তফসিল ঘোষণা
ভয়ভীতি, প্রলোভনের ঊর্ধ্বে উঠে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান সিইসির
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘আমাদের জাতির ইতিহাসে অনন্য ও গুরুত্বপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে দেশবাসীকে সমস্ত ভয়ভীতি ও প্রলোভনের ঊর্ধ্বে উঠে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১১) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল মালিকানা প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে মানসম্মত নির্বাচনের অনুপস্থিতি প্রায়ই আমাদের ঐতিহ্য এবং সামষ্টিক প্রত্যাশাকে ম্লান করেছে। এমনই এক প্রেক্ষাপটে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। আমাদের ভাইবোন, সন্তানদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে, একটি সুষ্ঠ ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান, যা জাতি হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করবে এবং বিশ্ব দরবারে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারা একই প্রত্যাশা ধারণ করেন এবং একই অঙ্গীকারে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে এবারের নির্বাচন আমাদের জাতির ইতিহাসে অনন্য ও গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, প্রকৃত গণতান্ত্রিক ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত সংস্কার প্রশ্নে সিদ্ধান্তের নির্বাচন এটি। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে যা একটি নতুন অভিজ্ঞতা।
‘দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট সকল রাষ্ট্রীয় ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের জন্য এই নির্বাচন হচ্ছে সক্ষমতা প্রমাণ করে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের অনন্য সুযোগ। তৃতীয়ত, দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের পর দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলসমূহের মাঝে সৌহাদ্যপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার ধারা প্রবর্তনের দাবি রাখে এই নির্বাচন।
‘চতুর্থত, প্রায় অকার্যকর পোস্টাল ভোট ব্যবস্থাকে পরিমার্জন করে এই নির্বাচনে একটি কার্যকরী রূপ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের অন্যতম চালিকাশক্তি, আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধা তথা প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের প্রথমবারের মতো ভোটের আওতায় আনা হচ্ছে। একইভাবে প্রথমবারের মতো ভোটের আওতায় আসছেন আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারগণ। এ ছাড়াও নিজ নির্বাচন এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি কর্মচারী এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিগণও পোস্টাল ব্যালেটের মাধ্যমে এবার ভোট দেবেন।’
ভোটারদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘ভোট আপনার শুধু নাগরিক অধিকারই নয়, বরং পবিত্র আমানত ও দায়িত্ব। এই দায়িত্ব সচেতনভাবে আপনারা পালন করবেন—এ আমার বিশ্বাস । যে কোনো ভয়নীতি, প্রলোভন, প্রবঞ্চনা এবং সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে উঠে নিঃসঙ্কোচে আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।’
নির্বাচনে ভোটারদের নিরাপদ ও উৎসবমুখর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান ও বাহিনী কাজ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আহ্বান জানান, ‘ধর্ম-গোত্র-গোষ্ঠী-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলে এই আনন্দ আয়োজনে অংশগ্রহণ করুন। পরিবারের প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও সন্তান সম্ভবা মাসহ সকলকে নিয়ে ভোট দিতে আসুন। আমি আশা করি, আপনাদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোটের অনুষ্ঠান উৎসবে রূপ নেবে।’
প্রবাসী ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রবাসে বসবাসত প্রিয় ভোটারগণ প্রবাস থেকেই ভোটদানের জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম গত ১৮ নভেম্বর থেকে চলমান আছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে ভোটদানের জন্য আপনারা নিবন্ধন করতে পারবেন। আপনারা এই সুযোগ গ্রহণ করে ভোটে অংশ নিন, দেশ গঠনে আপনাদের অধিকার বুঝে নিন।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো অপতথ্যে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হয়ে থাকে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে অসত্য তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার দিনকে দিন বেড়ে চলেছে। প্রতিপক্ষ দল ও প্রার্থীকে হেয় করার পাশাপাশি নারীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রচারণা আমাদের ঐতিহ্যকে ক্ষুণ্ন এবং নির্বাচনকে কলুষিত করে।’
দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এসব রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ, অসত্য এবং অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচারিত কোনো তথ্যে কান দেবেন না এবং গ্রহণ করবেন না। মনে রাখবেন, অসত্য তথ্য শেয়ার করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থী ও দলগুলোর উদ্দেশে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আসুন, আমরা আচরণবিধি মেনে একটি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিত করি। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা নিশ্চিত করে ভোটারদের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জনই হোক আপনাদের লক্ষ্য।’
নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আহ্বান, ‘নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। কমিশনের অংশ হিসেবে আপনারা নির্ভয়ে সততা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। মনে রাখবেন, এ ব্যাপারে কোনো শিথিলতা বা গাফিলতি সহ্য করা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যম ও পর্যবেক্ষক সংস্থার ভূমিকা অপরিসীম। আপনারা স্বাধীনভাবে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব, নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন—এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
সবশেষে তিনি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সকল রাজনৈতিক দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ ভোটারদের আন্তরিক অংশগ্রহণ ও সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন। সেই সঙ্গে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সফল করে ‘আমাদের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায়’ ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
১৪ দিন আগে
তফসিল ঘোষণা, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ১২ ফেব্রুয়ারি
বহুল প্রতীক্ষিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটও হবে একই দিন। ওই দিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
বৃহস্পতিবার (১১) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১১ জানুয়ারি এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচার শুরু হবে ২২ জানুয়ারি এবং প্রচার শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টায়। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট হবে সাদাকালো। আর গণভোটের ব্যালটের রং হবে গোলাপি। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
গতকাল (বুধবার) বিকালে সিইসির ভাষণ রেকর্ড করেছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতার। রেকর্ড করা ওই ভাষণ আজ (বৃহস্পতিবার) প্রচার করা হয়।
তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গতকাল রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এ এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেন সিইসি। বৈঠকে কমিশন জানায়, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের জন্য তাদের সব প্রস্তুতি যথাসময়ে এগোচ্ছে। নাগরিকদের অংশগ্রহণে নির্বাচনি পরিবেশও তৈরি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রস্তুতিমূলক কাজগুলোতে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য তিনি প্রধান উপদেষ্টা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে ইসি। প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী দেশে এখন মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। এই ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন, নারী ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ হাজার ২৩৪ জন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন।
১৪ দিন আগে
বুধবার সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা: ইসি মাছউদ
আগামীকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় অথবা পরদিন বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি মাছউদ বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় ভাষণের সবকিছু চূড়ান্ত। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণায় রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতার বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আগামীকাল দুপুরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া চূড়ান্ত পোস্টাল ব্যালটে নিষিদ্ধ বা স্থগিত—কোনো দলের প্রতীক থাকবে না বলেও জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
১৬ দিন আগে
চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা: ইসি সানাউল্লাহ
চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘এ সপ্তাহের মধ্যে যেকোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগেই বলেছিলেন, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এই সপ্তাহ হচ্ছে ৮ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। এ সময়ের মধ্যে যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে।’
১৮ দিন আগে
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হতে পারে: সিইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মক ভোটিং কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, তফসিল, আমরা আশা করছি, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে। তারিখগুলো (ভোটের দিন, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়) তখনই জানতে পারবেন। তফসিল ঘোষণার সময়ই সব জানানো হবে।
আজ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মক ভোটিং কার্যক্রম চালায় নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আদর্শ পরিবেশে কীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা যায়, তা দেখতেই এই কার্যক্রম। ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া জনগণকে দেখাতে এবং দুই ব্যালটে ভোট দিতে কত সময় লাগে—তা পরিমাপ করতেও এই মক ভোটিং করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কখনো ভালো ছিল না। এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। আগেও চুরি-ছিনতাই হয়েছে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গণভোটের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষ্য, গণভোট নিয়ে এখনো সেভাবে প্রচারণা শুরুই হয়নি। সরকার এবং ইসি একসঙ্গে ব্যাপক প্রচারণা চালাবে, সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গণভোটের যে বিষয়গুলো, এটা আমাদের প্রচারণার একটা বিশাল অংশ জুড়ে থাকবে। প্রচারণাটা যখন শুরু হবে, তখনি না আপনি বুঝতে পারবেন যে মানুষ জানল কি জানল না!
