মহাসচিব
বিএনপি মহাসচিব ২১ আগস্টের ঘাতকদের মুখপাত্র: হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি মহাসচিব ২১ আগস্টের ঘাতকদের মুখপাত্র বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘২১ আগস্টের মতো এমন ভয়াবহ ঘটনাকে মির্জা ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক বলেছেন, যেখানে এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, তারা এটি ঘটিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন জঘন্য, ঘৃণ্য, বীভৎস মিথ্যাচার একটি দলের মহাসচিব করতে পারেন, আমার বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করতে নয়াপল্টনে জনসভা করতে চায় বিএনপি: হাছান মাহমুদ
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট খালেদা জিয়ার অনুমোদনক্রমে তার ছেলে তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যেই গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল। আর পত্র-পত্রিকায় দেখলাম, মির্জা ফখরুল সাহেব সোমবার এই ঘৃণ্য গ্রেনেড হামলা নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বলেছেন- ‘যে জায়গায় অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সেখানে না করে তারা অন্য জায়গায় কেন করল।’ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা ২১ আগস্টের কয়েকদিন আগেই মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু অনুমতি দেওয়া হয়নি। শেষ মুহূর্তে আমাদের পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করার জন্য মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এতে প্রমাণ হয় যে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করার সুবিধার্থেই মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ, সেখানে গ্রেনেড ছোঁড়ার সুবিধা সেভাবে নেই। আমাদের দলীয় কার্যালয়ের চারপাশের বিল্ডিং থেকে গ্রেনেড ছোঁড়া যায়। সে জন্যই সেখানে সমাবেশ করতে বলা হয়।’
তিনি বলেন, সমাবেশের সময় বিল্ডিংয়ের ওপরে সাদা পোশাকে বা পোশাকধারী পুলিশ থাকে। কিন্তু সেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট কোনো পুলিশ পাহারায় ছিল না, পরিবর্তে সেখানে তৎকালীন বিএনপি সরকার, তারেক রহমান জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত করেছিল। এবং সেখান থেকেই গ্রেনেডগুলো ছোঁড়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিজেপি মনে করে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে: হাছান মাহমুদ
এডিস মশার চেয়েও ভয়াবহ বিএনপি: হাছান মাহমুদ
সরকারের বিরোধী নির্মূল কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনক: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সরকার বিরোধীদলকে নির্মূল করতে এবং একতরফা নির্বাচন আয়োজন করতে দেশে যে কোনো ভয়াবহ ঘটনা ঘটাতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) আমার আশঙ্কার কথা বলতে চাই। এটা বলা দরকার... জাতির এটা জানা উচিত। বিরোধী দলগুলোকে পুরোপুরি নির্মূল করতে এই সরকার এখন দেশে ভয়ানক কিছু করার পরিকল্পনা করছে। তারা অতীতে যেমন করেছে, এখন আবারও সেই ধরনের নির্বাচন কীভাবে করা যায় সেই লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে।’
সোমবার (২১ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও বিরোধী দলকে মাঠ থেকে সরাতে সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ইতোমধ্যে সারাদেশে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা রবিবার (২০ আগস্ট) হবিগঞ্জে বিএনপির কার্যালয় এবং স্থানীয় নেতা ও সাবেক হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিরোধী দলের দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করেছে।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার সাজানো নাটক: ফখরুল
তিনি বলেন, এর আগে শনিবার একই জেলায় দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতে গেলে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে এবং প্রায় ৩০০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে বিপুল সংখ্যক বিরোধী নেতা-কর্মী আহত হয়।
তিনি বলেন, শনিবার নারায়ণগঞ্জসহ আরও কয়েকটি জেলায় বিএনপির মিছিল কর্মসূচিতেও পুলিশ হামলা করেছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, শুক্রবার রাতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও পুলিশ ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
ফখরুল বলেন, অতীতে নয়াপল্টনে বিএনপির বড় সমাবেশ চলাকালীন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এরপর বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর গুলি ছুঁড়ে, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে সমাবেশ বন্ধ করে।
ছাত্রদলের ছয় নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দাবি করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আবারও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এগুলো তাদের (পুলিশ) অনেক পুরনো অস্ত্র ছিল এবং তারা ছাত্রদল নেতাদের হাতে তুলে দিয়ে ছবি তুলেছিল।’
তিনি বলেন, বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে নির্মূলে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস চালাচ্ছে সরকার: ফখরুল
পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যেই বোঝা যায় আরেকটি একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে: রিজভী
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার সাজানো নাটক: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার প্রক্রিয়া ‘সাজানো নাটক’ ছাড়া আর কিছুই নয়।
সোমবার (২১ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সম্মেলনে তিনি আরও দাবি করেন, গ্রেনেড হামলায় তাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য নেতারা কোনোভাবেই জড়িত নন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আমি বলতে চাই পুরো বিষয়টি (বিচার প্রক্রিয়া) একেবারে একটি সাজানো নাটক।’
