বেনাপোল স্থলবন্দর
বেনাপোল দিয়ে ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি, বাজারে কমছে দাম
আড়াই বছর পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পুনরায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তিনটি পৃথক চালানে মোট ৬০ টন পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে তৃতীয় চালানে একটি ট্রাকে ১৫ টন পেঁয়াজ বন্দরের ৩১ নম্বর ইয়ার্ডে প্রবেশ করে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী শ্যামল কুমার নাথ জানান, গত ২৫ আগস্ট ভারত থেকে প্রথম চালানে একটি ট্রাকে ১৫ টন পেঁয়াজ, ২৮ আগস্ট রাত ৮টার দিকে দ্বিতীয় চালানে দুটি ট্রাকে ৩০ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এ নিয়ে তিন চালানে মোট ৬০ টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এস এম ওয়েল ট্রেডার্স। মান পরীক্ষা শেষে পেঁয়াজ খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আড়াই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, আড়াই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।
প্রতি টন পেঁয়াজ ৩০৫ মার্কিন ডলারে আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। সে ক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়েছে প্রায় ৩৮ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ৫৭-৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা সম্ভব।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, ‘আমদানি করা পেঁয়াজ দ্রুত ছাড় করতে বন্দর কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
৯৩ দিন আগে
বেনাপোল বন্দরে হাঁটুপানিতে পণ্য খালাস, দুর্ভেগে পরিবহন কার্যক্রম
টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতের কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ বন্দরটিতে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, রেল কর্তৃপক্ষ কালভার্ট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে বৃষ্টির পানিতে বন্দরজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটু ভারী বৃষ্টিপাত হলেই বন্দর এলাকার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, একই সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের চলাফেরাও দুরূহ হয়ে পড়ে। এমনকি কোথাও কোথাও কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি জমে থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে চর্মরোগসহ স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
বন্দর শ্রমিকরা জানান, বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও গুদামে হাঁটুপানি জমে থাকায় পণ্য খালাস ও পরিবহন কার্যক্রমে বিপর্যয় নেমে এসেছে। ফলে কয়েকটি প্রবেশগেট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্দরের ইয়ার্ডগুলো জলাশয় মনে হলেও যেখানে ট্রাক পার্কিং ও আমদানি পণ্য খালাস হয়।
তারা আরও জানান, প্রতিদিন হাঁটুপানির মধ্য দিয়ে কাজ করতে গিয়ে চুলকানিসহ নানা অসুস্থতায় পড়তে হচ্ছে। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে গুদামগুলো নিচু হওয়ায় পানির স্বাভাবিক নিষ্কাশন সম্ভব হয় না। ফলে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে এবং চলাফেরায় ভোগান্তি বাড়ছে। বন্দরে আগে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কেমিক্যাল সামগ্রী এখনো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, যা বৃষ্টির পানিতে মিশে শ্রমিকদের চর্মরোগে আক্রান্ত করছে।
এ নিয়ে পণ্যবোঝাই ট্রাকের চালকরাও একই অভিযোগ করেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা একাধিকবার কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।’
আরও পড়ুন: ফের লঘুচাপ: আসছে টানা বৃষ্টি, ১০ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস
১৬৯ দিন আগে
ঈদের ছুটি শেষে স্থলবন্দরগুলো দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় স্থলবন্দরগুলো দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে বন্দর এলাকায় আবারও ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য।
রবিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে বেনাপোল, সোনামসজিদ ও হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে এসব বন্দরে ফিরেছে চিরচেনা কর্মচাঞ্চল্য, শ্রমিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যস্ততা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা জানান, আজ (রবিবার) সকাল থেকে পণ্য খালাসে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাণিজ্য-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীসহ কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বন্দরের শ্রমিকেরা। লম্বা ছুটির কারণে বন্দরে জমেছিল পণ্যজট। এখন পণ্য খালাস শুরু হওয়ায় তা কমতে শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, ঈদের লম্বা ছুটি থাকলেও দুদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত অন্যান্য সময়ের মতোই স্বাভাবিক ছিল। তবে আগের বছরগুলোতে ঈদের ছুটিতে হাজার হাজার যাত্রী ভারতে গেলেও এ বছর যাত্রীদের তেমন কোনো চাপ নেই বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদে বেনাপোল বন্দরে ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর মামুন কবির তরফদার জানান, আজ সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যান ও পণ্যজট নিরসনে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্রুত কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ছুটি শেষে কর্মব্যস্ততার প্রভাব পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরেও। সকাল থেকে সেখানেও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব রুহুল আমিন।
