সিলগালা
চুয়াডাঙ্গায় যৌথ অভিযানে ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সিলগালা, জরিমানা
চুয়াডাঙ্গায় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যৌথ অভিযান চালিয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।
এসময় একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করাসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশা নিধন অভিযান: লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা
এর আগে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান জেলার সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এরমধ্যেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও অবৈধভাবে নিয়ম না মেনে চলা ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলে।
জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমাও অভিযান পরিচালনা করতে নির্দেশনা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার যৌথ অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
অভিযানে, সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারের বিআরএম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম পাওয়া যায়।
এর মধ্যে রয়েছে- মানহীন অপারেশন থিয়েটার, সিজারিয়ানে একই চিকিৎসক এনেসথেসিয়া দেওয়া ও অপারেশন করা, ল্যাবের ব্যবস্থপনা সঠিক না হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির আরোপিত জরিমানার ১৩৭১৩৯২ টাকা পরিশোধ করেছে ঢাকা ওয়াসা
এসব অনিয়মে ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রতিষ্ঠানটিকে মেডিকেল প্রাকটিস ও বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮০ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও বন্ধ করে সিলগালা করা হয়।
এছাড়াও, সরোজগঞ্জ বাজারের মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকেও বন্ধ ঘোষণা করে সিলগালা করা হয়।
এর আগে অভিযানিক দল সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে অভিযান চালায়। সেখানে মেসার্স ক্রিসেন্ট ফার্মেসিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানেরই পাশের আরেকটি শাখাকে চূড়ান্ত সতর্ক করে প্রশাসন।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম আশিস মোমতাজ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, তিন প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সকর্ত করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ডিএনসিসির ৬ ভবন মালিককে ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা জরিমানা
৩ মাস আগে
‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম সিলগালা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনির মালিকানাধীন গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম সিলগালা করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ১০ দিন পর রুলের পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ততদিন শোরুম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: পুনরায় সিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় শেখ মুহম্মদ বেলালকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
তনির করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (২৭ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে তনির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খালেকুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।
গত ১৪ মে প্রতারণার অভিযোগে সিলগালা করা হয় গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে শোরুমটি বন্ধ করে দেয়।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- দেশে তৈরি পোশাক পাকিস্তানি বলে বেশি দামে বিক্রি করতো প্রতিষ্ঠানটি। গুলশান শ্যুটিং ক্লাব এলাকার একটি মার্কেটে বিশেষ এই অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। রাজধানীতে কয়েকটি শোরুম আছে তার। অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিকস। তবে এবার আলোচনায় এসেছে তার প্রতারণার করার অভিযোগ।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর বলছে, তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিকস বিক্রি করা হতো এই আউটলেটে। তৈরি পোশাকের মধ্যে রয়েছে গুলিস্তান, মিরপুর, সাভার ও টঙ্গী এলাকার মালামাল।
পরে গত সপ্তাহে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে করা গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম সিলগালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন রোবাইয়াত ফাতেমা তনি।
সেই রিটের উপর সোমবার প্রাথমিক শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংক ধ্বংস করছেন আ. লীগ নেতারা: বিএনপি নেতা নজরুল
মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৫ মাস আগে
শরীয়তপুরে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বাসভবন থেকে ১৩ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, ভবন সিলগালা
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বাসভবন থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৩ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর বাসভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকাল দিকে উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের বাসভবন থেকে এসব চাল জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির অপরাধে আটক ২