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের নাম এ মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের কাছে রেকর্ড আছে কোনো সঠিক তদন্ত ছাড়াই এটি (বিচার) করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, মামলার প্রথম তিনটি ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্টে (এফআইআর) তারেকের নাম ছিল না।
তিনি আরও বলেন, পরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আখন্দকে পুনরায় নিয়োগ দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) করা হয়েছে। ‘ওই ভদ্রলোক এফআইআরে তারেক রহমানের নাম দিয়েছেন।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, পুরো তদন্তে কোথাও তারেকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
তিনি বলেন, প্রায় ১৪৫ দিন রিমান্ডে রাখার পর মুফতি হান্নানকে শুধুমাত্র তারেকের নাম বলতে বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তিনি তা অস্বীকার করেন এবং এ বিষয়ে হলফনামা দেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে নির্মূলে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস চালাচ্ছে সরকার: ফখরুল
ফখরুল বলেন, তৎকালীন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের ২১ আগস্টের সমাবেশের নির্ধারিত স্থান অন্য জায়গায় স্থানান্তর করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি গ্রেনেড হামলার ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। সেই নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি। আমরা ২১ আগস্টের ঘটনার নিন্দা জানাই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটি অবশ্যই একটি জঘন্য ঘটনা এবং এটা নিন্দনীয়।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার বিএনপি নেতাদের ‘বিনাকারণে’ মামলায় জড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আবারও বলছি তারেক রহমান, বিএনপির আব্দুস সালাম পিন্টু বা লুৎফুজ্জামান বাবর এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। রাজনৈতিক কারণে তাদের এর সঙ্গে জড়ানো হয়েছে।’
২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে ২৪ জন নিহত এবং প্রায় ১ হাজার মানুষ আহত হয়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এরমধ্যে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।
তারেক রহমানসহ ১৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যার অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যেই বোঝা যায় আরেকটি একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে: রিজভী
আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে বিদেশের কোনো দেশ এগিয়ে আসবে না: ফখরুল
এফবিসিসিআইয়ের নতুন মহাসচিব মো. আলমগীর
ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে মো. আলমগীরকে।
রবিবার (২০ আগস্ট) তিনি এফবিসিসিআইতে যোগ দেন।
এর আগে আলমগীর বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই -এর নতুন সভাপতি মাহবুবুল আলম
তিনি রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন।
সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আলমগীর সরকারি চাকরিতে ৩৩ বছরের কর্মজীবনের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার নিয়ে এফবিসিসিআইয়ে এসেছেন।
১৯৯০ সালে পটুয়াখালী ডিসি অফিসে সহকারী কমিশনার হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয় এবং তিনি বিভিন্ন জাতিগত সংখ্যালঘুদের কল্যাণ ও উন্নয়নে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় কাজ করেন।
মো. আলমগীর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিবেশ অধিদপ্তরে এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মো. আলমগীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এনইউএস) থেকে পাবলিক পলিসিতে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। যার ফলে তিনি বাংলাদেশের প্রথম বেসামরিক কর্মচারী হিসেবে এনইউএস থেকে এই ডিগ্রি অর্জন করেন।
এ ছাড়াও, মো. আলমগীর ইউকে ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স থেকে শেভনিং ফেলোশিপের অধীনে ম্যানেজিং মাইগ্রেশন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে হুবার্ট হামফ্রে ফেলোশিপের অধীনে 'সাবস্ট্যান্স ইউজ, রিডাকশন, ট্রিটমেন্ট অ্যান্ড পলিসি' বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন।
তিনি ঢাকার একাডেমি ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট থেকে প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট এবং জাপানের আইডিএএস অ্যাডভান্সড স্কুল থেকে ডেভেলপিং ইকোনমিকসে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।
এ ছাড়াও তিনি দেশে ও বিদেশে অনেক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই এর সভাপতি হলেন মাহবুবুল আলম
এফবিসিসিআই-আইসিসির বৈঠক: ভারতের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তাদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান
ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোই তাদের দলের একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী সরকারের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ও সংগ্রাম করেছি। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এই ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করা।’
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ফখরুল এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে অনেক বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং অনেকে গুমের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিল কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি চালিয়ে কৃষকদল কর্মী সজিব হোসেনকে হত্যা করে, অনেকে আহত হয়। ‘আন্দোলনই এই সরকারকে অপসারণের একমাত্র উপায়। এই সরকারকে অবশ্যই উৎখাত করতে হবে।’
