বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
সিলেটে করোনায় আরও ১৩ মৃত্যু
মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জন সিলেট জেলার, ৬ জন ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এবং একজন হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
একই সময়ে বিভাগে নতুন করে আরও ৭৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে চার জেলায় মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ১ হাজার ৮৭৩ টি। শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ০৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭৬১ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ৬০৯ জন, সুনামগঞ্জে ৫৫ জন, হবিগঞ্জে ৩৬ জন এবং মৌলভীবাজার জেলায় ৬১ জন মারা গেছেন।
পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনায় আরও ৩৪ প্রাণহানি
নতুন শনাক্ত হওয়া ৭৩১ জনের মধ্যে ৪৪৫ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে সুনামগঞ্জের ৬০ জন, হবিগঞ্জের ১৩৫ জন এবং মৌলভীবাজার জেলার ৯১ জন। এনিয়ে বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৪৬১ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ২৭ হাজার ১২০ জন, সুনামগঞ্জে ৫ হাজার ৬২ জন, হবিগঞ্জে ৫ হাজার ২৪৯ জন ও মৌলভীবাজারে ৬ হাজার ৩০ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ আরও জানায়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৭৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে সিলেট বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৫৩ জন।
পড়ুন: বরিশাল বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ৩২
টিকা না দিলে শাস্তি: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার
৩ বছর আগে
খুলনা বিভাগে আজও ৪৬ মৃত্যু, শনাক্ত ১৪৩৫
খুলনা বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৩৫ জনের। এর আগে সোমবার (২৬ জুলাই) বিভাগে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়া জেলায়। বাকিদের মধ্যে খুলনায় ৯ জন, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে চারজন করে, বাগেরহাট, যশোর, নড়াইল, মাগুরা ও ঝিনাইদহে দুজন করে এবং সাতক্ষীরায় একজন মারা গেছেন।
পড়ুন: করোনা: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চিকিৎসা সামগ্রী উপহার
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৮৯ হাজার ৮৮৩ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ২৬৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৩ হাজার ৯৬৩ জন।
পড়ুন: করোনা: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চিকিৎসা সামগ্রী উপহার
বরিশাল বিভাগে করোনা আক্রান্ত ৩০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২০
৩ বছর আগে
কোভিড-১৯: খুলনা বিভাগে একদিনে মৃত্যু ৫১
খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৩২ জনের।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা জেলায়। বাকিদের মধ্যে কুষ্টিয়ায় ১০ জন, যশোরে ৬, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল ও মাগুরায় ৩ জন করে এবং বাগেরহাটে ও মেহেরপুরে একজন করে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনার ৪ হাসপাতালে করোনায় মৃত্যু ২২
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৬৭ হাজার ৫৩১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৪১৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৪ হাজার ১৮৪ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে খুলনায়। জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৩৮ জনের। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭ হাজার ৮৯৮ জনের। মারা গেছেন ৩৬৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ১৭২ জন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়াতে একদিনে করোনায় আরও ১৭ মৃত্যু
বাগেরহাটে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩৫ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ২৭৪ জনের। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯৪৮ জন।
সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৮৬ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৫০ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৯০৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৩৫২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৫২৫ জন। মোট মারা গেছেন ১৯৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় নড়াইলে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৬ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ২৫০ জনের। মোট মারা গেছেন ৫৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৯১ জন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় আরও ১৮ মৃত্যু
মাগুরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৯২২ জনের। মোট মারা গেছেন ৩৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৯ জন।
ঝিনাইদহে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৪৪ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৩২০ জন। মোট মারা গেছেন ১১৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৮২ জন।
২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৩২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৬৬৩ জনের। মোট মারা গেছেন ২৯৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ২৬৩ জন।
চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৯১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ২৬৬ জন। মোট মারা গেছেন ১০৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৮৫ জন।
মেহেরপুরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৯৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৩৬৩ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৯৩ জন।
৩ বছর আগে
খুলনা বিভাগে করোনায় আরও ২৮ মৃত্যু, শনাক্ত ১২০২
খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাস গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২০২ জন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে খুলনায় পাঁচজন, বাগেরহাটে পাঁচজন, যশোরে চারজন, নড়াইলে চারজন, কুষ্টিয়ায় চারজন, ঝিনাইদহে দুজন, চুয়াডাঙ্গায় দুজন এবং মেহেরপুরে দুজন মারা গেছেন।
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৫২ হাজার ১৬৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮১ জনে। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬১৫ জন।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফরম পূরণ স্থগিত
খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা জানান, ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেলার পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া খুলনা জেলা ও মহানগরীতে ৬৫৪টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২৯৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। যা মোট নমুনা পরীক্ষার ৪৫ শতাংশ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে খুলনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৬৩২ জনের। মারা গেছেন ২৪০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৫২৮ জন।
এদিকে, খুলনার তিনটি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জন, খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজন এবং বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে চিকিৎসাধীন ছিলেন তারা।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা করোনা হাসপাতালে রেড জোনে নয়জন ও ইয়ালো জোনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন, আবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯ জন। আর আইসিইউতে রয়েছেন ১৯ জন। খুলনার ১৩০ শয্যার করোনা হাসপাতালে ১৬০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘কঠোর লকডাউন’ পালনে সেনাবাহিনী থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
খুলনা ২৫০ জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালটিতে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১২ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন। ভর্তি ছিলেন ৬৮ জন, এর মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ৩৫ জন নারী।
গাজী মেডিকেলের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ৮৮জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তার মধ্যে ৬ জন আইসিইউ এবং ৫ জন এইচডিইউতে। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২২ জন, নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন।
৩ বছর আগে
লাইসেন্স নেই, খুলনার ২৬টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তালা
লাইসেন্স না থাকার অভিযোগে খুলনায় ২৬টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
৩ বছর আগে