বাইডেন
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেন-মোদির আলোচনা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় গুরুত্বারোপ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
দুই নেতা দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
সোমবার (২৬ আগস্ট) ফোনালাপে মোদী ও বাইডেন ইউক্রেন ও কোয়াড ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার গুজব ও ভুয়া ভিডিও প্রত্যাখান দিল্লির
তারা ইউক্রেন পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে বিস্তারিত মতবিনিময় করেন।
মোদি বলেন, 'আমি শান্তি ও স্থিতিশীলতা দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ভারতের পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় ভিসা সেন্টারে বিক্ষোভ: নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি ভারতের
২ মাস আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরায়েল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: নেতানিয়াহু
হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবে ইসরাইল ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে ডাকা বিশেষ সংসদ অধিবেশনে সোমবার (২৪ জুন) এ কথা বলেন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান বদলায়নি।’
আরও পড়ুন: রাফায় ১০ ফিলিস্তিনি নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
গাজায় আট মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত অবসানের জন্য মে মাসের শেষের দিকে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রস্তাবটিকে তিনি ‘ইসরায়েলি প্রস্তাব’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এরপর সোমবার ওই প্রস্তাবে প্রকাশ্য সমর্থন দিলেন নেতানিয়াহু।
সংসদে নেতানিয়াহু বলেন, ‘১২০ জিম্মির সবাইকে, জীবিত হোক বা মৃত, ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে। হামাসকে নির্মূল করে (ইসরায়েলের) দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা নিজ বাড়িতে যাওয়া পর্যন্ত সংঘাত চলবে।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলায় দেশটির অন্তত ১ হাজার ২০০ বেসামরিক নাগরিককে নিহত হয়। সে সময় ২০০ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিসের সশস্ত্র শাসক গোষ্ঠী হামাস। ওই ঘটনার পর থেকে গাজায় ক্রমাগত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: গাজায় ‘খুব শিগগির’ অভিযান বন্ধের ঘোষণা দিয়ে লেবাননে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত ইসরায়েলের
৪ মাস আগে
বাইডেনের গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সমর্থন করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
গাজায় আট মাস ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান, জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে পর্যাপ্ত ত্রাণ পাঠাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তিন ধাপের পরিকল্পনায় সমর্থন দিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (৩ জুন) এক বিবৃতিতে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, গাজায় চলমান সংঘাত অবসানে বাইডেনের প্রস্তাবে সমর্থন দিতে নিরাপত্তা পরিষদের অন্য ১৪ সদস্যের কাছে একটি খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি আরও বলেন, ‘অসংখ্য নেতা ও সরকার বাইডেনের প্রস্তাবকে সমর্থন দিয়েছে। তাই দেরি না করে এবং আর কোনো শর্ত ছাড়াই এই চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বানে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
বার্তাসংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) পাওয়া খসড়া প্রস্তাবের একটি অনুলিপি থেকে জানা যায়, সংক্ষিপ্ত খসড়া প্রস্তাবে বাইডেনের চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে হামাসকে এটি পুরোপুরি মেনে নিতে এবং বিলম্ব ও শর্ত ছাড়াই এটি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হবে।
আরও পড়ুন: বাইডেনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে উভয়সংকটে নেতানিয়াহু
অন্যদিকে হামাস বলেছে, তারা এই প্রস্তাবকে 'ইতিবাচকভাবে' দেখছে। যদিও ইসরায়েল এই চুক্তি মেনে নিয়েছে কি না এ বিষয়ে কোনো তথ্য খসড়ায় পাওয়া যায়নি।
বাইডেন যখন এই ঘোষণা দেন তখন তিনি এটিকে ইসরায়েলের একটি প্রস্তাব বলে আখ্যায়িত করেন। যেখানে বলা হয়েছে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা। এছাড়াও হামাস যদি সব জিম্মিকে মুক্তি দেয় তবে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, বাইডেনের প্রস্তাবটি হামাসকে ধ্বংস করতে ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণ করবে। তবে হামাসকে নির্মূল না করে কোনো চুক্তিতে নেতানিয়াহু রাজি হলে তার সরকারের পতন ঘটানোর হুমকি দিয়েছে উগ্র জাতীয়তাবাদীরা।
এছাড়াও নেতানিয়াহু পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটিকে বলেন, বাইডেন চুক্তির একটি রূপরেখা দিয়েছেন তবে সব বিবরণ দেননি এবং এতে 'ফাঁকফোকর' আছে।
বাইডেনের প্রস্তাবিত চুক্তির প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রম ছয় মাস মেয়াদি। এ সময় গাজায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি চলবে। গাজার সব জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং শত শত ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে নারী, বৃদ্ধ ও আহতসহ কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
এই পর্যায়ে আমেরিকান জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং নিহত জিম্মিদের দেহাবশেষ তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
