মহেশখালী
মহেশখালীতে জেলের জালে ৩০ কেজির পোপা মাছ, দাম ৭ লাখ
কক্সবাজারের মহেশখালীতে ফিশিং ট্রলারের জেলের জালে ধরা পড়েছে ৩০ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি পোপা মাছ।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে মহেশখালী হোয়ানক এলাকার এফবি মোহাম্মদ আনোয়ার মেম্বারের ফিশিং ট্রলারে মাছটি ধরা পড়ে।
পরে সকাল ১০টার দিকে হোয়ানক গালাগাজির পাড়া বাজারের জাহাঙ্গীর আলম মেম্বারের কোল্ড স্টোরেজে মাছটি আনা হয়।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা বাড়ল আরও ১৫ দিন
এদিকে এই পোপা মাছেটির দাম হাঁকানো হচ্ছে ৭ লাখ টাকা।
ট্রলারের মাঝি মাহবুব আলম বলেন, বন্যার কারণে ট্রলার নিয়ে মাঝিমাল্লারা সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারতাম না। শুক্রবার সকালে আটজন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে গিয়ে প্রথম জাল ফেলার সঙ্গে সঙ্গে মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি আমরা।
ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ আনোয়ার মেম্বার বলেন, সকালে সাগরে গিয়ে প্রথম জাল ফেলার সঙ্গে সঙ্গে একটি পোপা মাছ তাতে আটকা পড়ে। মাছটি ট্রলারে তোলার পর মাঝি বিষয়টি আমাকে জানালে ট্রলারটি নিয়ে কূলে আসতে বলি। আপাতত মাছটির দাম ৭ লাখ টাকা চাচ্ছি। ইতোমধ্যে কয়েকজন ব্যবসায়ী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন।
আরও পড়ুন: ৪ মাস ৭ দিন পর রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু
স্থানীয় লোকজনের কাছে মাছটি কালা পোপা নামে পরিচিত। এ মাছের মূল আকর্ষণ হলো পেটের ভেতর থাকা পটকা বা বায়ুথলি (এয়ার ব্লাডার)।
এই বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা হয়। এ জন্যই পোপা মাছের এমন আকাশচুম্বী দাম।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খুলনার মাছ রপ্তানি আয় কমেছে ৬৭৯ কোটি টাকা
১ মাস আগে
সোনাদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বাংলাদেশের উপকূল থেকে বিশাল জলরাশির উপর বঙ্গোপসাগরের বিস্তৃত বুককে আশ্রয় করে আছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলো। চর নামের প্লাবনভূমিগুলো অঙ্গে ধারণ করে আছে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের পলি মাটিকে। এই দ্বীপপুঞ্জের প্রত্যেকটিতে আছে আদিম জীবনের ঘ্রাণ। আছে অপরিচিত সম্প্রদায়ের মাঝে সাবলীল প্রবেশাধিকার। জেলে গ্রামগুলোর সংগ্রামী দিন যাপন, আতিথেয়তা, আর সংস্কৃতি নিমেষেই আপন করে নেয় স্তম্ভিত পর্যটককে। এমনি শত শত দ্বীপের মাঝে অন্যতম একটি দ্বীপ সোনাদিয়া। সমুদ্র-বিলাসীদের এই চিরন্তন গন্তব্যে পাড়ি জমাতে চলুন, এই দ্বীপাঞ্চলে ভ্রমণ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সোনাদিয়ার ভৌগলিক অবস্থান
বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন স্থান কক্সবাজার থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত মহেশখালী। এই উপজেলার অন্তর্গত কুতুবজোম ইউনিয়নের ছোট্ট একটি দ্বীপ সোনাদিয়া। প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটারের এই দ্বীপটি একটি খাল দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়েছে মহেশখালী দ্বীপ থেকে।
ভূতত্ত্ববিদ ও ভূগোলবিদদের মতে, বাঁকখালী নদীর স্রোতধারা ও মহেশখালী প্রণালীর সঙ্গে সাগরের ঢেউয়ের সংঘর্ষে এই দুই এলাকার ঠিক মাঝে বালি জমে জমে জন্ম নিয়েছে সোনাদিয়া দ্বীপ।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের বাকলাই জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলাদেশের অন্যতম সুউচ্চ ঝর্ণায় যাবার উপায় ও খরচ
সোনাদিয়া দ্বীপের নামকরণের ইতিহাস
১০০ থেকে ১২৫ বছর আগে সাগরের মাঝে জেগে ওঠা এই চরে মানুষের বসতি গড়ে উঠে। এরই মাঝে এ দ্বীপের সঙ্গে জড়িয়ে যায় রোমাঞ্চকর সব কিংবদন্তি।
একদা এক বিদেশী জাহাজ মহেশখালীর উপকূলের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় পর্তুগিজ জলদস্যুদের কবলে পড়ে। মালবাহী এই বাণিজ্যিক জাহাজে ছিল প্রচুর পরিমাণ স্বর্ণ। নাবিকদের সঙ্গে জলদস্যুদের সংঘর্ষে পুরো জাহাজটি সাগরের নিচে তলিয়ে যায়। পরবর্তীতে এই দূর্ঘটনাস্থলে বালি ও পলি জমে আস্ত এক দ্বীপের সৃষ্টি হয়। স্বর্ণবাহী জাহাজডুবির ঘটনার কারণে স্থানীয় জেলেদের মাঝে দ্বীপটি স্বর্ণ দ্বীপ বা সোনাদিয়া দ্বীপ নামে পরিচিতি পায়।
