শাড়ি
কুড়িগ্রামে ৮ টাকার ভ্রাম্যমাণ শাড়ি-লুঙ্গির হাট
কুড়িগ্রামে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ভ্রাম্যমাণ শাড়ি-লুঙ্গির হাটের আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ফাইট আনটিল লাইট (ফুল)।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর দিকে সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের কুমরপুর দাখিল উলুম মাদরাসা মাঠে শাড়ি-লুঙ্গি বিক্রি করে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় রেল কর্মচারীর মৃত্যু
৮ টাকায় একটি শাড়ি, ৮ টাকায় একটি লুঙ্গি ও ২ টাকায় একটি ব্লাউজ পিস বিক্রি করা হয় সংগঠনের আয়োজনে।
৮ টাকায় শাড়ি পেয়ে আমেনা বেওয়া বলেন, বর্তমানে একটা শাড়ির দাম কমপক্ষে ৩০০ টাকা। সেই শাড়ি ৮ টাকায় পেয়ে খুব উপকার হলো।
লুঙ্গি পেয়ে হামিদ মিয়া বলেন, আমি এই ৬৫ বছর বয়সে কোনোদিনও দেখিনি ৮ টাকায় লুঙ্গি পাওয়া যায়। তাই ৮ টাকায় লুঙ্গি পেয়ে আমি খুব খুশি।
ভোগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান বলেন, ফুল দীর্ঘদিন ধরে জেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অসহায় বাবা-মাকে নিয়ে কাজ করছে। ফুলের আজকের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
ফুলের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল কাদের বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সামাজিক সংগঠন ফুল শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ত্রাণ নয়, বিনিময়ে উপহার দিয়ে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে চাই।
তাই অসহায় বাবা মায়ের কাছে মাত্র ৮ টাকার বিনিময়ে শাড়ি-লুঙ্গি বিক্রি করার ব্যবস্থা করছি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় শ্যালিকা-দুলাভাই নিহত, আহত ৩
৬ মাস আগে
বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা ঢাকার যেখানে পাবেন: বধূ সাজের সেরা গন্তব্য
বিয়ে মানেই একজন নারীর অনন্যা হয়ে ওঠার সাতকাহন। অলঙ্কার ও বস্ত্রের আভরণ অন্দরমহলের দেবীকে যেন উজাড় করে তুলে ধরে সুন্দরের পূজারিদের সামনে। পরিচ্ছেদের আড়ম্বরে যেখানে সম্ভ্রম ও মর্যাদার চিরমুক্তি, সেখানে প্রত্যাশিত দিনটির মধ্যমণি হয়ে থাকে সেই পোশাকটি।
সেই সূত্রে, বাংলা ভূ-খন্ডের কারিগররা যুগ যুগ ধরে ঐশ্বর্যমন্ডিত করেছেন ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়িকে। সময় বিবর্তনে বিশ্বায়নের প্রভাবে এখন বউ সাজে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। বিগত তিন দশকে শুধুমাত্র এই বিয়ের সজ্জাকে ঘিরেই অনেকটা সমৃদ্ধ হয়েছে পোশাক শিল্প। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাল ফ্যাশনে ভর করে ব্র্যান্ডে রূপ নিয়েছে বেশ কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে, চলুন, দেখে নেয়া যাক- বিয়ের শাড়ি ও লেহেঙ্গার জন্য ঢাকার সেরা কয়েকটি মার্কেট ও ব্র্যান্ড।
বিয়ের শাড়ি ও লেহেঙ্গার জন্য ঢাকার সেরা ১০টি মার্কেট ও ব্র্যান্ড
মিরপুর বেনারসি পল্লী
শাড়ি শব্দটির সঙ্গে সবচেয়ে পরিচিত বিশেষণটি হলো বেনারসি। আর ঢাকার মিরপুরস্থ বেনারসি পল্লীর ঠিকানা আলাদা করে মনে রাখা দরকার হয় না। বহু বছর ধরে অনেকটা পরিপূরক শব্দের মতই যেন লেগে আছে ঢাকাবাসীর মুখে।
মিরপুর ১০-এ অবস্থিত এই মার্কেটের প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৫ সাল। বেনারসির পাশাপাশি এখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় কাতান ও সিল্ক। এখানে সব মিলিয়ে শাড়ির দোকানের সংখ্যা প্রায় ২০০ টি।
অন্যান্য শাড়ির মধ্যে আছে ঢাকাই মসলিন, জামদানি, টাঙ্গাইল তাঁত, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইল হাফ সিল্ক, কাটা শাড়ি, ও জর্জেট। প্রতিটি শাড়িতেই রয়েছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। পরিণত রং, হাল্কা ওজন, আর ন্যায্য দামের কারণে উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নমধ্যবিত্ত সবারই ভীড় হয় এখানে। বধূ সাজসজ্জায় শাড়ির জন্য প্রথম পছন্দ মিরপুরের এই বেনারসি পল্লী।
আরও পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট
