মুখপাত্র
অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবে জাতিসংঘ: মুখপাত্র
জাতিসংঘ বলেছে, তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণকে প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা করতে ইচ্ছুক।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) মুশফিকুল ফজল আনসারীর এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক বলেন, 'বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের বিষয়ে আপনি যা বলেছেন সে সম্পর্কে আমি নির্দ্বিধায় নিশ্চিত করতে পারি যে, প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে সমর্থন করতে ইচ্ছুক।’
তিনি বলেন, জবাবদিহিতার বিষয়সহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য তাদের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে 'বিস্তৃত পরিসরের সহায়তার' বিষয় নিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলোচনা করেছেন।
ফারহান বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তে সহায়তার ক্ষেত্র এবং পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি দল আগামী সপ্তাহ থেকে ঢাকা সফর করবে।
তিনি বলেন, হাইকমিশনার মানবাধিকার সুরক্ষা জোরদার করে এমন একটি সফল রূপান্তরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণকে সমর্থন করতে অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অন্যদিকে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
তিনি বলেন, তাদের কিছু টেকনিক্যাল সহকর্মী থাকবেন যারা আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর ইউএনআরসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা প্রাথমিকভাবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং করবে, তবে ঘোষণা, বিশদ বিবরণ এবং দলটি কীভাবে সরকারের সঙ্গে কাজ করবে - সবকিছুর বিষয়ে একমত হওয়া দরকার।’
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জাতিসংঘের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমকে পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দেন।
তিনি সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের গঠনমূলক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
লুইস স্বাধীন তদন্ত, অন্তর্বর্তীকালীন ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য আরও সমর্থনের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার তদন্তে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ
সাক্ষাৎকালে তারা অর্থনৈতিক সহযোগিতা, এলডিসি উত্তরণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাংলাদেশের বিষয়ে জাতিসংঘের চলমান মানবিক কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা জনগণের, বিশেষ করে তরুণদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তাদের প্রত্যাশা পূরণে জাতিসংঘের অর্থবহ সমর্থন কামনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ৭ রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ
২ মাস আগে
বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্য দেয় এবং অভিন্ন স্বার্থে তারা একসঙ্গে কাজ করা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ককে মূল্য দেই। একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করাসহ আমাদের অভিন্ন স্বার্থ অনুসরণ করতে উভয় দেশের সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব আমরা।’
সোমবার (১১ মার্চ) ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অঞ্চলে তথাকথিত 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা সম্পর্কে প্রক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মিলার বলেন, ‘এই প্রচারণা সম্পর্কে আমরা জানি। ভোক্তাদের ব্যক্তিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি অবশ্যই মন্তব্য করব না, সেটা বাংলাদেশ হোক বা বিশ্বের অন্য কোথাও।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষ থেকে জানানো হয় তাদের একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে এবং তারা তাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় তৈরি করতে চায়।
তাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হবে।
আরও পড়ুন: অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে জনগণকেও সোচ্চার হতে হবে: হাছান মাহমুদ
প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার সম্প্রতি তিন দিনের বাংলাদেশ সফর করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, 'আপনারা এর আগেও মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাগুলো নিয়ে আমার কাছ থেকে মার্কিন সরকারের উদ্বেগের কথা শুনেছেন, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের আইনের অপব্যবহার করে ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানো হতে পারে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে তার ক্ষমতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বেলারুশের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী শেস্তাকভ এবং শ্রীলংকার হাইকমিশনার ভিরাক্কোডির সাক্ষাৎ
৭ মাস আগে
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
বাংলাদেশ মিয়ানমারে বিদ্যমান বর্তমান পরিস্থিতি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
