মরিশাস
মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাইকমিশনার জকি আহাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
মরিশাসে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার জকি আহাদ মরিশাস প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও বিদেশি যোগাযোগ মন্ত্রী, রড্রিগেস, আউটার আইল্যান্ডস এবং টেরিটোরিয়াল ইন্টিগ্রিটির মন্ত্রী প্রভীন্দ কুমার জগনাথের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে তিনি এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী হাইকমিশনারকে তার অফিসে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও মরিশাসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: মরিশাসে মাদক রোধবিষয়ক সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
হাইকমিশনার মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে তার অফিসে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ জানান। সাক্ষাৎকালে উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও মরিশাসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক অভিন্ন স্বার্থ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন।
হাইকমিশনার জকি আহাদ মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উষ্ণ শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। তিনি মরিশাসে আসার পর থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সহযোগিতার জন্য মরিশাস সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রভীন্দ কুমার জগনাথকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন মরিশাস প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও আহাদ বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখায় আহাদ মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন সম্পর্কে মরিশাস প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীকে জানান হাইকমিশনার।
করোনা মহামারির মধ্যেও টেকসই জিডিপি প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জন, নারীর ক্ষমতায়নসহ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যসমূহ তিনি তুলে ধরেন।
মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সামগ্রিক সাফল্য অর্জন এবং এ অর্জনে বর্তমান সরকারের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তারা উভয়ে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের উপর বিশেষ জোর দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর ও জোরদার করার সম্ভাব্য সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় তারা উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের সফর, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি সফর, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, শিক্ষা ও মরিশাসে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ বিষয়ে আলোচনা সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি কর্মী নিয়োগের ওপর জোরালো গুরুত্বারোপ করেন। মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে হাইকমিশনারকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি প্রক্রিয়াধীন সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিসমূহ চূড়ান্তকরণে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে তার সরকারের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশ্বাস দেন।
হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান মো. জাহাঙ্গীর আলম ও প্রথম সচিব (শ্রম) মো. আসাদুজ্জামানসহ মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মরিশাসের প্রেসিডেন্টের কাছে হাইকমিশনার জকি আহাদের পরিচয়পত্র পেশ
মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
৫ মাস আগে
মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও উদ্ভাবন মন্ত্রী দীপক বালগোবিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মরিশাসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে আগামীকাল খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়
বৈঠকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্যের বিস্তৃতি মোকাবিলার কৌশল নিয়ে মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে স্যাটেলাইট ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশ-মরিশাসের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও প্রবাসী শ্রমিকদের দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বাংলাদেশে মরিশাসের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধাসহ মরিশাসে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
৭ মাস আগে
মরিশাসে মাদক রোধবিষয়ক সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলায় প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মরিশাসের বালাক্লাভায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্টে মরিশাস আয়োজিত এ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।
সম্মেলনে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধানরা মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয়: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো এবং একটি আঞ্চলিক ড্রাগ অবজারভেটরি স্থাপনের মাধ্যমে ড্রাগ রেসপন্স সমন্বয়ের জন্য নেতৃস্থানীয় জাতীয় সংস্থাগুলোর একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের উপর সম্মেলনে গুরুত্বারোপ করা হয়।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যে চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন তা হলো- তরুণদের মাদক ব্যবহারের অধিক ঝুঁকি, আইনের প্রয়োগ এবং আন্তঃসীমান্তীয় নিরাপত্তা অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি, অবৈধ আর্থিক প্রবাহ, আন্তর্জাতিক অপরাধ, পরিবার এবং সামাজিক শান্তি বিনষ্টকরণ, আইনহীন অঞ্চল সৃষ্টি, সমুদ্র নিরাপত্তার হুমকি, সিন্থেটিক ওষুধের ক্রমবর্ধমান হুমকি, আইনি কাঠামোর ত্রুটি এবং মাদক উৎপাদন ও ওষুধের বাজারের ক্রমবর্ধমান পরিমাণ।