গত ১৮ জুলাই জেলায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে সজিবের পরিবারের সদস্য ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে লক্ষ্মীপুর শাখা বিএনপি।
আরও পড়ুন: ভয়-প্রতিহিংসা থেকে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে আ. লীগ: ফখরুল
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ ও দেশের কোনো নাগরিক নিরাপদ থাকবে না।
বিএনপি নেতা বলেন, সজিবসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জীবন উৎসর্গ বৃথা যাবে না। ‘আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে এবং গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
দেশের জনগণ তাদের দলের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তারা বিশ্বাস করে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে জনগণ অবশ্যই গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।
তিনি নিহত কৃষকদল কর্মী এবং লক্ষ্মীপুরে পুলিশের গুলিতে আহত ও দৃষ্টিশক্তি হারানো পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন, বিএনপি সবসময় তাদের পাশে থাকবে।
অনুষ্ঠানে সজিবের পরিবার ও আহত দলীয় নেতাকর্মীদের আর্থিক সহায়তা দেয় দলটি।
আরও পড়ুন: সময় ও একাত্তর টিভির টকশোতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
আ.লীগ চাপে বিনয়ী হওয়ার ভান করছে: ফখরুল
মানবপাচার মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার লঙ্ঘন: আন্তোনিও গুতেরেস
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মানবপাচার হলো মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, সংঘাত ও অস্থিতিশীলতার সময়ে দুর্বলতার সুযোগে মানুষ এর শিকারে পরিণত হয় এবং তখন এর মাত্রাও বৃদ্ধি পায়।
রবিবার (৩০ জুলাই) বিশ্ব মানবপাচার বিরোধী দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে জাতিসংঘ মহাসচিব এসব কথা বলেন। ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক প্রস্তাবের মাধ্যমে প্রতি বছর ৩০ জুলাই বিশ্ব মানবপাচার বিরোধী দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালন করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়।
গুতেরেস বলেন, অসমতা বাড়ছে, জলবায়ু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাস্তুচ্যূতির হার যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। আর এসকল কারণে অনেক বেশি মানুষ মানব পাচারকারীদের শিকারে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগীদের সিংহভাগই নারী ও শিশু। যাদের অনেকেই নৃশংস সহিংসতা, জোরপূর্বক শ্রম এবং ভয়াবহ যৌন নিপীড়ন ও শোষণের শিকার হয়।
তিনি আরও বলেন, তা সত্ত্বেও মানব পাচারকারীরা এখনো মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। তাদের অপরাধ দমনের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে না। এই বিষয়ে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে।
আরও পড়ুন: আসুন গর্ব করে ঘোষণা করি, আমরা নারীবাদী: গুতেরেস
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমাদের অবশ্যই শনাক্তকরণ ও সুরক্ষায় আরও বিনিয়োগ করতে হবে। মানুষকে পণ্য বানানো অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে এবং ভুক্তভোগীদের জীবন পুনর্গঠনে সহযোগিতা করতে আমাদের অবশ্যই আরও বেশি কিছু করতে হবে।
তিনি বলেন, এবারের এই বিশ্ব মানবপাচার বিরোধী দিবসে আসুন আমরা মানবপাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের শনাক্ত, সুরক্ষা ও সহযোগিতা দিতে এবং পাচারের শিকার কোনো ভুক্তভোগী যেন পেছনে পড়ে না থাকে, তা নিশ্চিতে আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করি।
তিনি আরও বলেন, আসুন একসঙ্গে আমরা এমন বিশ্ব গড়ে তুলি, যেখানে কাউকে কখনো বেচা-কেনা কিংবা শোষণ করা হয় না।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নির্যাতনের বিচারের আহ্বান গুতেরেসের
অভিবাসনের বৈশ্বিক চুক্তি ‘পথ দেখাচ্ছে’: গুতেরেস
‘কাপুরুষ’ আওয়ামী সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়: ফখরুল
নির্দলীয় সরকার ছাড়া এবার দেশে কোনো নির্বাচন হবে না জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়।
শনিবার (২২ জুলাই) বিকালে তিন সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, ওদের লক্ষ্য একটাই যে ভয় দেখিয়ে মানুষকে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। জনগণকে ভয় দেখিয়ে এই নির্বাচন থেকে বিরত রাখা।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শুধু বিএনপি নই, আমরা ৩৬টি দল যুগপৎভাবে ঘোষণা দিয়েছি, আমরা বাংলাদেশে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।
তিনি বলেন, অবিলম্বে এই শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
সম্প্রতি ঢাকা, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভয় পায়।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভয় পায় বলে আজকে তারা ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। এরা ‘কাপুরুষ’ সরকার, নির্বাচনকে ভয় পায়।
আমরা পরিস্কার করে বলেছি, আমরা এক দফা দাবি দিয়েছি। বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল প্রায় সমন্বরে বলেছে যে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: ২৭ জুলাই ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ
এক দফা আন্দোলন: ২৭ জুলাই ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ এক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীতে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি।
শনিবার (২২ জুলাই) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তাদের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে দুপুর ২টায় রাজধানীতে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি। তবে সমাবেশস্থলের নাম উল্লেখ করেননি ফখরুল।
বর্তমান সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে সর্বস্তরের জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