মধ্যবিত্ত রাজধানীবাসীর সাধ্যের মধ্যে উপযুক্ত গন্তব্য হচ্ছে ধানমণ্ডির হকার্স মার্কেট। গাউছিয়া মার্কেটের উল্টো পাশে অবস্থিত এই মার্কেটে প্রচুর দোকান থাকায় একসঙ্গে অনেক সংগ্রহ থেকে পছন্দ করা যায়।
ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল ও জামদানি শাড়ির প্রসিদ্ধ দোকান তো আছেই। সেই সঙ্গে মসলিন, নেটশাড়ি, পার্টি শাড়ি, অলগেঞ্জ, পার্টি লেহেঙ্গা, ফ্লোরাল প্রিন্ট, ও টিশ্যুসহ বাহারি রকমের শাড়ি আকৃষ্ট করে ক্রেতাদের। কাতানের মধ্যে রয়েছে মন্থানের কাতান, বেনারসি কাতান, ভেলোর কাতান, ও বেলগা কাতান।
আরও পড়ুন: শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন
নিউ মার্কেট
কেনাকাটা যখন বিয়ের জন্য তখন নিউ মার্কেটে অবশ্যই একবার ঘুরে আসা উচিত। আজিমপুরের উত্তরাংশের এই বিশাল মার্কেটটি স্থাপিত হয়েছিলো ১৯৫৪ সালে।
সেই শুরু থেকেই সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের সংগ্রহ থাকার কারণে সবার কাছে এক নামে পরিচিত এই পুরনো মার্কেটটি। আর তাই শুধু শাড়ির জন্যই নয়, বিয়েতে দরকারি যাবতীয় জিনিসপত্রের জন্যও আসতে হবে এখানে।
এখানে কেনাকাটায় সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্য এবং স্বাধীনভাবে দর কষাকষির সুযোগ। বড় বড় শপিং মলের হাজার টাকার পণ্যও মাত্র কয়েকশো টাকাতেই কেনা সম্ভব এখান থেকে। এছাড়া এখানকার বেশ কিছু ব্যবসায়ী অনেক বছর ধরে কাপড় বিক্রি করে আসছেন। ফলশ্রুতিতে, এখানে দীর্ঘ মেয়াদী ক্রেতা-বিক্রেতা সুসম্পর্ক দেখা যায়।
বেইলি রোড
দীর্ঘ ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে গড়ে ওঠা শতাধিক শাড়ির দোকান বেইলি রোডকে শাড়ির বিশাল বাজারে পরিণত করেছে। এখানে পরিধেয় যেমন বাহারি, দামটাও তেমন মেলানো মেশানো।
বেইলি রোডের আশপাশ সহ দূর-দূরান্ত থেকে এখানে ক্রেতারা আসেন প্রধানত টাঙ্গাইলের তাঁত ও ঢাকাই জামদানির টানে। তবে মিরপুর, কুমিল্লা, ডেমরা, সিরাজগঞ্জ, ও পাবনাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তাঁতের শাড়িও এখানে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
এছাড়া দোকানগুলোতে মসলিন, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইলের সিল্ক, মিরপুরের কাতান, পাবনার কাতানের চাহিদাও আছে। জামদানি, বালুচুরি, সুতি, জুট কটন, জুট কাতান এবং হাফ সিল্কও কোন অংশে পিছিয়ে নেই।
বিদেশি শাড়ির মধ্যে দেখা যায় কাঞ্জিভরম, পঞ্চমকলি, শিফন, ক্র্যাফট, জর্জেট, অপেরা কাতান, কাঁঠাল কাতান, আলাপ কাতান, খাদি কাতান, ভোমকা কাতান। হাতের কাজ করা এবং ভেজিটেবল ডাই করা শাড়িও পাওয়া যায় এখানে।
জ্যোতি
১৯৯০ সাল থেকে শুরু হওয়া জ্যোতি মূলত রেডিমেড পরিধান বিক্রি করে থাকে। প্রথমে ভারতীয় শাড়ি, কামিজ এবং বধূ সজ্জার সরঞ্জাম নিয়ে নূর ম্যানশন শোরুমের মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে তারা তাদের বিয়ের সাজসজ্জায় দোপাট্টা যুক্ত করে।
তাদের বিশেষ পণ্যগুলো হলো বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা, এবং প্রসাধনী। ঢাকা শহর জুড়ে জ্যোতির মোট ১১টি শাখা রয়েছে।
আনজারা
২০১৪ সালে একটি অনলাইন শপ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় আনজারার। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নওরীন ইমান ইরা এবং আবিরুল ইসলাম চৌধুরী। খুব ছোট থেকে ইরার ডিজাইনার হতে চাওয়ার স্বপ্নের ফসল এই আনজারা। আবির সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠানটির অর্থায়ন এবং বিপণনের কাজটি দেখাশোনা করেছেন।
তাদের দক্ষতার জায়গা হচ্ছে লেহেঙ্গা, গাউন, শাররা, এবং ঘাররাসহ বিভিন্ন ধরনের বধূর পোশাকে।
আরও পড়ুন: লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে টুর্যাগ অ্যাক্টিভের অংশীদারিত্ব
আনজারা এখন কেবল ইন্টারনেটেই সীমাবদ্ধ নেই। তাদের এখন ঢাকায় তিনটি শাখা, যার প্রত্যেকটিরই রয়েছে ভিন্ন শৈলীর পোশাক। প্রধান শাখাটি থেকেই মূলত বিয়ের পোশাক বিক্রি করা হয়। আর অন্য দুটিতে তোলা হয়েছে বিভিন্ন পার্টিতে পরিধানের পোশাক।
১ বছর আগে
