কারাগারে থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় জামিন আবেদনের উপর শুনানি হয়নি। আগামী ২২ নভেম্বর জামিন শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালতে জামিন শুনানির শুরুতেই মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে শুনানির জন্য সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন
এ সময় মির্জা ফখরুলের পক্ষে অর্ধশতাধিক আইনজীবী এর প্রতিবাদ করেন।
তারা বলেন, জামিন শুনানিতে পিপির কোনো প্রয়োজন নেই। আদালতে কোনো বিবিধ মামলার শুনানিতে পিপির উপস্থিতির প্রয়োজন পড়েনি। তারা আদালতের কাছে জামিন শুনানির জন্য প্রকাশ্যে তারিখ চান।
তারা আরও বলেন, আদালত পরে তারিখ জানাবেন বললে এ সময় কিছুটা হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। কবে পিপি শুনানি করতে পারবেন জানার জন্য ফোন করা হলে উনার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
এরপর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে আদালতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা প্রকাশ্যে জামিন শুনানির তারিখ ঘোষণা ছাড়া এজলাস ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। এ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দিনের অন্য মামলা শুনানি করতে বাধা দেন আইনজীবীরা।
এমতাবস্থায় ৩টা ১৪ মিনিটে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের এজলাস থেকে নেমে যান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে জামিন শুনানিতে ছিলেন- আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো. মোহসিন মিয়া, গোলাম মোস্তফা খান, ওমর ফারুক ফারুকী, ইকবাল হোসেন, হযরত আলী, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ প্রমুখ।
গত ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিনের আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
জামিন শুনানির জন্য সোমবার তারিখ ধার্য করেছিলেন আদালত।
২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গুলশান-২ এর ৭১ নম্বর সড়কের ১৮ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি মহাসমাবেশ থেকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায় বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের