শ্রমবাজার
সংকুচিত হয়েই চলেছে দেশের শ্রমবাজার, রপ্তানি কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ
গত এক বছরে বৈশ্বিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের জনবল রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে। এর পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের শ্রমবাজার ক্রমেই সংকুচিত হয়ে চলেছে।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮৬৯ জন কর্মী বিদেশে গিয়েছেন। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ কর্মী গিয়েছেন মাত্র পাঁচটি দেশে— সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে এই সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম। সে বছর ১৩ লাখ ৭ হাজার ৮৯০ জন কর্মী বিদেশ পাঠানো হয়।
২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ৯৭ হাজার ৮৭৩ জন কর্মী বিদেশে যান। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৪৪২ জনে। অর্থাৎ, চলতি বছর জানুয়ারির তুলনায় কেবল ফেব্রুয়ারিতেই জনবল রপ্তানি কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ।
তিনটি বড় শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যাওয়া বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এগুলো হলো— মালয়েশিয়া, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এছাড়া সৌদি আরব ও কাতারের মতো দেশগুলোতে নিয়োগ কমে যাওয়ায় এবং মালয়েশিয়া, ওমানের পাশাপাশি বাহরাইনের শ্রমবাজারও বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
এর মাঝে অবশ্য সরকার নতুন শ্রমবাজার খোলার চেষ্টা করছে, তবে তাদের সাফল্যকে এখনও পর্যাপ্ত বলা যায় না। বিদ্যমান বাজারগুলো চালু করতে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সরকার পরিবর্তনের পর শ্রমবাজারের অবস্থা
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে।
এরপর জনশক্তি ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি কাজে লাগিয়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু নতুন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা প্রবাসী কল্যাণ নিয়ে নানা সময়ে বক্তব্য দিলেও বাস্তবে কার্যকর কোনো উদ্যোগ এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য শ্রমবাজার নয়, মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়া জরুরি: স্পিকার
প্রধান শ্রমবাজারগুলোর অবস্থা
মালয়েশিয়া
২০২৩ সালে সাড়ে তিন লাখের বেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালের জুন থেকে দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৪ সালে এক লাখেরও কম কর্মী দেশটিতে যেতে পেরেছেন।
ওমান
২০২৩ সালে ওমানে সোয়া লাখের বেশি কর্মী যান, কিন্তু ২০২৪ সালে দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ থাকায় মাত্র ৩৫৮ জন কর্মী যেতে পেরেছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত
২০২৩ সালে প্রায় এক লাখ কর্মী আমিরাতে গিয়েছিলেন, তবে ২০২৪ সালে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজারে।
বাহরাইন
২০১৭ সাল থেকে বাহরাইনে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। গত বছরও দেশটি বাংলাদেশ থেকে একজন কর্মীও নেয়নি।
দক্ষ কর্মীর অভাব ও বিকল্প শ্রমবাজার
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা থাকলেও বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী পাঠানোর হার কম। দক্ষ কর্মীদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান প্রতিশ্রুতিশীল শ্রমবাজার হলেও ভাষা ও পেশাগত দক্ষতার অভাবে অনেকেই সেখানে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছেন না।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার কর্মী নেওয়ার ঘোষণা দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। অথচ সে বছর মাত্র ৪ হাজার ৪৯৬ জন কর্মী পাঠানো সম্ভব হয়। ২০২৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে গিয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৯১৮ জন।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ড. তাসনিম সিদ্দিকী ইউএনবিকে বলেন, ‘সরকার দাবি করে বাংলাদেশ থেকে ১৬৮টি দেশে কর্মী পাঠানো হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে ৯৫ শতাংশ কর্মীই যাচ্ছে মাত্র ছয়টি দেশে। বাকি দেশে আসলে নামেমাত্র কর্মী পাঠানো হচ্ছে, কোথাও তা মাত্র ২ থেকে ৩/৪ শতাংশ।’
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও শ্রমবাজার খোঁজার তাগিদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছে বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেটের কারণে। অনেক কর্মী মালয়েশিয়ায় গিয়ে কাজ পাননি, ফলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। সরকারকে দ্রুত মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবকাঠামো খাত বন্ধ থাকায় কর্মী নিয়োগ কমে গেছে। এছাড়া সৌদি আরবে গত বছর ৬ লাখ কর্মী যাওয়ায় (এ বছর) চাহিদা কমে গেছে বলে জানান এই গবেষক।