উল্লিখিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যেসব প্রস্তাব করেন তা হলো- সমুদ্র নজরদারি বৃদ্ধি এবং আন্তঃসীমান্তীয় সহযোগিতার উন্নয়ন, মাদক পাচারের নেটওয়ার্ক ব্যাহত এবং ধ্বংস করার জন্য এ সংক্রান্ত সব দলের অংশীদারিত্ব, পৃথক আঞ্চলিক দায়িত্ব গ্রহণ, ভারত মহাসাগর কমিশন (আইওসি) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তার বিষয়ে অংশীদারদের একত্রিত করা, বিশ্বব্যাপী প্রশিক্ষণ এবং ভারত মহাসাগরের দেশগুলোর মধ্যে পুলিশি ও কাস্টমস সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
সম্মেলনে আরও যে সুপারিশগুলো উঠে আসে তা হলো- ড্রাগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কৌশল পুনর্বিবেচনা এবং নবায়ন, আইনি কাঠামো, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পর্যালোচনা, আইওসি এবং জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম দপ্তরের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করা, যারা সফলভাবে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলা করেছে তাদের উদাহরণ অনুসরণ করে মাদকের অপব্যবহার, সামগ্রিকভাবে সংঘবদ্ধ অপরাধ হ্রাস করতে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
সম্মেলনের বিরতিতে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
২৪টি দেশ ও ২৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ সম্মেলনে অংশ নেয়।
সম্মেলনের শেষ সময় মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের উপর প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ঘোষণা গৃহিত হয়।
আরও পড়ুন; নারীদের আইসিটিতে দক্ষ করে তুলতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
মরিশাসকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য মরিশাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) মরিশাসের স্থানীয় সময় সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনিশ গোবিনের সঙ্গে বৈঠককালে এ আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন।
বাংলাদেশ থেকে মরিশাসে আরও বেশি শ্রমিক ও পেশাজীবীদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন এম এ আরাফাত।
এছাড়া মরিশাসে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা যাতে দ্রুত দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারে সে ব্যাপারে মরিশাস সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মরিশাসে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বৃক্ষরোপণ
আফ্রিকা মহাদেশের প্রবেশদ্বার মরিশাসে বাংলাদেশের বিনিয়োগের মাধ্যমে আফ্রিকা মহাদেশে বাংলাদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর সম্ভাবনার কথা বৈঠকে তুলে ধরেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ে প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে বর্তমানে মরিশাসে আছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আরও পড়ুন: মরিশাসের সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর
৭ মাস আগে
মরিশাসে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বৃক্ষরোপণ
মুজিববর্ষের অংশ হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতিসংঘের বাংলায় ভাষণ দেয়া ৪৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে মরিশাসের পোর্ট লুইসের প্লেন-ভিয়ার পার্কে ৪৭টি বৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়েছে।
দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ হাইকমিশন মরিশাস ও সিটি কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে মরিশাস সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হসনু ও পরিবেশমন্ত্রী কাভিদাশ রামানো উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা
স্বাগত বক্তব্যে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ বলেন, অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীও একই সময়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের বর্তমান সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ পরিবেশ রক্ষায় সদস্য দেশগুলোর সাথে জলবায়ু পরিবর্তের বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিরসনে ও মানিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এ সব বৃক্ষ পরিবেশ সংরক্ষণে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: সৌদির ওয়াদি আদ দাওয়াসির শহরে বাংলাদেশিদের দূতাবাসের কনস্যুলার সেবা
মরিশাস সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর স্মরণে আজকের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে পার্কের পরিবেশ আরও সুশীতল ও স্নিগ্ধ হবে এবং বঙ্গবন্ধুর মতো মহান ব্যক্তির স্মরণে এ ধরনের মহৎ কর্ম অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে। সেই সাথে পৃথিবীর পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষায় এ ধরনের কর্মসূচী বিশেষ অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
পরিবেশ মন্ত্রী কাভিদাশ রামানো বলেন, মরিশাস কপ-২৬ এ যোগদানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এ সম্মেলনের ফলাফলের জন্য গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
সেই সাথে এই চারাগাছগুলো একদিন বৃক্ষে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে পার্কের পরিবেশ আর মনোরম করে তুলবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।
৩ বছর আগে
মরিশাসে কাজে গিয়ে ধর্ষণের শিকার, ন্যায়বিচার চান নারী
