জাতিসংঘ বলেছে, তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণকে প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা করতে ইচ্ছুক।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) মুশফিকুল ফজল আনসারীর এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক বলেন, 'বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের বিষয়ে আপনি যা বলেছেন সে সম্পর্কে আমি নির্দ্বিধায় নিশ্চিত করতে পারি যে, প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে সমর্থন করতে ইচ্ছুক।’
তিনি বলেন, জবাবদিহিতার বিষয়সহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য তাদের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে 'বিস্তৃত পরিসরের সহায়তার' বিষয় নিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলোচনা করেছেন।
ফারহান বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তে সহায়তার ক্ষেত্র এবং পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি দল আগামী সপ্তাহ থেকে ঢাকা সফর করবে।
তিনি বলেন, হাইকমিশনার মানবাধিকার সুরক্ষা জোরদার করে এমন একটি সফল রূপান্তরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণকে সমর্থন করতে অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অন্যদিকে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
তিনি বলেন, তাদের কিছু টেকনিক্যাল সহকর্মী থাকবেন যারা আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর ইউএনআরসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা প্রাথমিকভাবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং করবে, তবে ঘোষণা, বিশদ বিবরণ এবং দলটি কীভাবে সরকারের সঙ্গে কাজ করবে - সবকিছুর বিষয়ে একমত হওয়া দরকার।’
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জাতিসংঘের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমকে পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দেন।
তিনি সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের গঠনমূলক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
লুইস স্বাধীন তদন্ত, অন্তর্বর্তীকালীন ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য আরও সমর্থনের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার তদন্তে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ
সাক্ষাৎকালে তারা অর্থনৈতিক সহযোগিতা, এলডিসি উত্তরণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাংলাদেশের বিষয়ে জাতিসংঘের চলমান মানবিক কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা জনগণের, বিশেষ করে তরুণদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তাদের প্রত্যাশা পূরণে জাতিসংঘের অর্থবহ সমর্থন কামনা করেন।