স্পেন
সিটিই শেষ ক্লাব, জানিয়ে দিলেন গার্দিওলা
কোচিং ক্যারিয়ারে ম্যানচেস্টার সিটিই শেষ ক্লাব বলে জানিয়েছেন ক্লাবটির স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলা। পাশাপাশি ক্লাব ফুটবল ছাড়লেও আন্তর্জাতিক ফুটবল কোচিংয়ে নাম লেখানোর ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি।
গার্দিওলার অধীনে গত আট বছরে ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ অসংখ্যা শিরোপা জিতেছে সিটি। তবে সম্প্রতি কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছেন সিটিকে টানা চারটি প্রিমিয়ার লিগ জেতানো এই কোচ। সাত ম্যাচ টানা জয়বঞ্চিত থাকার পর গত সপ্তাহে জিতেছে তার দল।
অবশ্য দলের এমন পারফরম্যান্সে ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার সম্পর্কের ঘাটতি হয়নি। সম্প্রতি ২০২৭ সাল পর্যন্ত সিটির সঙ্গে নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ৫৩ বছর বয়সী পেপ। এই মেয়াদ পূর্ণ করলে ক্লাবটিতে দশ বছরের বেশি সময় অতিবাহিত করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিটি সমর্থকদের সুখবর দিলেন গার্দিওলা
সম্প্রতি স্প্যানিশ শেফ দানি গার্সিয়াকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন গার্দিওলা। সেখানে কোচিংয়ে নিজের ভবিষ্যৎসহ বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।
গার্সিয়ার ইউটিউব চ্যানেল দেসমন্তাদিতোয় প্রকাশিত ভিডিওতে গার্দিওলাকে বলতে শোনা যায়, ‘(সিটি ছাড়ার পর) আমি আর কোনো ক্লাবের কোচিং করাব না। সুদূর ভবিষ্যতে কী হবে জানি না, তবে এটুকু বলতে পারি যে সিটি ছেড়ে অন্য কোনো দেশে গিয়ে ফের একই কাজ করা- এসব আর করছি না।’
‘আসলে ওই পরিমাণ প্রাণশক্তি আর আমার নেই।… না না আর নয়!’
ক্লাব ফুটবল ছাড়লেও জাতীয় দলের কোচ হওয়ার বিষয়টিও তার বিবেচনায় রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলের কোচ হয়তো হতে পারি, সেটা আলাদা বিষয়।’
‘আমি সত্যি সত্যিই এসব ছাড়তে চাই। সব ছেড়েছুড়ে গলফ খেলতে চাই, কিন্তু পারি না। তবে যখন মনে হবে যে যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়, তখন অবশ্যই আমি থেমে যাব।’
আরও পড়ুন: ৫-০ গোলে জয়ের রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রেকর্ড ভাঙল সিটি
১ সপ্তাহ আগে
২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনে ১ বিলিয়ন ইউরো ঋণ নেবে মরক্কো
মরক্কোকে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এএফডিবি)। এছাড়া ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের আগে দেশটির অবকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থায়নের জন্য আরও ৬৫০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) মরক্কোর রাজধানী রাবাতে এএফডিবির আফ্রিকা ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম চলাকালে এই ঋণচুক্তি চূড়ান্ত হয়।
পরে এক বিবৃতিতে এএফডিবি জানায়, অনুমোদিত ঋণ মরোক্কোর অর্থনৈতিক শাসন ও পানি সরবরাহ জোরদার এবং নাদোর শহরের পশ্চিমে অবস্থিত তাঞ্জের মেড বন্দরে একটি শিল্পাঞ্চল স্থাপনে সহায়তা করবে।
এছাড়া, ২০৩০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আগে মরক্কোর রেল ও বিমানবন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে আরও ৬৫০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের সভাপতি আকিনভুমি আদেসিনা।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
দেশটির প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখাননৌচের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আদেসিনা বলেন, ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনে মরক্কোকে সহায়তা করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মরক্কোয় এএফডিবির ৩.৬ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নে ইতোমধ্যে ৩৭টি প্রকল্পের কাজ চলছে বলেও এ সময় জানান আদেসিনা।
২০৩০ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশগুলোর একটি আফ্রিকার দেশ মরক্কো। স্পেন ও পর্তুগালের সঙ্গে যৌথভাবে ওই বিশ্বকাপ আয়োজন করবে দেশটি।