জয়পুরহাটে একই শাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক শাড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ জুন) দুপুরের দিকে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের আলাদীপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: যশোরের জেল পুলিশের স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন- স্বামী দিনমজুর সোহেল মন্ডল (৪২) ও তার স্ত্রী পারুল বিবি (৩৭)। তাদের বাড়ি ওই একই গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত পারুল বিবি তার সাবেক স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর বাবার বাড়িতে একাই থাকতেন। এ সময় একই গ্রামের বিবাহিত সোহেল রানার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
একপর্যায়ে তারা গোপনে বিয়ে করেন। পরে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে আয়শা সিদ্দিকা নামে স্থানীয় একজন ওই বাড়িতে দুধ দিতে গেলে ঘরের মধ্যে বাঁশের আড়ার সঙ্গে গলায় শাড়ি প্যাঁচানো স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ওই গ্রামে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। তবে পূর্ণ তদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিয়ের ১ দিন পর বরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে পাথর ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
বয়সকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মুম্বাই ম্যারাথনে শাড়ি পরে দৌড়ালেন ৮০ বছরের ভারতী
ইচ্ছাশক্তির কাছে বয়স যে বাধা নয় তা দেখিয়েছেন ৮০ বছর বয়সী ভারতীয় এক নারী। বয়সকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন টাটা মুম্বাই ম্যারাথনে। পরনে ছিল শাড়ি, হাতে ছিল দেশের পতাকা।
ভারতী, রবিবার অনুষ্ঠিত ম্যারাথনটির ১৮ তম সংস্করণে ৫৫ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীদের একজন। বিভিন্ন সমালোচনামূলক সামাজিক সমস্যায় নিজেদের সমর্থন ও প্রতিবাদ জানাতেই মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন নানা পেশার ও বয়সের মানুষ। ইচ্ছাশক্তি দেখিয়েছেন প্রতিবন্ধীরাও।
ম্যারাথনে ৮০ বছর বয়সী এই নারী ছিলেন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। শুধু যে ম্যারাথনে তা কিন্তু নয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসে বলা হয়, পরিবার ও বন্ধুদের জানাতে ভারতীর নাতনি ডিম্পল মেহতা ফার্নান্দেস ইনস্টাগ্রামে ম্যারাথনে তার দৌড়ের একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন বয়স্ক নারীর পরনে শাড়ি, পায়ে দৌড়ের জুতা ও হাতে দেশের পতাকা। মুখে বুদ্ধিদীপ্ত ও প্রাঞ্জল হাসিও দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: পায়ে লিখেই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেল অদম্য মানিক
ইন্সটাগ্রাম পোস্টে তিনি লিখেছেন, ’৮০ বছর বয়সী নানীর ইচ্ছা ও দৃঢ়তা তাকে টাটা ম্যারাথনে দৌড়াতে অনুপ্রাণিত করেছে।’
ভিডিও’র এক অংশে ভারতীকে বলতে শোনা যায়, এটি তার ষষ্ঠবারের মতো ম্যারাথনে অংশগ্রহণ। আর এর জন্য তিনি প্রতিদিন অনুশীলন করেছেন।
তিনি যুবকদের দৌড়ানো ও ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়েছেন।
ভারতী ৫১ মিনিটে ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার দৌড়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে চাল কলে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে বৃদ্ধা নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ে একটি চাল কলে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আয়শা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ভেলাজান বাজারে জহির ডিলার মিলের চাল কলে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তূতি নেয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আয়শা বেগম পাহার ভাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধা ধান শুকানোর কাজে ভেলাজান বাজারের ওই চালকলে আসেন। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে অসাবধানতাবশত মিলের ফিতার মধ্যে শাড়ি পেচিঁয়ে যায় তার। এতে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ভারত থেকে আসা ঠাকুরগাঁওয়ে আহত নীলগাইয়ের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
হিরো কেন হিজড়া !
