সুনীল অর্থনীতি
অক্সফোর্ড কনফারেন্সে বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির উপর বিশেষ আলোকপাত
আগামী ৫ ও ৬ আগস্ট অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইদ বিজনেস স্কুলে ‘টেকসই উন্নয়ন প্রচার’ থিমের ওপর ভিত্তি করে ১৩তম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন দ্য রিস্ট্রাকচারিং অব দ্য গ্লোবাল ইকোনমি (আরওজিই-২০২৪) অনুষ্ঠিত হবে।
এই মর্যাদাপূর্ণ অ্যাকাডেমিক সম্মেলনে ৩০টি বেশি দেশের শীর্ষস্থানীয় অ্যাকাডেমিক, ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকসহ ১৩০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত থাকবেন।
আরওজিই-২০২৪’র একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে বাংলাদেশের ওপর একটি বিশেষ অধিবেশন রয়েছে, যেখানে টেকসই মহাসাগর অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পেতে তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল ড. মোহাম্মদ মুসা ‘টেকসই মহাসাগর অর্থনীতি: সুনীল অর্তনীতির রোডম্যাপে বাংলাদেশের যাত্রা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
এই অধিবেশনের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের উদ্ভাবনী পদ্ধতি ও এর সামুদ্রিক সম্পদগুলো ব্যবহারের ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষাগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন ইউনিভার্সিটি অব সিনসিনাটির অধ্যাপক মেরিয়েন ডব্লিউ. লুইস, যুক্তরাজ্যের সেন্টার অব স্টাডি ফর অর্গানাইজড ক্রাইমের অধ্যাপক ডেভিড এম. জে. গ্রেভস, ইউনিভার্সিটি অব বাকিংহামের ড. ডেভিড হলিম্যান, ভারতের গুরগাঁওয়ের আইআইএলএম ইউনিভার্সিটিও ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক (ড.) পদ্মাকালী ব্যানার্জি, কোলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক (ড.) গৈরিক দাস, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটি অধ্যাপক পেলেগ্রিনো ম্যানফ্রাসহ আরও অনেকে। তারা তাদের বৈচিত্র্যময় বিশেষজ্ঞতা বিশ্বব্যাপী ব্যবসা কর্পোরেট গভর্নেন্স, সামুদ্রিক দিক এবং বৈশ্বিকীকরণের হুমকি নিয়ে আলোচনা করবেন।
কনফারেন্সের প্রেসিডেন্ট ও সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক রিসার্চের (সিবিইআর) নির্বাহী চেয়ার ড. পি. আর. দত্ত বিশ্বব্যাপী গবেষণা ও পেশাদারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা এবং ক্যারিয়ার উন্নয়নের সুযোগ তৈরির বিষয়ে কনফারেন্সের ভূমিকা জোর দিয়েছেন।
সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক রিসার্চ (সিবিইআর), যুক্তরাজ্য ও মিশরের ফিউচার ইউনিভার্সিটির যৌথ আয়োজনে আয়োজিত, আরওজিই-২০২৪ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক একাডেমিক পরিবেশে আইডিয়া বিনিময় এবং নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম, যা বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ইংরেজি ভাষী বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ অব্যাহত রাখুন: ডব্লিউএইচও
বাংলাদেশকে ৪০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিল যুক্তরাজ্য
২৩৭ দিন আগে
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ২ ভাগ জিডিপি প্রবৃদ্ধি আসবে সুনীল অর্থনীতি থেকে: গবেষণা
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সুনীল অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উন্নত রাষ্ট্র গঠনের জন্য আরও ১০ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। এই ১০ ভাগ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে দুই ভাগ জিডিপি প্রবৃদ্ধি আসবে সুনীল অর্থনীতি থেকে। এর লক্ষ্যে সমুদ্র ও সমুদ্র সম্পদের বিভিন্ন খাতের গবেষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর তার গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইকো সিস্টেমের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে সমুদ্র ও সমুদ্র সম্পদকে টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সুনীল অর্থনীতি বিরাট ভূমিকা রাখবে। ২০১৪-১৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সুনীল অর্থনীতির অবদান ছিল ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশের জিডিপির ৩ শতাংশ। দেশ যদি জিডিপি ১০ শতাংশ হারে হয়, তাহলে ২০৩৫ সালে ২৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়, গ্লোবাল ওশান কমিশন ২০১৪ সালের প্রাক্কলন অনুযায়ী মেরিন ও উপকূলীয় উৎপাদিত সম্পদের মোট বাজারমূল্য ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্ব অর্থনীতিতে সুনীল অর্থনীতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান বিশ্বের কর্মসংস্থানের ১০-১২ শতাংশ যার ৯০ ভাগ কর্মসংস্থান হয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।
আরও পড়ুন: কোরালের প্রজনন গবেষণা সুনীল অর্থনীতিতে অবদান রাখবে: শিক্ষামন্ত্রী
২০১২ সালে মিয়ারমারে সঙ্গে ও ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকা ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি। এতো বড় সমুদ্র এলাকায় নিয়ে বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতির একটি বিশাল সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। মৎস্য সম্পদ, সামুদ্রিক জৈব সম্পদ, সামুদ্রিক নবায়নযোগ্য শক্তি, ব্লু টুরিজমসহ সুনীল অর্থনীতির সম্ভবনাময় ১১ টি ক্ষেত্র রয়েছে।
বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে মেরিন অ্যাকুরিয়াম স্থাপন, প্লাস্টিক রিডিউস রিইউজ, সামুদ্রিক মৎস্যচাষ, সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন, ডলফিন ও তিমি দর্শন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রবাল রক্ষা, সমুদ্র ভিত্তিক শিল্প স্থাপন, গবেষণার জন্য জাহাজ ক্রয়সহ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
২১০০ সালের বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় সুনীল অর্থনীতির জন্য কৌশল হিসেবে সামুদ্রিক সম্পদের বহুমাত্রিক জরিপ, উপকূলীয় জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি, আধুনিকায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সমুদ্র ইকোটোরিজম, সমুদ্র উপকূল ও বন্দর দূষণমুক্ত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
২৯ ডিসেম্বর বিওআরআই এর বিজ্ঞানী কতৃর্ক সম্পাদিত গবেষণা ফলাফল উপস্থাপনা বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান, বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সচিব ড. মো. কাউসার আহাম্মদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. রাশেদ-উন-নবী।
আরও পড়ুন: সুনীল অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী
সুনীল অর্থনীতির লক্ষ্য বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইলো বাংলাদেশ
৮১৯ দিন আগে
মরিশাসের সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, মরিশাসের সাথে বর্তমান সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
১৫৬১ দিন আগে
সুনীল অর্থনীতির জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, সুনীল অর্থনীতির (ব্লু ইকোনমি) সম্ভাব্যতার জন্য নীতিমালা হিসেবে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
১৫৬৮ দিন আগে
সমুদ্র গবেষণার অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আহ্বান বাংলাদেশের
গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রতিটি স্তরে বহু-অংশীজনভিত্তিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
১৫৯০ দিন আগে
সুনীল অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে সরকার একটি প্রাণবন্ত সুনীল অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৬০৩ দিন আগে