বাঘাইছড়ি
বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সাজেকে আটকা আড়াই শতাধিক পর্যটক
বাঘাইছড়ি উপজেলায় টানা ৪ দিনের বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার কাচাঁলং নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঘাইছড়ির নিচু অঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। গত ৩ মাসের ব্যবধানে এটি তৃতীয় দফার বন্যা।
অপরদিকে খাগড়াছড়ি জেলাধীন দীঘিনালার কবাখালীতে সড়কের একাংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাঘাইছড়ি থেকে দেশের অন্যান্য জেলা-উপজেলায় দূর পাল্লার যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ফলে সাজেকে আটকা পড়েছেন প্রায় আড়াই শতাধিক পর্যটক।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে: এফএফডব্লিউসি
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের দীঘিনালা উপজেলার কবাখালি অংশের সড়ক ডুবে গিয়ে রাঙ্গামাটির সাজেকসহ বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলা সঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাজেক যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি ডুবে যাওয়ায় পানি না কমা পর্যন্ত আটকা থাকবেন সেখানে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা।
এদিকে, বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের করেঙ্গাতলী সড়ক ও পৌর এলাকার উগলছড়ি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের উগলছড়ি, বেপারী পাড়া, নিউলাইল্ল্যা ঘোনা এবং পৌরসভার বটতলী, মাদরাসা পাড়া, হাজী পাড়ার কিছু অংশ পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আখতার বলেন, ‘বাঘাইছড়িতে আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ৫৫ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং বন্যা দূর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে কিছু আশ্রয় কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তরা আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছে। যারা আশ্রয় নিয়েছে তাদের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সাজেক সড়কের দীঘিনালার কবাখালি অংশের সড়ক ডুবে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে। এ কারণে গত সোমবার ও মঙ্গলবার সাজেকে যারা বেড়াতে এসেছেন তারা মূলত আটকে পড়েছেন। আনুমানিক পর্যটকের সংখ্যা প্রায় আড়াই শতাধিক হবে। সড়ক থেকে পানি নেমে গেলে তারা গন্তব্যে ফিরে যাবেন।’
এদিকে বাঘাইছড়ির মাটি ও মানুষকে বন্যার কবল থেকে রক্ষায় বাঘাইছড়ির বেশ কিছু স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে বাঘাইছড়িবাসী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বন্যার আশঙ্কা, ফেনী-চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত: এফএফডব্লিউসি
৪ মাস আগে
অবরোধে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন ফের স্থগিত, সাজেকে আটকা তিন শতাধিক পর্যটক
রাঙ্গামাটিবৈরী আবহাওয়া এবং সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে দ্বিতীয় দফায় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এদিকে, কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে যাওয়া তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
শনিবার (৮ জুন) সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে এবং সাজেকের বাঘাহাট নির্বাচনি এজেন্টদের হুমকির প্রতিবাদে বাঘাইছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে মাচলং নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এ কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হোসেন খান জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে ৯ জুন অনুষ্ঠিতব্য বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে, ২৯ মে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ায় কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রথম দফায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
এদিকে, মাচলং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব বিপুল চাকমা জানিয়েছেন, নির্বাচন স্থগিত করায় বাঘাইছড়িতে দুপুর ১২টার পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে। তবে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন না হলে আবারও অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
দুপুরে অবরোধ প্রত্যাহার হলে পর্যটকরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিয়েছে।
অবরোধ চলাকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের সড়কে অবরোধকারীরা গাছেরগুড়ি ফেলে তাতে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করে। এছাড়া বাঘাইছড়ির মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের ৭ কিলোমিটার এলাকায় একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে সাজেকের ভোটকেন্দ্র থেকে মালামাল নিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে ৯ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হওয়ার ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে।
৬ মাস আগে
ভারী বর্ষণে বাঘাইছড়িতে পাহাড়ি ঢল, ৩টি গ্রাম প্লাবিত
ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তত ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি মারিশ্যা দীঘিনালা সড়কে ১০টি স্থানে পাহাড় ধসে সকাল থেকে সারাদেশের সঙ্গে বাঘাইছড়ির যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সাজেকের মাচালং ও বাঘাইহাট বাজার তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকে আটকে পড়েছেন ১২০ জন পর্যটক। পাহাড় ধসে হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও সড়কের আটকা পড়েছে বহু যানবাহন। দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ
