বেনাপোল স্থলবন্দর
বেনাপোল স্থলবন্দরের ৫ কোটি টাকার স্ক্যানিং মেশিন বিকল, বাড়ছে মাদক ব্যবসা
বেনাপোল স্থলবন্দরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে ৫ কোটি টাকা মূল্যমানের স্ক্যানিং মেশিন। অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিক থাকলেও স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট থাকায় বন্দরের অভ্যন্তরে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এমনকি ঘটছে চুরির ঘটনাও। নিরাপত্তা সংস্থা আনসার, পিমা, আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকলেও ঠেকানো যাচ্ছে না মাদক ব্যবসা।
গত শনিবার বিকালে বন্দরের ৫ নম্বর গেটে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া দিয়ে ৪৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেন বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্যরা। তবে পালিয়ে যায় ওই পাচারকারী। পরে রাত ১১টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় মাদক পাচারের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে একটি মামলা হয়।
এর আগে গত ২ জুলাই বন্দরের কাঁচামাল ইয়ার্ডে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ট্রাক থেকে ৯৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
মাদক জব্দ প্রসঙ্গে বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা আনসার পিসি হেলালুজ্জামান বলেন, বন্দরে টহল দেওয়ার সময় একটি ট্রাকের পাশে সন্দেহভাজন কিছু ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তাদের ধাওয়া করলে তারা একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ওই ব্যাগ থেকে ৪৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
বন্দর কর্মকর্তাদের নির্দেশে ফেনসিডিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান হেলালুজ্জামান।
বন্দরের একটি সূত্র জানায়, বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং পাচার রোধে ১৭৫টি অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কিন্তু তদারকির গাফিলতির কারণে মাদক পাচারের ঘটনা ঘটছে। অপরাধীকে ধরা সম্ভব হচ্ছে না।
বেনাপোল আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আনোয়ার আলী আনু জানান, চোরাকারবারিরা কখনো ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকে আবার কখনো সীমান্ত পথে ফেনসিডিল নিয়ে বন্দর এলাকায় অবস্থান করে। পরে কৌশলে বিভিন্ন পণ্যবাহী বাংলাদেশি ট্রাকে ফেনসিডিল তুলে দেয়। আর হয়রানির শিকার হন চালক, আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বন্দরের নিরাপত্তায় ১৬৩ জন আনসার, ৪২ জন আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ ও বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা পিমার ১২৯ জন কর্মী আছেন। পাশাপাশি সরকারের গোয়েন্দাও কাজ করছেন বন্দরে। সার্বক্ষণিক বন্দরের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে ৩৭৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। এরপরও ঘটছে চুরির ঘটনা।
চলতি সপ্তাহে বন্দরের ডিটিএম অফিসে বসানো দুটি ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন চুরি হয়। তবে এই অপরাধী এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। যদিও এ ঘটনায় নিরাপত্তা সংস্থা পিমার সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছে বন্দর প্রশাসন।
বেনাপোল কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ শামসুর রহমান জানান, নষ্ট স্ক্যানিং মেশিন দ্রুততম সময়ে চালু করা দরকার। এছাড়া বন্দরের সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়মিত তদারক করাসহ নিরাপত্তাকর্মীরা দায়িত্বশীল হলে বন্দর অভ্যন্তরে মাদকের কারবার বন্ধ সহজ হবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, বন্দরের নিরাপত্তায় আনসাররা কাজ করছেন। বন্দরের ৩টি স্ক্যানিং মেশিন নষ্টের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিনে ভারতে ৯৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি
৩ সপ্তাহ আগে
ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আরও ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের (১৯ অক্টোবর) পর্যন্ত ৫ চালানে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯টায় ৫ চালানে সাড়ে ৭ টাকা দরের ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।
আগামী মাসের মধ্যে সরকারের প্রথম ঘোষণার ৫০ লাখ ডিমের আরও ৪০ লাখ ডিম আমদানি করা হবে। এরই মধ্যে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। ঘাটতি পূরণে আরও সাড়ে চার কোটি পিস মুরগির ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সেগুলোও পর্যায়ক্রমে আমদানি করা হবে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা দরে। প্রতিটা ডিমের আমদানি শুল্ক ১ টাকা ৮৩ পয়সা। সব মিলিয়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে সাত টাকার একটু বেশি। এ অবস্থায় পেঁয়াজ ও আলুর মতো ডিম আমদানিতে শুল্ক মওকুফের দাবি জানান তারা।
বেনাপোল কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ভারত থেকে ডিম আমদানির পাঁচ চালানে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস মুরগির ডিম বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। ঢাকার ‘হাইড্রো ল্যান্ড সল্যুশন’ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিমগুলো আমদানি করেছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশনের প্রতিনিধি শাহ আলম বলেন, ‘দুই মাসের মধ্যে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত মাসের ১০ সেপ্টেম্বরের সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। এর মধ্যে মাত্র দুটি চালানে প্রায় ৩ লাখ ডিম আমদানি করার সুযোগ হয়। রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতির কারণে আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। এ জন্য তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও দুই মাসের সময় বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়। যেটি নভেম্বরে শেষ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা দরে। অথচ প্রতিটি ডিমের শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা (অন্যান্য খরচসহ)। এই শুল্ক ৫০ পয়সার নিচে রাখলে বাজারে ডিমের দাম অনেক কমে যেত।