২ সপ্তাহ আগে
নেশন্স লিগের শেষ আটের ড্র: কে কাকে পেল, কী সমীকরণ
গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হয়েছে আগেই, এবার নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র এবং ফাইনালের পথ স্পষ্ট করে দিল উয়েফা।
শুক্রবার নেশন্স লিগের চলতি মৌসুমের ‘রোড টু ফাইনাল’ নির্ধারণ করে কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সম্প্রতি দারুণ ছন্দে থাকা নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে স্পেন। এছাড়া ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়ার, জার্মানি ইতালির এবং ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল।
দুই লেগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ২০ মার্চ। এর তিন দিন পর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ শেষে সেমি ফাইনালের চার দল নিশ্চিত হবে। এরপর আগামী ৪ ও ৫ জুন সেমি ফাইনাল এবং ৮ জুন ফাইনালের পর শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে বিজয়ী দল।
চ্যাম্পিয়ন স্পেনের সামনে নেদারল্যান্ডস
শিরোপা ধরে রাখতে এবারও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে স্পেনের। কোয়ার্টারে এবার তাদের প্রতিপক্ষ রোনাল্ড কুমানের নেদারল্যান্ডস।
ডাচদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কুমানের অধীনে দারুণ পারফর্ম করে চলেছে দলটি। সবশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি ফাইনালে উঠেছিল ডাচরা। তার আগে গত বিশ্বকাপে কোয়ার্টারে উঠে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কাছে হারে তারা।
চলতি মৌসুমে নেশন্স লিগেও দারুণ ছন্দে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। হাঙ্গেরি ও জার্মানির মতো দলগুলোর সঙ্গে এক গ্রুপে পড়ে প্রথম ম্যাচেই জার্মানির কাছে হেরে বসে ডাচরা। তবে তারপর অপরাজিত থেকে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে কুমানের শিষ্যরা।
ফলে সম্প্রতি দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও ডাচ বাধা পেরোনো সহজ হবে না ইউরো ও নেশন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেনের।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ-ইউরো-নেশন্স লিগ জেতা একমাত্র ফটুবলার অবসরে
এছাড়া চোটের কারণে বারবার স্কোয়াডে পরিবর্তন এনে দল সাজাতে হচ্ছে লুইস দেলা ফুয়েন্তের। চোট নিয়ে ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমের জন্য ছিটকে গেছেন দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় দানি কারভাহাল ও রদ্রি।
তবে তরুণ এবং ফর্মে থাকা স্পেনের যেকোনো ফুটবলারকে জাতীয় দলে ডাক দিয়ে বারবার ফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে দেখা গেছে স্পেন বসকে। ফলে এই দুই দলের লড়াইটা দর্শকের জন্য হবে দর্শনীয়।
ফিরছে ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল
শেষ আটের ড্রয়ে এবার মুখোমুখি হতে চলেছে ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্স। এর ফলে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে, তা-ও একবার নয়, দুবার।
ফ্রান্সের কাছে সেবার ৪-২ গোলে হেরে ক্রোয়েশিয়ার স্বর্ণযুগের খেলোয়াড়দের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। প্রায় পাঁচ বছর পর এবার সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এসেছে ক্রোয়াটদের সামনে।
অবশ্য ভালো পারফর্ম করলেও ক্রোয়েশিয়ার সেই দল এখন আর নেই। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই অবসরে চলে গেছেন। তবে এখনও লুকা মদ্রিচ, মার্সেলো ব্রোজোভিচের মতো অভিজ্ঞরা দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে আন্দ্রেই ক্রামারিচ, মাতেও কোভাচিচ, ইয়োস্কো গেভারদিওলের মতো প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার থাকায় গ্রুপ পর্বের চ্যালেঞ্জ উতরে এসেছে জ্লাতকো দালিচের দল।
