লক্ষাধিক মানুষ
সিরাজগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ
প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে।
যমুনার তীরবর্তী জেলার পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়েছে এবং নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের অসহায় মানুষের দুঃখ দূর্দশা বাড়ছে। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা বিতরণ শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (হেড কোয়ার্টার) জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উজানের ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যেই যমুনার তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে এবং প্লাবিত হচ্ছে আরও নতুন নতুন অঞ্চল। এসব অঞ্চলের অনেক কাঁচা ও পাকা সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে আঁখ, আউশ রোপা, তিল ও সবজি বাগানসহ বিভিন্ন ফসল। নিম্নাঞ্চলের শত শত পরিবার স্থানীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে ও নিচ্ছে এবং তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি
বন্যা: লক্ষ্মীপুরে দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ
দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের বন্যার পানির চাপ এবং মেঘনা নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে লক্ষ্মীপুরের রামগতি, কমলনগর, রায়পুর ও সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগে রয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
একটি কংক্রিটের সেতুর অভাবে লাখো মানুষের দুর্ভোগ
কালীগঞ্জ উপজেলার মহীশামুরী ধরাপাড় গ্রামের একটি কংক্রিটের সেতুর অভাবে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পোহাচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ১৫-২০টি গ্রামের মানুষ।