এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শিক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে দীপু মনির ৪ প্রস্তাব উত্থাপন
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সোমবার অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শিক্ষামন্ত্রীদের দ্বিতীয় সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চার দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
মন্ত্রণায়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে কার্যকর ও রূপান্তরিত শিক্ষানীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাকে সর্বজনীন সম্পদ উল্লেখ করে তার ব্যয়ভার বহনের বিষয়ে সামাজিক এবং উন্নয়ন অংশীদারদের কার্যকর সহায়তা কৌশল নির্ধারণের পাশাপাশি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার, কারিগরি এবং ভোকেশনাল শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন এবং ডিজিটাল শিক্ষা সুলভ ও সহজলভ্য করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
করোনা মহামারি ও পরবর্তীতে এ অঞ্চলের শিক্ষাক্ষেত্রে যে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার লক্ষ্যে এই বছরের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: চলতি বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হচ্ছে না: শিক্ষামন্ত্রী
জাতিসংঘ কর্তৃক ২০১৫ সালে গৃহীত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে আয়োজিত মন্ত্রী-পর্যায়ের এ সভায় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ২৩টি দেশের শিক্ষামন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি মন্ত্রী পর্যায়ের প্ল্যানারি সেশন ও বিষয়ভিত্তিক রাউন্ডটেবিলে বক্তব্য দেন। এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী ইউনেস্কোর শিক্ষা বিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক মিসেস স্টেফানিয়া জিয়ানিনি এবং ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের সভাপতি এইচ ই মিসেস তামারা রাস্তোভাক সিয়ামাশভিলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সভায় ইউনেস্কো ও বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: কোরালের প্রজনন গবেষণা সুনীল অর্থনীতিতে অবদান রাখবে: শিক্ষামন্ত্রী
সভায় তিনি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট শিক্ষা সংক্রান্ত সার্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পরিবেশগত এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে মত প্রকাশ করেন।
সভায় শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা-সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।
২ বছর আগে
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
স্টার্টআপ কোম্পানি ও সংস্থা সমূহের সহায়তায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হওয়া স্পার্ক ফাউন্ডার্স সামিটেরর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পরিকল্পনার কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে হুয়াওয়ে জানায়, এ বিনিয়োগটি হবে তাদের স্পার্ক প্রোগ্রামের মাধ্যমে, যার লক্ষ্য হবে আগামী তিন বছরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরি করা।
হুয়াওয়ে ২০২০ সাল থেকে সিঙ্গাপুরকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রথম স্টার্টআপ হাব তৈরিতে সহায়তা করে আসছে এবং গত এক বছরে এ অঞ্চলের অনেক দেশেই এ কর্মসূচি সম্প্রসারণ করেছে।
সামিটে হুয়াওয়ে জানায়, তাদের এ কর্মসূচিটি ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামে চারটি অতিরিক্ত স্টার্টআপ হাব গড়ে তোলার দিকে আলোকপাত করবে, যার লক্ষ্য হবে স্পার্ক এক্সিলারেটর প্রোগ্রামে মোট ১ হাজার স্টার্টআপ নিযুক্তকরণ করা, যার মধ্যে ১০০টি স্টার্টআপ হবে স্কেলআপ।
হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বোর্ড সদস্য ক্যাথরিন চেন সামাজিক অগ্রগতির জন্য স্টার্টআপের গুরুত্ব এবং স্টার্টআপের সহায়তায় হুয়াওয়ে কী করছে তা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা সবাই জানি স্টার্টআপ ও এসএমই কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। এরা আমাদের যুগের উদ্ভাবক, পরিবর্তনকারী এবং পথিকৃৎ। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ কর্মসংস্থানই এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে, এরা দুই-তৃতীয়াংশ নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করে এবং বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ৫০ শতাংশ এখান থেকেই আসে।’