অপরদিকে, দুর্দান্ত সব খেলোয়াড় থাকলেও ফর্মহীনতা, চোট ও সমন্বয়ের অভাবে ইউরোর পর থেকেই ধুঁকতে দেখা গেছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যদের। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ইতালির কাছে হারের পর সবশেষ পাঁচ ম্যাচ জিতলেও দলের বড় তারকারা নিজেদের নামের প্রতি এখনও সুবিচার করতে পারেননি। ফলে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ভালো কিছু করতে মুখিয়ে থাকবেন কিলিয়ান এমবাপে, উসমান দেম্বেলের মতো তারকারা।
গ্রুপের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে ইসরায়েলের কাছে ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করলেও শেষ ম্যাচে ইতালিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে তাদেরই টপকে গ্রুপ সেরা হয়ে কোয়ার্টারে উঠেছে ফ্রান্স।
শেষ চার ম্যাচেই দলের সঙ্গে ছিলেন না এমবাপে। চোটে আক্রান্ত না হলে কোয়ার্টার ফাইনালে তাকে দলে ফেরাতে পারেন দেশম। ফলে কৌশল দিয়েই দুর্দান্ত এই দলটিকে মাত করতে হবে মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়ার।
৪ সপ্তাহ আগে
রিয়ালের খেলোয়াড় ছাড়াই স্পেনের স্কোয়াড, আছে নতুন দুই মুখ
নেশন্স লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছেন স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে। তবে এই দুই ম্যাচের জন্য দুই ফুটবলারকে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাকলেও রিয়াল মাদ্রিদের কোনো খেলোয়াড়কে স্কোয়াডে রাখেননি তিনি।
এর ফলে ২০২১ সালের পর প্রথম স্পেন দলে ডাক পেল না মাদ্রিদ জায়ান্টদের কোনো খেলোয়াড়। সে বছর লুইস এনরিকের অধীনে নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে রিয়ালের ফুটবলারবিহীন ছিল স্পেন। তবে ওই বছরই ইউরোতে আবার লস ব্লাঙ্কোসদের খেলোয়াড় নিয়ে স্কোয়াড সাজান বর্তমান পিএসজি কোচ এনরিকে।
এ বছর অনুষ্ঠিত ইউরোতেও স্পেন দলে ছিলেন রিয়ালের তিন খেলোয়াড়- দানি কারভাহাল, নাচো ও হোসেলু। তবে মৌসুম শেষে নাচো ও হোসেলু রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে যথাক্রমমে সৌদি আর ও কাতারে চলে যান।
অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় স্কোয়াডে না রাখার দায় মোটেও দে লা ফুয়েন্তের ওপর পড়ে না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের স্কোয়াডেই স্প্যানিশ প্রভাব কমেছে।
আরও পড়ুন: রেকর্ড চতুর্থবার শিরোপা জিতে নবযুগের সূচনা করল স্পেন
বর্তমানে দানি কারভাহাল, লুকাস ভাসকেস, হেসুস ভায়েহো, দানি সেবায়োস ও ফ্রান গার্সিয়া থাকলেও মাঠের খেলায় নিয়মিত শুধু কারভাহাল। তবে চোটে কারভাহালের মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় তার জায়গায় ডাক পেয়েছেন লুকাস ভাসকেস। এছাড়া ফ্রান গার্সিয়া ও সেবায়োস মাঝেমধ্যে খেলে থাকলেও বেশিরভাগ সময় বেঞেই বসে থাকতে দেখা যায় তাদের।
অন্যদিকে, লা মাসিয়ার কল্যাণে বরাবরই দুর্দান্ত সব স্প্যানিশ প্রতিভা বিশ্ব দরবারে তুলে আনে বার্সেলোনা। ফলে জাতীয় দলেও ক্লাবটির খেলোয়াড়দের আধিক্য লক্ষ করা যায়। তবে সম্প্রতি লা লিগাসহ ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোতে স্প্যানিশ ফুটবলারদের প্রভাব বাড়ায় জাতীয় দল সাজাতে বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়দের উপস্থিতি চোখে পড়ছে।
এরই ধাবাহিকতায় ঘরোয়া ও ইউরোপা লিগে অসাধারণ পারফর্ম করে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন গ্রীষ্মের দলবদলে পোর্তোয় নাম লেখানো স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড সামু ওমরোদিয়ন।
আরও পড়ুন: প্রায় পুরো ম্যাচ ১০ জনে খেলা স্পেনে বিধ্বস্ত সুইজারল্যান্ড
১ মাস আগে
স্পেনে বন্যায় ৬৩ জনের মৃত্যু
স্পেনের পূর্বাঞ্চলীয় ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার ভ্যালেন্সিয়ার পূর্বাঞ্চলের জরুরি সেবা বিভাগ জানায়, স্পেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যায় বাড়িঘর-গাড়ি ভেসে গিয়েছে। রাস্তাঘাট-রেলপথ ডুবে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।
