অর্থনৈতিক উন্নয়ন
বাংলাদেশের অনেক অর্জনের মধ্যে একটি হচ্ছে অসাধারণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন: স্বাধীনতা দিবসে জাতিসংঘ
বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতিসংঘ বলেছে, অসাধারণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য বৈশ্বিক মঞ্চে নেতৃত্ব এবং প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্বাগত ও আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক অর্জন রয়েছে।
রবিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইস এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেন, ‘বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় মানুষের আতিথেয়তা একটি দেশের বিভিন্ন দিকগুলোর মধ্যে একটি যা আমি ও আমার সহকর্মীরা প্রতিদিন অনুভব করার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকীতে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’
তিনি আরও বলেন, বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় ও উল্লেখযোগ্য অর্জন অর্জন করেছে: যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হওয়া, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পরিকল্পিত অর্জন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অঙ্গীকারকে পুরোপুরি সমর্থন করে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক এবং আমাদের (জাতিসংঘ) অভিন্ন মূল্যবোধের প্রশংসা করে।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী অফিস বলেছে যে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার আগেই গৃহীত দেশের সংবিধান মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। বাক স্বাধীনতা, ধর্ম, আন্দোলন ও সমাবেশের অধিকার, নিজের ভাষায় কথা বলার অধিকার এবং জাতিসংঘ সনদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্যান্য অধিকার।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের পানিবিষয়ক কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে অধিকতর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন: প্রতিমন্ত্রী ফারুক
১ বছর আগে
অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মেরিন ক্যাডেটরা আমাদের অর্থনীতির অন্যতম যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম। ক্যাডেটরা দেশমাতৃকার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
রবিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি ক্যাম্পাসে ৫৬ ব্যাচের ক্যাডেটদের 'মুজিববর্ষ গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড' অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেইটওয়ে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশাল, রংপুর, পাবনা ও সিলেটে চারটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। সেগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সুনীল অর্থনীতির সোপান-সমুদ্রসীমা জয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নারীদের ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণসহ নারী ক্যাডেটদের প্রথম ব্যাচের ১২ জন বিএসসির ছয়টি জাহাজে কাজ করে সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে থেকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী দু'জন শ্রেষ্ঠ ক্যাডেটকে 'রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক' ও 'বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন পদক' তুলে দেন।
রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত হলেন ক্যাডেট নাদিম আহমেদ ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন পদকপ্রাপ্ত হলেন ক্যাডেট রাফিদ বিন আলম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট নৌপ্রকৌশলী ড. সাজিদ হোসেন।
আরও পড়ুন: আহতদের চিকিৎসা সহায়তায় সরকার পাশে দাঁড়াবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উক্ত প্যারেড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত মেরিন একাডেমি থেকে চার হাজার ৭৩১ জন প্রশিক্ষণার্থী গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। এই বছর ৩৫৯ জন গ্র্যাজুয়েশন পেতে যাচ্ছে। একাডেমির ৫৭তম ব্যাচে ২৮০ জন ক্যাডেট বর্তমানে একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত রয়েছে।
২ বছর আগে
এলডিসি পরবর্তী সময়ের জন্য বাংলাদেশের এখনই প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন: প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি
এলডিসিতে উত্তরণকে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ও একটি অসাধারণ কৃতিত্ব হিসেবে উল্লেখ করে সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশনের (এসডিসি) মহাপরিচালক প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি বলেছেন, বাংলাদেশের এখন এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন, কারণ পূর্বে বিদ্যমান নির্দিষ্ট কিছু বাজারে এখন তাদের প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
১৯৯৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ক্রীড়াবিদ হিসাবে সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী ড্যানজি ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই অগ্রযাত্রাটা হতে হবে মসৃণ, স্থায়িত্ব ও অন্তর্ভুক্তিমূলক, যাতে করে কেউ পিছিয়ে না পড়ে।
এসময় তিনি বাজারের ব্যাপারে পূর্বানুমানের সক্ষমতা বাড়ানো এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন কাঠামোগত সংস্কারের ওপর জোর দেন।
ড্যানজি বলেন, বর্তমানে করোনার কারণে সৃষ্ট নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে গোটা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে। এর ফলে দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, বৈশ্বিক অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং বৈষম্য আরও বেড়েছে।