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের বাসায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল মজুদ রাখা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সেখানে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় সেখান থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজির ৩ বস্তা ও ৫০ কেজির ১০ বস্তাসহ মোট ১৩ বস্তা চাল এবং এক হাজার ১০০ খালি চালের বস্তা জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চালের বস্তাগুলো জব্দ করে বাসভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খাদ্যগুদাম একটি স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে সরকারের বিভিন্ন চাল মজুদ রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারি নির্দেশনা ছাড়া এখান থেকে একটি বস্তা চালও বাইরে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নিজ বাসভবনে নিয়ে চালগুলো রেখেছেন।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে চাইলে এর কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। এ কারণে চালগুলো জব্দের পর বাসভবনটি সিলগালা করে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এ বিষয়ে খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৪৮ মণ সরকারি চাল জব্দ, আটক ১
বাগেরহাটে জুট মিলে ১১৮৯ মেট্রিকটন সরকারি চাল জব্দ
১ বছর আগে
ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা ডিএনসিসির
রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত 'গুলশান শপিং সেন্টার'টি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মার্কেটটি সিলগালা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান-১ এর গুলশান শপিং সেন্টার এর হোটেল, দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সিলগালা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান।
উল্লেখ্য, গুলশান-১ শপিং সেন্টারের জরাজীর্ণ ভবন ও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার কারণে এটি ২০২১ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ডিএনসিসিকে জরুরি ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠায়।
অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন বলেন, 'গুলশান-১ শপিং সেন্টারটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যে কোনো ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে দোকান মালিকদের ভবন খালি করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা সেটি খালি করে দেননি। ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যাক্ত এই ভবন ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের জন্য মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে।'
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে সারাদেশে ১১৬ অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালার
জুলকার নায়ন বলেন, 'বার বার সতর্ক করা হলেও তারা পরিত্যাক্ত ভবনটি খালি করছে না। ব্যবসায়ীরা এটি খালি করার জন্য একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ব্যবসা পরিচালনা করে চলেছে। জানমালের নিরাপত্তার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সুপারিশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯, তৃতীয় তফসিল-১৭, ইমারত নিয়ন্ত্রণ ইমারত সম্পর্কিত প্রবিধান এর ১৭.১ ও ১৭.২ অনুযায়ী জনস্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটটি সিলগালা করা হয়েছে।'
উক্ত মার্কেটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ প্লাটুন পুলিশ ও ১ প্লাটুন এপিবিএন ও অন্যান্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ উপস্থিত হয়ে মার্কেট ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ও নিরাপত্তার স্বার্থে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গেটসমূহ তালাবদ্ধ ও সীলগালা করা হয়। মাইকিং করা হয় ও মালামাল সরানের জন্য নিদের্শনা দেয়া হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য সেবা সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ৩৭টি অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালা
ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা, আটক ১
১ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার, হাসপাতাল সিলগালা
ঠাকুরগাঁওয়ের একটি হাসপাতাল থেকে একজন ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার দুপুরে পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার ‘আমাদের হাসপাতাল’ নামের এক হাসাপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে ওই হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
গ্রেপ্তার ভুয়া চিকিৎসকের নাম শরিফুল ইসলাম (৩৯)।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামছুজ্জামান আসিফ তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
শরিফুল ইসলাম নিজেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বেলঘরিয়া থানার নন্দনপুর আমতলা গ্রামের আমির শেখের ছেলে বলে তথ্য দেয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার দেওয়া ভারতের ঠিকানা যাচাই করা সম্ভব না হয়নি। তবে তার কথা-বার্তায় ধারণা করা হচ্ছে শরিফুল ইসলাম বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকার অধিবাসী।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেবাচিম হাসপাতাল থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক
জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবত ঠাকুরগাঁওয়ের আমাদের হাসপাতালে জেনারেল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ব্রেইন স্পাইন নার্ভ বিশেষজ্ঞ হিসেবে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন তিনি। ওই ভুয়া চিকিৎসক তার নেমপ্লেটে ভারতের রাজীব গান্ধী স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেছেন বলে উল্লেখ করেন। সেখানে নাম কিছুটা পাল্টিয়ে ডা. শারিফুল ইসলাম উল্লেখ করে প্রতারণা করে আসছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামছুজ্জামান আসিফের নেতৃত্বে ঠাকুরগাঁও আনসার ব্যাটালিয়ন-১, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের পর তাকে আটক করা হয়।
মেডিকেল অফিসার ইফতেখারুল ইসলাম জানান, আটককৃত ব্যক্তির সকল সনদ ভুয়া। তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। আটক ভুয়া ডাক্তারের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তার এসএ সি ও এইসএসসি সনদ ভিন্ন নামে রেজিষ্ট্রেশন করা। তাকে দুই বছরের জেল ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ভুয়া দন্ত চিকিৎসককে কারাদণ্ড
