ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
বিটিভির মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশের উদ্যোগ
বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে দেশের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশের উদ্যোগ ‘বনফুল থেকে লোক লোকালয়’ অনুষ্ঠানের ৩৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার সাংস্কৃতিক সংগঠক ও শিল্পীদের পক্ষ থেকে এক আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বর্ষপূর্তির কেক কাটা এবং শিল্পীদের পক্ষে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজনে বক্তব্য দেন লোকলোকালয় অনুষ্ঠানের সংগঠক ও উপস্থাপক চৌধুরী আতাউর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে শিক্ষাবিদ ধর্মরাজ বড়ুয়া, বিশিষ্ট শিল্পী সংগঠক প্রকৌশলী জীবন রোয়াজা, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দীলিপ চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু দাউদ ও খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সম্পাদক সাংবাদিক আজহার হীরা।
শিল্পীদের পক্ষে স্মৃতিচারণ করেন অংচাইরী মারমা, ক্রাঞোরী মারমা। শিল্পী,সংগঠকরা অনুষ্ঠানের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শতকণ্ঠে কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা
২ বছর আগে
পুষনা উৎসবে মেতেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা
সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ভূমি অধিকার রক্ষা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় পুষনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সদর উপজেলার শ্রীকৃষ্ণপুর সীতা আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মঞ্চস্থ হলো গণহত্যা বিষয়ক নাটক ‘ডাকরা ও তারপর’
একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে সুমন বেশরার সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল জব্বার, শাহ্ মো. আমিনুল হক, ঝর্না বেগম, ইয়্যুথ দলের সদস্য সানি মার্ডি, মুন্নি টুডু, সীতা হেমব্রম, আরতি মার্ডি, নজরুল ইসলাম, ম্যানুয়েল হেমব্রম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চীবর দানোৎসবে মুখর পাহাড়
২ বছর আগে
ফসল কাটার প্রতিবাদে শেরপুরে বাগাছাসর বিবৃতি
শেরপুরে শ্রীবরদীর বালিজুড়ি খ্রীস্টানপাড়া এলাকায় পাঁচ গারো আদিবাসীর ফসল কেটে ধ্বংস করার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে শনিবার বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস)।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে বসবাসরত গারো আদিবাসীরা যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাস করে আসছে। গারো আদিবাসী যে অঞ্চলে বসবাস করে আসছে সে অঞ্চলকে তারা তাদের ভিটে মাটিসহ আশেপাশের বনাঞ্চলকে সংরক্ষণ করে আসছে। গারো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা বন ধ্বংস করে না, তারা বন সংরক্ষণ করে। এক কথায় বলা চলে তাদের বসবাসরত অঞ্চলের মাটিকে মা আর বনকে সন্তানের মত লালন-পালন করে আসছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, কতিপয় অসৎ বন কর্মকর্তা কর্মচারীর পাল্লায় পরে গারোদের বিভিন্ন সময় শত বছরের ভিটে মাটি ছাঁড়তে হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ আগস্ট শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি অঞ্চলের পাঁচ জন গারোর বাগান বনবিভাগের কতিপয় অসৎ বন কর্মকর্তা-কর্মচারী অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কেটে দিয়েছে। হাজার হাজার টাকা খরচ করে, শ্রম দিয়ে পরম যত্নে যে বাগান তৈরি করা হয়েছিলো, তা কেটে তছনছ করে ধ্বংস করা হয়ছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের কাছে সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দিল সেনাবাহিনী
বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ না দেয়া কিংবা জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় না আনা হলে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিভিন্ন সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে বলেও জানানো হয়েছে।
গত ১২ আগস্ট শ্রীবরদী উপজেলায় বন বিভাগের বালিজুরি রেঞ্জ (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বালিজুড়ি খ্রীস্টানপাড়া এলাকায় ভারতী মৃ, সভানী সিমসাং, সবিতা মৃ, কমলা রেমা, পয়মনি চিরানের কষ্টের আবাদকৃত সবজীর আবাদ ও সুপারি বাগানের গাছ কেটে সাবাড় করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুম ফসল কেটে ফেলায় রেঞ্জ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি
বনবিভাগের তথ্যমতে, শেরপুরে সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার প্রায় ২০ হাজার একর বনভূমির মধ্যে অন্তত আড়াই হাজার একর বনের জমি অবৈধ দখলদারের কবলে রয়েছে। বনাঞ্চলের এসব জমি উদ্ধারে সম্প্রতি দখলদারদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছে বনবিভাগ। ওই তালিকায় প্রায় ৬ শতাধিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ দুই হাজার ব্যক্তির নাম রয়েছে।
৩ বছর আগে
চাঁদপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১০টি পরিবারকে বকনা বাছুর বিতরণ
সদর উপজেলায় সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ‘সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে’এর আওতায় ১০টি পরিবারের মাঝে উন্নত জাতের ক্রসব্রিড বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।
৩ বছর আগে