তিনি বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্ত রক্ষীবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সজাগ রয়েছে। উপযুক্ত সময় ও পরিস্থিতিতে অদূর ভবিষ্যতে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করা যায়।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংকে উদ্ধৃত করে সাবরীন বলেন, চলতি সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় দ্বিতীয় গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামের (জিআরএফ) (১৩-১৫ ডিসেম্বর ২০২৩) অধিবেশনে পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ উদারতার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা একশ মিলিয়নেরও অধিক শরণার্থীকে সাহায্য করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে আরও উদার হওয়ার আহ্বান জানান।
বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের কাজ চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরে রোহিঙ্গারা কি কি সুযোগ সুবিধা পাবে সে সম্পর্কে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ একাধিকবার রোহিঙ্গাদের ধারণা দিয়েছেন এবং প্রথম পযার্য়ের প্রত্যাবাসনের জন্য নির্ধারিত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে পূর্বনিবাস যাচাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক পুনর্বহাল
‘মিয়ানমারে আমাদের নিজের ঘরে ফিরতে সাহায্য করুন’
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
১০ মাস আগে
কোনো ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের কাজ নয়: মুখপাত্র
বাংলাদেশে 'অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের' প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চিঠিটি দেখিনি এবং বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে আগেই বিস্তারিত যা বলেছি তা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রত্যাশা সম্পর্কে বলতে চাই।’
এর আগে নভেম্বরে বাংলাদেশ জাতিসংঘকে জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর', কিন্তু বিক্ষোভের নামে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও মানুষের জীবন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সহ্য করবেন না, যা বিরোধীরা প্রায়ই করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করতে যাচ্ছি না: মার্কিন মুখপাত্র
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহল থেকে আমরা যে অযৌক্তিক, অন্যায্য ও স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছি, তার প্রেক্ষাপটে আমরা আশা করি- জাতিসংঘের সচিবালয়, সংস্থা ও কান্ট্রি অফিসসহ জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবিচল থাকতে সহায়তা করতে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে।’
১৯ নভেম্বর চিঠিটি লেখা হয় এবং ২০ নভেম্বর জাতিসংঘে তা হস্তান্তর করে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।
এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না।
এক প্রশ্নকর্তা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘ এখনও পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি এ বিষয়য়ে মুখপাত্রের কাছ থেকে মন্তব্য চেয়েছেন।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী এবং ওইসব ঐতিহাসিক ঘটনার সময় যারা কষ্ট ভোগ করেছেন তাদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে অনেক আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে আমি মন্তব্য করব না। দ্বিতীয়ত, আমরা এখানে বারবার বলেছি, কোনো ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃত দেওয়া মহাসচিবের কাজ নয়। বিষয়টি উপযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে।’
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না: মুখপাত্র
শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
১০ মাস আগে
নয়াদিল্লি মিশন থেকে বাংলাদেশের বিষয়গুলো দেখবে উ. কোরিয়া: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার মিশন বন্ধ হওয়ার পর পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, চীনের বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ভবিষ্যতে আবারও ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস খোলার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
উত্তর কোরিয়া বাংলাদেশে প্রথম দূতাবাস খোলে ১৯৭৪ সালে। ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস সম্প্রতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস কূটনৈতিক নোটের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র বলেছেন, বিশ্বব্যাপী কোরিয়ান মিশনগুলোর উন্নত ব্যবস্থাপনা ও প্রতিস্থাপনের অংশ হিসেবে কোরিয়ান সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তার তিন কর্মকর্তাসহ ঢাকা ত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমও'র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
১০ মাস আগে
কূটনীতিকরা স্টেশন ছাড়ার বিষয়ে কোনো তথ্য জনসম্মখে প্রকাশ করা হয় না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন বলেছেন, কোনো রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার স্টেশন ছেড়ে গেলে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে আয়োজক দেশকে জানানো একটি কূটনৈতিক প্রক্রিয়া; তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জনসম্মখে প্রকাশ করে না।
তিনি বলেন, ‘এটি প্রকাশ্যে জানানোর কথা ছিল না।’
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ছুটির বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যখন কোনো রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার স্টেশন ছেড়ে যান, তখন তারা একটি কূটনৈতিক নোটের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন এবং সেই বিশেষ কূটনীতিকের অনুপস্থিতিতে কে মিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হবেন তাও উল্লেখ থাকে।