১ বছর আগে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে সারাদেশে ১১৬ অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালার
ফরিদপুর, বাগেরহাট, মাগুরা, কেরানীগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও ও কুড়িগ্রামের স্থানীয় প্রশাসন রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) নির্দেশনা অনুযায়ী কমপক্ষে ১১৬ অনিবন্ধিত ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করেছে।
এগুলোর মধ্যে শেরপুরে ৪২টি, ফরিদপুরে ২৬টি, বাগেরহাটে ২৫টি, মাগুরায় ১৫টি, কেরানীগঞ্জে পাঁচটি ও কুড়িগ্রামে তিনটি সিলগালা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সারাদেশের সব অনিবন্ধিত ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত কোনো ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানায় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একটি দল সদর, মধুখালী, বোয়ালমারী, সালথা, নগরকান্দা, ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলায় ২৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধ করে এবং আরও ১৫টি হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসন জেলার ৯টি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ২৫টি অবৈধ হাসপাতাল সিলগালা ও মোট ৩৫টি হাসপাতালকে পাঁচ লাখ ২২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. মো. শহীদুল্লাহ ইউএনবিকে জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে এবং একজন ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান জানান, অভিযানের দ্বিতীয় দিনে পাঁচটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে এবং চারটিকে দুই লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া একজন ভুয়া চিকিৎসককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন মঞ্জুর মুর্শেদ জানান, অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার তিনটি হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ৩৭টি অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালা
ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা, আটক ১
২ বছর আগে
সারা দেশে ৩৭টি অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালা
সারা দেশে ৩৭টি অনিবন্ধিত ক্লিনিক, হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে। শনিবার ফরিদপুর, নাটোর, কুষ্টিয়া, চাঁদপুর ও ভোলা জেলার স্থানীয় প্রশাসন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) নির্দেশনা অনুসরণ করে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।
এর মধ্যে ফরিদপুরের পাঁচ উপজেলায় ২০টি, নাটোরে সাতটি, কুষ্টিয়ায় পাঁচটি, চাঁদপুরে চারটি ও ভোলায় একটি উপজেলায় সিলগালা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৭২ ঘন্টার মধ্যে সারা দেশে সমস্ত অনিবন্ধিত ক্লিনিক, প্রাইভেট হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনিবন্ধিত ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত কোনো ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে তাদের কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
ফরিদপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা: মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একটি দল ফরিদপুর সদর উপজেলায় দুটি, সালথা উপজেলায় তিনটি, মধুখালী ও বোয়ালমারী উপজেলায় সাতটি এবং সদরপুর উপজেলায় একটি করে ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়।
নাটোর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে সেন্ট্রাল ল্যাব ডায়াগনস্টিক, পদ্মা ক্লিনিক, ফাইম ডায়াগনস্টিক, বরাত ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ক্লিনিক, হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক, তামান্না ডায়াগনস্টিক ও মদিনা চক্ষু হাসপাতাল সিলগালা করা হয়।
এদিকে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, নির্দেশনা অনুযায়ী কুমারখালী উপজেলার পাঁচটি অবৈধ প্রাইভেট ক্লিনিক বন্ধ ও অন্যটিকে সতর্ক করা হয়েছে। বন্ধ হওয়া ক্লিনিকগুলো হলো, প্রতীক আধুনিক ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রদীপ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বিশ্ব ডেন্টাল কেয়ার, শিমুল ডেন্টাল কেয়ার এবং কুমারখালী ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন।
এছাড়া হাইমচর উপজেলায় তিনটি এবং চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় আরেকটি অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বেলায়েত হোসেন ও ডা: গোলাম মাওলা জানান।
ভোলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী সুজা ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে আইনি কাগজপত্র ও লাইসেন্স দিতে না পারায় আব্দুল খালেক মেমোরিয়াল হাসপাতাল সিলগালা করে দেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা, আটক ১
২ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা, আটক ১
ঠাকুরগাঁওয়ে তিনটি অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় শনিবার (২৮মে) বিকেলে এ অভিযান পরিচালনার সময় একজনকে আটক করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে এ ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান।
এসময় জেলা শহরের পাঁচটি ক্লিনিকে তারা অভিযান পরিচালনা করেন। পরে বিভিন্ন অনিয়ম ও নিবন্ধনহীন ক্লিনিকে কাগজপত্র না থাকায় মেডিনোভা ডক্টরস জোন এন্ড ডায়াগস্টিক সেন্টার, নিউরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও উত্তরা ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টার এই তিনটি প্রতিষ্ঠানে সিলগালা করা হয়। সে সময় আটক করা হয় একজনকে।
