কিন্তু অভিযুক্ত শিশুদের আদালতে নিয়মিত হাজিরা থেকে মুক্তি দিয়ে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিতে সংশোধনের শর্তে মামলা নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আদালত।
বুধবার সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন আসামি,তাদের অভিভাবক ও আইনজীবীদের উপস্থিতিতে ব্যতিক্রমী এ রায় দেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট নান্টু রায়।
তিনি বলেন, ‘মুক্তি পাওয়া শিশুদের আদালতের পক্ষ থেকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ একশ মনীষীর জীবনীগ্রন্থ উপহার দেওয়া হয়েছে। তারা এখন নিজ বাড়িতে তাদের মা-বাবার জিম্মায় থাকবে।’
‘কিন্তু এই সময়কালে তাদের ১০টি শর্ত পালন করতে হবে।আর শর্ত পালনের বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবেন জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা শাহ মো.শফিউর রহমান,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নারীরা বিয়ের কাজি হতে পারবে না: হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
টকশো’তে পিকে হালদার: একাত্তর টিভির ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
পিকে হালদারকে ফেরাতে কী পদক্ষেপ, জানতে চায় আদালত
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- একশ মনীষীর জীবনীগ্রন্থ পাঠ, মা-বা ও গুরুজনের আদেশ মানা এবং তাদের সেবা করা, তাদের কাজ কর্মে সাহায্য করা, ধর্মীয় অনুশাসন মানা ও নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা, প্রত্যেককে কমপক্ষে ২০টি করে গাছ লাগানো ও গাছের পরিচর্যা করা, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা, মাদক থেকে দূরে থাকা এবং ভবিষ্যতে কোনো অপরাধের সঙ্গে নিজেকে না জড়ানো ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
শিশুদের নিয়ে এমন রায় দেওয়ার সময় আদালত উল্লেখ করেন,‘এই রায়ের ফলে ছোট-খাট অনেক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হল। শিশুরা তাদের আপন ঠিকানা ফিরে পেল। মা-বাবার দুশ্চিন্তার অবসান হল এবং তারা তাদের আদরের সন্তানকে নিজের কাছে রেখে সংশোধনের সুযোগ পেল।’
জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা শাহ মো. শফিউর রহমান বলেন,‘প্রবেশনকালে এই শিশুরা শর্তগুলো যথাযথভাবে পালন করছে কিনা, সেটির তত্ত্বাবধান করা আমার দায়িত্ব। পাশাপাশি অভিভাবকদেরও দায়িত্ব রয়েছে এসব শর্ত পালনে তাদের সহযোগিতা করা, পাশে থাকা। তিন মাস পরপর আদালতে এই বিষয়ে আমাকে প্রতিবেদন দিতে হবে।’