হিরো আলমকে অনেকেই জানেন, চেনেন, নানা কারণে। তবে সবাই যে তাকে পছন্দ করেন তা নয়। কিছু মানুষ তো মনে করেন যে তিনি নিশ্চয় ‘গান বিরোধী কোনো চরমপন্থী দলের সদস্য’। বেশ বেসুরো কণ্ঠে গান গেয়ে থাকেন, অথচ সেগুলো পাবলিক শোনে। অনেকেই তাকে পছন্দ করে, অনেকেই মজা পাওয়ার জন্য তাকে শোনে, দেখে। তবে এটা ঠিক যে তিনি জনপ্রিয়, তার কাজকর্ম নজর কাড়ে। আর সেটাই তো চাই!
আলমের লাল শাড়ি
ইদানিং হিরো আলমকে লাল শাড়ি, চুড়ি-গহনা পরে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। বোঝাই যায় তিনি কোনো চমক দেখাবেন এবং সেটি হচ্ছে একটি মিউজিক ভিডিও। হিরো আলম জানিয়েছেন, এই ভিডিওর শিরোনাম ‘ভাইরাল বউ’। বানাচ্ছে সরদার প্রোডাকশন। ফেসবুকে এখন তার ছবি ঘুরছে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আলম লাল শাড়ির সঙ্গে লাল ব্লাউজ পরেছেন। কপালে লাল টিপ আর ঠোঁটে লাল লিপস্টিক। আর কাঁধে নিয়েছেন একটি লেডিস ব্যাগ। এ ব্যাপারে হিরো আলমের ভাষ্য, ‘আপনারা আমাকে নতুন রূপে দেখছেন। সবাই জানেন, হিজড়ারা কতটা অসহায়। তাদের সেই জীবনের গল্প নিয়ে এবারই প্রথম মেয়ে সেজে অভিনয় করছি। সামনে ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে। আপনাদের ভালোবাসা ও দোয়া চাই।’ বোঝা যাচ্ছে ‘হিজড়া আলমে’র সাহস আছে!
হিজড়া হয়ে রুজি !
তবে এটা ঠিক যে হিজড়াদের নিয়ে আমাদের ইদানিং আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের নিয়ে বেশ কিছু সংগঠন কাজ করছে। শুধু তাই নয়, খবর এসেছে যে চাঁদপুরে বেশ কিছু যুবক হিজড়া হয়েছে এবং প্রতিদিন হিজড়াদের সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেলো, এর পিছনে মূল কারণ অর্থনৈতিক। সেখানে ইউএনডিপি হিজড়াদের কল্যাণে একটি প্রকল্প নিয়েছে, তাই লাইন এত বড় হয়েছে। এই প্রথার ইতিহাস কিন্তু দীর্ঘদিনের। রাজ দরবারে চাকরির আশায় এক সময় স্বেচ্ছায় হিজড়া হয়েছে অনেকে। সেই ধারা এখনো চলছে কিছুটা হলেও।
রুজিই শেষ কথা ?
রুজির সংকট বড় সংকট। তাই যদি একটা ব্যবস্থা হয়ে যায়, সেই চিন্তা থেকে অনেকেই হিজড়া হতে রাজি হবে। এতে অনেকে গালি দিতে পারেন, কিন্তু এতে দোষের কী আছে ? চুরি, ডাকাতি, স্মাগলিং, দুর্নীতি, টাকা মেরে দেয়ার চেয়ে তো এইসব অনেক উত্তম।
বাংলাদেশের বহু মানুষ যারা বিদেশে পাড়ি জমায় তারা যে কী কষ্ট করে যায়, থাকে ও টাকা পাঠায়, যারা করে তারাই জানে। তারা নিজেরাই সেধে যায়, নিজেরাই দালাল সন্ধান করে, টাকা দেয়, কষ্ট করে। হিজড়া হতে বরং সাহস লাগে, কারণ কিছু তো খোয়াতে হয়। তবু এটা হচ্ছে।
যারা হিজড়া তারা অসহায় , যারা গান বানায় তারা অসহায়, যারা বিপদ জেনেও বিদেশ যেতে সাগর পাড়ি দেয় তারাও অসহায়... তবে এর মধ্যেও এক ধরণের সাহস আছে। যা করার দরকার করবো, তবু রুজির একটা ব্যবস্থা করতে হবে। তবে এর মধ্যে বিপদও আছে। কারণ একই যুক্তি দিয়ে অনেকে অপরাধ করে। তাহলে কি শেষ পর্যন্ত রুজিই শেষ কথা?
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
৩ বছর আগে
চকলেটের চালানে ২ কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি জব্দ
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা একটি চকলেটের চালানের ভেতর থেকে মঙ্গলবার দুই কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি জব্দ করেছে বিজিবি।
৪ বছর আগে