পেঁয়াজ ও আলুর মতো শুল্ক মওকুফ করার জন্য সরকারকে চিঠি দিয়েছেন তারা।
ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।
ব্যবসায়ীরা জানান, সাড়ে সাত টাকায় প্রতিটি ডিম আমদানি হলেও পরিবহন, শ্রমিক, ওয়েস্টেজ (নষ্ট ডিম) বাবদ প্রতিটি ডিমে আরও অন্তত ৩ টাকা খরচ হয়। আমদানি করা প্রতিটি ডিম ১০ দশমিক ৬০ টাকা থেকে ১০ দশমিক ৭০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হয়।
বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমদানি করা ডিমের শুল্কায়নসহ প্রতিটির দাম পড়েছে সাড়ে সাত টাকার মতো। গত বছরের ৫ নভেম্বর আসে প্রথম চালান, ৯ সেপ্টেম্বর আসে দ্বিতীয় চালান এবং চলতি মাসের ৬, ৭ ও ১৯ তারিখে আসে ডিমের তিনটি চালান। গত বছর ঢাকার বিডিএস করপোরেশন একই দামে ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০টি ডিম আমদানি করেছিল।’
আরও পড়ুন: খুলনায় সরকারি দামে বিক্রি হচ্ছে না ডিম, বিপাকে জনসাধারণ
১ মাস আগে
পূজার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উপলক্ষে সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য বন্ধ রয়েছে।
তবে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ ও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। বন্দর থেকে স্বাভাবিক নিয়মে পণ্য ওঠা নামা ও ডেলিভারি হবে। ফলে দু’দেশের বন্দর এলাকায় দাড়িয়ে আছে কয়েক হাজার পন্য বোঝাই ট্রাক। তবে দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪দিন বেনাপোল স্থলবন্দর বন্ধ থাকবে
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ভারতে কালীপূজা ও দীপাবলি উপলক্ষে সোমবার কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। তবে বন্দর ও কাস্টমসের সব কার্যক্রম চালু আছে।
এদিকে, একদিনের আমদানি রপ্তানি বন্ধে ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা খালি ট্রাক ফেরত যাওয়ার জন্য চেকপোস্ট কার্গো শাখা খোলা আছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
১ বছর আগে
বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বাংলাদেশি ট্রাক চালকের মরদেহ ফেরতের দাবিতে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন বেনাপোল ট্রাক, লরি ও মোটর শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রেখেছেন তারা।
মৃত ট্রাক চালকের মরাদেহ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত কোনো আমদানি ও রপ্তানি হবে না বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
বেনাপোল ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন হোসেন জানান, বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশি ট্রাক চালক নাজমুস শাহাদাত বাবুল তার ট্রাকে ফরিদপুরের গোল্ডেন জুট মিলের পাটজাতীয় পণ্য নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে যান। ট্রাকের মালামাল আনলোড না হওয়ায় তিনি রাতে বন্দরেই থেকে যান। হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সেখানে তার মৃত্যু হয়। পরে বেনাপোলের শ্রমিক নেতারা মরদেহটি ফেরত চেয়ে পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনেকবার অনুরোধ করলেও তারা ফেরত দেয়নি।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ, যাত্রী আটক
বেনাপোল কাস্টমার ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টের (সিএন্ডএফ) স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফের স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন। বেনাপোলের শ্রমিক সংগঠনের নেতারা তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মরদেহ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
১ বছর আগে
বেনাপোল স্থলবন্দরে ২৩টি দেশীয় বোমা উদ্ধার
বেনাপোল স্থলবন্দরে ড্রেনের ভেতর থেকে ২৩টি দেশীয় বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থলবন্দর এলাকায় রাসায়নিক শেডের পশ্চিম পাশ থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এ সময় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, বেনাপোল বন্দর এলাকার ৩৫ নম্বর রাসায়নিক শেডের কাছে একটি ড্রেনে বিপুল পরিমাণ দেশীয় বোমা মজুদ করা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ২৩টি দেশীয় বোমা উদ্ধার করে।
ওসি জানান, সেখানে কারা বোমা রেখেছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ৪টি বোমা উদ্ধার
বেনাপোল সীমান্তে ৪ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
১ বছর আগে
মোদির জন্য আম পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য মৌসুমি ফল আম উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৪ জুলাই) দুপুরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি ট্রাকে করে উপহারের এ আম পাঠানো হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারত ও বাংলাদেশের পেট্রাপোল ও বেনাপোল শুল্ক স্টেশনের জিরো পয়েন্টে কোলকাতাস্থ ডেপুটি হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. সানিউল কাদের উপহারের আমবোঝাই ট্রাকটি বুঝে নেন।
আরও পড়ুন: মোদির মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল আসছে!
