেন ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) পক্ষে সই করেন চেয়ারম্যান জাকারিয়া।
রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বলেন, ‘ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। এই নতুন চুক্তি আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং নিরাপদ ও টেকসই খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা উভয় দেশের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে।’
বিএফএসএ’র চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, ‘সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপদ বিষয়ক কার্যক্রম আরও জোরদার হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের প্রবেশাধিকারে সহায়তা করবে।’
চুক্তির সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুই দেশ একসঙ্গে খাদ্য এবং কৃষিক্ষেত্রে আরও নিরাপদ এবং টেকসই উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করবে।
ডেনিশ ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফুড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিভিএফএ) ডেনমার্কের পক্ষে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। আর বাংলাদেশের পক্ষে থাকবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস)।
এই প্রকল্পের তিনটি প্রধান লক্ষ্য হলো- প্রথমত, ডেইরি শিল্পে খাদ্য নিরাপদতা বাড়ানো। দ্বিতীয়ত, প্রাণিসম্পদ খাতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা এবং তৃতীয়ত ডেইরি খামারিদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে আরও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার ঘটনায় অধ্যক্ষের মামলা
বলপূর্বক গুম নিয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সই করলো বাংলাদেশ
২৩৬ দিন আগে
ভারতীয় শিক্ষার্থীদের নিরাপদে ফিরতে ঢাকার সহযোগিতার প্রশংসা দিল্লির
ভারতীয় ৬ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী নিরাপদে দেশে ফিরে যেতে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে যে 'চমৎকার সহযোগিতা’ পেয়েছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেছে ভারত।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, 'এ পর্যন্ত আমাদের ৬ হাজার ৭০০ ভারতীয় শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে চমৎকার সহযোগিতা পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস সচল, জরুরি নয় এমন কর্মীদের স্বেচ্ছায় প্রস্থানের অনুমোদন: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতায় তারা তাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপদে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য তারা 'গভীরভাবে' কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতে সম্পর্ক দৃঢ়, উষ্ণ ও অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। ‘এভাবেই আমরা দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে দেখি।’
তিনি বলেন, ভারতের হাইকমিশন সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্ট বা বিমানবন্দরে তাদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুন: চলমান পরিস্থিতিকে বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ হিসেবে পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত
মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের হাইকমিশন ও সহকারী হাইকমিশনের বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন রয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক হেল্পলাইন পরিচালনা করছে এবং সেখানে থাকা আমাদের সব লোক, শিক্ষার্থী ও আমাদের নাগরিকরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা যেকোনো সহায়তার অনুরোধ করলে, তা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে তাদের সঙ্গে অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে অনুভব করে। ‘আমরা আশাবাদী, দেশের পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
ভারত বাংলাদেশের ঘটনাবলী 'নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ' করছে এবং ভারত দেশটির চলমান পরিস্থিতিকে বাংলাদেশের 'অভ্যন্তরীণ বিষয়' বলে মনে করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও মূল্যবোধ নবায়নের আশাবাদ ইইউ রাষ্ট্রদূতের
২৮২ দিন আগে
ট্রেড ডিজিটালাইজেশনে লেনদেন দ্রুত-নিরাপদ হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিজিটালাইজেশন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি, বিকাশ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ‘প্রথাগত বাণিজ্যের সঙ্গে অনেক কাগজের ডকুমেন্টস ও প্রক্রিয়া জড়িত। ট্রেড ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ডকুমেন্টস দ্রুত পাঠানো, যাচাই করা ও যেকোনো স্থান থেকে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হবে। যা ব্যবসার খরচ ও সময় কমাবে। এর ফলে লেনদেন দ্রুত ও নিরাপদ হবে।’
সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকায় হোটেল রেনেসাঁয় ‘ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইসিসি) বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘ডিজিটালাইজেশন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অব বাংলাদেশ’ ওয়ার্কশপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আগামী বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিধান রাখা নিয়ে সংকোচে অর্থ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ রপ্তানি বাণিজ্য প্রধান দেশ। বাংলাদেশ ক্রস-বর্ডার ট্রেড ও পেমেন্টের জন্য ট্রেড আমাদের দেশ ডিজিটালাইজেশন জন্য অত্যন্ত জরুরি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারে পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। আইসিসি বাংলাদেশের আজকের ওয়ার্কশপ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। যার ফলে অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন হবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রেক্ষাপটে দেশের চলমান উন্নয়ন ধরে রাখতে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট শাখাকে স্বয়ংক্রিয় ও ডিজিটালাইজড করে করদাতা, ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।’
আইসিসি বাংলদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং, ইউএনএসকাপের পরিচালকরুপা চন্দ ও আইটিএফসির রিজিওনাল হেড ইফতেখার আলম।
এত স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিসি বাংলাদেশের ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এ. রুমী আলী। স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বাংলাদেশের চিফ এক্সিকউটিভ অফিসার নাছের এজাজ বিজয় কর্মশালায় সমাপনী বক্তব্য দেন।
ওয়ার্কশপে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি ডিজিটাল স্টান্ডার্ড ইনিশিয়েটিভের পামেলা ও তিয়ানমি স্টিলফেন।
এই ওয়ার্কশপে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে সরকার সঠিক পথে রয়েছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে জেন্ডার বাজেটের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
২৯৯ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধস,বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং
খাগড়াছড়িতে টানা ভারী বর্ষণে বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করছে প্রশাসন।
পাহাড় ধসের ঘটনাগুলোর মধ্যে সোমবার (১ জুলাই) জেলা শহরের মধ্য শালবন এলাকায় রান্না ঘরের উপর পাহাড় ধ্বসে পড়ে। এতে স্থানীয় বেলালের রান্নাঘরটি ভেঙে গেছে।
এছাড়া সদরের কমলছড়ি ইউনিয়নের ভুয়াছড়ি এলাকার সড়কের উপর পাশের পাহাড় ধসে পড়ে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে ঐ এলাকার সড়ক পথের চলাচল। এছাড়াও বেশ কয়েকটি স্থানে ছোট ছোট পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির মায়ুং কপাল, হাতিমুড়া বা হাতি মাথা ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়েছে। চেঙ্গি, মাঈনি এবং ফেনী নদীর পানি বেড়েছে। বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে গঞ্জপাড়া, মুসলিম পাড়া, দীঘিনালার মেরুং ও মহালছড়ির নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
জেলায় পাহাড়ের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার সবুজবাগ, শালবাগান, কুমিল্লাটিলা, কলাবাগানসহ শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় ধসের শঙ্কা করছে প্রশাসন।
ঝুকিপূর্ণ বাসিন্দাদের বিভিন্নভাবে সচেতন করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
এদিকে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সকাল থেকে শালবন, মোহাম্মদপুর, সবুজবাগ ও কুমিল্লাটিলা ঘুরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীতে সরিয়ে নিতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।
এ দিকে, ভারী বর্ষণে সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি মহালছড়ি সড়কের মহালছড়ির চব্বিশ মাইলে সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে রাঙ্গামাটির সঙ্গে খাগড়াছড়ির যান চলাচল বন্ধ।
পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে জেলার নদ-নদীতে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরে যেতে মাইকিং চলছে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকায় এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকির পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রেজাউল বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি ধসের ঝুঁকি বাড়ছে। আতঙ্ক নিয়ে বাস করছে মানুষ। প্রতিবছর ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেই নড়েচড়ে উঠে প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। পাহাড় ধসে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে খাগড়াছড়ি থেকে ২ সন্দেহভাজন আটক: ডিবি
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি: খাগড়াছড়ির সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার
৩০৬ দিন আগে
সরকার নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়ার লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশপ্রেম না থাকলে, দেশের জন্য কাজ না করলে এগিয়ে যাওয়া যায় না। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট এর পর সবকিছু হারিয়ে যেতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: দেশে এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি হবে, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি প্রদেশকে (স্বাধীন বাংলাদেশকে) রাষ্ট্রমর্যাদা, শাসনব্যবস্থা দিয়েছেন। দারিদ্রপীড়িত দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিডিপিতে ৯ ভাগ অগ্রগতি ছিল। লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা হয়েছে। এরপর কি পেলাম? ৭৫ পরবর্তী সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙ্গে ফেলেছিল। ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করেছিল। ১৫ আগস্টের পর বুড়িগঙ্গাসহ নদ-নদী খাল-বিল সবকিছু দূষিত করা হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ৭৫ এর পর নদ নদী নিয়ে কোন সরকার বা রাষ্ট্র প্রধান কথা বলেনি। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীর নাব্যতা, দখল ও দূষণমুক্ত রাখার কথা বলেছেন। ২০১৯ সালে নদী তীরের অবৈধ দখল মুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। কোভিডের কারণে এগিয়ে যেতে পারিনি।
তিনি বলেন, ম্যানমেইড বর্জ্য, শিল্প-কারখানার বর্জ্য দূষণমুক্ত করতে কাজ করছি। দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্মত জাহাজ তৈরি হচ্ছে। ‘সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশ ভিজিট করে গেছেন। তিনি অভিভূত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছেন- এটা বড় অর্জন।’
আরও পড়ুন: বিআইডব্লিউটিসিকে উন্নয়নের রোল মডেল হতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর অন্য দেশেও এর কার্যক্রম চালাবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুর্ঘটনামুক্ত নৌ চলাচল ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০২৪’ পালিত হচ্ছে।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রাখবে অবদান’।
৩৩৪ দিন আগে
পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগাদা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে আমাদের প্রাণিজ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে এ উৎপাদন বৃদ্ধি হতে হবে পরিবেশসম্মতভাবে। পশু খাদ্যের প্রকৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে পশু খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই লেকের যৌবন ফেরাতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে ইউএসডিএ (ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার) এবং এসিডিআই/ভোকার (এগ্রিকালচারাল কোঅপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল/ভলেন্টিয়ারস ইন ওভারসিজ কোঅপারেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্স) যৌথ উদ্যোগে গৃহীত বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভস্টক প্রকল্প আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ তাগাদা দেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিকভাবে গো খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো গেলে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমে আসবে।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এসময় উল্লেখ করেন।
একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
পশুর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনার জন্য খামারিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের গবাদিপশুর শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না। বরং পরিবেশসম্মতভাবে তা বাড়াতে হবে।
এক্ষেত্রে গো খাদ্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য ঘাসের উৎপাদন বাড়ানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং ঘাস চাষের উপর জোর দেওয়ার জন্য খামারিদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, পশু থেকে যে বর্জ্য বের হয় তা কীভাবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে। গোবর থেকে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর উপায় বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এসময় আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ সব জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৩৫১ দিন আগে