পাবলিক পরীক্ষা
আগামী বছরের পাবলিক পরীক্ষা যথাসময়ে নেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘এখন যে পাবলিক পরীক্ষা নিতে দেরিটা হয়েছে, পরবর্তীতে তা সমন্বয় করা হবে। কাজেই কারও অসুবিধা হবে না ইনশাআল্লাহ। আগামী বছরের যে সব পাবলিক পরীক্ষা রয়েছে, সেগুলো একেবারে যথাসময়ে নেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু এ বছরের মতো এত দেরি হবে না।’
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে এই সিদ্ধান্তটি হওয়ার পরে আপনাদের কী মনে হয়? আমাদের ২২ লাখ শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার সুযোগ ছিলো। এখনও তো দেশের প্রতিটি জেলায় ফাইজারের টিকা দেয়ার মত অবস্থা নেই। কাজেই আমরা চেষ্টা করছি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে কিভাবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে দিতে পারি। যেহেতু আমাদের সব জেলায় টিকা দেয়ার মত অবকাঠামো নেই, তারপরেও আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মিলন মাহমুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু
এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণা: আটক ৩
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু
৩ বছর আগে
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু
সারাদেশে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে রবিবার শুরু হয়েছে এবং পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী ২৩ নভেম্বর এ পরীক্ষা শেষ হবে।
সাধারণত প্রতি বছর এ পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ বছর করোনা মহামারির কারণে সূচি অনুযায়ী এ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে সরকার ১৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয় এবং ২৭ সেপ্টেম্বর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রায় ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর আগের বছর এ পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বৃত্তিপ্রাপ্তদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকায় বিদায় সভা
এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গ্রুপ ভিত্তিতে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়া হবে।
নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৮ লাখ ৯৯৮ জন, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে দাখিলে তিন লাখ এক হাজার ৮৮৭ জন ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কারিগরি পরীক্ষায় অংশ নেবে এক লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন শিক্ষার্থী।
এছাড়া বিদেশ থেকে ৪২৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। সারাদেশে প্রায় তিন হাজার ৬৭৯টি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
এ বছর প্রশ্নফাঁস রোধ করতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নজরদারি করা হবে। যদি কোনো আইডিকে সন্দেহজনক মনে হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যবেক্ষণ করবে ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
১৩ অক্টোবর এসএসসি পরীক্ষার নিরাপত্তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সাথে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুবির ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
বিশেষ পরীক্ষার দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত অবরোধ
৩ বছর আগে
এইচএসসির ফল প্রকাশের আগে শিক্ষার্থী ভর্তি নয়: ইউজিসি
উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু না করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
৪ বছর আগে