এছাড়াও মানবিক সহায়তা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রতিদিন ত্রাণবাহী ৬০০ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে।
আরও পড়ুন: হামাসকে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল: বাইডেন
দ্বিতীয় পর্যায়ে বাকি জীবিত জিম্মি ও সৈন্যদের মুক্তি এবং ইসরায়েলি বাহিনীকে গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
বাইডেন বলেন, হামাস যদি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, তাহলে সাময়িক যুদ্ধবিরতি থেকে 'স্থায়ীভাবে শত্রুতার অবসান’ হবে।
বাইডেনের পরিকল্পনার তৃতীয় ধাপে গাজার বড় ধরনের পুনর্গঠন শুরুর আহ্বান জানানো হয়েছে। যুদ্ধে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ থেকে পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা জানানো হয়েছে।
খসড়া প্রস্তাবে ইসরায়েল ও হামাসের চুক্তিটি মেনে চলার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার লক্ষ্যে চুক্তিটি বাস্তবায়নে সমর্থন করতে জাতিসংঘ ও এর সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
খসড়ায় দ্বি-রাষ্ট্র সমস্যা সমাধানের পরিষদের 'অবিচল অঙ্গীকার' পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরকে একীভূত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, জিম্মিদের ফেরানো, সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা, গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোর পুনর্নির্মাণ এবং গাজার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পুনর্গঠন পরিকল্পনা তৈরি করার মতো বিষয়গুলো নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা ধারাবাহিকভাবে আহ্বান জানিয়েছে। এ বিষয়গুলো এই চুক্তিতেও আছে।
চুক্তির সমর্থনে সবাইকে এক হতে আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কাউন্সিল সদস্যদের এই সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়।’
এরই মধ্যে সোমবার জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার ও মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইসরায়েল ও হামাসকে বাইডেনের প্রস্তাবটি 'গুরুত্ব ও ইতিবাচকভাবে' বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, কানাডা ও ইতালিও যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলায় ১২০০ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় প্রায় ২৫০ জনকে অপহরণ করে হামাস। নভেম্বরের শেষের দিকে এবং ডিসেম্বরের শুরুতে একটি সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতিতে ১০০ জনেরও বেশি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এখনো প্রায় ৮০ জন জিম্মি বন্দি রয়েছে বলে ধারণা করছে ইসরায়েল। পাশাপাশি আরও প্রায় ৪৩ জনের দেহাবশেষ রয়েছে।
অন্যদিকে, গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: আমাদের কিছুই নেই: হামলায় খাদ্যের সন্ধানে থাকা ফিলিস্তিনিরা
৪ মাস আগে
বাইডেনের চিঠির জবাব দিলেন শেখ হাসিনা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়ার জেষ্ঠ পরিচালক পরিচালক আইলিন লাউবাচার কাছে চিঠির একটি অনুলিপি হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠির জবাব এটি।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান চিঠির মূল কপি হোয়াইট হাউসের কাছে হস্তান্তর করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় চান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র: প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি
'আমরা তাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই' উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে দেশগুলো উপকৃত হবে।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে আন্তঃসংস্থা মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পরিচালক আইলিন লাউবাচার।
ইউএসএআইডির এশিয়া বিষয়ক সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার, পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সিডিএ হেলেন লাফাভে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলমসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য নতুন পথ অন্বেষণকে কেন্দ্র করে আলোচনা হয়। বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি খাতের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি: ‘এখন বিএনপি কী বলবে?’ প্রশ্ন কাদেরের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তির পক্ষে এবং যে কোনো ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে তার সুবিধা ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. হাছান।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যর্পণের বিষয়েও আলোচনা হয়।
একই সঙ্গে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন। তিনি একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাওয়া বিষয়ে চিঠিতে বাইডেন বলেছেন, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একসঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখতে তার প্রশাসনের আন্তরিক আকাঙ্ক্ষার কথা তিনি জানাতে চান।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, 'সমস্যা সমাধানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের শক্তিশালী মানুষে-মানুষে বন্ধনই এই সম্পর্কের ভিত্তি।’আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র: বিএনপি
৮ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র: বিএনপি
