তফসিল ঘোষণা
৭ জানুয়ারি নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি তাদের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে।
বিভিন্ন সময়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন ১৫ নেতা। এর মধ্যে আটজন কেন্দ্রীয় ও সাতজন জেলা পর্যায়ের নেতা। এ নেতাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় আট নেতা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, তাঁতিবিষয়ক সহসম্পাদক রাবেয়া সিরাজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু ও খন্দকার আহসান হাবিব ও একেএম ফখরুল ইসলাম।
অন্য সাত নেতা হলেন- শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য অ্যাডভোকেট এম আব্দুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকা ধামরাই পৌর-বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আব্দুল মতিন ও জামালপুর জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসেন রেজা বাবু।
আরও পড়ুন: আ. লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর
এর মধ্যে শাহজাহান ওমর বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এর আগে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নতুন নিবন্ধিত দল বিএনএমে যোগ দেন শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
রাজশাহী-৩ আসনে মতিউর রহমান মন্টু, টাঙ্গাইল-৫ আসনে খন্দকার আহসান হাবীব, ঝালকাঠি-২ আসনে একেএম ফখরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান এবং ময়মনসিংহ-২ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে শাহ শহীদ সারোয়ার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এছাড়া, শেরপুর-১ আসনে এম আব্দুল্লাহ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ থেকে আব্দুল মতিন বিএনএম রানার্স হিসেবে এবং শেরপুর-২ থেকে জায়েদুল রশিদ শ্যামল তৃণমূল বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রার্থিতা জমা দিয়েছেন।
এদিকে, জামালপুর-১ আসনে মাহবুবুল হাসান, পঞ্চগড়-২ আসনে আবদুল আজিজ, ঢাকা-২০ থেকে দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা মেয়ে শুল্কা সিরাজের পক্ষে প্রচারণা চালালে রাবেয়া সিরাজকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র নেওয়ায় একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার
‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিতে বহিষ্কার অব্যাহত
১ বছর আগে
ঢিলেঢালাভাবে চলছে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা দিনব্যাপী হরতাল শিথিলভাবে চলছে।
নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে হরতাল কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।
সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া হরতাল শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
গাজীপুরে দু’টি কাভার্ডভ্যানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী হরতাল পালন করবে বিএনপি
অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা সত্ত্বেও নগরীর রাস্তায় গণপরিবহনসহ বেশ কিছু যানবাহন চলাচল এবং ঢাকার সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাতে এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিরোধী দলগুলো এই কর্মসূচি পালন করছে।
বিরোধী দলগুলো এখন পর্যন্ত ৮ দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে।
আরও পড়ুন: বুধবার অবরোধ, বৃহস্পতিবার হরতাল ডেকেছে বিএনপি
১ বছর আগে
‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদারের পরিকল্পনা বিএনপির’
২৮ অক্টোবরের সহিংসতার পর দলের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতা দৃশ্যত আত্মগোপনে চলে গেলেও, আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর চলমান আন্দোলন জোরদার করতে ফের রাজপথে নামতে পারেন বিএনপি নেতারা।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, একতরফা নির্বাচন ঠেকাতে তারা ইতোমধ্যে হরতাল, অবরোধ ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও বিভিন্ন সরকারি অফিস ঘেরাওয়ের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে বিরতিহীন আন্দোলন করার কৌশল তৈরি করেছেন।
তারা বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে কী করতে হবে সে বিষয়ে তাদের দল সমমনা দলগুলোরও মতামত নিয়েছে এবং অধিকাংশ দল কোনো বিরতি ছাড়াই অবরোধ বা হরতাল কার্যকর করার পরামর্শ দিয়েছে।
তাদের কৌশল অনুযায়ী, আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) একটি নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা এবং তফসিল বাতিল করার জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
ইসি যদি তাদের আল্টিমেটামে কর্ণপাত করে, তাহলে তারা তাদের কর্মসূচি নিয়ে সারাদেশে রাজপথে তাদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করবে।
সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনকে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য।
বিএনপি নেতারা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিতে ইসি কীভাবে সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে তা তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার বন্ধ এবং গ্রেপ্তার দলের সিনিয়র নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে ইসির ভূমিকাও তারা পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পকে অন্য দেশে নিয়ে যেতে চায় সরকার: রিজভী
বিএনপির দাবি, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ এবং পরবর্তী হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার ৭৭০ বিরোধী নেতা ও অনুসারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান খোকন প্রমুখকে দলের মহাসমাবেশ ও সহিংসতার পর গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান এখন রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। তবে গ্রেপ্তার এড়াতে তারা এখন গোপনে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য বিদেশে অবস্থান করছেন।
অন্য দলের নীতিনির্ধারকরা হয় মারা যান বা শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিষ্ক্রিয় থেকে যান।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরাও পলাতক রয়েছেন এবং দলের নেতা-কর্মীদের গোপন আস্তানা থেকে পথ দেখান।
দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আন্দোলন জোরদার করতে দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই তারা তাদের গোপন স্থান থেকে বেরিয়ে আসবেন।
তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে মহাসড়ক ও সড়কে পিকেটিং বাড়ানোর মাধ্যমে অবরোধ কর্মসূচিকে আরও কার্যকর করে ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে আমাদের দল সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাই তফসিল ঘোষণার পর আমাদের নেতা-কর্মীরা রাজপথে নেমে আন্দোলনে নামবেন।’
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব রাষ্ট্রযন্ত্র কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এছাড়া সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা নিয়ে দেশ-বিদেশে প্রশ্ন উঠবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সরকার মনে করতে পারে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে বিএনপি দুর্বল হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এটা হবে না। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন বাতিলের উদাহরণ আমরা দেখেছি। বিএনপি রাজপথে থেকে সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে। জনগণ এবার সরকারকে নির্বাচনের নামে নাটক করতে দেবে না।’
বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির আন্দোলন এবার ব্যর্থ হবে না। ‘তফসিল ঘোষণা হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের কোনো উপায় থাকবে না। আমরা তুমুল গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে আমাদের দাবি পূরণে বাধ্য করব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, তাদের দল কোনো অবস্থাতেই আন্দোলন থেকে পিছপা হবে না।
তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোর মতামত উপেক্ষা করে একতরফা তফসিল ঘোষণা করা হলে তা প্রমাণ করবে সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তরিক নয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই: বিএনপি
১ বছর আগে
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন
বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চায় ইসি। সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন ১ থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে উক্ত সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সভার আয়োজন করবে ইসি। ওই সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হতে পারে। একই সঙ্গে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
পরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মধ্য দিয়ে সিইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারেন।
সাধারণত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ ধরনের সাক্ষাতের রেওয়াজ রয়েছে।
গত ১৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। ১৮ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে বিশিষ্ট কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক ডাক্তার কফিদিস থিওডোরাসের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপতির বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। বুধবার (১ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে বুধবার (১ নভেম্বর)। আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে কমিশন। সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি।
বুধবার ১২টি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কয়েকটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
তবে ‘অনিবার্য কারণবশত’ ২ ও ৩ নভেম্বরের ডিসি–এসপিদের প্রশিক্ষণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার অনুষ্ঠেয় ইউএনওদের প্রশিক্ষণও স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক চেয়েছে ইসি
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন ৩০ জুলাই
চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপনির্বাচন ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনটির তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনে সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন ২৭ এপ্রিল
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৬ জুলাই। আপিল করা যাবে ৭ থেকে ৯ জুলাই এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১১ জুলাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ জুলাই এবং প্রতীক বরাদ্দের শেষ দিন ১৩ জুলাই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ৬টি উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫% এর বেশি হয়নি: ফখরুল
ইসি সচিব সাংবাদিকদের আরও বলেন, চট্টগ্রাম-১০ ও ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সব কেন্দ্রে ক্লোজসার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে এবং ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে ৪ জুন (গত রবিবার) সংসদ সচিবালয় চট্টগ্রাম-১০ আসন (ডবলমুরিং-হালিশহর-খুলশী-কাতালগঞ্জ) ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচন: ৬ আসনে আ.লীগের ৩ প্রার্থীর জয়
১ বছর আগে
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ইসি’র, নির্বাচন ১৯ ফেব্রুয়ারি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) বুধবার দেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।
ঢাকায় নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ ঘোষণা দেন।
তফসিল অনুযায়ী, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে, তাই আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার চূড়ান্ত তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি এবং তা ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছে ইসি। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জাতীয় সংসদ ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আজ
এর আগে মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে: ইসি সচিব
১ বছর আগে
বিএনপির সংসদ সদস্যদের শূন্য আসন: ১৮ নভেম্বর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সংসদ সদস্যদের শূন্য সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের রবিবার একটি বৈঠক আছে। সেখানে শূন্য আসনের উপনির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হবে।’
বৈঠকের পর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া গণতান্ত্রিক চর্চা গড়ে উঠবে না: সিইসি
১১ ডিসেম্বর সংসদের সাতজন বিএনপি সদস্যের (এমপি) মধ্যে পাঁচজন সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগকারী সংসদ সদস্যরা হলেন- ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের মো. জাহিদুর রহমান, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের রুমিন ফারহানা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশিদ, যিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অসুস্থ সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া স্পিকারের কাছে ব্যক্তিগতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি।
ওই দিনই সংসদ সদস্যরা ইমেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠান।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংসদ সদস্যদের শূন্য আসন: ১৫ ডিসেম্বর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে ইসি
গেজেট হলেই শূন্য আসনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন: ইসি
২ বছর আগে
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিস্তারিত তফসিল ঘোষণা
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিস্তারিত তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৭ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ করা হবে।
সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এই তফসিল ঘোষণা করেন।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়।
ইসি সচিব বলেন, প্রার্থীরা ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। রিটার্নিং অফিসার ২৯ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন। ৮ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে রংপুর সিটির নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে।
এর আগে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় একই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি। নিয়মানুযায়ী প্রথম বৈঠকের পাঁচ বছর পর মেয়াদ শেষ হবে।
বৈঠকে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং শূন্য পদে উপ-নির্বাচন নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর পাঁচটি পৌরসভা ও কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বৈঠকে।
পাঁচটি পৌরসভা হলো- বাঘা, রাজশাহী, বিরল, দিনাজপুর, বোদা, পঞ্চগড়, আলফাডাঙ্গা, ফরিদপুর এবং বনপাড়া ও নাটোর।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশনের লেকে ডুবে ২ কিশোরের মৃত্যু
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মান্নান আর নেই
অবকাঠামো নির্মাণ দেখবে সিটি করপোরেশন
২ বছর আগে
তৃতীয় পর্যায়ে ৬৪ পৌরসভার নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সোমবার তৃতীয় পর্যায়ে ৬৪ পৌরসভার নির্বাচন আগামি ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
৪ বছর আগে
দ্বিতীয় ধাপের ৬১ পৌরসভার ভোট ১৬ জানুয়ারি
দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
৪ বছর আগে