অভিযান চলাকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, নিবন্ধনহীন এবং লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকায় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই চলছে রমরমা ব্যবসা। স্বাস্থ্য সেবার নামে গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে রোগীরা। সরকার স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার পর থেকেই জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার তদারকিতে স্বাস্থ্য বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করাসহ বন্ধ করা হবে অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনিবন্ধিত ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
২ বছর আগে
সাভারে ইভ্যালির ৪ ওয়্যার হাউজ সিলগালা করেছে পরিচালনা কমিটি
সাভারে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চারটি ওয়্যার হাউজ সিলগালা করে দিয়েছে হাইকোর্ট গঠিত পরিচালনা কমিটি।
প্রতিষ্ঠানটির দায় ও সম্পদ পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে সোমবার দুপুরে সাভারের আমিনবাজারে ভাড়া করা ওয়্যার হাউজ পরিদর্শন করেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককের নেতৃত্বে পরিচালিত কমিটির পাঁচ সদস্য।
এ সময় ওয়্যারহাউজটিতে বেশ কিছু টেলিভিশন, কোমল পানীয়সহ ইলেকট্রনিক্স মালামাল দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি পরিচালনায় বিচারপতি মানিককে প্রধান করে ৫ সদস্যের বোর্ড
কমিটির সদস্যদের জানানো হয়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর এই ওয়্যারহাউজ থেকে মূল্যবান অনেক মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়।
পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রতারিত গ্রাহক ও মার্চেন্টের স্বার্থ সুরক্ষায় নিবিড়ভাবে কাজ করছে হাইকোর্ট গঠিত নতুন পরিচালনা কমিটি। এখানে যারা টাকা লগ্নি করেছিলেন তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
কমিটির প্রধান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, ক্ষতিগ্রস্ত এই মানুষদের যতখানি সম্ভব স্বার্থ সুরক্ষা করে তা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির কোথায় কী সম্পদ রয়েছে এবং সেগুলো কী অবস্থায় রয়েছে? – সেসব সম্পদ দিয়েই বা দায়দেনা কতটুকু পরিশোধ করা যাবে ইত্যাদি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে কমিটি।’
আরও পড়ুন: ইভ্যালির গ্রাহকরা ৬ মাস পাওনার জন্য বোর্ডকে চাপ দিতে পারবেন না: হাইকোর্ট
এ সময় সেখানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইভ্যালি পরিচালনায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পাওয়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ওএসডি হওয়া আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, সাবেক সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শামীম আজিজ।
৩ বছর আগে
লকডাউন অমান্য করায় মাদ্রাসা সিলগালা, জরিমানা!
শেরপুরে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে তৃতীয় দিনেও মাঠে বেশ তৎপর ছিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার দুপুরে শহরের মোবারকপুর এলাকায় বিধিনিষেধ অমান্য করে চালু রাখায় নুরানী তালিমুল কোরআন মোয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নামে একটি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেইসাথে মাদ্রাসাটি খোলা রাখার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এর পরিচালক হারুন-অর-রশীদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেরপুর সদর এসিল্যান্ড তনিমা আফ্রাদ এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি জানান, লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা না মানায় মাদ্রাসাটির দায়িত্বরত হারুন-অর-রশীদকে দন্ডবিধি ১৮৬০ সালের ২৬৯ ধারা অনুয়ায়ী ১০ দশ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭ দিনের জন্য মাদ্রাসাটি সিলগালা ঘোষণা করা হয়। অভিযানে সহায়তা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকলিমা আক্তার, শেরপুরে সেনাবাহেনীর দায়িত্বরত মেজর মো. ইমতিয়াজ কবির।
আরও পড়ুন: বিয়ে করায় ছেলেদের হাতে খুন হলেন বাবা
স্থানীয়রা জানান, চট্রগ্রাম থেকে পরিচালিত নুরানী তা’লীমুল কোরআন বোর্ড বাংলাদেশ-এর সিলেবাসে শহরের মোবারকপুর এলাকায় এ মোয়াল্লেম কেন্দ্রটি ২ বছর ধরে চলছে। ভয়াবহ করোনার মাঝেও সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে মাদ্রাসাটি চালু রাখা হয়। সেখানে একটি কক্ষে ছোট ছোট শিশুদের এবং আরেকটি বড় হলরুমে প্রায় শতাধিক বয়স্ক ব্যক্তিকে নুরানী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় এবং সদর উপজেলার কুসুমহাটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদাত পরিচালনা করে বিধিনিষেধ অমান্য করে অযথা ঘুরাফেরা ও মাস্ক না পড়ার দায়ে তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং ৪ জনকে আটক করা হয়। এদিন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) একটি দল শহরের আনাচে-কানাচে এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলা সদরে মোটর সাইকেল টহলের মাধ্যমে করোনা সচেতনা সৃষ্টি ও লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকরের চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠান, খাবার গেল এতিমখানায়
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ জানান, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করার দায়ে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৩৩টি অভিযান পরিচালনা করে। এসময়ে ১৩১টি মামলায় ৮০ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
শনিবারও লকডাউনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। লকডাউন বাস্তবায়নে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ১০০ সদস্য, ২ প্ল্যাটুন বিজিবি ও এক প্লাটুন ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বিয়ে : বর ও কনে পক্ষকে জরিমানা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘লকডাউন কার্যকর করতে শহরের প্রতিটি প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেইসাথে পুলিশের টিমও কাজ করছে। অপ্রয়োজনে যাতে কেউ বাইরে বের হতে না পারে, সেই দিক নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
৩ বছর আগে