উদ্ধার তৎপরতা সমন্বয়ের জন্য একটি ক্রাইসিস কমিটি গঠন করেছে স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার।
পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করে বন্যাদুর্গত অঞ্চলের বাসিন্দাদের উদ্ধার করে নিরাপদ এলাকায় নিয়ে যেতে কাজ করছে। এছাড়াও বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় স্পেনের জরুরি রেসপন্স ইউনিটের এক হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরের মধ্যে সাহারা মরুভূমিতে প্রথম বন্যার বিরল দৃশ্য
ভ্যালেন্সিয়ার উটিয়েল শহরের মেয়র রিকার্ডো গ্যাবালদোন জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরটিভিইকে বলেন, 'গতকাল ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিন। আমরা ইঁদুরের মতো আটকা পড়েছিলাম। রাস্তায় গাড়ি ও আবর্জনার কন্টেইনার ভেসে আসছিল। পানি তিন মিটার পর্যন্ত উঠে গেছে।’
উটিয়েল শহরের বেশ কয়েকজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান মেয়র।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও অনেকে নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় অনেক এলাকায় হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। দুর্গম এলাকাগুলোতে উদ্ধার কাজ চলছে।
কাস্তিলা লা মাঞ্চা অঞ্চলের লেতুর গ্রামের মেয়র সার্জিও মারিন সানচেজ জানিয়েছেন, তার গ্রামে ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আকস্মিক বন্যায় মালাগার কাছে প্রায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে একটি দ্রুতগামী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ভ্যালেন্সিয়া শহর এবং মাদ্রিদের মধ্যে উচ্চ গতির ট্রেন পরিষেবা বাধাগ্রস্ত হয়।
উপড়ে পড়া গাছ ও বিধ্বস্ত যানবাহনের কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় উদ্ধার কাজ সহজ করার জন্য লোকজনকে বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ভ্যালেন্সিয়ার আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট কার্লোস মাজন।
ভ্যালেন্সিয়ার ব্যারিও দে লা টোরে গ্রামের পানশালার মালিক ক্রিশ্চিয়ান ভিয়েনা ফোনে বলেন, 'আশপাশের এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার গভীর কাদায় ডুবে গেছে সব। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে গেছে সবকিছু।’
বুধবার সকালে ভ্যালেন্সিয়ায় বৃষ্টি কমে গেলেও স্পেনের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে বৃহস্পতিবার আরও ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বসনিয়ায় ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু
১ মাস আগে
স্পেনের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চান ড. ইউনূস
বছরের পর বছর ধরে শোষণের পর দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তার জন্য বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে স্পেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বাংলাদেশ থেকে কারিগরি ও অন্যান্য খাতে আরও কর্মী নিয়োগের জন্য স্পেনের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্তিয়াগা বুধবার (৯ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বর্তমানে স্পেনে প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি কর্মরত।
স্পেনের রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছিলেন যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তার সংস্কার উদ্যোগে স্পেন তার অভিজ্ঞতার আলোকে সহায়তা করতে পারে কিনা।
প্রধান উপদেষ্টা এই প্রস্তাবের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে যেসব সংস্কার বাস্তবায়ন করছে তা এগিয়ে নিতে স্পেনের যেকোনো সহযোগিতাকে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে।
আরও পড়ুন: ইতালির ভিসা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, আশা উপদেষ্টা তৌহিদের
