স্বজন
স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বার্ষিক কুচকাওয়াজে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চেইন অব কমান্ড মেনে চলায় সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছেন।
বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, চেইন অব কমান্ড একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। কখনও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না; চেইন অব কমান্ড অনুসরণ অব্যাহত রাখুন।’
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে রাজধানীতে বাহিনীটির সদর দপ্তরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২৪ এর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০ প্রণয়নকে বিজিবির সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করতে তার সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের ভবনটিতে ‘ফায়ার এক্সিট’ নেই: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বর্তমানে বিজিবিকে একটি দক্ষ, শক্তিশালী, আধুনিক ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। বিজিবি এখন স্থল, জল এবং আকাশপথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিজিবিকে বিশ্বমানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে 'বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১' গ্রহণ করেছে।
২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশে বিজিবিও হবে স্মার্ট বাহিনী উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা চাই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ একটি বিশ্বমানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠুক এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে এগিয়ে যাক।’
প্রধানমন্ত্রী দেশের সীমান্ত সুরক্ষা এবং বিভিন্ন সীমান্ত অপরাধ মোকাবিলা এবং দেশের যে কোনো সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি বিজিবি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে চোরাচালান, মাদক, নারী, শিশু পাচারসহ সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধ প্রতিহত করেছে।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে প্রহরীর ভূমিকা পালনের পাশাপাশি দেশে অগ্নিসন্ত্রাসের মতো যেকোন সমস্যায় বিজিবি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং জানমাল রক্ষায় সর্বদা ভূমিকা রাখছে এবং এভাবেই তারা জাতির আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে।’
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে তার গভীর আবেগঘন সম্পর্কের কথা জানান। মর্মান্তিক ওই ঘটনায় ৫৭ জন বিশিষ্ট কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন ব্যক্তি দুঃখজনকভাবে নিহত হন। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া এ ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্রোহের সময় হারানো মানুষের কথা স্মরণ করে তিনি গভীর দুঃখ অনুভব করছেন। তিনি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি তার ব্যক্তিগত সহানুভূতি প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আমার মতো আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহের জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করে এ ধরনের ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার নেতৃত্বে গৃহীত অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) আধুনিকায়নে বিগত ১৫ বছরে ৩৫ হাজার ৫১৭ জন সৈন্য নিয়োগের কথা উল্লেখ করেন। অন্তর্ভুক্তির একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক, তার সরকার ২০১৫ সাল থেকে ৯৩৬ জন নারী সৈন্য যোগ দিয়ে বাহিনীতে নারীদের একীভূতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: অপরাধের নতুন ধরন দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে: পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
উদীয়মান হুমকির প্রতিক্রিয়ায়, তার প্রশাসন সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলোতে 'স্মার্ট ডিজিটাল নজরদারি এবং কৌশলগত সীমান্ত প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা' বাস্তবায়ন করেছে, নজরদারি ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে এবং আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে।
সীমান্ত নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক উন্নয়নে নিজের অঙ্গীকারের ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কথা তুলে ধরেন। এই অবকাঠামো প্রকল্পের লক্ষ্য কেবল পার্বত্য সীমান্ত অঞ্চলকে সুরক্ষিত করা নয় বরং প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নও করা।
প্রধানমন্ত্রী পিলখানার বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং পরে মার্চ-পাস্টের অভিবাদন গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বীরত্বপূর্ণ ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭২ জন নির্বাচিত বিজিবি সদস্যকে বিজিবি পদক, রাষ্ট্রপতি বিজিবি পদক, বিজিবি পদক-সেবা ও রাষ্ট্রপতি বিজিবি পদক-সেবা প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদর দপ্তরে বঙ্গবন্ধুর 'প্রেরণা' শীর্ষক ভাস্কর্য উন্মোচন করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের অবৈধ মজুদ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
৮ মাস আগে
খুকৃবির সাবেক উপাচার্যের ছেলে-মেয়েসহ ৬ স্বজনের নিয়োগ বাতিল
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবির) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. শহীদুর রহমান খানের ছেলে-মেয়েসহ ৬ স্বজনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৬ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়।
এর মধ্যে সাবেক উপাচার্যের মেয়ে শিক্ষক এবং অন্যরা কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এ ছাড়া ত্রুটি থাকায় ২৪ শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে এবং বাতিল করা হয়েছে এক শিক্ষকের পদোন্নতিও।
আরও পড়ুন: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ম দিনের মতো শিক্ষকদের কর্মবিরতি
প্রাক্তন উপাচার্যের ছাত্র আশিকুল আলমকে সহকারী অধ্যাপকের পদ থেকে পদাবনতি দিয়ে প্রভাষক করা হয়েছে। অন্য ৪৬ জন শিক্ষক ও তিন কর্মচারীর নিয়োগের বিষয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, আর্থিক লেনদেনসহ গুরুতর বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৩ আগস্ট ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরবর্তী সময়ে শিক্ষকরা আবেদন করায় মন্ত্রণালয় চলতি বছরের ২৪ মার্চ পুনর্মূল্যায়ন কমিটি গঠন করে। গত ২৩ আগস্ট মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ ছাড়া শহীদুর রহমান খানের মেয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ইশরাত খান, ছেলে সহকারী রেজিস্ট্রার শফিউর রহমান খান, শ্যালক শাখা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, তিন ভাতিজা কম্পিউটার অপারেটর মো. নিজাম উদ্দিন, মো. মিজানুর রহমান ও ল্যাব টেকনিশিয়ান মো. ইমরান হোসেনের নিয়োগ বাতিল হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্টিকেলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কমপক্ষে একটি আর্টিকেল প্রথম লেখক হিসেবে ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালে প্রকাশ না করা পর্যন্ত ২০ জন প্রভাষক ও চারজন সহকারী অধ্যাপকের পদোন্নতি স্থগিত থাকবে।
প্রভাষকরা হলেন- হর্টিকালচার বিভাগের মো. মোর্শেদুল ইসলাম, আফসানা ইয়াসমিন, সয়েল সায়েন্স বিভাগের নুসরাত জাহান মুমু ও নাহিদ হোসেন, এগ্রিকালচারাল কেমিস্ট্রি বিভাগের রাকিবুল হাসান মো. রাব্বি, তুষার কান্তি রায়।
বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের রোমানা জাহান মুন, লাইভস্টক প্রোডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মুস্তাসিম ফেমাস, অ্যানিম্যাল নিউট্রিশন বিভাগের সাহাবুদ্দিন আহমেদ, সবুজকান্তি নাথ ও শাওলিন ফেরদৌস।
অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের ফাতেমা জাহান, বাবলী আকতার, মো. জাহিদ হোসেন, ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস বিভাগের রাবেয়া আক্তার, ফিশারিজ রিসোর্সেস কনজারভেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মো. আসাদুর রহমান।
আরও পড়ুন: নিয়োগে অনিয়ম: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
ফার্মস্ট্রাকচার বিভাগের ফাহমিদা আক্তার, ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগের তানজিনা আক্তার তামান্না, এগ্রিকালচারাল ফাইন্যান্স কো-অপারেটিভ অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মাহবুবা আখতার মিশু ও এগ্রিকালচারাল ইকোনমিকস বিভাগের রোমানা বিশ্বাস।
সহকারী অধ্যাপকরা হলেন- মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের নাহিদ রহমান, ফিজিওলজি বিভাগের ড. এম এ হান্নান, অ্যানিম্যাল নিউট্রিশন বিভাগের ড. মো. তসলিম হোসেন এবং ফার্ম স্ট্রাকচার বিভাগের মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
এ ছাড়া প্রভাষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ফিশারিজ রিসোর্সেস কনজারভেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ড. মো. মেহেদী আলমের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বাতিল করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের মোহাম্মদ আশিকুল আলমকে সহকারী অধ্যাপকের পরিবর্তে নিয়োগকাল থেকে প্রভাষক হিসেবে পদাবনতি করা হলো।
এ ছাড়া উপাচার্যের মেয়ের চাইতে আশিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল গুরুতর। সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা তার ছিল না। পদও ছিল একটি।
এতে একক ক্ষমতায় দু’জনকে নিয়োগ দিয়েছিলেন তৎকালীন উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশিকুল আলম জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা নিয়ে তারা জরুরি বৈঠক করছেন। পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের বিষয়ে জানতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: দুদকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া ৪৭৩ নথি আদালতে দাখিলের নির্দেশ
১ বছর আগে
শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার, স্বজনদের অভিযোগ হত্যা!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে মোবারক হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে শহরের ছয় বাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক শহরের পীর বাড়ি এলাকার আব্দুল আলীমের ছেলে এবং দুবাই প্রবাসী।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালাল শ্বশুরবাড়ির লোকজন
শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, মোবারক সাত থেকে আট মাস আগে শহরের ছয় বাড়িয়ার সফর আলীর মেয়ে তানিয়াকে (১৮) পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে শান্তি ছিল না। একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করতেন না।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান মোবারক ও তার স্ত্রী তানিয়া। সেখানে তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মোবারক শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এদিকে মোবারকের বাবা আব্দুল আলীম অভিযোগ করেন, মোবারককে তার স্ত্রী তানিয়া ও শালা আশরাফুলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। মোবারকের বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্পিডবোটের ধাক্কায় জেলের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও ২ ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত: স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ জনের লাশ বুধবার দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৪
তিনি জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে এবং আহতদের পরিবারে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছেন।
এদিকে বুধবার ভোরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের কুতুবপুর এলাকায় মালবোঝাই ট্রাক ও শ্রমিকবাহী পিকআপের সংঘর্ষে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
এছাড়া দুর্ঘটনায় নিহতদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছিল।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় সূত্রে ১৫ জন মৃত্যুর তথ্য জানা গেলেও পুলিশ ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১৪ জন নিহতের তথ্য জানিয়েছে।
দুপুরে এই ১৪ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কারখানায় আগুনে নিহত ১০ জনের লাশ হস্তান্তর
হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত: অবশেষে লাশ হস্তান্তর
১ বছর আগে
সুগন্ধা ট্রাজেডি: বছর পেরলেও থামেনি স্বজন হারানো পরিবারের শোক
ঢাকা-বরগুনা রুটে সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হল আজ (শনিবার)। ভয়াবহ সেই স্মৃতি মনে করে এখনও শিউরে ওঠেন নিহতের স্বজন ও বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা। এখনও কান্না থামছে না স্বজনহারা মানুষের।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষকে হারিয়ে থমকে গেছে অনেক পরিবার। এদিকে, এখনও মেলেনি সরকারি সহায়তা বলে তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণে নিহত ১, দগ্ধ ৭
গত বছর ২৪ ডিসেম্বর ভোরে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট ৪৯ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ৩৭ জনই বরগুনার বাসিন্দা ছিলেন। ২৫ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অজ্ঞাত ২৪ লাশের মধ্যে ১৬ জনের লাশের ডিএনএ শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ডিএনএ রিপোর্ট মেলেনি আটজনের।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে থাকা খলিল দম্পতির আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায় তাদের তিন সন্তান, আহত হয়ে তিন মাস চিকিৎসা নিয়েছেন খলিলের স্ত্রী। তিন সন্তানের ছবি বুকে নিয়ে কেঁদে ওঠেন সেই দিনের ভয়াল স্মৃতি মনে করে খলিল দম্পতি।
এঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। আর অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন করা হয়েছে ২৪ট লাশ। লাশ শনাক্তের জন্য ৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। এই ২৩ জনের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে সিআইডির ডিএনএ টেস্টে।
শনাক্ত হওয়া লাশের কবরগুলো সরকারি সহায়তাসহ দ্রুত হস্তান্তরের দাবি নিহতদের স্বজনদের।
এছাড়া এক বছরেও শনাক্ত হওয়া লাশের কবরগুলো হস্তান্তর ও সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় অনেক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে, তাই দ্রুত সহয়তার দাবী সচেতন মহলের।
ডিএনএ টেস্ট আটটি লাশ এখনো শনাক্ত হয়নি। শনাক্ত হওয়া লাশের কবরগুলো আদালতের মাধ্যমে স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হবে, এছাড়া নিহত পরিবারদের শিগগিরই সহয়তার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।
আরও পড়ুন: সুগন্ধা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৬ জনের জরিমানা
লঞ্চে আগুন: সুগন্ধা নদীতে তৃতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান
১ বছর আগে
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে পুলিশ হেফাজতে নিহত রায়হানের স্বজনদের সাক্ষাৎ
সিলেটে পুলিশ হেফাজতে নিহত রায়হানের স্বজনরা ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
৪ বছর আগে