পড়ুন: রিয়েলমি নিয়ে এল দ্রুত ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সল্যুশন 'ম্যাগডার্ট’
ডিজিটাল দক্ষতা বিষয়ে ইউসিবির কর্মশালা
তিনি বলেন, ‘৩৪ বছর আগে হুয়াওয়ে ছিল মাত্র ৫ হাজার ডলারে নিবন্ধিত মূলধনের একটি স্টার্টআপ। সম্প্রতি, আমরা ভাবছি কীভাবে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা ও রিসোর্স দিয়ে আরও স্টার্টআপের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তায় করতে পারি। এতে তারা ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে তৈরি হওয়া সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন এবং বিশ্বের জন্য আরও উদ্ভাবনী পণ্য ও সমাধান বিকাশে কাজ করতে পারবে।’
হুয়াওয়ের ক্লাউড বিজনেস ইউনিটের সিইও ঝ্যাং পিং'আন বলেন, ‘২০১৭ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে হুয়াওয়ে ক্লাউড বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল ক্লাউড, এটি অগণিত স্টার্টআপের প্রবৃদ্ধিকে চালিত করেছে। গত বছর আমরা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে স্পার্ক প্রোগ্রাম চালু করেছি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা স্থানীয় সরকার, নেতৃস্থানীয় ইনকিউবেটর, সুপরিচিত ভিসি ফার্ম এবং শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কাজ করে অনেক অঞ্চলে স্টার্টআপের জন্য সহায়তা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছি। এখন আমাদের কর্মসূচিতে ৪০টি স্টার্টআপ অংশগ্রহণ করছে।’
হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট জেফারি লিউ বলেন, ‘গত দুই দশক ধরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি অপরিবর্তিত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘হুয়াওয়ের গ্লোবাল কাস্টমার বেস ও ফুল-স্ট্যাক টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে স্পার্ক প্রোগ্রাম আগামী তিন বছরে এ অঞ্চলে ১০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি বেশি বিনিয়োগ করবে এবং একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম নির্মাণে ও ডায়নামিক অঞ্চলের জন্য নতুন মান তৈরি করতে সামগ্রিক সহায়তা প্রদান করবে।’
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে স্টার্টআপ সম্পর্কিত আরও তিনটি উদ্যোগ চালু করে। সেগুলো হলো: দ্য স্পার্ক ডেভেলপার প্রোগ্রাম, যার লক্ষ্য হলো এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে হুয়াওয়ে ক্লাউড দ্বারা চালিত একটি ডেভেলপার ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে সহায়তা করা, দ্য স্পার্ক পিটস্টপ প্রোগ্রাম, যা পণ্য উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হুয়াওয়ে ক্লাউডে অনবোর্ড ও স্টার্টআপগুলোকে সহায়তার জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং দ্য স্পার্ক ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইপি), যা স্পার্ক স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে এন্টারপ্রাইজ উদ্ভাবনকে সহজতর করতে সহায়তা করে।
পড়ুন: আস্থা অর্জনে অপোর ট্রাস্টিওর্দি ক্যাম্পেইন
স্পার্ক ফাউন্ডার্স সামিটে এশিয়ার স্বনামধন্য স্টার্টআপ, অ্যাকাডেমিয়া, বিভিন্ন খাত ও সরকার এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিরা সহ ৫০ জনেরও বেশি আঞ্চলিক ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট এবং ৩০০টিরও বেশি স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতারা উপস্থিত ছিলেন। এতে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের সামাজিক মূল্য এবং স্থানীয় কমিউনিটিতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে স্টার্টআপ কীভাবে প্রযুক্তিগত ও ইকোসিস্টেম উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে পারে সে ব্যপারে আলোচনা করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি রূপ পাবে বিস্তৃত এশিয়া-প্যাসিফিক নীতিমালায়: আলী রিয়াজ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন জিতলে, বাংলাদেশের প্রতি দেশটির দৃষ্টিভঙ্গি বিস্তৃত এশিয়া-প্যাসিফিক নীতিমালার মধ্যে রূপ পাবে এবং এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক সহযোগিতা অগ্রাধিকার পেলে ও সামরিকীকরণের প্রচেষ্টা কমিয়ে দিলে এটি বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য ভালো হবে, বলছেন বিশ্লেষকরা।
৩ বছর আগে