অধ্যাপক ইউনূস স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টো রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘স্পেন আমাদের বিভিন্নভাবে সমর্থন দিতে পারে। এখানে আরও বিনিয়োগ আনতে পারে এবং আমাদের পোশাক পণ্যের আমদানি সম্প্রসারণ করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি আমাদের উন্নয়ন খাতে স্পেনের সহায়তা পেলে তা লাভজনক হবে।’
রাষ্ট্রদূত সিস্তিয়াগা স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজের একটি চিঠি ড. ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাকে অভিনন্দন জানান স্পেনের প্রেসিডেন্ট।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, রাষ্ট্রদূত ২০২৫ সালের ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত স্পেনে অনুষ্ঠিতব্য উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্পেনের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
প্রধান উপদেষ্টা স্পেনের রানী সোফিয়ার কাছে তার শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান এবং তার বাংলাদেশ সফরকালে তার সঙ্গে তার মধুর স্মৃতির কথা স্মরণ করেন।
তিনি তাকে আবারও বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা ড. ইউনূসের
২ মাস আগে
বর্ণবাদ রুখতে স্পেনের ফুটবলে নতুন আইন
বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে বিশ্বকাপ আয়োজন সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে সম্প্রতি গোটা স্পেনজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র। ওই মন্তব্যের কারণে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হলেও বর্ণবাদ রুখতে এবার লা লিগা ও স্পেনের আন্তর্জাতিক ফুটবলে নতুন আইন চালু করছে দেশটি।
স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) ও লা লিগা বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে রেফারিদের জন্য নতুন আইন চালু করা হবে। খেলা চলাকালে বর্ণবাদী আচরণের ঘটনা ঘটলে মাঠ থেকেই এ বিষয়ে সংকেত দিতে পারবেন রেফারি।
চলতি বছরের মে মাসে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ফিফার কংগ্রেসে বর্ণবাদবিরোধী ‘ক্রস-আর্ম’ অঙ্গভঙ্গির অনুমোদন পায়। এবার সেই আইনটি গ্রহণ করতে চলেছে স্পেন।
আইনে বলা হয়েছে, রেফারিরা সরাসরি কোনো বর্ণবাদী আচরণ প্রত্যক্ষ করলে কিংবা খেলোয়াড়রা এ নিয়ে অভিযোগ দিলে, এমনকি মাঠের নিরাপত্তাকর্মীরাও এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে প্রধান রেফারি সংকেত দেবেন। তিন ধাপের সংকেত পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ম্যাচ থামাতে, স্থগিত করতে, এমনকি পরিত্যক্ত পর্যন্ত করতে পারবেন রেফারি।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
আরএফইএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ফুটবলে যে কোনো ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে বর্ণবাদী মনোভাব ও আচরণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উভয় প্রতিষ্ঠান তাদের অঙ্গীকারে দৃঢ় থাকতে এই আইন বাস্তবায়ন করবে।’
গত কয়েক মৌসুম ধরে ভিনিসিউস জুনিয়র বেশ কয়েকবার বর্ণবাদী আচরণ ও মন্তব্যের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করে আসছেন। ২০২৩ সালের মে মাসে ভ্যালেন্সিয়ার মেস্তায়া স্টেডিয়ামে এই ফুটবলারের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণের দায়ে ঘরের মাঠের তিন সমর্থককে চলতি বছর কারাদণ্ডও দিয়েছে দেশটির আদালত।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্বকাপের আয়োজন স্পেন থেকে সরিয়ে নিতে সম্প্রতি প্রস্তাব করেন ভিনিসিউস। তার মন্তব্যের পর স্পেনের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে ফুটবল পাড়ার মানুষ- সবাই তার বিরুদ্ধে সরব হন। এমনকি তার ক্লাব সতীর্থদেরও তার মন্তব্যের সমালোচনা করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের মন্তব্যে ‘চটেছে’ রিয়াল মাদ্রিদ
ভিনির মন্তব্যের সমালোনা করলেও দেশ থেকে বর্ণবাদ নিশ্চিহ্ন করতে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেন মাদ্রিদের মেয়র। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর দেশটির ফুটবল ফেডারেশন ও লা লিগা থেকে এই ঘোষণা এল।
