পানির চাপে বুধবার বিকালে সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট ফেরি ঘাটের সড়ক ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর ফলে অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটের ফেরি চলাচল। কবে নাগাদ সড়ক ঠিক করা হবে, সেটা অনিশ্চিত বলে জানান সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা। তারপরও দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।
স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানির চাপে হঠাৎ করে ১৪ ইউনিয়নের ৫০ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়ে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে অন্তত পাঁচ হাজার হেক্টর আমনের আবাদ ও বীজতলা।
মাছের ঘের মালিক মুফতি তাহের ইজ্জুদ্দীন জাবেরী জানান, মেঘনার অতিরিক্ত জোয়ারে ছোট-বড় অর্ধ শতাধিক মাছের ঘের তলিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাছ ভেসে গেছে। ২০টি ঘের তলিয়ে মালিকদের ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
রায়পুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এসও ইব্রাহিম বলেন, ‘স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে মেঘনার পানি পাঁচ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে তা কমে যাবে।’