বিএনপি বলেছে, দুই দেশের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখলেও ৭ জানুয়ারির ‘ডামি’ নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা তার আগের অবস্থান থেকে সরে আসেনি।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের সম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু ৭ জানুয়ারির অবৈধ ও ডামি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে তারা বলেননি।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারই ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে: বিএনপি নেতা ফারুক
শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠি সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমেরিকাও এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোর জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের সরকারগুলো গণতন্ত্রের প্রশ্নে আদর্শিক অঙ্গীকার থেকে সরে আসেনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের একতরফা নির্বাচন, সহিংসতা এবং ৭ জানুয়ারি কীভাবে জনগণ প্রতারিত হয়েছে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোও তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি।
রিজভী বলেন, কিছুদিন আগেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ সব সময় এই নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছে। পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বের জন্য গণতন্ত্র একটি আদর্শ। এ প্রশ্নে তারা কোনো আপস করেনি।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে চিঠিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঠানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা জো বাইডেনের চিঠিকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে এবং তিনি মনে করেন, এই চিঠির মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে দুই দেশের সম্পর্কে কোনো অস্বস্তি নেই।
আরও পড়ুন: সরকারের নতজানু নীতির কারণে সীমান্ত অরক্ষিত: বিএনপি
প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি: ‘এখন বিএনপি কী বলবে?’ প্রশ্ন কাদেরের
৮ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি: ‘এখন বিএনপি কী বলবে?’ প্রশ্ন কাদেরের
আন্তর্জাতিক কূটনীতির তাৎপর্যপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অর্থনীতিসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
এই চিঠি পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) উদ্দেশে একটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন কী বলবে?’
আরও পড়ুন: বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচি 'গণবিরোধী': কাদের
এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃত্বের অনুপস্থিতি ও কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের প্রতি জনগণ কেন আস্থা রাখবে।
কাদের বলেন, ‘জনগণ ইতোমধ্যে আপনাদের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে। আপনাদের বিদেশি মিত্ররাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন শেখ হাসিনার সরকারের পাশে থেকে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাহলে বিএনপি ক্ষমতায় ফেরার আশা কী?’
মিয়ানমার সীমান্তের কাছে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওবায়দুল কাদের।
সেখানে সহিংসতার কারণে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি গ্রামের নাগরিকদের সরে যেতে বাধ্য হওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেনি তিনি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চাইলেন ওবায়দুল কাদের
মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ফলে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে গোলাগুলি ও মর্টার শেল পড়ার কারণে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের মধ্যস্থতার কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তবে নিশ্চিত করতে হবে যে আতঙ্ক যেন প্রতিবেশী দেশগুলোতে ছড়িয়ে না পড়ে।’
মিয়ানমারের অব্যাহত অস্থিরতার মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে মন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘বাংলাদেশ আর শরণার্থী গ্রহণের ক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখাবে না। আমরা আর এই বোঝা বহন করতে পারছি না।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের জিরো টলারেন্স নীতির উপর জোর দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘একটি দলের সবাই সৎ হতে পারে না, কিন্তু আমরা অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই না। যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অপরাধ করে কেউ রেহাই পায়নি।’
আরও পড়ুন: বিএনপির কালো পতাকা মিছিল অবৈধ: ওবায়দুল কাদের
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরী নেতারা।
৮ মাস আগে
‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শনিবার তারা এক ব্যক্তিকে ধরে এনে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে তাকে দিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সূত্র বলছে সেই ব্যক্তি ইসরায়েলের একজন এজেন্ট।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে আমন্ত্রণ প্রমাণ করে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার পাশে আছেন: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর হঠাৎ নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির নেতা ইশরাক হোসেনসহ কয়েকজন। সেখানে একজন বিদেশি নাগরিকও বক্তব্য রাখেন। মিয়ান আরাফি নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার তারা একজন ব্যক্তিকে ধরে এনে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে তাকে দিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে। গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে দিয়েছে, কথা বলেছেন। পাশে আবার তাদের বড় বড় নেতারা বসেছিলেন। মার্কিন দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে বলেছে তিনি সরকারের কেউ নন এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেছেন এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। কিন্তু এখানে স্পষ্টতো বিএনপি একটি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সূত্র বলছে- আমাদের কাছে যে খবর আছে সেই ব্যক্তি হচ্ছেন ইসরাইলের একজন এজেন্ট। এটি বিভিন্ন সূত্র বলছে। ইসরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত কিছু বলেনি।
তিনি আরও বলেন, এজন্য ইসরায়েল বিএনপির ওপর সন্তুষ্ট। তো অনেকে বলছে একজন ইসরায়েলি এজেন্টকে তারা পাঠিয়েছে, যাকে নিয়ে কালকে তারা সভা করেছে, এটি বিভিন্ন সূত্র বলছে।
গতকালের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি ভিসানীতিটি আবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আবার ভিসানীতি আরোপ হতে পারে- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সহিংসতার নিন্দা তো সবাই জানাতে পারে।
তিনি বলেন, আমরাও নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা আশা করব যারা পুলিশ মেরেছে, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা করেছে, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ হবে, আমরা সেটা বিশ্বাস করি।
একটি দল সরাসরি গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, বিষয়টি আপনারা কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নেন জবাবে তিনি বলেন, শনিবার বিএনপি-জামায়াত গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে সেটার তীব্র নিন্দা জানাই। কোনো দলের পক্ষ হয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে যাননি। তারা সেখানে সংবাদ সংগ্রহে গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, তাদের ওপর কেন হামলা হলো? যাদের ওপর হামলা হয়েছে তারা বিএনপি বিটের সাংবাদিক, তাদের ওপর হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। তার মানে এটি গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলা ও গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। আমি এগুলোর তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর বিচার হবে।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা বলে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশর ডাক দিয়েছিল। সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসন তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের কথা বলে তারা সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। প্রধান বিচারপতি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, প্রধান বিচারপতি একটি প্রতিষ্ঠান। বিচার বিভাগের প্রধান। তার বাসভবনে তারা হামলা চালিয়েছে এবং সেখানে ঢুকে পড়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে হাজার হাজার মিছিল সেই বাসভবনের সামনে দিয়ে গেছে সরকারি দল, বিরোধী দল। কাকরাইলার মোড়ে অনেক সময় অনেক গণ্ডগোল হয়েছে, কিন্তু কখনো প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়নি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ের দরজায়, প্রধান বিচারপতির খাস খামারার দরজায় লাথি মেরেছে। অর্থাৎ তারা বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠানকে তোয়াক্কা করে না। সেটি প্রমাণ হচ্ছে গতকালের ঘটনা। সবচেয়ে নেককারজনক হচ্ছে তারা পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, ভাঙচুর করেছে অ্যাম্বুলেন্সসহ।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখানে বিএনপি-জামায়াত হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নাইটিঙ্গেল মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে একজন পুলিশকে পিটিয়ে পরে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করা হয়। একশোর বেশি পুলিশ সদস্য আহত, দুজনের অবস্থা গুরুতর এবং আনসারের ২৫ জন সদস্য আহত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গেছি। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালেও গেছি। সেখানে বহু পুলিশ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বেশিরভাগ পুলিশের মাথায় তারা আঘাত করেছে, যাতে মৃত্যু হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, যে পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে আপনারা সেই জায়গা দেখেননি, আমি লাশ দেখেছি। পেছনে কোপ দিয়ে নামিয়ে ফেলা হয়েছে, মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। এগুলো সন্ত্রাসী দলের কাজ। বিএনপির জামায়াত যে আবার ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের অবস্থায় ফিরে এসেছে শনিবার আপনারা দেখেছেন।
তিনি বলেন, যারা করেছে শুধু তাদের নয়, এটির দায় এটির নির্দেশ দাতাদের। কারণ তারা এই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। তারা বোমা নিক্ষেপ করেছে, পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করেছে এবং পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবারের সংঘর্ষে শামীম মিয়া নামের যে যুবদল নেতা মারা গেছে বলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা বলেছেন, তাদের রাজনীতি তো মিথ্যাচারের উপর। তার পরিবার বলছে দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তার গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
হাসপাতাল বলছে- তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। অর্থাৎ কী রকম মিথ্যাচার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশ সদস্য হত্যার দায় এড়ানোর জন্য একজন সাধারণ মানুষ তাদের এই অপকর্মের জন্য মৃত্যুবরণ করেছে, সেটিকে যুবদল বলে পরিচয় দিচ্ছে। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেশ, জনগণ, সরকার বরদাশত করতে পারে না এবং আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দিতে পারি না। যারা এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা দায় এড়াতে পারেন না। আমাদের দায়িত্ব দেশে শান্তিশৃঙ্খলা, জনগণের স্বস্তি স্থাপন করা, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রবিবার (২৯ অক্টোবর) নিজেকে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ দুপুরে আরেফি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গেলে সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্টো রোডে ডিবি সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শনিবার আরেফি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নিজেকে ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দেন।
আরও পড়ুন: 'মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা' দাবি করা ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত: মোমেন
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সঙ্গে বসে আরেফি এমনকি দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সম্পূর্ণ পক্ষে’।
আরেফি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং বাংলাদেশে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার প্রতিদিন তার যোগাযোগ হয় বলে দাবি করেন। আরও দাবি করেন, মার্কিন সরকারের সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বিরোধীদের আন্দোলনকে সমর্থন করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, দলীয় নেতারা বিএনপি অফিসে বসে থাকা আরেফিকে ঘিরে রেখেছেন।
বিএনপি ও জামায়াতপন্থীরা দাবি করেছেন, সরকার উৎখাতের জন্য ‘বাইডেন এর পক্ষ থেকে’ তাদের সমর্থন জানানোর জন্য বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন আরেফি।
আরও পড়ুন: মার্কিন দূতাবাস থেকে কোনো ব্যক্তির গতিবিধির গুজব সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও ভুল’: মুখপাত্র
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করেছে পুলিশ
১ বছর আগে
বাইডেনের নৈশভোজে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগদানকারী বিশ্ব নেতাদের সম্মানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্ট- এ নৈশভোজের আয়োজন করেন বাইডেন।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর আয়োজিত নৈশভোজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন হাসিনার উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
ভোজসভায় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমানের নৈশভোজে মার্কিন প্রতিনিধি দল
বাজেট পরবর্তী নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চান বাইডেন: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উষ্ণ পরিবেশে আলোচনা করেছেন। এতে বোঝা যায় দুই দেশেরে মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর।
শনিবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার সব ইচ্ছা তার (বাইডেন) রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কোনো দেশ মানবতার কথা বলেনি: মোমেন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার নয়াদিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সম্মেলনের দুটি অধিবেশনে ভাষণ দেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘এটি (বাইডেন, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও সায়মা ওয়াজেদের মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে নৈশভোজসহ দু’টি পৃথক অনুষ্ঠানে আলোচনা) স্পষ্ট যে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আমাদের গভীর ও দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং আমরা ভবিষ্যতে এটি আরও শক্তিশালী করব।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে আগ্রহী এবং এর জন্য তারা তাদের লোক পাঠাচ্ছে এবং এ জন্য আলোচনা করছে। তারা (আমেরিকান সরকার) আমাদের ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করছে না, বরং মিডিয়া তা করছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের রাজধানীর প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে জো বাইডেন, শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ ১৫ মিনিট বক্তৃতা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন, তখন তাকে খুব খুশি ও পুরোপুরি উৎসাহী দেখা গেছে এবং আলোচনাটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উষ্ণ পরিবেশে হয়। আলোচনাটি ১৫ মিনিট ধরে চলেছিল।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ যখন জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন তার মুঠোফোন বের করে সেই মুহূর্তের ছবি তোলেন। তখন নিজের মুঠোফোন নিয়ে সেলফি নেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা-মোদি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেননি: মোমেন
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ ঢাকায়, আজই বৈঠকে বসবেন মোমেনের সঙ্গে
১ বছর আগে