৩ মাস আগে
প্রায় পুরো ম্যাচ ১০ জনে খেলা স্পেনে বিধ্বস্ত সুইজারল্যান্ড
স্পেন কেন বর্তমানে ইউরোপের সেরা দল, আজ তার সবচেয়ে পরিষ্কার প্রমাণ দেখল বিশ্ব। ম্যাচের ৭০ মিনিটের বেশি সময় দশ খেলোয়াড় নিয়ে খেলে, রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে কোনোমতে প্রতিপক্ষকে ঠেকিয়ে, চকিতে পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা সুইজারল্যান্ডের ঘরের মাঠ থেকে ৪-১ ব্যবধানের জয় তুলে নিয়েছে তারা।
জেনেভায় নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের চতুর্থ গ্রুপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে রবিবার রাতে স্বাগতিক সুইসদের বিপক্ষে বড় জয়ে নকআউটে যাওয়ার পথে ফিরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
দলের হয়ে মাঝের দুটি গোল করেন মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইস এবং বাকি গোলদুটি থেকে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড হোসেলু এবং শেষেরটি বার্সেলোনা স্ট্রাইকার ফেররান তোরেস। অপরদিকে, সুইসদের একমাত্র গোলটি করেন জেকি আমদুনি।
প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর এদিন পুরোনো ধ্বংসাত্মক চেহারায় ফেরে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণ চালাতে থাকে তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় স্পেন এবং দ্বিতীয় প্রচেষ্টাতেই গোল পেয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুন: সার্বিয়ার ‘রক্ষণ দুর্গ’ ভাঙতে ব্যর্থ চ্যাম্পিয়নরা
পাল্টা আক্রমণে উঠে বক্সের ভেতর থেকে শট নিলে হোসেলুর সেই শট ঠেকিয়ে কর্নারে পরিণত করেন ইয়ান জমারের অবসরের কারণে সুইসদের গোলপোস্ট সামলানো গ্রেগর কোবেল। এরপর শর্ট কর্নারের পর ডান দিক থেকে প্রতিপেক্ষর একাধিক ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে ভেতরে ঢুকে গোলমুখে ক্রস দেন লামিন ইয়ামাল। সেখান থেকে হেডারে বল লক্ষ্যে পাঠান হোসেলু। শূন্যে ভাসা অবস্থায় কোবেল বল ক্লিয়ার করলেও ভিএআর রিভিউতে দেখা যায় ততক্ষণে গোললাইন অতিক্রম করেছে বল। ফলে গোল পেয়ে ম্যাচে এগিয়ে যায় স্পেন।
চার মিনিট পরই অবশ্য চমৎকার এক পাল্টা আক্রমণে উঠে সমতায় ফেরে সুইজারল্যান্ড। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। বাঁ পাশ ধরে উঠে গিয়ে গোলমুখে ক্রস দেন ব্রাইল এম্বলো, কিন্তু বেসির ওমেরাজিক বল জালে পাঠালেও ভিএআর রিভিউতে দেখা যায়, অফসাইড ছিলেন তিনি।
ত্রয়োদশ মিনিটে লামিন ইয়ামালের নৈপুণ্যে ব্যবধান বাড়ায় স্পেন। নিজেদের অর্ধ থেকে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে চ্যালেঞ্জ করে বল কেড়ে নেন ১৭ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান তরুণ। এরপর দ্রুতগতিতে বল নিয়ে উঠে গিয়ে বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে তারই সঙ্গে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসা নিকো উইলিয়ামসকে পাস বাড়ান লামিন। নিকো সেখান থেকে এক ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে গোলে শট নিলেও তার প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন কোবেল। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকলে যা হয়; বল এসে পড়ে ছয় বক্সের বাইরে থাকা ফাবিয়ান রুইসের সামনে। সময় নষ্ট না করে সেখান থেকে জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই মিডফিল্ডার।
৩ মাস আগে
ভিনিসিউসের মন্তব্যে ‘চটেছে’ রিয়াল মাদ্রিদ
বর্ণবাদ ইস্যুতে স্পেনকে কাঠগড়ায় তোলায় এবার ভিনিসিউস জুনিয়রের ওপর ক্ষেপেছে তারই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। শুধু তাই নয়, ব্রাজিলীয় এই ফরোয়ার্ড ক্লাবের আদর্শও ধারণ করছে না বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের।
পর্তুগাল ও মরক্কোর সঙ্গে যৌথভাবে ২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চলেছে স্পেন। তবে দেশটিতে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে গত সপ্তাহে স্প্যানিশ পত্রিকাগুলোর প্রধান শিরোনাম হন ভিনিসিউস।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি না হলে ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