এদিকে এক টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কাচালং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হয়ে বাঘাইছড়ির নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে তলিয়ে গেছে বহু রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, স্কুল, মাছের পুকুর ও কৃষি জমি।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার পাহাড় ধসের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড় ধস ও নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সড়ক জনপদ বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন সমন্বয়ে সড়কের মাটি সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন।
এসময় ওসি ইশতিয়াক বলেন, সড়কের কয়েকটি স্থানে সব মাটি সরাতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। সড়ক থেকে পুরো মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আনুমানিক দুইদিন লেগে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনার ৩০ গ্রাম প্লাবিত
৬ মাস আগে
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বোধিপুর এলাকায় নিপুণ চাকমা চোগা (৩৫) নামে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে এসে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুই সন্ত্রাসী।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বোধিপুর বনবিহারে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন নিপুন চাকমা ও তার সহকর্মীরা। রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসীরা এসে নিপুণ চাকমাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
ইউপিডিএফ প্রসিত দলের বঙ্গলতলী এলাকার সমন্বয়ক আর্জেন্ট চাকমা বলেন, জেএসএস এমএন লারমা দলের দুই সন্ত্রাসী অতর্কিত গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনা স্থলে নিপুণ চাকমা চোগার মৃত্যু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
এই হত্যাকাণ্ডের দায় অস্বীকার করে জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপ।
এদিকে জেএসএস এমএন লারমা দলের দলের উপজেলা সভাপতি জ্ঞানজীব চাকমা বলেন, এই হত্যার সঙ্গে জেএসএস এমএন লারমা দল কোনোভাবেই জড়িত নয়।এই হত্যাকাণ্ড ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়।
এছাড়া হত্যা কান্ডের প্রতিবাদে আজ রবিবার বাঘাইছড়ি উপজেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধের ডাক দেয় ইউপিডিএফ।
বাঘাইছড়ি থানার সার্কেল অফিসার ও রাঙ্গামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল বলেন, সংবাদ পেয়ে বাঘাইছড়ি থানার ওসি ইশতিয়াক আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়েছে। এলাকাটি দুর্গম এবং রাত হওয়ায় পুলিশ পৌঁছাতে সময় লেগেছে। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
উল্লেখ, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় ইউপিডিএফের দুই সদস্য দীপায়ন চাকমা ও আশিষ চাকমাকে একই উপায়ে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় জেএসএসের সন্তু লারমা দলেকে দায়ী করে ইউপিডিএফ। পরে নিহত দীপায়ন চাকমার স্ত্রী এশিয়া চাকমা বাদী হয়ে সাজেক থানায় মামলা করলেও এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে গুলিবিদ্ধ নারীসহ ৫ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত
৯ মাস আগে
একদিনের ব্যবধানে আবারও ‘চান্দের গাড়ি’ দুর্ঘটনা, আহত ১২
একদিনের ব্যবধানে আবারও রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ‘চান্দের গাড়ি’ (পর্যটক বহনকারী যান) দুর্ঘটনায় ১২ যাত্রী গুরতর আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টার দিকে সাজেকের কংলাক পাড়া থেকে যাত্রী নিয়ে মাচালং বাজারে যাওয়ার পথে রুইলুই পাহাড় থেকে নামার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত দিঘীনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে ‘চান্দের গাড়ি’ খাদে পড়ে পর্যটক নিহত
তিনি জানান, ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সাজেকের কংলাক পাড়া থেকে যাত্রী নিয়ে মাচালং বাজারে যাওয়ার পথে রুইলুই পাহাড় থেকে নামার সময় ‘চান্দের গাড়ি’ (ঢাকা- ঘ ৫৭৬১) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাউজ পাড়ায় আনুমানিক ১০০ ফুট গভীর পাহাড়ি খাদে পড়ে যায় এতে গাড়িতে থাকা সবাই আহত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আহতরা সবাই সাজেকের স্থানীয় বাসিন্দা তৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাজেক বাঘাইহাট সড়কে যানচলাচল বেড়ে যাওয়ায় ইদানীং দুর্ঘটনা বেড়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে শিগগিরই চালক ও মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলে একটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসার পদক্ষেপ নেয়া হবে, এছাড়া আজকের পর থেকে এই সড়কে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোন চালক গাড়ি নিয়ে বের হতে পারবে না, প্রশাসন সেই পদক্ষেপ নিয়েছে।
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও হেডম্যান জুপ্পুই থাং ত্রিপুরা জানান, সাজেক সড়কে চলাচল করা অধিকাংশ ‘চান্দের গাড়ি’র ফিটনেস নেই চালকদের ও লাইসেন্স নেই তাই ঘন ঘন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, একটি পর্যটন এলাকায় এভাবে পর পর দুর্ঘটনা দুঃখজনক উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিগিগিরই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ফিটনেস বিহীন যানবাহন ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বন্য হাতির আক্রমণে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
২ বছর আগে
বাঘাইছড়িতে অটোরিকশা উল্টে নিহত ১, আহত ২
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে অটোরিকশা উল্টে এক ব্যক্তি নিহত এবং আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলার মধ্যম বাঘাইছড়ি রাবার বাগান মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সান্দ্রা চাকমা (৪৫) বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড জীবতলী গ্রামের জামিনি কুমার চাকমার ছেলে।
আহতরা হলেন- জ্ঞান বীর চাকমা (৪৬) ও জ্ঞান রতন চাকমা (৪৭)।
