ইটভাটা
চাঁদপুর সদরে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৩ অবৈধ ইটভাটা
চাঁদপুর সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ তিনটি ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই তিনটি ইটভাটা হলো— মেসার্স আফজালুর রহমান ব্রিকস ফিল্ড, মেসার্স বিআরএস ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ও মেসার্স এএমএস ব্রিকস।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান সরকার এ অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: ইটভাটা ভাঙার প্রতিবাদে সাভারে মহাসড়ক অবরোধ
চাঁদপুর আর্মি ক্যাম্প থেকে পাঠনো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে করা হয়। এ সময় লাইসেন্সবিহীনভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসসহ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ‘এর আগে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৯টি ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে চাঁদপুর জেলায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
৩৪ দিন আগে
ইটভাটা ভাঙার প্রতিবাদে সাভারে মহাসড়ক অবরোধ
উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাভারে ইটভাটা ভাঙার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ইটভাটা মালিক-শ্রমিকরা। বিক্ষোভের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে যানজটে আটকে পড়েন অসংখ্য সাধারণ যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুর দেড়টা থেকে বলিয়ারপুরে ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অবরোধকারীরা জানান, সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে সাভারে বেশ কয়েকটি ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ইটভাটা মালিক সমিতির মালিক ও শত শত শ্রমিক একজোট হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। তারা প্রশাসনকে নতুন করে ইটভাটা ভাঙা বন্ধ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলেম-ওলামাদের মহাসড়ক অবরোধ
পরে বিকাল ৩টার দিকে বিপুল সংখ্যক সেনাসদস্য সেখানে উপস্থিত হয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেন।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বকর সরকার বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ চিহ্নিত ইটভাটাগুলো ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে আরও কিছু অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দেওয়ার তালিকা রয়েছে আমাদের কাছে।’
৪৩ দিন আগে
চাঁদপুরে চার ইটভাটাকে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে চার ইটভাটা মালিককে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের পাশে বড়কুল র্পূব ইউনিয়নের রায়চোঁ এলাকায় থাকা এসব ইটভাটায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক র্কাযালয়ের নির্বাহী হাকিম ও জোষ্ঠ সহকারী কমিশনার আমজাদ হোসেন।
এ সময় মেসার্স সেলিম ব্রিকসকে চার লাখ টাকা, মের্সাস অনি ব্রিকসকে চার লাখ টাকা, মের্সাস মার্ক ব্রিকসকে চার লাখ টাকা এবং মের্সাস রণি ব্রিকসকে পাঁচ লাখ টাকা লাখ টাকাসহ মোট ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ৪ ইটভাটায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা
পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুরের উপ-পরিচালক মো মিজানুর রহমান এসব তথ্য ইউএনবিকে নিশ্চিত করে বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রন আইন- ২০১৩ এর ধারা লঙ্ঘন করে ইটভাটা পরিচালনা করার দায়ে এসব ব্রিকস ফিল্ডসদের জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে চাঁদপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হান্নান মিয়া ও পরিদর্শক শারমিতা আহমেদ লিয়া, যৌথ বাহিনীর সদস্য, পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ৮ ইটভাটাকে ৪৭ লাখ টাকা জরিমানা
৭১ দিন আগে
যশোরে অবৈধ ইটভাটার রমরমা বাণিজ্য
অবৈধ ইটভাটায় সয়লাব হয়ে গেছে যশোর। জেলায় মোট ১৪৪টি ইটভাটা থাকলেও সেগুলোর ১১৪টিই অবৈধ বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পরিবেশ আইনের ব্যত্যয় ও ডিসির লাইসেন্স না থাকায় ওই ভাটাগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার বৈধতা নেই। এমনকি জেলার কোনো ভাটাই সব শর্ত পূরণ করেনি।
পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে বেশিরভাগ ভাটা। জিগজ্যাগ পদ্ধতির মাত্র ৩০টি ইটভাটা এখন পর্যন্ত মোটামুটি আইনসিদ্ধভাবে চলছে বলে দাবি পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের।
যশোরের বেশিরভাগ ভাটার বৈধতা না থাকায় বিষয়টি এর আগে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকেও উঠে আসে। তবে সম্প্রতি অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এমদাদুল হক জানিয়েছেন, গত এক মাসে ১৮টি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। শিগগিরই অবৈধ ভাটাগুলো উচ্ছেদে কাজ শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ৮ ইটভাটাকে ৪৭ লাখ টাকা জরিমানা