এই জায়গাটি নিয়ে লোকমুখে আরও মজার মজার গল্প শোনা যায়। প্রায় পৌনে তিনশ’ বছর আগের কথা। একবার লুতু বহদ্দার নামের এক জেলের জালে এক অদ্ভূত ও রহস্যময় পাথর ধরা পড়ে। পাথরটি সে সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে আসে এবং তা ঘরে ঢোকার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড় ভ্রমণ: বাংলার দার্জিলিং যাওয়ার উপায় ও খরচের বৃত্তান্ত
একদিন এক নাপিত এই সিঁড়িতে বসে কাঁচিতে ধার দেওয়ার সময় অসাবধানে পাথরটি ভেঙ্গে ফেলে। আর সঙ্গে সঙ্গেই তার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে একটি স্বর্ণমুদ্রা। অতঃপর বহদ্দার ও নাপিত সেই স্বর্ণমুদ্রা বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। লুতু বহদ্দার যে স্থানে জাল ফেলেছিল সেটি ছিল মূলত একটি চরের সৈকত। আর সেই চরটিই আজকের সোনাদিয়া দ্বীপ।
কেউ কেউ মনে করেন, এক সময় এখানে মুক্তার চাষ হতো। সেই মুক্তা কেনা-বেচা হতো স্বর্ণের দামে। আর এই কারণেই দ্বীপের নামকরণ করা হয় সোনাদিয়া।
৬ মাস আগে
মহেশখালী ভ্রমণ গাইড: বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপে যাওয়ার উপায়, আনুষঙ্গিক খরচ
দীপাঞ্চল ভ্রমণ মানেই বিচ্ছিন্ন কোনো ভূখণ্ডে সাগর ও আকাশের দিগন্তরেখায় অর্ধচন্দ্র ডিঙি নৌকার মিলিয়ে যেতে দেখা। যেখানে ঢেউয়ের পিঠে চেপে যাযাবর পলিমাটি ঠিকানা খুঁজে পায় প্রাণবন্ত গ্রামগুলোর কাঁচা সৈকতে। বঙ্গোপসাগরের সংস্পর্শে থাকায় সবুজ বাংলাদেশের ভ্রমণকারীরাও পরিচিত এমন দৃশ্যের সঙ্গে। তবে দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ হওয়ার বিশেষত্বটা মহেশখালীকে আলাদা করেছে আর সব উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে। শুধুই কি পাহাড়ের চূড়া থেকে পাখির চোখে দ্বীপ দর্শন! এখানে আছে দেশের অকৃত্রিম সব সৌন্দর্য্যের উপাদান।
চলুন, বাংলাদেশের এই ল্যান্ডমার্ক দর্শনীয় স্থান মহেশখালী দ্বীপে ভ্রমণের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মহেশখালীর ভৌগলিক অবস্থান ও বিশেষত্ব
চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত প্রশাসনিকভাবে স্বীকৃত এক উপজেলা মহেশখালী। ৩৬২ দশমিক ১৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলাটি মহেশখালী, সোনাদিয়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা- এই চারটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
এর পূর্বে রয়েছে কক্সবাজার সদর ও চকরিয়া উপজেলা এবং পশ্চিমে কুতুবদিয়া উপজেলা ও বঙ্গোপসাগর। উত্তরে চকরিয়া উপজেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও কক্সবাজার সদর উপজেলা।
মহেশখালীর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মিষ্টি পানের সুখ্যাতি। সেই সঙ্গে চিংড়ি, লবণ ও মুক্তা চাষের জন্যও স্থানটি দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে পরিচিত।
১৫৫৯ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সৃষ্টি হয় মহেশখালী দ্বীপ। এর পাদদেশে প্রবাহিত চ্যানেল এবং পূর্ব প্রান্ত দিয়ে উত্তর দক্ষিণমুখী পাহাড় এখনও সেই সংযুক্তির চিহ্ন বয়ে চলেছে।
জনতা বাজার নামক জায়গাটিতে নতুন নির্মিত হওয়া মহেশখালী সেতু বর্তমানে মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে দ্বীপের সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করছে।
আরও পড়ুন: মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় এবং আনুষঙ্গিক খরচ
৯ মাস আগে
মহেশখালীতে জেলের জালে ১৬৯টি পোপা মাছ, দাম হাঁকছেন ১ কোটি টাকা
কক্সবাজারের মহেশখালীতে মোজাম্মেল নামে এক জেলের জালে ১৬৯টি পোপা মাছ ধরা পড়েছে। এগুলোর দাম হাঁকা হচ্ছে এক কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) মহেশাখালী ধলকাটা মালিকানাধীন এফবি মোজাম্মেল ফিশিং ট্রলারের জেলেদের জালে ১৬৯টি মাছ ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
এরপর শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ট্রলারটি মহেশখালী জেটি ঘাটে এসে পৌঁছালে মাছগুলো দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা। ট্রলার থেকে মাঝি-মাল্লারা পোপা মাছগুলো ফিশারি ঘাটে নিয়ে আসেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় মাছটি ‘কালা পোপা’ নামে পরিচিত।
ট্রলারের মালিক মোজাম্মেল বলেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায় ট্রলারটি। সাগরে জাল ফেললে জালে ধরা পড়ে ১৬৯টি পোপা মাছ। তবে মাছগুলোর ওজন মাপা হয়নি।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে জেলের জালে ধরা পড়ল ৮৫ কেজির বাঘাইড় মাছ!