এ ব্যাপারে বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন খান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আমরা শুনেছি অটোরিকশা সাইড দিতে গিয়ে উল্টে একজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহতদের স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তবে এখনো কেও অভিযোগ দেয়নি,অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত ৪, আহত ১৫
সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের ৩ যাত্রী নিহত, আহত ১০
সেপ্টেম্বরে ৪০৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
২ বছর আগে
বাঘাইছড়িতে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে প্রতিবেশীর লাশ সৎকার করতে গিয়ে বজ্রপাতের আঘাতে যতিশ বিকাশ চাকমা (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার খেদারমারা ইউনিয়নের পাবলাখালী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
বিকাশ চাকমা মধ্যম পাবলাখালী গ্রামের মৃত বর্ষা বিকাশ চাকমার ছেলে।
খেদারমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্টু চাকমা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রতিবেশী দেবি চাকমা অসুস্থতা জনিত কারণে সকালে মারা গেলে দুপুরে বাড়ির পাশে সশ্মানে গ্রামবাসী তাকে সৎকার করতে নিয়ে যায়। পরে হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হলে সে দৌড়ে একটি গাছের গোড়ায় আশ্রয় নিলে সেখানে বজ্রপাতের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত যতিশ বিকাশ চাকমার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে কলেজ ছাত্র নিহত
বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে ৩ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
রাঙ্গামাটিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
রাঙ্গামাটিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। এসময় গুরুতর আহত হয়েছে আরও চারজন।
শনিবার রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দ্যা কাঁঠাল বাগান মোড় ও বাঘাইছড়ি উপজেলা দীঘিনালা এলাকায় দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহতরা হলেন-মাহেন্দ্র চালক হ্লাথোয়াইইচিং মারমা (৩২) ও মো.সামীম (৩০)।
স্থানীয় প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, নিহত ব্যক্তি হ্লাথোয়াইচিং মারমা তাংখালি পাড়া থেকে দুইজন যাত্রী নিয়ে বাঙ্গালহালিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এক পর্যায়ে গাইন্দ্যা কাঁঠাল বাগান রাজস্থলী-চন্দ্রঘোনা প্রধান সড়কে চাউল বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়। এ সময় গুরুতর আহত দুই জনকে চন্দ্রঘোনা মিশন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা নিহত
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজস্থলী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সালেহ জানান,সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ট্রাক ও মাহেন্দ্র গাড়ি দুটো জব্দ করা হয়েছে। এই ব্যাপারে আইনী প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে বাঘাইছড়ি থেকে দীঘিনালা যাওয়ার পথে জীপ (চাঁদের গাড়ী) উল্টে মো. শামীম (৩০) নামে এক হেলপার নিহত হয়েছে। এসময় গাড়ির চালকসহ আরও দুই সহযোগি আহত হয়েছে।গাড়িতে কাঠ ব্যতিত অন্য কোন যাত্রী ছিল না।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন খান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল দীঘিনালা উপজেলা হওয়ার কারণে দীঘিনালা পুলিশ এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
২ বছর আগে
বাঘাইছড়িতে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে আঞ্চলিক দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে দু’জন নিহত ও এক জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার দুই কিলো নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন জেএসএস (সন্তু লারমা) দলের সদস্য জানন চাকমা ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের সদস্য মনিময় চাকমা। এ ঘটনায় মো. মনু মিয়া নামে আহত ব্যক্তিকে বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়েছে। পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এতে বেশ কয়েকজন হতাহতের খবর শোনা গেলেও সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি। তবে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: পাথরঘাটায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘জলদস্যু’ নিহত
কুমিল্লায় জোড়া খুন মামলার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
২ বছর আগে
সাজেকে অগ্নিকাণ্ড, ৪ রিসোর্ট ও ২ রেস্টুরেন্ট পুড়ে ছাই
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে চারটি রিসোর্ট, দুটি রেস্টুরেন্ট ও একটি বসত বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
এ ঘটনায় আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরী লুসাই।
আরও পড়ুন: গুলশানে ভবনে অগ্নিকাণ্ড
তিনি জানান, ২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে অবকাশ রিসোর্ট থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পরে অবকাশ রিসোর্ট, সাজেক ইকো ভ্যালি রিসোর্ট, মেঘ ছুট রিসোর্ট, মনটানা রিসোর্ট, মারুতি রেস্টুরেন্ট, জাকারিয়া লুসাইয়ের বাসাসহ নির্মানাধীন একটি রিসোর্ট পুড়ে যায়।
আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা আগুন লাগার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। সেনাবাহিনীর সহায়তায় বড় ধরনের বিপদ হতে রক্ষা পাওয়া গেছে। দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কারখানায় আগুন নেভানোর পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু
তিনি বলেন, ‘গভীর রাতে আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় পর্যটকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, ভয়ে পর্যটকরা ছোটাছুটি শুরু করেন। এখন পর্যন্ত কোন ধরনের হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের দুই ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।’
৩ বছর আগে