ভিনিসিউস বলেন, ‘২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের পরিবর্তনের অনেক জায়গা আছে। আশা করি, স্পেন (মানসিকভাবে) আরও বিকশিত হবে এবং বুঝতে পারবে যে গায়ের রঙের কারণে কাউকে অপমান করা কতটা গুরুতর অপরাধ।’
‘যদি ২০৩০ সালের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, আমি মনে করি আমাদের (বিশ্বকাপ) ভেন্যু সরিয়ে নিতে হবে। কারণ বর্ণবাদের শিকার হতে পারে- এমন আশঙ্কা যদি কোনো খেলোয়াড়ের থাকে, তাহলে তিনি সেই দেশে খেলতে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ বোধ বোধ করেন না। সেখানে তার জন্য খেলা কঠিন।’
ভিনিসিউসের এমন মন্তব্য স্পেনে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন যে, ভিনিসিউস ভুলভাবে স্পেনকে বর্ণবাদী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এল চিরিঙ্গিতোয় এক শোতে মাদ্রিদ ও স্পেনের সাবেক গোলরক্ষক পাকো বুইয়ো বলেছেন, ‘দেশের সবাইকে এক কাতারে ফেলেছেন ভিনিসিউস, বিষয়টি ভাবলেই কষ্ট পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
ভিনিসিউসের মন্তব্যে ক্ষেপেছেন মাদ্রিদের মেয়র হোসে লুইস মার্তিনেস-আলমেইদাও। বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রিয়াল তারকার বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘আশা করি, অবিলম্বে তিনি এই বক্তব্য সংশোধন করবেন। হ্যাঁ, আমাদের সমাজে এখনও কিছু বর্ণবাদী ঘটনা ঘটছে এবং তাদের নির্মূল করার জন্য কঠোর পরিশ্রমও করছি আমরা। তবে স্পেন ও মাদ্রিদকে নিয়ে ঢালাওভাবে এটি বলা অন্যায় যে, আমরা একটি বর্ণবাদী সমাজ, যেমনটি তিনি বলেছেন।’
‘তার এই মন্তব্য মাদ্রিদ ও স্পেনে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তিনি একজন অসাধারণ ফুটবলার, তার মানে এই নয় যে, মুখে যা আসে তিনি তা-ই বলবেন। অথচ সেটিই তিনি করে চলেছেন।’
মাদ্রিদ ও স্পেনের মানুষের কাছে ভিনিসিউসের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন মার্তিনেস-আলমেইদা।
ভিনির ক্লাব সতীর্থ ও অধিনায়ক দানি কারভাহালও এ বিষয়ে তার সমালোচনা করেন। এবার বিষয়টি নিয়ে খোদ রিয়াল মাদ্রিদ থেকে অসন্তোষের কথা জানা গেছে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্তের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিনিসিউসের ওই মন্তব্যে মোটেও খুশি নয় রিয়াল মাদ্রিদ, বরং এই ফরোয়ার্ডের ওপর তারা ধৈর্য্য হারাতে শুরু করেছে।
ক্লাবটির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির দাবি, রিয়াল মাদ্রিদ বিশ্বের কাছে যে ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চায়, ভিনিসিউস তা ধারণ করে না বলেই বিশ্বাস ক্লাব কর্তৃপক্ষের। তাছাড়া মাঠেও তার আচরণ উত্তেজনাকর।
স্পোর্ত বলছে, যদি এসব চলতে থাকে, তবে আসন্ন ব্যালন দ’রের জয়ের অন্যতম ফেভারিট এই তারকাকে ছেড়ে দিতেও পিছপা হবে না রিয়াল মাদ্রিদ। আর তা সত্যি হলে বার্সেলোনার টার্গেট নিকো উইলিয়ামসের দিকে নজর দিতে পারে তারা।
এদিকে ভিনিকে পেতে মুখিয়ে রয়েছে সৌদি প্রো লিগ। তাকে দলে পেতে গত দলবদলের মৌসুমেও সৌদি আরব থেকে বিরাট অঙ্কের আর্থিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের জন্য সৌদির ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফেরাল রিয়াল
অবশ্য সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিনিসিউস এও স্পষ্ট করেছিলেন যে, তার এই বক্তব্য কিছু সংখ্যক সমর্থকের উদ্দেশে।
ভিনি বলেন, ‘স্পেনের বেশিরভাগ মানুষই বর্ণবাদী নয়। তবে এমন একটি গোষ্ঠী রয়েছে, যারা এমন একটি দেশের ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত করছে। আমি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে ভালোবাসি। স্পেনকেও ভালোবাসি আমি। পরিবার নিয়ে বসবাসের জন্য এর চেয়ে ভালো পরিবেশ হয় না।’