২৬ দিন আগে
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ডাকসুর তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. মাহফুজুর রহমান এ তফসিল ঘোষণা করেন।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটগ্রহণ শেষে সঙ্গে সঙ্গেই গণনা শুরু হবে এবং একই দিন সিনেট ভবনের সম্মেলন কক্ষ থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এর পর হল ইউনিয়ন নির্বাচনের ফলাফল সংশ্লিষ্ট ছাত্রাবাস থেকে প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: ডাকসুর তফসিল ঘোষণা ২৯ জুলাই
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে ১২ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৯ আগস্ট বিকেল ৩টা।
মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ২০ আগস্ট এবং প্রাথমিক প্রার্থীতালিকা ২১ আগস্ট দুপুর ১টায় প্রকাশ করা হবে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ আগস্ট এবং চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা ২৬ আগস্ট বিকেল ৪টায় প্রকাশ করা হবে।
১৪৯ দিন আগে
৭ জানুয়ারি নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি তাদের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে।
বিভিন্ন সময়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন ১৫ নেতা। এর মধ্যে আটজন কেন্দ্রীয় ও সাতজন জেলা পর্যায়ের নেতা। এ নেতাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় আট নেতা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, তাঁতিবিষয়ক সহসম্পাদক রাবেয়া সিরাজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু ও খন্দকার আহসান হাবিব ও একেএম ফখরুল ইসলাম।
অন্য সাত নেতা হলেন- শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য অ্যাডভোকেট এম আব্দুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকা ধামরাই পৌর-বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আব্দুল মতিন ও জামালপুর জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসেন রেজা বাবু।
আরও পড়ুন: আ. লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর
এর মধ্যে শাহজাহান ওমর বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এর আগে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নতুন নিবন্ধিত দল বিএনএমে যোগ দেন শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
রাজশাহী-৩ আসনে মতিউর রহমান মন্টু, টাঙ্গাইল-৫ আসনে খন্দকার আহসান হাবীব, ঝালকাঠি-২ আসনে একেএম ফখরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান এবং ময়মনসিংহ-২ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে শাহ শহীদ সারোয়ার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এছাড়া, শেরপুর-১ আসনে এম আব্দুল্লাহ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ থেকে আব্দুল মতিন বিএনএম রানার্স হিসেবে এবং শেরপুর-২ থেকে জায়েদুল রশিদ শ্যামল তৃণমূল বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রার্থিতা জমা দিয়েছেন।
এদিকে, জামালপুর-১ আসনে মাহবুবুল হাসান, পঞ্চগড়-২ আসনে আবদুল আজিজ, ঢাকা-২০ থেকে দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা মেয়ে শুল্কা সিরাজের পক্ষে প্রচারণা চালালে রাবেয়া সিরাজকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র নেওয়ায় একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার
‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিতে বহিষ্কার অব্যাহত
৭৫৫ দিন আগে
ঢিলেঢালাভাবে চলছে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা দিনব্যাপী হরতাল শিথিলভাবে চলছে।
নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে হরতাল কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।
সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া হরতাল শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
গাজীপুরে দু’টি কাভার্ডভ্যানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী হরতাল পালন করবে বিএনপি
অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা সত্ত্বেও নগরীর রাস্তায় গণপরিবহনসহ বেশ কিছু যানবাহন চলাচল এবং ঢাকার সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাতে এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিরোধী দলগুলো এই কর্মসূচি পালন করছে।
বিরোধী দলগুলো এখন পর্যন্ত ৮ দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে।
আরও পড়ুন: বুধবার অবরোধ, বৃহস্পতিবার হরতাল ডেকেছে বিএনপি
৭৫৬ দিন আগে
‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদারের পরিকল্পনা বিএনপির’
২৮ অক্টোবরের সহিংসতার পর দলের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতা দৃশ্যত আত্মগোপনে চলে গেলেও, আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর চলমান আন্দোলন জোরদার করতে ফের রাজপথে নামতে পারেন বিএনপি নেতারা।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, একতরফা নির্বাচন ঠেকাতে তারা ইতোমধ্যে হরতাল, অবরোধ ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও বিভিন্ন সরকারি অফিস ঘেরাওয়ের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে বিরতিহীন আন্দোলন করার কৌশল তৈরি করেছেন।
তারা বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে কী করতে হবে সে বিষয়ে তাদের দল সমমনা দলগুলোরও মতামত নিয়েছে এবং অধিকাংশ দল কোনো বিরতি ছাড়াই অবরোধ বা হরতাল কার্যকর করার পরামর্শ দিয়েছে।
তাদের কৌশল অনুযায়ী, আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) একটি নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা এবং তফসিল বাতিল করার জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