২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে সংশোধনী এনে ইটভাটার জন্য লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়। নির্দিষ্ট এলাকায় ইটভাটার জায়গা, ভাটার দূরত্ব ও সংখ্যা নির্ধারণের নির্দেশনাও সে সময় দেওয়া হয়। এমনকি, লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা চালালে দুই বছরের জেল ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান সংযোজন করে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা (নিয়ন্ত্রণ) সংশোধন আইন, ২০১৯’ বিল সংসদে পাস হয়।
ধারা-৪ এ সংশোধন এনে প্রতিস্থাপন করে বলা হয়, চলমান যেকোনো আইনে যা কিছুই থাক না কেন, ইটভাটা যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ না করলে কোনো ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করতে পারবে না। কিন্তু যশোরের প্রেক্ষাপটে এ সবের ব্যত্যয় ঘটে আসছে ২০১৩ তো পরের কথা, ২০১৯ সালের সংশোধনী আইনের পর থেকেও।
পবিবেশ আইন অনুযায়ী, এক কিলোমিটারের মধ্যে আবাসিক এলাকা, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, বাগান জলাভূমি, কৃষি জমি, বিশেষ কোনো স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা অনুরূপ কোন স্থান বা প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটার বা ১ হাজার মিটার দূরত্বে ভাটা স্থাপন করতে হবে। একইসঙ্গে ভাটাগুলো এখন জিগজ্যাগ পদ্ধতির হতে হবে। ১২০ ফিট চিমনীর সনতনি ভাটা এখন আর আইনসিদ্ধ নয়, কিন্তু যশোর জেলার অধিকাংশ ভাটার ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটে চলেছে।
আইনের ব্যত্যয় ঘটলেও অনেকে এর আগে ছাড়পত্র সংগ্রহ করেছেন। যদিও বিধি অনুযায়ী, পরিবেশ আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে নিষিদ্ধ এলাকার সীমানার ভেতরে ইটভাটা স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কোনোপ্রকার অনুমতি বা ছাড়পত্র বা লাইসেন্স দিতে পারবে না। অথচ এর আগে অনেকেই নানা বাঁকা পথে হাসিল করেছেন ছাড়পত্র।
জেলায় এমন ভাটাও রয়েছে, যেখানে এক কিলোমিটার তো দুরের কথা, ২০ গজের মধ্যেই রয়েছে বসতবাড়ি, ১০০ গজের মধ্যে ঘনবসতি গ্রাম রয়েছে। ভাটা নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো শর্তই মানা হয়নি।
আবার সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবেও চলছে কয়েকটি ইটভাটা। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, আবাসিক এলাকায় ধানি ও কৃষি জমি নষ্ট করে নির্মাণ করা হয়েছে ইটভাটা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান ও মসজিদ, শতাধিক পরিবারের বসতি গ্রামসহ রয়েছে স্পর্শকাতর অনেক প্রতিষ্ঠান। বিগত সময়ে পরিবেশ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ভাটা নির্মাণ করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এক কিলোমিটারের মধ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে—জেলায় এমন ভাটার সংখ্যা রয়েছে ১১০টি। এর অনেকগুলো জিগজ্যাগ হলেও পরিবেশ আইন মানা হয়নি। শর্ত পূরণ না করেই চলছে এসব ভাটার কার্যক্রম। যে কারণে অবৈধ ভাটার তালিকায় পড়েছে সেগুলো। ওই তালিকা থেকে বছর কয়েক আগে ৩৩টি ভাটার ব্যাপারে যশোর পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট শাখায় প্রতিবেদন পাঠিয়েছিল। আইনগত বৈধতা না থাকায় ওই ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল প্রতিবেদনে। তারপরও ভাটাগুলোর অধিকাংশই এখন চলছে বহাল তবিয়তে।
সুত্রের দাবি, ডিসির লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই ভাটাগুলো চলায় সেগুলোর বেশিরভাগের পাশেই রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা; নষ্ট হয়েছে কৃষি জমি; নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আবাসিক এলাকায়।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জেলার অবৈধ ১১৪টি ভাটার ওপর সম্প্রতি নজরদারি শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গত ২৭ ডিসেম্বর ও ৮ জানুয়ারি জেলার ১৮টি অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে অধিদপ্তর। আইনগতভাবে না হলেও পরিবেশ আইনের ব্যত্যয় ঘটলে একে একে সেগুলো উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এছাড়া জেলায় খাতা-কলমে এখন যে ৩০টি বৈধ ভাটা আছে, তাদের ব্যাপারেও নতুন করে খোঁজখবর নেবে অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ৪ ইটভাটায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা
এ ব্যাপারে এমদাদুল হক ইউএনবিকে বলেন, ভাটা-সংক্রান্ত সব অসঙ্গতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মাঠে নামা হচ্ছে। সব ধরনের দেন-দরবার উপেক্ষা করে জনস্বার্থে এবং এলাকার পরিবেশ সমুন্নত রাখতে অবৈধ সব ভাটা উচ্ছেদে কাজ শুরু হয়েছে। অনেক ভাটার আংশিক ভেঙে দেওয়াও হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করা হচ্ছে।