তিনি বলেন, এই দুরবস্থায় আমরা আমাদের নতুন সহযোগিতা কর্মসূচির আওতায় দারিদ্র্য নিরসন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব।
ভবিষ্যতের কথা বলতে গিয়ে ড্যানজি বলেন, সুইজারল্যান্ড তার উন্নয়ন যাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদারিত্ব’ অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, আমার সফরে আমি এই দেশে অনেকগুলো ইতিবাচক বিষয় দেখেছি, যেগুলোর ফলে সুইজারল্যান্ড এই দেশের সঙ্গে কাজ করা এবং সে সংক্রান্ত ভবিষ্যত আলোচনা ও মতবিনিময়ে আগ্রহী করবে।
এসডিসি মহাপরিচালক বলেন, এই সমস্ত উপাদান কেন্দ্রীয় এবং তারা এটি তৈরি করতে চাইবে। তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন একসঙ্গে এই পরবর্তী পদক্ষেপ নেই এবং সবার জন্য একটি সমৃদ্ধ ও স্থায়িত্বমূলক ভবিষ্যত তৈরিতে কাজ করি।
জলবায়ু পরিবর্তনকে আরেকটি মৌলিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থার অর্থায়নের জন্য সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে।
ড্যানজি বলেন, গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক কপ২৬ সম্মেলনে আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল টেকসই ও স্বচ্ছ জলবায়ু অর্থায়ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১১ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করবে সুইজারল্যান্ড
২ বছর আগে
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ প্রশংসনীয়: সুইস রাষ্ট্রদূত
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপসমূহ প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে সংসদ ভবনে সৌজন্য সাক্ষাতকালে সুইস রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
সাক্ষাতকালে তারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, জলবায়ু ইস্যু, রোহিঙ্গা ইস্যু, নারীর ক্ষমতায়ন, আসন্ন প্রি-কপ সম্মেলন প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছি। সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাকে 'এসডিজি প্রোগেস অ্যাওয়ার্ড'-এ ভূষিত করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে স্থানীয় তৃণমূল পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সারা দেশের মানুষকে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনতে নিরলস কাজ করছে সরকার।’
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস নবীনদের মাঝে ছড়াতে হবে: স্পিকার
সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বাংলাদেশের সাথে সুদৃঢ় কূটনৈতিক সুসম্পর্কের ধারাবাহিকতা স্মরণ করেন।
এসময় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, তথ্য অধিকার ও বাক-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড 'লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ক্যাম্পেইন ২০২১' বাস্তবায়নের জন্য সংসদ ভবনকে ভ্যান্যু হিসেবে প্রস্তাব উপস্থাপন করলে স্পীকার সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে সার্বিক মানব উন্নয়নে ৬ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। তথ্য অধিকার ও বাক-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় সরকার সফল হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে দেশের চলমান অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়, যার উত্তরণে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।
পড়ুন: বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সাংসদদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্পিকার
এসময় ইতালির রোমে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন প্রি-কপ সম্মেলনে সংসদীয় প্রতিনিধিদিলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে সুইজারল্যান্ডের ধারাবাহিক সহযোগিতা কামনা করেন। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
এসময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশিয় ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে: শিল্পমন্ত্রী
অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশিয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখার আহবান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় তাঁত, বস্ত্র ও কারু শিল্প বিকশিত হয়েছে, দেশিয় বাজারের ক্রেতাদের কাছের সেগুলো আরও বিস্তৃত পরিসরে পৌঁছে দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার্স অব বাংলাদেশ (এএফডিবি) আয়োজিত হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল ২০২০ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবে শিল্প মন্ত্রণালয় দেশের বৈচিত্র্যময় বস্ত্র ও কারু শিল্প পণ্য উন্নয়নে কাজ করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এ সকল পণ্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে কাজ করছে।
বৈচিত্র্যময় দেশিয় তাঁত ও বস্ত্রের বাজার সম্প্রসারণে আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি দেশিয় বাজারের প্রতি আরও মনোযোগী হতে উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেন শিল্পমন্ত্রী।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সম্ভাবনাময় বিভিন্ন দেশিয় তাঁত ও বস্ত্র পণ্যের মান উন্নয়নে সেখানে আধুনিক প্রযুক্তিসুবিধা পৌঁছে দিতে এএফডিবি’র পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান তিনি।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ দেশিয় বস্ত্রের ঐতিহ্য সংরক্ষণে ও পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে সব ধরণের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
৪ বছর আগে