১৭৩ দিন আগে
ঈদে বেনাপোল বন্দরে ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টানা ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে যাত্রী পারাপারে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক থাকবে।
বুধবার (৪ জুন) সকালে বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর মামুন কবীর তরফদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ঈদুল আজহার ছুটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শনিবার (১৪ জুন) পর্যন্ত বন্দর এলাকায় সরকারি ছুটি থাকায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ছুটির মধ্যে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
আগামী রবিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে বন্দর পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যক্রম শুরু করবে।
আরও পড়ুন: সোনামসজিদ বন্দরে ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক আনু জানান, ঈদে টানা ১০ দিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদ উদযাপনে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে যাবেন। এছাড়াও অনেক আমদানিকারক ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে নিজ এলাকায় অবস্থান করবেন। তারা কর্মস্থলে ফিরে না আসা পর্যন্ত কোনো পণ্য খালাস নেবেন না। আগামী রবিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে পুনরায় বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহম্মেদ জানান, ঈদের ছুটির কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। এ সময় কিছুটা বেশি ভিড় হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঈদের ছুটিতে ভারতে যাত্রীর চাপ তুলনামূলক কম।
১৮৩ দিন আগে
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩৩২০ টন চাল আমদানি
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৫ দিনে ৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এ সময়ে ৩ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, মাহবুবুল আলম ফুড প্রডাক্ট, অর্ক ট্রেডিং ও সর্দার এন্টারপ্রাইজসহ ৮টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই চাল আমদানি করে।
এ নিয়ে ১৭ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত ৯৭টি ট্রাকে ৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। এছাড়া গত ১৭ নভেম্বর থেকে চাল আমদানি হলে ১২ ডিসেম্বর ছিল শেষ দিন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে ১০৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত সর্বশেষ ৩টি ট্রাকে ১০৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লুৎফর রহমানের সই করা এক পত্রে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয় ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে। এতে ২ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ বলেন, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে দেশের বাইরে সিদ্ধ ও আতপ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। তার আগে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সেই সময় আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের ওপর ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: ৮ দিনে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৬৫২০ মেট্রিক টন চাল আমদানি
এরপর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আর চাল আমদানি হয়নি। সরকার চালের শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেওয়ায় গত ১৭ নভেম্বর থেকে আবারও আমদানি শুরু হয়।
৩৫৫ দিন আগে
বেনাপোল স্থলবন্দরের ৫ কোটি টাকার স্ক্যানিং মেশিন বিকল, বাড়ছে মাদক ব্যবসা
বেনাপোল স্থলবন্দরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে ৫ কোটি টাকা মূল্যমানের স্ক্যানিং মেশিন। অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিক থাকলেও স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট থাকায় বন্দরের অভ্যন্তরে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এমনকি ঘটছে চুরির ঘটনাও। নিরাপত্তা সংস্থা আনসার, পিমা, আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকলেও ঠেকানো যাচ্ছে না মাদক ব্যবসা।