আরও পড়ুন: ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা তাদের ব্যাপার: মুখপাত্র
মুখপাত্র বলেন, তাদের নিজ নিজ সদর দপ্তরেও এ তথ্য জানাতে হবে।
সেহেলী আরও বলেন, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র থাকায় ভুল তথ্য বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, একইভাবে যদি কোনো বাংলাদেশি কূটনীতিক স্টেশন ত্যাগ করেন, তাহলে তিনি তা আয়োজক দেশ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পৌঁছে দেন।
রাষ্ট্রদূত হাসের বাংলাদেশের বাইরে যাওয়া নিয়ে সকাল থেকে অনেক আলোচনা চলছে, যদিও ঠিক কী ঘটেছে তা জানতে মার্কিন দূতাবাসের কাছে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছুটি কাটাতে শ্রীলঙ্কার কলম্বোর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর তারিখ এখনো ঠিক হয়নি: সেহেলী সাবরীন
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
১১ মাস আগে
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে ‘জড়িয়ে পড়া থেকে বিরত থাকবে’ যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ফের পুনর্ব্যক্ত করেছেন, বাংলাদেশে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি বাংলাদেশের সরকারের ভবিষ্যৎ সে দেশের জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হওয়া উচিত।’
সোমবার (১৩ নভেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কেন মার্কিন সরকারকে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে একজন সাংবাদিকের করা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনে পক্ষ নিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে আরেকটি দলকে সমর্থন করি না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি।’
মিলার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমাকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন সাংবাদিকের প্রচেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই এবং আমি তা করা থেকে বিরত থাকব।’
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: শাহরিয়ার আলম
এর আগে, সোমবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম পুনর্ব্যক্ত করেছেন, ‘কে আয়োজন করছে’ তা ব্যাপার না, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি সংবিধান ও সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু'র পক্ষ থেকে প্রধান তিন রাজনৈতিক দলকে পাঠানো চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষের মুখপাত্ররা এ বিষয়ে জানতে পারবেন।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং শিগগিরই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিরোধী দল বিএনপির দাবি ‘সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও অবৈধ।’
বাংলাদেশের স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
আরও পড়ুন: সংলাপের আহ্বান জানিয়ে লু’র চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি
৩ প্রধান দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একসঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ পিটার হাসের
১১ মাস আগে
মার্কিন দূতাবাস থেকে কোনো ব্যক্তির গতিবিধির গুজব সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও ভুল’: মুখপাত্র
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বলেছে, দূতাবাস থেকে কোনো ব্যক্তির বিএনপির কার্যালয়ে যাওয়ার বিষয়ে যে গুজব তা সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও ভুল’।
একটি ভিডিওর দিকে মার্কিন দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ‘এই ভদ্রলোক মার্কিন সরকারের পক্ষে কথা বলেন না।’
শনিবারের সংঘর্ষের পর বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের সঙ্গে এক ব্যক্তির ভিডিও নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, গোলাপি শার্ট পরা এক ব্যক্তি ইংরেজিতে কথা বলছেন। ইশরাক ও অন্যরা তার পাশে বসেছিলেন।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেয় না: মুখপাত্র
বাংলাদেশে বন্ধ হওয়া অনলাইন প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আমরা অবগত; যুক্তরাষ্ট্র নির্দিষ্ট কোনো দলকে পছন্দ করে না: মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র
১ বছর আগে
অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেয় না: মুখপাত্র
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে তারা কোনো পক্ষ নেয় না বলে আবারও বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার(২৬ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি শুধু এটুকুই বলব, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমরা কোনো পক্ষ নিই না।’
‘বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র’ টকশোতে বিএনপিপন্থী অংশগ্রহণকারীদের এমন দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মিলার এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার সম্প্রতি ঢাকা সফর করেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে মার্কিনিরা হামলার শিকার হলে জবাব দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন-অস্টিনের হুঁশিয়ারি
বিভিন্ন টকশোতে বিরোধী দলীয় বক্তারা দাবি করছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।