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে মাছের দাম হাকা হয়েছে এক কোটি টাকা। এ পর্যন্ত মাছগুলো দাম উঠেছে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। ভালো দামে বিক্রির আশায় মাছ ফ্রিজিং করে কক্সবাজার শহরে নিয়ে যাওয়া হবে।
মহেশখালী উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফারহান তাজিম বলেন, এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম মিকটেরোপারকা বোনাসি। এই মাছের বায়ুথলী দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিকাল সুতা তৈরি করা হয় বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মাছের চাহিদা আছে। পোপা মাছের বায়ুথলী বেশ মূল্যবান বলে এই মাছের দাম অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে জেলের জালে ধরা পড়ল লাখ টাকার মেদ মাছ
১০ মাস আগে
মহেশখালীতে নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের অনুমোদন পেল সামিট গ্রুপ
কক্সবাজারের মহেশখালীতে দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে স্থানীয় সামিট গ্রুপ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এই চুক্তির আওতায় সামিট গ্রুপের আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পুনরায় গ্যাসে রূপান্তরের জন্য এলএনজি টার্মিনাল হিসেবে নতুন ভাসমান স্টোরেজ ও রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট স্থাপন করবে।
অনুমোদন অনুযায়ী, সামিট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড ১৫ বছর মেয়াদি টার্মিনাল ইউজ এগ্রিমেন্ট (টিইউএ) এবং ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট (আইএ) সই করবে। এই চুক্তির আওতায় প্রতিদিন ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে গ্রুপটি। পুনরায় গ্যাসে রূপান্তরের খরচ পড়বে ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছরের ১৪ জুন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদনের পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
এটি হবে দেশের তৃতীয় এলএনজি টার্মিনাল। কক্সবাজারের মহেশখালীতে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলেরেট এনার্জি কর্তৃক ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এবং একই এলাকায় একই ক্ষমতাসম্পন্ন আরও একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করেছে সামিট গ্রুপ।
কাতার ও ওমান থেকে পেট্রোবাংলার আমদানি করা এলএনজি পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর করার জন্য এক্সেলেরেট এনার্জি ও সামিট যথাক্রমে ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে সরকারকে এফএসআরইউ পরিষেবা দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সামিট গ্রুপের প্রস্তাবটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ) আইন-২০১০ এর অধীনে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়া হিসেবে উত্থাপন করে, যা সরকারকে প্রতিযোগিতামূলক নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই চুক্তি প্রদানের অনুমতি দেয়।
এর আগে সিসিইএ’র অনুমোদিত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, প্রস্তাবিত সামিটের টার্মিনালের পুনঃগ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা হবে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি (এমএমসিএফডি)। কিন্তু এখন সামিট ৬০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
পেট্রোবাংলা ৩০০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করছে। এর মধ্যে প্রায় ২৩০০ এমএমসিএফডি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। আর ৭০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে এলএনজি, গম, সার সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে: ল্যাভরভ
ফলে ৪ হাজার এমএমসিএফডির চাহিদা মেটাতে দেশে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাসের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
সম্প্রতি পেট্রোবাংলা কাতার ও ওমানের সঙ্গে দুটি নতুন চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তির আওতায় ২০২৬ সাল থেকে আরও এলএনজি সরবরাহ পাওয়া যাবে। এছাড়া ২০২৬ সাল থেকে অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির জন্য এক্সেলরেট এনার্জির সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি নতুন চুক্তিও সই হয়েছে।
পেট্রোবাংলার পৃথক একটি প্রস্তাবে সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিগ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৬৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ'র এলএনজি কার্গো আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আরও পড়ুন: পেট্রোবাংলার সঙ্গে এক্সেলারেট এনার্জির এলএনজি সরবরাহ চুক্তি সই
১০ মাস আগে
মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের বর্জ্যের স্তূপে লাগা আগুন ৮ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় বর্জ্যের স্তূপে লাগা আগুন শনিবার ৮ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা অতীশ চাকমা বলেন, শনিবার রাত ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এরপর থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলে। রাত ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
অতীশ বলেন, ‘প্রকল্প এলাকার খোলা মাঠে বিশাল এলাকাজুড়ে বর্জ্য জমিয়ে রাখা হয়েছে। যেখানে কাঠের পাশাপাশি লোহার অংশ, ভাঙা টিনসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, বৈদ্যুতিক যন্ত্র দিয়ে এসব বর্জ্যের কিছু একটা কাটতে গিয়ে আগুনের সূতপাত হয়।’
কুল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৫২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছেন।
প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্জ্যের স্তুপটি প্রকল্প থেকে অনেক দূরে। আগুনের কারণে প্রকল্প এলাকায় কোনো প্রভাব পড়বে না। বর্জ্যের স্তুপে থাকা উপকরণগুলো পুড়লে ক্ষতি নেই।
আরও পড়ুন: রাজধানীর আদাবরে ভবনের আগুন দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর শ্যামলীতে বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১
১ বছর আগে
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে শিশুর মৃত্যু
কক্সবাজারের মহেশখালীতে রবিবার রাত ৯টার দিকে অতি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত রবিউল হোসেন (৫) উপজেলার কালারমারছড়ার গোরা পুছুনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে বৃষ্টির সময় খেলতে গিয়ে শিশুটি নিখোঁজ হয়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজার পর রাত ৯টার দিকে স্থানীয় এক শিশুর দেখিয়ে দেয়া স্থানে পাহাড় ধসের মাটি সরিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই জানান, ধসে পড়া পাহাড়ের মাটির নিচ থেকে একটি শিশু মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পড়ুন: কক্সবাজার পাহাড়ে ১২ হাজার পরিবারের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস
২ বছর আগে
মহেশখালীতে শিশু বলৎকার ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে মামলা
কক্সবাজারের মহেশখালীতে পাঁচ বছরের শিশুকে বলৎকার এবং তা ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে তিনজনের নামে মামলা হয়েছে।
রবিবার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ছাবের আহামদের ছেলে সালাহ উদ্দিন (২২), মো. কাছিমের ছেলে মো. মামুন (১৬)এবং টুনু মিয়ার ছেলে নেজাম উদ্দিন (১৭)।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ২
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ মার্চ বিকাল ৩টার দিকে পাঁচ বছরের ওই শিশুকে মাঝের ডেইলের একটি পরিতাক্ত দোকানে নিয়ে গিয়ে সালাহ উদ্দিন, মো. মামুন, নেজাম উদ্দিন ডেকে নিয়ে বলৎকার করে। এ সময় তারা মোবাইল ফোনে ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে পরিচিত জনদের ম্যাসেঞ্জারে আদান প্রদান করে। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই জানান, শিশু বলৎকারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়েছে।
২ বছর আগে
মহেশখালীতে অস্ত্র ও গুলি জব্দ, আটক ২
কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি একনলা বন্দুক, দুটি ওয়ান শুটারগান ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের অফিস পাড়া রাস্তার মাথা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার হোয়ানক কেরুনতলী এলাকার ওমর আলীর পুত্র খায়রুল আলম (২৫) ও কুতুবজোমের সোনাদিয়া দ্বীপের নুরু মিয়ার ছেলে ছৈয়দুল করিম (৩৩)।
আরও পড়ুন: ববি ছাত্রী লাঞ্ছিত: র্যাবের হাতে ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
মহেশখালীতে ৬ জলদস্যু আটক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ
বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার মহেশখালী চ্যানেলে অভিযান চালিয়ে ৬ জলদস্যুকে আটক করেছে র্যাব-১৫। এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দের দাবি করেছে র্যাব।
আটকরা হলেন মহেশখালী উপজেলার নেজাম উদ্দিন, মো. সাকিল, মো. সাজ্জাদ, মো. সুজন, মো. মানিক ও ওমর ফারুক।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।
তিনি জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে সমুদ্রে জলস্যুদের তাণ্ডব চলছে এমন খবরে র্যাব তৎপর হয়ে কক্সবাজারের মহেশখালী চ্যানেলে অভিযান চালায়। অভিযানে র্যাব-১৫ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ চয় জলদস্যুকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাথরঘাটায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘জলদস্যু’ নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পাতার বিড়ি জব্দ, আটক ১
২ বছর আগে