উপহারসামগ্রীর মধ্যে ছিল ২ হাজার ৬০০ কেজি আম। ২৬০টি কার্টনে করে আমগুলো পাঠানো হয়।
এসময় বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা, নাভারন সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান, বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল ও কাস্টমসের সহকারী কমিশনার অনুপম চাকমাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে মোদির চিঠি: মানবজাতি শিগগিরই মহামারি কাটিয়ে উঠবে
৩ বছর আগে
ঈদে ৩ দিন বেনাপোলে আমাদনি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে সোমবার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমাদনি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১৩ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুনরায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে। বুধবার পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতররের ছুটিতে বন্ধ হয়ে যাবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ কাস্টমস ও বন্দরের সকল কার্যক্রম। এরপর ১৬ মে থেকে আবারও বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে এ বন্দর দিয়ে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি (অপারেশন) আজিজুল হক বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ও দুর্ঘটনা না ঘটে সে জন্য বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোন ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে ও রাতে বন্দর এলাকায় টহল দিবে। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানা কর্তৃপক্ষকেও নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিষয়ে বলা হয়েছে।
দেশে চলমান ১২টি স্থলবন্দরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আর বেশি রাজস্ব আদায়কারী বন্দর হলো বেনাপোল স্থলবন্দর। স্থল পথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৬০ শতাংশ হয়ে থাকে এই বন্দর দিয়ে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে ফিরলেন আরও ১০৫ জন
প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে ভারত থেকে বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আসে সরকারের কাছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে এ পথে নতুন করে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার আগে যারা আটকা পড়েছিল তারা দূতাবাস থেকে ছাড়পত্র নিয়ে যাওয়া আসা করছেন। তাদের ফেরার ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। তবে যারা ফেরত আসবে তাদের অবশ্যই ১৪ দিন নিজ খরচে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
৩ বছর আগে
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বিধানসভা নির্বাচনের কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল সচল রয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন বলেন, ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহাকুমা অঞ্চলে বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচন। এ উপলক্ষে পেট্রাপোল বন্দরের সাথে বেনাপোল বন্দরের সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের বন্দর ব্যবহাকারীরা জানিয়েছেন। শনিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়লেও রপ্তানি বাণিজ্যে ধস
পেট্রাপোল স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, পেট্রাপোল বন্দর বঁনগা থানার মধ্যে পড়েছে। নির্বাচনের মধ্যে বাণিজ্যিক নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরা এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য খালাস সচল থাকবে। শনিবার থেকে স্বাভাবিক নিয়মে আবারও এ পথে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
আরও পড়ুন:বেনাপোলে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত বাড়ছে
সংশ্লিষ্ট জানান, প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এ ছাড়া বাংলাদেশি প্রায় দেড়শ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে। আমদানি পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস, কেমিকেল, তুলা, মাছ, মেশিনারিজ ও শিশু খাদ্য উল্লেখ্যযোগ্য। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগ পাট ও পাটজাত দ্রব্য।
৩ বছর আগে
বহিরাগতের অবাধ যাতায়াতে নিরাপত্তা হুমকিতে বেনাপোল স্থলবন্দর
বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াতের কারণে নিরাপত্তা হুমকিতে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল।
৩ বছর আগে
বিওটি ভিত্তিতে স্থলবন্দর পরিচালনার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল: প্রতিমন্ত্রী
দেশের ছয়টি স্থলবন্দর বিল অন ট্রান্সফার (বিওটি) পদ্ধতি বা প্রাইভেট কোম্পানিকে অপারেট করতে দেয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে সোমবার জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
৪ বছর আগে