দেশের ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী ইউএনবিকে বলেন, ‘শ্রমবাজারের সংকট কাটাতে হলে বন্ধ হয়ে যাওয়া বাজারগুলো দ্রুত খুলতে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা যায় বলে পরামর্শ দেন তিনি।
হায়দার আলী বলেন, ‘বিকল্প বাজার তৈরি না করা গেলে (দেশের) শ্রমবাজার হুমকির মুখে পড়বে। তখন মানুষ অবৈধভাবে সাগরপথে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করবে, যা আরও বিপজ্জনক হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংকুচিত হয়ে যাওয়া কাতার ও সৌদির শ্রমবাজারে লোক পাঠানো আরও বাড়াতে হবে। থাইল্যান্ড সম্ভাবনাময় একটি বাজার ছিল, সেটিও বন্ধ। এটি চালু করতে দুই দেশের আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সাত-আটটি বড় শ্রমবাজারের মধ্যে তিনটি বন্ধ রয়েছে। কাতার, কুয়েত ও সৌদি আরবেও কর্মী নিয়োগ কমেছে। মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান গত এক বছর ধরে শ্রমবাজার বন্ধ রেখেছে। এসব বাজার খুলতে না পারলে কর্মী পাঠানোর হার আরও কমে যাবে।’
কী বলছে সরকার
বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, ‘আমরা শ্রমবাজার বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি; নতুন নতুন বাজার খুলছি। যেমন: রাশিয়া, পর্তুগাল, মাল্টা, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও আফ্রিকার কঙ্গোতে নতুন করে কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রাশিয়ায় বেশি কর্মী যাচ্ছে।’
ইরাক ও ইরানেও কর্মী পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইরাকে ৫০০ ডলার বেতনে ৫০ হাজারের বেশি কর্মী পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় সব ইউরোপীয় দেশের দূতাবাস থাকলেও কর্ম ভিসার জন্য ভারত বা নেপালের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়, যা বাংলাদেশিদের ইউরোপে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা সৃষ্টি করছে।’
২৩ দিন আগে
উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য শ্রমবাজার নয়, মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়া জরুরি: স্পিকার
শুধু জ্ঞানার্জন নয়, মানবিক মূল্যবোধের জন্য উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘চিন্তার উৎকর্ষ সাধন ও মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি বিকশিত করার জন্য উচ্চশিক্ষা প্রয়োজন। এছাড়া উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য শুধু শ্রমবাজার নয়, মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়া জরুরি।’
সোমবার (১ জুলাই) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষা’ প্রতিপাদ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংসদীয় কূটনীতি কার্যকর হাতিয়ার: স্পিকার
স্পিকার আরও বলেন, ‘১৯৪৮ সালে জিন্নাহর উর্দু ভাষাকে কেন্দ্র করে আন্দোলন, ৫২ সালের ভাষা শহীদের রক্তে রঞ্জিত রাজপথ, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু উপাধি এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ প্রণয়ন করেন। এই আদেশবলে এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়ে আসছে।’
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বেশিরভাগ তরুণ। এই তরুণদের অনেক বেশি কর্মদক্ষতা রয়েছে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড সুবিধা কাজে লাগানোর এখনই উপযুক্ত সময়। তরুণদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে সব সুযোগ-সুবিধা উন্মুক্ত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে উচ্চশিক্ষায় জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে অভিযোজনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। তরুণদের শ্রমবাজারের উপযোগী করে বিশেষায়িত জ্ঞানে সজ্জিত করতে হবে।’
স্পিকার বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উচ্চশিক্ষার কারিকুলামে পরিবর্তন আনতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংসহ স্টার্টআপের বিভিন্ন ধরনের কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হওয়ার উপযোগী করে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর ইমেরিটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ইউসেফ বাংলাদেশ কাজ করছে: স্পিকার
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
এসময় স্পিকারকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মরণিকা, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্য' খণ্ডসমগ্র দেওয়া হয়।
২৯০ দিন আগে
মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ৩ দেশ সফরে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