এর আগে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেও সম্প্রতি ভারতের একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ ধরনের প্রতিবেদনকে সমর্থন করেনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের'অবনতির' খবর পর্যবেক্ষণ করছেন।
আমরা বাংলাদেশ সরকারকে তার জন্য একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করেছি।
মিলার বলেন, 'অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়ায় আমাদের কিছু যোগ করার নেই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সব অংশীজনদের সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকার আহ্বান অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র
১ বছর আগে
বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা সেই দেশের মানুষই নির্ধারণ করবে: অরিন্দম বাগচি
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত সচিব অরিন্দম বাগচি বলেছেন, বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা সেই দেশের মানুষই নির্ধারণ করবে। প্রতিবেশি হিসেবে ভারত চায় বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা থাকুক এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালিত হোক।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারত সফররত বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিভাগ) নবনীতা চক্রবর্তী, শিলাদিত্য হালদার (ফাস্ট সেক্রেটারি, ইন্ডিয়া হাইকমিশন অব বাংলাদেশ) এবং ভারতে সফরত বাংলাদেশ থেকে সাংবাদিক প্রতিনিধি দল।
আসন্ন নির্বাচন এবং এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর তৎপরতা ও এ প্রেক্ষাপটে ভারতের ভূমিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘বাংলাদেশের কিভাবে নির্বাচন হবে,বাংলাদেশের বিষয়ে সে দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবেন। ভারত সবসময় চায়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ভারত সবসময় সম্মান করে।’
তিনি আরও বলেন, দেশটির স্বাধীনতা জয়ে ভারত পাশে ছিল, বর্তমানেও আছে, আগামীতেও থাকবে। আমাদের কাজ বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কোন্নয়ন করা। দু’দেশের সরকারই তা করে চলেছে। দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কটা চমৎকার।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক বাংলাদেশের সঙ্গে, সে দেশের জনগণের সঙ্গে। কোনো নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে নয়।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের সংবিধানে এমন কিছু নেই, ভারতে এমন কিছু হয় না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবিধানে যা বলা আছে, হয়তো সেটাই হবে। ওটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যেটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো, নিশ্চয় বাংলাদেশ তা করবে। বাংলাদেশের জনগণ তা করবে।
আরও পড়ুন: আলোচনার মাধ্যমে অমীমাংসিত দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানে একমত হাসিনা-মোদি
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে ভারত কীভাবে দেখে এমন প্রশ্নের জবাবে বাগচি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলাদেশ কার সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে সেটা তাদের বিষয়। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। যদি তারা মনে করেন তাদের ভালো, তবে তারা সেটাই বেছে নেবেন। কিন্তু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অন্য কোনো দেশের সঙ্গে তুলনা চলে না। ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক সবচেয়ে উঁচুতে।’
বাংলাদেশি নাগরিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় কর্মকর্তাগণ দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে ভারতের সহায়তা, ধীরে ধীরে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিভাগ) স্মিতা পান্ত বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের জনগণের সস্পর্ক কীভাবে আরও সহজ করা যায় সেটা নিয়েও কাজ করছে ভারত। দু’দেশের বন্ধুত্ব সম্পর্ক বহু বছর আগে থেকেই। সম্প্রতি ভারতের ভিসা নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা সাময়িক। শিগগির এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। আপনারা ভ্রমণ করলে ভারতই লাভবান হয়। সুতরাং এ সমস্যা কেটে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, দুই দেশের যোগাযোগ খাতে ভারত বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এবং করছে। চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেল যোগাযোগ, ত্রিপুরার সঙ্গে রেল ও নদীপথের যোগাযোগ উল্লেখযোগ্য। সবশেষ দুই বছর উন্নয়ন খাতে ভারত অনেক কাজ করেছে। ট্রানজিট ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাণিজ্য ও রপ্তানির সুযোগ দিচ্ছে ভারত। রপ্তানিকারকরা এতে লাভবান হচ্ছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, ভারত এখন নিত্যনতুন উদ্ভাবন, সবুজ জ্বালানি, প্রযুক্তি প্রভৃতি দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের কানেকটিভিটি এবং উন্নয়ন সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড প্যানডেমিককালেও বাংলাদেশে ভারতের উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রম থেমে থাকেনি। তৃতীয় দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের কলকাতা ও দিল্লি বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারছেন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন: শেখ হাসিনা-মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুক্রবার
১ বছর আগে