তার ভাষ্যে, যশোরে (পরিবেশ নিয়ে) কোনো অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। আগে কী হয়েছে সেটি বিবেচ্য নয়, এখন সব ভাটাই বিধি অনুযায়ী চালাতে হবে। পরিবেশ আইনের ব্যত্যয় ঘটলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৮৩ দিন আগে
নতুন করে ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা
নতুন করে কোনো ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটাগুলোর ক্ষেত্রে ইটভাটার মৌসুম আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাচ্ছি না। তার আগেই চেষ্টা করছি এগুলো বন্ধ করতে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘যেসব ইটভাটার লাইসেন্স বা ছাড়পত্র নেই সেগুলো বন্ধ করে দেব। এগুলো তো বন্ধ করতে হবে, এগুলোর তো কোনো অনুমোদন নেই।’
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদেশ সফর শুরু হবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটার ক্ষেত্রে কোনো সহানুভূতি দেখাব না। সেগুলো বন্ধ হলে উন্নয়নে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না। নীতিগত একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে আমরা আর কোনো নতুন ইটভাটার লাইসেন্স দেব না। আমাদের কাজ হবে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সেগুলোর বিকল্প কী হতে পারে সেটি বের করা। এছাড়া যারা ব্লক ইটে যেতে চান তাদের কীভাবে প্রণোদনা দেওয়া যায় সেটি দেখা হবে।’
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে কিছু কিছু প্রকল্প সহায়তা দিচ্ছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হলো। তাদের প্রত্যাশাটা কী, তা জেনে দ্রুত পূরণ করতে পারলে, অন্তর্বর্তী সরকারকে এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে বাজেট সহায়তা দিতে তাদের সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি বাংলাদেশে আইন-কানুন, নীতি ভালো আছে। এগুলোকে আরও ভালো করা যায়। কিন্তু সক্ষমতা না বাড়ালে এগুলো বাস্তবায়নে নানা রকম সমস্যা দেখা দেবে। মানুষের প্রত্যাশার জায়গাটা পূরণ হবে না। আইন-কানুন, নীতি আমরা আরও সময়োপযোগী করব, আরও শক্ত করব।’
উপদেষ্টা বলেন, কিছু কিছু নদী পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন করে তাদের (বিশ্বব্যাংক) কাছে প্লাস্টিক, পলিথিন, শব্দ দুষণ ও কয়েকটা নদীতে দূষণ নিয়ে কথা বলেছি।
বিশ্বব্যাংক কী ধরনের সহায়তা দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে সবচেয়ে দূষিত নদী ও দূষণকারীদের তালিকা করতে। সেগুলো যখন আমরা পাব তখন একটি মনিটরিং প্ল্যান করতে পারব। ফলে বিস্তারিত রূপরেখা তৈরি হয়নি। তবে একটি রূপরেখা তো আছেই, সেখানে নতুন নতুন কম্পোনেন্ট যদি যুক্ত করতে পারি সেটি নিয়ে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে সর্বাত্মক সহায়তা করার চেষ্টা করবেন।’
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বায়ুদূষণ একদিনে সমাধান হবে না, কিন্তু এই শীতের আগে যেন বায়ুদূষণের কয়েকটি উৎস নিয়ন্ত্রণ করতে পারি সেজন্য বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা করছি। বায়ুদূষণ প্রশমনের পরিকল্পনা ও বাজেট না দেখালে নতুন করে নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হবে না। নির্মাণকাজ হবে, কিন্তু বায়ুদূষণ করে নয়। স্বল্প ব্যয়েই এটি করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
আহত বিজিবি সদস্য ও শিক্ষার্থীদের দেখতে পিলখানা হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২৩৮ দিন আগে
ইটভাটা থেকে শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ইটভাটা থেকে রাকিব শিকদার (৭১) নামে এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুন) বেলা ১১টার দিকে কাঠালতলা এলাকায় মোরেলগঞ্জ ব্রিকস ইন্ডাস্ট্রিজের ভেতরের মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পাহারাদারের হাত-পা পোড়া লাশ উদ্ধার
নিহত রাকিব শিকদার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কাঠালতলা গ্রামের মন্টু শিকদারের ছেলে।
রাকিবের বাবা মন্টু শিকদার বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পরে শুনলাম ইটভাটা থেকে ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমার ছেলের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দিন বলেন, রাকিবের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইট ভাটার পরিত্যক্ত ঘর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
২৯০ দিন আগে
ঝিনাইদহে ইটভাটার ট্রাক্টর চাপায় কলেজশিক্ষক নিহত
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ইটভাটার ট্রাক্টরের চাপায় পিষ্ট হয়ে রেজাউল করিম নামে এক কলেজশিক্ষক নিহত হয়েছেন।