পূর্ব আফ্রিকার দেশ মরিশাসে কাজের জন্য গিয়ে মালিকের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক বাংলাদেশি নারী। এই ঘটনায় শনিবার বিকালে তিনি রামপুরা থানায় মানবপাচার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের পৃথক ধারায় একটা মামলা করেছেন।
এর আগে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে সাহায্য চেয়েছে। মন্ত্রণালয় তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। তবে ওই নারীর অভিযোগ, আসামিরা তাকে নানাভাবে চাপ দিচ্ছে। তিনি ন্যায়বিচার চান।
মামলা সূত্রে এবং ওই নারীর অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মরিশাস পৌঁছানোর পর কোম্পানির গাড়িতে করে বিমানবন্দর থেকে তাকে ফায়ার মাউন্ট কোম্পানিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ফায়ার মাউন্ট টেক্সটাইল কোম্পানিতে হেলপার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তবে ঠিকমত বেতন দেয়া হতো না।
আরও পড়ুন: পান দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী তরুণী
মরিশাসে অবস্থানরত ওই ফায়ার মাউন্ট টেক্সটাইলের কর্মীদের ক্যান্টিন পরিচালনা করেন বাংলাদেশি মোহাম্মদ শাহ আলম (৪৩) যার বাড়ি ফেনী। এই শাহ আলম এবং তার সহযোগী ফুরকান, সিদ্দিক ও আসলাম একদিন তাকে বলেন, কোম্পানির মালিক তোমাকে পছন্দ করে। তুমি যদি তার সাথে থাকতে পারো তাহলে তোমার অনেক ভালো হবে। আসলামের এমন প্রস্তাবে তিনি রাজি হন নি। এরপর শাহ আলম বিভিন্ন সময় তাকে আবার ভয়ভীতিও দেখায়। একদিন শাহ আলম বলেন, কোম্পানির মালিক তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তাই তোমাকে মালিকের কাছে যেতে হবে। এই বলে তাকে ফায়ার মাউন্ট টেক্সটাইলের মালিক অনিল কলির বাসায় নিয়ে যায়। এরপর মালিকের রুমে তাকে রেখে বাইরে চলে যান। আর সেইদিনই ফায়ার মাউন্ট টেক্সটাইলের মালিক অনিল কলি তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, এরপর ভিডিও ধারণ করা আছে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিখিয়ে শাহ আলম ও কোম্পানির মালিক অনিল কলি প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করতেন তাকে। একদিন শাহ আলম প্রস্তাব দেন মালিকের বন্ধুর সাথে রাত কাটাতে। এই প্রস্তাবে রাজি না হলে আবার নির্যাতন করেন।
তার অভিযোগ, এক পর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে মরিশাসের একটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেন। এরপর তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর শর্ত দিয়ে বলেন, মেয়েটির বাবাকে মরিশাসে আনা হবে।
আরও পড়ুন: ডাকাতির সময় নারীকে ধর্ষণ, শিশু হত্যার অভিযোগ
এই নারী জানান, এর আগে তার বাবাই বিদেশে কাজের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স গোলাম রাব্বি ইন্টারন্যাশনালে (আর.এল-১০৭৮) গেলে ওই রিক্রুটিং এজেন্সির লোকজন বলে বয়স বেশির কারণে আপনি বিদেশ যেতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে আপনার মেয়েকে মরিশাস পাঠান। এরপর বেতন ২৮ হাজার টাকার কথা বলে আরেকটি রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স এম আক্তার এন্ড সন্স এর মাধ্যমে তাকে মরিশাসে আনা হয়। এখন তিনি কোন অভিযোগ করবেন না এমন শর্তে ফের গতবছরের নভেম্বরে তার বাবাকে ওই কোম্পানিতে আনা হয় এবং তাকে দেশে পাঠানোর কথা বলা হয়। তার বাবা সেখানে পৌঁছানোর পর বাবাকে তাদের হেফাজতে নিয়ে মোহাম্মদ শাহ আলম তাকে বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ সালে অসুস্থ অবস্থায় দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেন। এখন দেশে অভিযোগ করার পর তার বাবাকেও নজরদারি করাসহ ও মানসিকভাবে নানান নির্যাতন করা হচ্ছে।
ওই নারী জানান, দেশে ফেরার ঠিক তিন দিনের মাথার রাতের আধারে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার বোন দেখে সেটি ঠেকান। এরপর বড় বোনকে সব বিস্তারিত জানান। এরপর তারা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে তাকে চিকিৎসাসহ কাউসেলিং সহায়তা করা হয়।
ওই নারীর দাবি, ওই কোম্পানিতে ৬০০ এরও বেশি বাংলাদেশি নারী কাজ করেন। এদের মধ্যে পছন্দের নারীদের টার্গেট করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন মোহাম্মদ শাহ আলম, ফুরকান, সিদ্দিক ও আসলাম। ফায়ার মাউন্ট টেক্সটাইলের মালিক অনিল কোহলি প্রায়ই নারীদের নিপীড়ন করেন।
বাংলাদেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনে এই খবর প্রকাশের পর মরিশাসের কয়কেটি গণমাধ্যমও সংবাদটি প্রকাশ করে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি উঠে। এরপর অভিযুক্তরা নানাভাবে সমঝোতার প্রস্তাব দিচ্ছে ভুক্তভগী নারীকে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল : শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগী এই নারী যে বর্ণনা দিয়েছেন সেটি ভয়াবহ। বিদেশে কাজের কথা বলে কাউকে যৌন নিপীড়ন করা বা পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করোনো মানবপাচারের মধ্যে পড়ে। মরিশাস এবং বাংলাদেশ সরকারের উচিত যৌথভাবে এই ঘটনার তদন্ত করা। আরও কোন বাংলদেশি নারী এমন নিপীড়নের শিকার কি না সেটিও খুঁজে বের করে বিচার করা উচিত। আশা করছি মন্ত্রণালয় ও দূতাবাস এ ব্যাপারে উদ্যোগী হবে। আর বাংলাদেশেও যেহেতু মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে সেটিরও যথাযথ তদন্ত ও বিচার হবে বলে আশা করি।
৩ বছর আগে
মরিশাসের সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, মরিশাসের সাথে বর্তমান সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
৪ বছর আগে
মরিশাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ বাংলাদেশি নিহত
ভারত মহসাগরে অবস্থিত দ্বীপ রাষ্ট্র মরিশাসে সড়ক দুর্ঘটনায় চার বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত এবং বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
৪ বছর আগে