ইসি যদি তাদের আল্টিমেটামে কর্ণপাত করে, তাহলে তারা তাদের কর্মসূচি নিয়ে সারাদেশে রাজপথে তাদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করবে।
সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনকে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য।
বিএনপি নেতারা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিতে ইসি কীভাবে সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে তা তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার বন্ধ এবং গ্রেপ্তার দলের সিনিয়র নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে ইসির ভূমিকাও তারা পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পকে অন্য দেশে নিয়ে যেতে চায় সরকার: রিজভী
বিএনপির দাবি, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ এবং পরবর্তী হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার ৭৭০ বিরোধী নেতা ও অনুসারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান খোকন প্রমুখকে দলের মহাসমাবেশ ও সহিংসতার পর গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান এখন রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। তবে গ্রেপ্তার এড়াতে তারা এখন গোপনে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য বিদেশে অবস্থান করছেন।
অন্য দলের নীতিনির্ধারকরা হয় মারা যান বা শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিষ্ক্রিয় থেকে যান।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরাও পলাতক রয়েছেন এবং দলের নেতা-কর্মীদের গোপন আস্তানা থেকে পথ দেখান।
দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আন্দোলন জোরদার করতে দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই তারা তাদের গোপন স্থান থেকে বেরিয়ে আসবেন।
তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে মহাসড়ক ও সড়কে পিকেটিং বাড়ানোর মাধ্যমে অবরোধ কর্মসূচিকে আরও কার্যকর করে ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে আমাদের দল সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাই তফসিল ঘোষণার পর আমাদের নেতা-কর্মীরা রাজপথে নেমে আন্দোলনে নামবেন।’
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব রাষ্ট্রযন্ত্র কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এছাড়া সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা নিয়ে দেশ-বিদেশে প্রশ্ন উঠবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সরকার মনে করতে পারে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে বিএনপি দুর্বল হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এটা হবে না। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন বাতিলের উদাহরণ আমরা দেখেছি। বিএনপি রাজপথে থেকে সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে। জনগণ এবার সরকারকে নির্বাচনের নামে নাটক করতে দেবে না।’
বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির আন্দোলন এবার ব্যর্থ হবে না। ‘তফসিল ঘোষণা হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের কোনো উপায় থাকবে না। আমরা তুমুল গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে আমাদের দাবি পূরণে বাধ্য করব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, তাদের দল কোনো অবস্থাতেই আন্দোলন থেকে পিছপা হবে না।
তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোর মতামত উপেক্ষা করে একতরফা তফসিল ঘোষণা করা হলে তা প্রমাণ করবে সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তরিক নয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই: বিএনপি
৭৭৪ দিন আগে
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন
বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চায় ইসি। সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন ১ থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে উক্ত সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সভার আয়োজন করবে ইসি। ওই সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হতে পারে। একই সঙ্গে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
পরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মধ্য দিয়ে সিইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারেন।
সাধারণত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ ধরনের সাক্ষাতের রেওয়াজ রয়েছে।
গত ১৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। ১৮ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে বিশিষ্ট কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক ডাক্তার কফিদিস থিওডোরাসের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপতির বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। বুধবার (১ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে বুধবার (১ নভেম্বর)। আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে কমিশন। সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি।
বুধবার ১২টি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কয়েকটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
তবে ‘অনিবার্য কারণবশত’ ২ ও ৩ নভেম্বরের ডিসি–এসপিদের প্রশিক্ষণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার অনুষ্ঠেয় ইউএনওদের প্রশিক্ষণও স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক চেয়েছে ইসি
৭৮৬ দিন আগে