‘তবে (আপত্তিকর) বিষয়গুলোর ব্যাপারে দেশটি আরও বিকশিত হতে পারে। ইতোমধ্যে তারা অনেক বিকশিত হয়েছে, কিন্তু উন্নতি করার আরও জায়গা রয়েছে, যেমন: ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে বর্ণবাদী ঘটনা ও বর্ণবাদ কমাতে পারে এবং সেটিই হওয়া উচিত।’
৩ মাস আগে
সার্বিয়ার ‘রক্ষণ দুর্গ’ ভাঙতে ব্যর্থ চ্যাম্পিয়নরা
শুরুর জড়তা কাটিয়ে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেল স্পেন, কিন্তু সতর্ক ফুটবলে রক্ষণে দেওয়াল তুলে তার প্রায় সবকটিই রুখে দিল সার্বিয়া। ফলে বড় ধাক্কা খেয়ে নেশন্স লিগ অভিযান শুরু করলে সম্প্রতি ইউরো জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
বৃহস্পতিবার রাতে নেশন্স লিগের শুরু ম্যাচে গত মৌসুমে প্রোমোশন পেয়ে মূল পর্বে আসা সার্বিয়ার বিপক্ষে জয়বঞ্চিত হয়েছে টুর্নামেন্টে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দেশটির রাজধানী বেলগ্রেডে অনুষ্ঠিত লিগ ‘এ’ এর গ্রুপ-৪ এর ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
ম্যাচে ৭৪ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে মোট ২১ শট নেয় স্পেন, যার পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। অন্যদিকে সার্বিয়ার আটটি প্রচেষ্টার মাত্র একটি ছিল লক্ষ্যে।
এদিন কিছুটা ধীরগতিতে ম্যাচ শুরু করে স্পেন। বল দখলে রেখে খুবই স্লো ফুটবল খেলতে শুরু করে তারা। অন্যদিকে, সজাগ থেকে স্পেনের আক্রমণে ওঠার মুহূর্তের অপেক্ষা করতে থাকে সার্বিয়া। প্রথম দিকে আক্রমণে উঠলেও সময়ের পরিক্রমায় স্পেন যখন খোলস ছেড়ে বের হতে শুরু করে, তখন দুই ধাপে ৯ জন খেলোয়াড়ের রক্ষণ দুর্গ তৈরি করে তারা। ম্যাচজুড়ে যে কোনোভাবে গোল ঠেকাতে মরিয়া ছিল সার্বিয়া।
আরও পড়ুন: রেকর্ড চতুর্থবার শিরোপা জিতে নবযুগের সূচনা করল স্পেন
অষ্টম মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগ পায় সার্বিয়া। নিজেদের বক্স থেকে বল ধরে পাল্টা আক্রমণে উঠে গোলের ভালো সম্ভাবনা তৈরি করে স্বাগতিকরা। তবে শেষ পর্যন্ত স্প্যানিশ রক্ষণে তা প্রতিহত হয়ে যায়।
এরপর দশম ও দ্বাদশ মিনিটেও দুটি আক্রমণে ওঠে সার্বিয়া, তবে ভালো ফিনিশিংয়ের অভাবে সেগুলো আলোর মুখ দেখেনি। এরপর নিজেদের স্বভাবজাত ফুটবলে ফেরে স্পেন।
অষ্টাদশ মিনিটে মুহূর্মুহু আক্রমণে সার্বিয়ার রক্ষণ কাঁপিয়ে দেয় চ্যাম্পিয়নরা। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের রুখে দেয় সার্বিয়ার জমাট রক্ষণ।
দুই মিনিট পর আরও দুটি আক্রমণ শানায় স্পেন। তবে দানি কারভাহালের শট পোস্টের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর ২৪তম মিনিটে মার্তিন জুবিমেন্দির দুর্বল শট লুফে নেন সার্বিয়ান গোলরক্ষক।
২৮তম মিনিটে পাল্টাপাল্টি দুটি পাল্টা আক্রমণ দেখে সমর্থকরা। দুই দলেরই রক্ষণভাগ এসময় নড়বড়ে হয়ে গেলেও গোল খাওয়া থেকে শেষমেষ বেঁচে যায় দুপক্ষই।
৩২তম মিনিটে গোল পেয়েই যাচ্ছিল স্পেন, তবে ফরোয়ার্ড আয়োসে পেরেসের বুলেট শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন সার্বিয়ান গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর প্রায় ফাঁকা গোলপোস্ট পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন সার্বিয়ার এসি মিলান স্ট্রাইকার লুকা ইয়োভিচ।
পাল্টা আক্রমণে উঠে দ্রুতগতিতে বল নিয়ে স্পেনের বক্সের সামনে গিয়ে ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে চকিতে বক্সে ঢোকা ইয়োভিচকে পাস বাড়ান আন্দ্রিয়া জিভকোভিচ। এসময় স্পেনের গোলরক্ষক দাভিদ রায়াও খানিকটা সামনে চলে এসেছিলেন। কিন্তু ডান পাশ থেকে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে বল মারেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড ইয়োভিচ। ফলে নিশ্চিত গোলের সুযোগবঞ্চিত হয় সার্বিয়া।
পরের মিনিটে দুই পাশে দুটি জোরালো শটে গোল পাওয়ার চেষ্টা করে দুই দল। তবে কোনো শটই গোল নিয়ে আসতে পারেনি।
বাকি সময়টুকু সার্বিয়াকে চেপে ধরে গোল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে স্পেন, কিন্তু সার্বিয়ার রক্ষণভাগ সতর্কতার সঙ্গে তাদের রুখে দিলে জাল অক্ষত রেখেই বিরতিতে যায় দুই দল।
৩ মাস আগে