গত শনিবার বিকালে বন্দরের ৫ নম্বর গেটে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া দিয়ে ৪৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেন বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্যরা। তবে পালিয়ে যায় ওই পাচারকারী। পরে রাত ১১টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় মাদক পাচারের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে একটি মামলা হয়।
এর আগে গত ২ জুলাই বন্দরের কাঁচামাল ইয়ার্ডে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ট্রাক থেকে ৯৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
মাদক জব্দ প্রসঙ্গে বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা আনসার পিসি হেলালুজ্জামান বলেন, বন্দরে টহল দেওয়ার সময় একটি ট্রাকের পাশে সন্দেহভাজন কিছু ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তাদের ধাওয়া করলে তারা একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ওই ব্যাগ থেকে ৪৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
বন্দর কর্মকর্তাদের নির্দেশে ফেনসিডিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান হেলালুজ্জামান।
বন্দরের একটি সূত্র জানায়, বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং পাচার রোধে ১৭৫টি অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কিন্তু তদারকির গাফিলতির কারণে মাদক পাচারের ঘটনা ঘটছে। অপরাধীকে ধরা সম্ভব হচ্ছে না।
বেনাপোল আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আনোয়ার আলী আনু জানান, চোরাকারবারিরা কখনো ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকে আবার কখনো সীমান্ত পথে ফেনসিডিল নিয়ে বন্দর এলাকায় অবস্থান করে। পরে কৌশলে বিভিন্ন পণ্যবাহী বাংলাদেশি ট্রাকে ফেনসিডিল তুলে দেয়। আর হয়রানির শিকার হন চালক, আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বন্দরের নিরাপত্তায় ১৬৩ জন আনসার, ৪২ জন আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ ও বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা পিমার ১২৯ জন কর্মী আছেন। পাশাপাশি সরকারের গোয়েন্দাও কাজ করছেন বন্দরে। সার্বক্ষণিক বন্দরের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে ৩৭৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। এরপরও ঘটছে চুরির ঘটনা।
চলতি সপ্তাহে বন্দরের ডিটিএম অফিসে বসানো দুটি ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন চুরি হয়। তবে এই অপরাধী এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। যদিও এ ঘটনায় নিরাপত্তা সংস্থা পিমার সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছে বন্দর প্রশাসন।
বেনাপোল কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ শামসুর রহমান জানান, নষ্ট স্ক্যানিং মেশিন দ্রুততম সময়ে চালু করা দরকার। এছাড়া বন্দরের সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়মিত তদারক করাসহ নিরাপত্তাকর্মীরা দায়িত্বশীল হলে বন্দর অভ্যন্তরে মাদকের কারবার বন্ধ সহজ হবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, বন্দরের নিরাপত্তায় আনসাররা কাজ করছেন। বন্দরের ৩টি স্ক্যানিং মেশিন নষ্টের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিনে ভারতে ৯৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি
৪০৩ দিন আগে
ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আরও ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের (১৯ অক্টোবর) পর্যন্ত ৫ চালানে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯টায় ৫ চালানে সাড়ে ৭ টাকা দরের ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।
আগামী মাসের মধ্যে সরকারের প্রথম ঘোষণার ৫০ লাখ ডিমের আরও ৪০ লাখ ডিম আমদানি করা হবে। এরই মধ্যে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। ঘাটতি পূরণে আরও সাড়ে চার কোটি পিস মুরগির ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সেগুলোও পর্যায়ক্রমে আমদানি করা হবে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা দরে। প্রতিটা ডিমের আমদানি শুল্ক ১ টাকা ৮৩ পয়সা। সব মিলিয়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে সাত টাকার একটু বেশি। এ অবস্থায় পেঁয়াজ ও আলুর মতো ডিম আমদানিতে শুল্ক মওকুফের দাবি জানান তারা।
বেনাপোল কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ভারত থেকে ডিম আমদানির পাঁচ চালানে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস মুরগির ডিম বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। ঢাকার ‘হাইড্রো ল্যান্ড সল্যুশন’ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিমগুলো আমদানি করেছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশনের প্রতিনিধি শাহ আলম বলেন, ‘দুই মাসের মধ্যে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত মাসের ১০ সেপ্টেম্বরের সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। এর মধ্যে মাত্র দুটি চালানে প্রায় ৩ লাখ ডিম আমদানি করার সুযোগ হয়। রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতির কারণে আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। এ জন্য তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও দুই মাসের সময় বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়। যেটি নভেম্বরে শেষ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা দরে। অথচ প্রতিটি ডিমের শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা (অন্যান্য খরচসহ)। এই শুল্ক ৫০ পয়সার নিচে রাখলে বাজারে ডিমের দাম অনেক কমে যেত।
