নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল
শ্লীলতাহানির মামলায় ৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন পরীমণি
শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।
মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে তিনি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেন।
জবানবন্দি শেষ না হওয়ায় আগামী বছরের ১১ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় পরীমণির সঙ্গে তার স্বামী রাজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।এসময় আসামি অমি ও শহিদুল হাজিরা দেন। তবে, অসুস্থ থাকায় নাসির উদ্দিন সময়ের জন্য আবেদন করেন।
২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু তুহিন সিদ্দিকী অমির নাম উল্লেখ করে অপর চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমণি ঢাকার সাভার থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে নাসির উদ্দিনের মামলায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম হচ্ছেন অপর দুই আসামি। এরপর গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির মাদক মামলা চলবে, আবেদন খারিজ
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা চলবে
২ বছর আগে
ব্যতিক্রমী রায়ে ঘর ভাঙন থেকে বাঁচল ৪৫ দম্পতি
৪৫ দম্পতির বিচ্ছেদ ঠেকিয়ে সংসারের বন্ধনে ফিরিয়ে দিলেন সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন।
বুধবার সকাল থেকে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত প্রাঙ্গণ ছিল আনন্দ ও উল্লাসে ভরপুর। কারণ আজ ৪৫ দম্পতির মধ্যকার ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে আবারও ভালোবাসার মানুষগুলো একত্রিত হয়ে ফিরেছেন আপন ঘরে। শুধু তাই নয়, আদালতের এমন যুগান্তকারী এই রায় দুটো মানুষকে আবারও একসঙ্গে জীবন কাটানোর সুযোগ করে দেয়ায় হাসি ফোটালো তাদের সন্তানদের মুখেও।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নিজেদের স্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মামলাগুলো করেছিলেন সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ৪৫ নারী। কিন্তু বিচ্ছেদ কোন প্রকৃত সমাধান নয়, তাই এই ৪৫ দম্পতিকে সুখী জীবনে ফেরানোর প্রয়াস নেন সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন। কোনো আসামিকে কারাগারে না পাঠিয়ে সংসার চালিয়ে যাওয়ার শর্তে বাদীদের সঙ্গে আপোস করিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: একরাতে ৪ বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন সিরাজগঞ্জের সেই ইউএনও
২ বছর আগে
আদালতের সিল ও স্বাক্ষর জাল: আইনজীবীর সহকারীসহ ২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জাল সিল ও বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে রি-কল সরবরাহ করায় দুজনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিচারক।
অভিযুক্তরা হলেন, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের খোকন খান এবং আইনজীবী আহাদ আলী খানের সহকারী বরিশাল সদর উপজেলা শায়েস্তাবাদের মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম তপন।
বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে বিচারক মাসুম বিল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারি চার্চিল।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ বাদী হয়ে সোমবার এই অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বিচারক উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মামলায় প্রধান আসামি খোকনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই সময় থেকে খোকন পলাতক ছিল। সর্বশেষ ২০১৮ সালে আসামিকে গ্রেপ্তার করতে নাজিরপুর থানায় তাগিদ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেবাচিম হাসপাতাল থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর পিরোজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে অবহিত করা হয় একই বছরের ২৫ আগস্ট আসামি খোকন বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পন করে জামিন নিয়েছে। ওই পত্রের সঙ্গে জামিনের কাগজ রি-কলের কপি দেয়া হয়।
তাতে দেখা যায় রি-কলে ট্রাইব্যুনালের গোল সিল জাল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্থলে নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনাল লেখা রয়েছে। বিচারকের স্বাক্ষর জাল করা হয়। যার সঙ্গে অভিযোগকারী বিচারকের স্বাক্ষরের কোন মিল নেই। এমনকি রি-কলের হাতের লেখা তৎকালীন বেঞ্চ সহকারী গোলাম রসুলের নয়।
উক্ত জামিননামা পর্যালোচনায় অভিযোগকারী দেখতে পান আইনজীবীর সহকারী তপন ও আসামি খোকন যোগসাজসে জাল রি-কল তৈরি করেছে। এরপর পুনরায় আসামি খোকনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই নির্দেশ পাওয়ার পর এ বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি খোকনকে গ্রেপ্তার করে তার কাছ থেকে জাল রি-কলের মূলকপি জব্দ করা হয়। এ সময় খোকন জানায় ওই রিকল আইনজীবী আহাদ আলী খানের সহকারি তপন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
২ বছর আগে
ও লেভেলের শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণ ও হত্যা’: দিহানের বিচার শুরু
রাজধানীর কলাবাগানে ‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগের মামলায় একমাত্র আসামি ফারদিন ইফতেফার দিহানের (১৮) বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকার্য শুরু হলো।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি দুপুরে ওই ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ওইদিন রাতেই ফারদিন ইফতেখার দিহানকে আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা।
পড়ুন: ধর্ষণের পর হত্যা: দিহানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৭ এপ্রিল
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। এর এক ঘণ্টা পর তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বের হন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই ছাত্রী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপারস আনার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
আসামি দিহান দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তাদের বাসায় গিয়েছিল। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়।
প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য আসামি নিজেই ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ মামলায় গত বছরের ৮ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছা জবানবন্দি দেন আসামি দিহান।
একই বছরের ৮ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ। চার্জশিটে মোট সাক্ষী করা হয় ৫৫ জনকে।
পড়ুন: ও লেভেল শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণ ও হত্যা’: মামলায় আসামির স্বীকারোক্তি
২ বছর আগে
স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: যুবকের যাবজ্জীবন, সহযোগীর ১৪ বছরের সাজা
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন এবং তার সহযোগীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আক্তারুজ্জামান বুধবার দুপুরে এ সাজার রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ঝিনাইগাতীর কালিনগর গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৩১) এবং তার সহযোগী হাসলিগাঁও গ্রামের ছানা মিয়া (৩৮)।
শেরপুর নারী ও শিশু আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি মামলার নথির উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ২০১৫ সালের ২০ মে সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী চাচার বাড়ি থেকে নিজবাড়িতে ফিরছিল। পথে সাজাপ্রাপ্তরা রাস্তা থেকে জোর করে তাকে অপহরণ করে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শেরপুর, জামালপুর, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শফিকুল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। স্কুলছাত্রীর বাবার করা মামলায় পুলিশ দুই মাস পর ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করে। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন মিয়া আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক পর্যায়ে ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার এ সাজার রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। রায়ে একইসাথে শফিকুলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহিদুল হক আধার উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে রেল যাত্রীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
৩ বছর আগে
এমসি কলেজে ধর্ষণ: ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিচার একসাথে চলবে
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগের বিচার একসাথে একই আদালতে করতে রবিবার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
৩ বছর আগে
শিশুদের শাস্তির পরিবর্তে শ্রেষ্ঠ মনীষীদের জীবনীগ্রন্থ উপহার
সুনামগঞ্জে মারামারিসহ নানা সাধারণ অভিযোগে পৃথক ৩৫টি মামলায় আসামি ছিল ৪৯ জন শিশু। মামলার রায়ে তাদের প্রত্যেকের কম-বেশি সাজা হওয়ার কথা ছিল।এতে শিশুদের ভবিষ্যত জীবন হতো অনিশ্চিত।
৩ বছর আগে
শেরপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
নালিতাবাড়ী উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
৪ বছর আগে
শরীয়তপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডদেশ দিয়েছে আদালত।
৪ বছর আগে
শরীয়তপুরে চাকরি দেয়ার আশ্বাসে গৃহবধূকে ‘ধর্ষণ’
শরীয়তপুরে এনজিওতে চাকরি দেয়ার আশ্বাসে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৪ বছর আগে