সোমবার সকালে উপজেলার কলাফোলা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নিহত রেজাউল হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের মৃত গণি মোল্লার ছেলে। মল্লিক শহিদুল ইসলাম কারিগরি কলেজের শিক্ষক ছিলেন তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সকালে উপজেলার যাদবপুর গ্রাম থেকে কলেজশিক্ষক রেজাউল করিম মোটরসাইকেলে সদর উপজেলার নগর বাথান বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা ইটবোঝাই একটি ট্রাক্টর চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানায় মামলা হয়েছে। গাড়িটি জব্দ করলেও চালক পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ট্রাকচাপায় নিহত ২
কামরাঙ্গীর চরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত
৩৮০ দিন আগে
ইটভাটার দূষণ শনাক্তে ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ ব্যবহার করবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
দূষণকারী ইটভাটা দ্রুত শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তার জন্য সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণকারী ও অবৈধ ইটভাটা শনাক্তকরণ ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তার জন্য ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ ব্যবহার করবে সরকার। এর ফলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অত্যন্ত ক্ষতিকর ইটভাটা শনাক্ত করে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা সহজ হবে। ফলে ইটভাটার সৃষ্ট বায়ুদূষণ হ্রাস করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: দ্রুত লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড পেতে পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইটভাটার দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুত করা ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ উপস্থাপনাবিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটর যৌথ উদ্যোগে আইটি ও রিমোর্ট সেন্সিং প্রযুক্তি নির্ভর ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ তৈরি করা হয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই ট্র্যাকারের সহায়তায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এবং এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম জোরদার ও সফল হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. মার্টিন ম্যাটসন সহ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকমুক্ত দেশ গড়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
৪৫৪ দিন আগে
ঝিনাইদহে ইটভাটায় এক্সকেভেটর দুর্ঘটনায় চালক নিহত
ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ফাইভ স্টার ইটভাটায় এক্সকেভেটর দুর্ঘটনায় সবুজ কাজী নামে এক চালক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামের ওই ইটভাটা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সবুজ কাজী পাবনার সুজানগর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের দুলু কাজীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
নিহতের ভাই সোহাগ কাজী জানায়, রাত ১১টার দিকে এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি কাটছিলেন তার ভাই সবুজ কাজী। এ সময় মেশিনের চেইন ছিঁড়ে গেলে ডান পাশের জানালা দিয়ে চাকা দেখার চেষ্টা করছিলেন। তখন দুর্ঘটনাবশত মেশিনের বাকেটের বুম মাথায় লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
ফাইভ স্টার ইটভাটার ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান জানান, বড় ভাই অসুস্থ থাকার কারণে ছোট ভাই এক্সকেভেটর চালাচ্ছিলেন। মধ্যরাতে মাটি কাটার সময় চেইন কেটে বাকেটের বুম মাথায় লেগে মারা যায়।
স্থানীয় কালীচরণপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বর মিজানুর রহমান মিজু জানান, এটা দুর্ঘটনা না অন্য কিছু তা নিয়ে আমরা পুরোপুরি জানতে পারিনি। তবে মনে হচ্ছে মাটি কাটার সময় দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা দুর্ঘটনা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
৫১৪ দিন আগে
সরাইলে ট্রাক্টরের চাপায় ইটভাটার শ্রমিক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ট্রাক্টরের চাপায় মো. হাফিজুর রহমান নামে এক ইটভাটার শ্রমিক নিহত হয়েছে৷
শনিবার (৪ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চাকসার গ্রামের দৌলত পাড়ার সফল ব্রিকস ফিল্ডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণের দায়ে ৯ ইটভাটাকে ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা
হাফিজুর রহমান একই এলাকার মো. আবুল কাসেমের ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, হাফিজুর সফল ব্রিকস ফিল্ডে কাজ করত। শনিবার ভোর ৫টার দিকে মাটিবাহী ট্রাক্টর মাটি ফেলতে গিয়ে হাফিজুরকে চাপা দেয়।
তিনি আরও জানান, পরে ইটভাটার কয়েকজন শ্রমিক হাফিজুরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণের দায়ে ৭ যানবাহন ও ৬ ইটভাটাকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা
বায়ু দূষণ: ঢাকায় ৮ যানবাহন, ৬ প্রতিষ্ঠান ও ৬ ইটভাটার জরিমানা
৫২৯ দিন আগে