মধ্যপ্রাচের শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও সাময়িক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ওমান সফরে গিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (২৪ মে) সকালে ৭ দিনের এই সফরে যান।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সফরে প্রতিমন্ত্রী দুবাইয়ে বেশ কয়েকটি পৃথক সভা ও বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী দুবাইয়ের বিজনেস কাউন্সিলের মেম্বারদের (সিআইপি) সঙ্গে সভা করবেন।
এছাড়া কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে সভা করার কথা রয়েছে তার।
এছাড়া প্রতিমন্ত্রী শনিবার (২৫ মে) দুবাই দূতাবাস আয়োজিত রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ এবং সিআইপি পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার (২৭ মে) কাতারের শ্রমমন্ত্রী ড. আলী বিন সাঈদ বিন সামিখ আল মারির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
তিনি কাতারে অবস্থানরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভা করবেন। এছাড়াও বাংলাদেশের কর্মী ও কমিউনিটি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) প্রতিমন্ত্রী ওমানের শ্রমমন্ত্রী ড. মাহাদ বিন সাঈদ বিন আলী বউইনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও তিনি ওমানে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী কমিটির সঙ্গে সভায় মিলিত হবেন।
এ সফরে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম ও প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মামুনুর রহমান তার সফর সঙ্গী হবেন।
প্রতিমন্ত্রী আগামী ৩১ মে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে-বিদেশে কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে কাজ করছে সরকার: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
ঈদের ১১ দিন বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
৩২৮ দিন আগে
শ্রমবাজার সম্প্রসারণে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
শ্রমবাজার সম্প্রসারণে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলানের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
বৈঠকে দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তারা সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, স্বল্পতম সময়ে ন্যুনতম অভিবাসন ব্যয়ে আরও বেশি সংখ্যক কর্মী পাঠানো, কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম প্রতিরোধ এবং সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীদের অন্যান্য স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনা করেন।বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাদের, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইকবাল হুসাইন খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. জিয়াউল হক, বায়রা’র প্রশাসক মো. দাউদুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঢাকা-সিউলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির সুযোগ বাড়িয়েছে: দূত
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত হাস
১০৭১ দিন আগে
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর কোনো অগ্রগতি নেই
বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার চালু বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই (এমওইউ) হয়েছে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে। তারপরও বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও থমকে আছে।
বাংলাদেশি ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সি সিন্ডিকেটের অপতৎপরতার কারণেই গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত চুক্তির কার্যক্রম স্থগিত ও বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আটকে আছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশের জনশক্তি ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশি শ্রর্মীকদের জন্য অন্যতম গন্তব্য মালয়েশিয়া। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাত লাখ প্রবাসী সেখানে কর্মরত আছেন বলে ব্যবসায়ীক সূত্রে জানা গেছে।
২০১৮ সালে মাহাথির মোহাম্মদের তৎকালীন মালয়েশিয়ার সরকার উভয় দেশে সংস্থার নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য দেশটির শ্রমবাজারের দরজা বন্ধ করে দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ নিয়ে আশাবাদী মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত
সর্বশেষ বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মালয়েশিয়া সরকার ২৫ বাংলাদেশি এজেন্সির একটি নির্বাচিত গ্রুপের মাধ্যমে নিয়োগ দিতে চায়। ঢাকা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কারণ এটি বাস্তবায়িত হলে ১৫০০ এরও বেশি সংস্থা এই ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়বে।
মালয়েশিয়া কেন বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করল?