পেঁয়াজ ও আলুর মতো শুল্ক মওকুফ করার জন্য সরকারকে চিঠি দিয়েছেন তারা।
ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।
ব্যবসায়ীরা জানান, সাড়ে সাত টাকায় প্রতিটি ডিম আমদানি হলেও পরিবহন, শ্রমিক, ওয়েস্টেজ (নষ্ট ডিম) বাবদ প্রতিটি ডিমে আরও অন্তত ৩ টাকা খরচ হয়। আমদানি করা প্রতিটি ডিম ১০ দশমিক ৬০ টাকা থেকে ১০ দশমিক ৭০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হয়।
বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমদানি করা ডিমের শুল্কায়নসহ প্রতিটির দাম পড়েছে সাড়ে সাত টাকার মতো। গত বছরের ৫ নভেম্বর আসে প্রথম চালান, ৯ সেপ্টেম্বর আসে দ্বিতীয় চালান এবং চলতি মাসের ৬, ৭ ও ১৯ তারিখে আসে ডিমের তিনটি চালান। গত বছর ঢাকার বিডিএস করপোরেশন একই দামে ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০টি ডিম আমদানি করেছিল।’
আরও পড়ুন: খুলনায় সরকারি দামে বিক্রি হচ্ছে না ডিম, বিপাকে জনসাধারণ
৪১০ দিন আগে
পূজার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উপলক্ষে সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য বন্ধ রয়েছে।
তবে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ ও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। বন্দর থেকে স্বাভাবিক নিয়মে পণ্য ওঠা নামা ও ডেলিভারি হবে। ফলে দু’দেশের বন্দর এলাকায় দাড়িয়ে আছে কয়েক হাজার পন্য বোঝাই ট্রাক। তবে দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪দিন বেনাপোল স্থলবন্দর বন্ধ থাকবে
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ভারতে কালীপূজা ও দীপাবলি উপলক্ষে সোমবার কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। তবে বন্দর ও কাস্টমসের সব কার্যক্রম চালু আছে।
এদিকে, একদিনের আমদানি রপ্তানি বন্ধে ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা খালি ট্রাক ফেরত যাওয়ার জন্য চেকপোস্ট কার্গো শাখা খোলা আছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৭৫৩ দিন আগে
বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বাংলাদেশি ট্রাক চালকের মরদেহ ফেরতের দাবিতে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন বেনাপোল ট্রাক, লরি ও মোটর শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রেখেছেন তারা।
মৃত ট্রাক চালকের মরাদেহ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত কোনো আমদানি ও রপ্তানি হবে না বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
বেনাপোল ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন হোসেন জানান, বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশি ট্রাক চালক নাজমুস শাহাদাত বাবুল তার ট্রাকে ফরিদপুরের গোল্ডেন জুট মিলের পাটজাতীয় পণ্য নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে যান। ট্রাকের মালামাল আনলোড না হওয়ায় তিনি রাতে বন্দরেই থেকে যান। হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সেখানে তার মৃত্যু হয়। পরে বেনাপোলের শ্রমিক নেতারা মরদেহটি ফেরত চেয়ে পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনেকবার অনুরোধ করলেও তারা ফেরত দেয়নি।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ, যাত্রী আটক
বেনাপোল কাস্টমার ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টের (সিএন্ডএফ) স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফের স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন। বেনাপোলের শ্রমিক সংগঠনের নেতারা তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মরদেহ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
৭৮৪ দিন আগে
বেনাপোল স্থলবন্দরে ২৩টি দেশীয় বোমা উদ্ধার
বেনাপোল স্থলবন্দরে ড্রেনের ভেতর থেকে ২৩টি দেশীয় বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থলবন্দর এলাকায় রাসায়নিক শেডের পশ্চিম পাশ থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এ সময় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, বেনাপোল বন্দর এলাকার ৩৫ নম্বর রাসায়নিক শেডের কাছে একটি ড্রেনে বিপুল পরিমাণ দেশীয় বোমা মজুদ করা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ২৩টি দেশীয় বোমা উদ্ধার করে।
ওসি জানান, সেখানে কারা বোমা রেখেছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ৪টি বোমা উদ্ধার
বেনাপোল সীমান্তে ৪ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
৮২৩ দিন আগে