অন্যান্য সমমনা দল ও জোটও একই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।
বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিকাল ৩টা ২৮ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে।
কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল তরুণ প্রজন্মকে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথের আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা।
আরও পড়ুন: ভেঙে পড়ল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির যুব সমাবেশের মঞ্চ
অতিরিক্ত লোডের কারণে অনুষ্ঠানের জন্য স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চটি ভেঙে পড়ায় সমাবেশটি ৯০ মিনিট দেরিতে শুরু হয়।
দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু সমাবেশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে দলীয় নেতা-কর্মীরা ডেকোরেশন কোম্পানির কর্মচারীদের সহায়তায় ভাঙা মঞ্চটি মেরামত করেন।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তরুণ নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন রঙের ক্যাপ পরে, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও দলের শীর্ষ নেতাদের ছবি নিয়ে সকাল থেকেই মিছিলে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন।
সমাবেশস্থল ছাড়াও আশপাশের সড়কে অবস্থান নেয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা, এতে আশপাশের এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের চারপাশে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
তিনটি সংগঠন এর আগে পাঁচটি তারুণ্যের সমাবেশ করে তরুণদের ব্যাপক সাড়া পায়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রতি তরুণ প্রজন্মের সমর্থন জোগাতে গত ২ জুন বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন চট্টগ্রাম, বগুড়া, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ঢাকায় ছয়টি যুব সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ বিএনপি সমর্থকরা
এক দফা আন্দোলন ঠেকাতে লক্ষ্মীপুরে সজীব হত্যা: বিএনপি
মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত কোনো বাহিনী তাদের সঙ্গে যুক্ত নয়: জাতিসংঘ
জাতিসংঘ মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত কোনো বাহিনী তাদের সঙ্গে যুক্ত নয়। সোমবার (২৬ জুন) নিউইয়র্কে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় হক বলেন, ‘মিস্টার ল্যাক্রোইক্স (জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল ফর পিস অপারেশনস জিন-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স) গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে (বাংলাদেশে) সাক্ষাৎ করেছেন, যাদের সঙ্গে শান্তিরক্ষা সংক্রান্ত উদ্বেগ মোকাবিলা করতে হবে।’
ল্যাক্রোইক্স ২৫-২৬ জুন ঢাকায় একটি ‘সফল ও সমৃদ্ধ’ বৈঠকের জন্য বাংলাদেশ, কানাড ও উরুগুয়েকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আরও বেশি নারীর যোগদান ও সাফল্য লাভের জন্য তারা কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে ঢাকায় গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেষ হলো ঢাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক সভা
শান্তিরক্ষায় নারী বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সময়, ল্যাক্রোইক্স শান্তিরক্ষা; বিশেষ করে মিশনে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতিশ্রুতির জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পান।
তিনি বলেন, শান্তিরক্ষায় সবচেয়ে বেশি সৈন্য নিয়োজিত থাকায় বাংলাদেশের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল শান্তিরক্ষী যাতে নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশে উন্নতি করতে পারে তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কার্যকর কৌশল অন্বেষণের জন্য উন্মুখ।
ঢাকায় থাকাকালীন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল ফর পিস অপারেশনস জিন-পিয়ের ল্যাক্রোইক্স এবং ইউএন আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল ফর ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স ক্যাথরিন পোলার্ড নারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘ বিশেষ বিবেচনা করবে’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আ.লীগ সরকারকে অপসারণের কোনো বিকল্প নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে ‘অবৈধ’ আওয়ামী লীগ সরকারকে অপসারণের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই বর্তমান অবৈধ সরকারকে আমরা মানি না। এটি সংবিধান অনুযায়ী বৈধ সরকার নয়।’
শনিবার বিকালে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস্ পার্ক) বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন- যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত বরিশাল বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথীর বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজন করাসহ বিরোধী দলের ১০ দফা দাবিতে তরুণদের সমর্থন জোগাতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এসময় বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, তাদের দল শেখ হাসিনার শাসনামলে নয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন চায়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
জনগণের আশা-আকাঙ্খা অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুর থেকে তিনটি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে শক্তিশালী আন্দোলন প্রয়োজন।
তিনি বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনকে সফল করতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তরুণদের জেগে উঠতে হবে এবং ফ্যাসিবাদী ও অবৈধ শাসনকে পরাস্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের অবশ্যই বিজয়ী হতে হবে এবং সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সুইজারল্যান্ড সফর ‘অত্যন্ত রহস্যময়’: রিজভী