২০০৯ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
তবে ২৬ নভেম্বর, ২০১২ এ দুই দেশ জিটুজি মডেলের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার পর এটি পরিবর্তিত হয়। ফলে হাজার হাজার শ্রমিক আনুষ্ঠানিকভাবে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে যোগ দেয়ায় সুযোগ পায়।
কিন্তু শিগগিরই সরকারের মধ্যকার সমঝোতা ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসন বেড়ে যায়।
২০১৬ সালে এসে সরকার আবার জিটুজি প্লাস মডেল চালু করে যার অধীনে শুধুমাত্র ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি বেসরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারে। এর মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় ২ লাখ ৪৫ হাজার শ্রমিক চাকরি পেয়েছেন।
তবে অভিযোগ ওঠে এই সংস্থাগুলো চাকরিপ্রার্থীদের শোষণ শুরু করে তাদের কাছ থেকে অন্যায্যভাবে উচ্চ ফি আদায় করে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে আরও জনবল নেবে
তারা প্রথমে ইমিগ্রেশন খরচ ৩৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করে পরে তা বাড়িয়ে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা করে নেয়। একপর্যায়ে এসব বেসরকারি সংস্থা অভিবাসন খরচ বাবদ মাথাপিছু সাড়ে তিন লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা দাবি করতে থাকে।
যেটা মালয়েশিয়া সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাংলাদেশি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি বড় ধাক্কার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং এর ভিত্তিতে জিটুজি চুক্তি বাতিল হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ বিষয়কমন্ত্রী এম. সারাভান মাত্র ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের জন্য ঢাকায় একটি চিঠি পাঠানোর পর সর্বশেষ এমওইউ দ্বারা উত্থাপিত আশা দ্রুত ভেঙ্গে যায়।
জবাবে, বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ তার মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন ঢাকা এই শর্ত মেনে নিতে পারবে না।
তিনি ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশ কম্পিটিশন অ্যাক্ট, ২০১২-এর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার সীমিত সংখ্যক এজেন্সিকে কাজ দিতে পারে না। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বৈধ লাইসেন্সধারী সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে সমান সুযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশ মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের স্বচ্ছ, অনিয়মমুক্ত ও নিরাপদ অভিবাসন চায়।
আরও পড়ুন: বিদেশি কর্মী নিয়োগে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা চায় না মালয়েশিয়া সরকার
বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর পদ্ধতি নির্ধারণে দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের প্রস্তাবও করেন ইমরান। কিন্তু চিঠি পাঠানোর তিন মাস পরও কুয়ালামপুর এখনও সাড়া দেয়নি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুস সালেহীন ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে এখনও আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি মালয়েশিয়া আমাদের অনলাইনে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের জন্য একটি তারিখ পাঠিয়েছিল কিন্তু আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি কারণ আমাদের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিষয়টি সমন্বয় করতে হয়েছিল। পরে আমরা অনলাইন সভার জন্য একটি তারিখ পাঠিয়েছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা অনুষ্ঠিত হয়নি।
তবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব বলেন, ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
কেন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বিরোধিতা?
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনার রিক্রুটি এজেন্সিজ’র (বায়রা) সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোটের নেতারা সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মলেন করে দাবি করেছেন, আগের ন্যায় নতুন করে আবার এই সিন্ডিকেটের হোতা বাংলাদেশ বায়রা সাবেক মহাসচিব ও ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী রুহুল আমিন স্বপন।স্বপনসহ ২৫ টি সিন্ডিকেটে নাম আসা সকল রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলসহ মালিকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে বিচারের দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার ভূমিকার প্রশংসা বক্তাদের
রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান বলেন, ‘এক-দুটি বাদে আগের ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির প্রায় সবকটি নতুন ২৫ এজেন্সি সিন্ডিকেটে তালিকাভুক্ত ছিল এবং তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রুহুল আমিন স্বপন। আমরা এবার মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেটমুক্ত শ্রমবাজারের প্রবেশাধিকার চাই।’
সিন্ডিকেট বিরোধী জোটের সংগঠক ও বায়রার সাবেক সভাপতি আবুল বাশার বলেছেন, ১০ এজেন্সি সিন্ডিকেট অভিবাসন ব্যয় বহুগুণ বাড়িয়েছে। মূলত এই সিন্ডিকেটের বিদ্বেষপূর্ণ প্রচেষ্টার কারণে বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলতে বিলম্ব হচ্ছে।
সিন্ডিকেট বিরোধী জোটের সংগঠক ও বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী বলেন,‘বাংলাদেশে এক হাজার ৫৩০টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিক্রুটিং এজেন্সি আছে এবং তাদের বৈধভাবে শ্রমবাজারে শ্রমিক পাঠানোর অধিকার রয়েছে। সিন্ডিকেট গঠনের অর্থ হবে তারা কাজ করতে পারবে না এবং দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হবে।’
বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রেন্টস (বিসিএসএম), অভিবাসন নিয়ে কাজ করা ২০ সংস্থার একটি প্ল্যাটফর্ম উভয় সরকারকে সিন্ডিকেট সিস্টেমের মতো বিষয়গুলো পুনরাবৃত্তি না করার অনুরোধ করেছে।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, শ্রমিকদের একটি উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ ব্যবস্থার মাধ্যমে পাঠানো উচিত যাতে অভিবাসী শ্রমিকরা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
সমস্ত নিবন্ধিত সংস্থাগুলোকে সমান নিয়োগের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান তারা।
অভিযুক্ত সিন্ডিকেট নেতা বিদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মালিক রুহুল আমিন স্বপন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে সরকারি আলোচনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অন্যান্য সংস্থার মালিকদের মতো আমিও একজন সাধারণ ব্যবসায়ী।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্ত যে তারা সীমিত সংখ্যক সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে চায়। সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’
অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে রুহুল আমিন বলেন, সীমিত সংখ্যক এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগে খরচ বাড়লে আমি কথা দিচ্ছি এই ব্যবসা ছেড়ে দেব।
১০৭২ দিন আগে
মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও শ্রমবাজার খোঁজার তাগিদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের মিশনগুলোর দায়িত্ব হবে নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজে বের করা এবং সেখানে আমাদের শ্রমশক্তি নিয়োগের ব্যবস্থা করা। এর ফলে একদিকে ওই দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরাসরি ভূমিকা রাখবে অন্যদিকে আমাদের শ্রমিকেরা রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
ড. মোমেন বলেন, আমাদের শ্রমশক্তিকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলে বিদেশে নিয়োজিত করতে পারলে আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি বলেন, আমাদের প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকাংশ প্রায় ৮০ ভাগই মধ্যপ্রাচ্যে। কিন্তু আমরা অন্যান্য অঞ্চলেও আমাদের শ্রমশক্তি প্রেরণ করতে চাই।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল সভায় ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এটি রাতারাতি সমাধান হবে না: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসি ও পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি বাস্তবায়নে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।
সম্প্রতি রোমানিয়াতে লোক নেয়ার বিষয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশেও আমাদের শ্রমশক্তি প্রেরণের লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে। তিনি আফ্রিকা অঞ্চলে কনট্রাক্ট ফার্মিং-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সেখানে পাঠানোর সুযোগ সৃষ্টির জন্য ঐসব দেশের সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ বৃদ্ধির তাগিদ দেন।
আরও পড়ুন: দেশের সমুদ্রাঞ্চলে মেরিন জেনেটিক রিসোর্সের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মাধ্যমে দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ সৃষ্টির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে বিদেশে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষেও কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে বাংলাদেশ মিশনসমূহের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তি স্থানান্তরেও ভূমিকা রাখতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে থাকতে এবং মিশনগুলোতে সেবার মান বাড়াতে সেখানে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
১১৯৬ দিন আগে
বাংলাদেশিদের জন্য চলতি বছরে খুলতে পারে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
তিন বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশিদের জন্য চলতি বছরের শেষে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। দু-একদিনের মধ্যে কাগজপত্র আসলে শ্রমবাজার চালুর চূড়ান্ত দিন তারিখ জানা যাবে।’
শুক্রবার রাতে সিলেট সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
বৃক্ষরোপণ, বাগান, কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন, নির্মাণ ও গৃহকর্মী নিয়োগের জন্য এই শ্রমবাজার উন্মুক্ত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকের সংখ্যা নিয়ে আগের থেকে আরও ভালো খবর আসবে।
এছাড়া বৈধ উপায়ে গ্রিসে শ্রমিক পাঠাতে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমঝোতা স্বারক সই হতে পারে বলেও জানান প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী। এ সময় তিনি অবৈধ উপায়ে বিদেশ না যাওয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়া অন্যতম জনপ্রিয় কর্মস্থল। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য মতে, ১৯৭৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১০ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬ জন বাংলাদেশি দেশটিতে কাজ পেয়েছেন।
২০১৮ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সাড়ে ৫ লাখ ডোজ অ্যাস্টাজেনেকা টিকা দিল মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া বাংলাদেশে পাম অয়েলের মূল্য সংযোজন শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী
১২২৩ দিন আগে
করোনার জাল সনদ: বিদেশে শ্রমবাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবার বলেছেন, ‘সরকারের উদাসীনতার কারণে’ বিদেশের শ্রমবাজার হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।
১৭৪২ দিন আগে
বাংলাদেশিদের জন্য ফের শ্রমবাজার খুলে দিল কাতার
বেশ কয়েকমাস বন্ধ রাখার পর বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ফের শ্রমবাজার খুলে দিয়েছে কাতার।
১৮৯৮ দিন আগে
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বাজার খুলে দেবে ইউএই: প্রধানমন্ত্রীকে যুবরাজের ইঙ্গিত
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য কয়েক বছর ধরে বন্ধ থাকা শ্রমবাজার পুনরায় খুলে দেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।
১৯৭৮ দিন আগে