বিমসটেক
ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদেশ সফর শুরু হবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে আয়োজিত হতে যাওয়া বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে এটাই হতে যাচ্ছে তার প্রথম বিদেশ সফর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অধ্যাপক ইউনূস ৪ সেপ্টেম্বর সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) পরবর্তী সম্মেলনের আয়োজক থাইল্যান্ড। বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ।
সফরের খসড়া সূচি অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ৫ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন।
এ সফরে সম্মেলনের অংশগ্রহণের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকসহ বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা।
সম্প্রতি বিমসটেকের সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্র মণি পান্ডে বলেন, পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি থাকবে যেগুলো বিমসটেকের ভবিষ্যতের জন্য একটি দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করবে।
আসন্ন এই শীর্ষ সম্মেলন বিমসটেকের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতায় নতুন প্রাণশক্তি যোগাবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিমসটেক মহাসচিব।
সম্প্রতি ঢাকায় বিমসটেকের সদর দপ্তরে বিমসটেকের কার্যক্রম নিয়ে একটি আয়োজনে তিনি বলেন, ‘বিমসটেকের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। বিমসটেককে সফল করতে সব সদস্য রাষ্ট্র সত্যিকার অর্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, এবারের সম্মেলনে ব্যাংকক ভিশন-২০৩০ গ্রহণ করা হবে যা বিমসটেককে দিকনির্দেশনা দেওয়ার একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল হবে।
নিজেদের মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতার জন্য দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত হয় বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)।
২ মাস আগে
১৬-১৯ জুলাই ঢাকায় বিমসটেকের ৫ম বৈঠক
বিমসটেকের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনাবিষয়ক এমিনেন্ট পারসনস গ্রুপের (ইপিজি) পঞ্চম বৈঠক আগামী ১৬-১৯ জুলাই ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
চার দিনব্যাপী এই বৈঠকে বিমসটেক ব্যাংকক ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়ন এবং ইপিজির খসড়া প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ইপিজি তাদের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে বিমসটেক নেতাদের কাছে তার প্রতিবেদন জমা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিমসটেকের বর্তমান চেয়ারম্যান থাইল্যান্ডের ইপিজির সদস্য ড. সুনথর্ন চাইনদিপম।
বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর ইপিজির সদস্যরা এ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
বিমসটেক সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডের নেতৃত্বে বিমসটেক সচিবালয় এই বৈঠকের আয়োজন করছে এবং ইপিজিকে আলোচনায় সহায়তা করবে।
একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক ও উন্নত বিমসটেক অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিমসটেকের সংস্কার, পুনরুজ্জীবন ও পুনর্গঠনের জন্য সুপারিশ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইপিজিকে।
একটি সুরক্ষিত, উন্নত ও সমৃদ্ধ বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের লক্ষ্য অর্জনে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার ও গভীর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিশ্রুতির পরিচায়ক এই ইপিজি।
বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের ৭টি দেশ বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড নিয়ে বিমসটেক গঠিত।
বিমসটেক ৭টি খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা দিয়ে থাকে সেগুলো হলো- কৃষি ও খাদ্য সুরক্ষা; কানেক্টিভিটি; পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন; মানুষে মানুষে যোগাযোগ; বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন; নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন।
ব্লু ইকোনমি, মাউন্টেন ইকোনমি, জ্বালানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়নসহ ৮টি উপখাতে সহযোগিতা করে থাকে বিমসটেক।
৩ মাস আগে
রাজনীতিতে কখনো সহিংসতা চাই না: ট্রাম্পের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনি সমাবেশে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। আমাদের দেশে যেমন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, মানুষের সম্পত্তি পোড়ানো হয় সেটি কখনো কাম্য নয়। এটি অনভিপ্রেত, আইনবিরোধী।’
রবিবার (১৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ট্রাম্পের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে কখনো ভায়োলেন্স ছিল না। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ হামলায় আমরা চিন্তিত ও নিন্দা জানাই। রাজনীতিতে ভায়োলেন্স থাকা উচিত নয়।’
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, ‘কোটার বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে এসেছে। সরকার শিক্ষার্থীদের ওপর সহানুভূতিশীল হয়ে পুরো কোটাই বাতিল করে দিয়েছিল। হাইকোর্ট সেটি পুনর্বহাল করেছিল, সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত করেছে। কোটা আদালতের একটি বিচারাধীন বিষয়। সে কারণে এর ওপর সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। তাহলে আদালত অবমাননা হবে। আদালতের মাধ্যমেই এর সমাধান হতে হবে।
কোটা আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘এখন যে আন্দোলন হচ্ছে সেটির কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি না। এটি আসলে আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলিও বটে। কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। যেমন অনেক জেলা থেকে অনেক ক্যাডারে কেউ সুযোগ পাচ্ছে না, মেয়েদের অংশগ্রহণ কমে গেছে -এসব সমস্যা দেখা দিয়েছে।’
কোটা আন্দোলন থেকে বিএনপি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘বিএনপি তো সবসময় চায় দেশকে অস্থিতিশীল করতে। বিএনপি কোটা আন্দোলন থেকেও সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পর সুপ্রিম কোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ সরকার যে কোটা বাতিল করেছিল, সেটিই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরও যখন আন্দোলন হয় বুঝতে হবে এটির সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত হয়েছে।’
গত ১১-১২ জুলাই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিট সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, চিকিৎসা, জ্বালানি নিরাপত্তা খাতে সহায়তা এবং নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে সবুজ শক্তি ব্যবহার বাড়ানো বিষয়ে রিট্রিটে কথা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ আরও জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের চার তারিখে থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ।
রিট্রিটের সাইডলাইনে ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে মন্ত্রী হাছান জানান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের জন্য পচনশীল পণ্য আমদানিতে কোটা নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তা বিষয়ে কারিগরি দল পাঠানো, ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তি ও জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ কমিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ড. হাছান আরও জানান, মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু সেটি রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর।
৩ মাস আগে
নয়াদিল্লিতে বিমসটেক রিট্রিটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় বিমসটেক রিট্রিট সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চীন সফর শেষে বুধবার রাতে বেইজিং থেকে সরাসরি দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই রিট্রিটে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করা এবং আসন্ন ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনকে সফল ও ফলপ্রসূ করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। নেপালের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের পররাষ্ট্র সচিব।
আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আঞ্চলিক এই জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, সংযোগ ও সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
বৈঠকের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বাংলাদেশে নিত্যপণ্য আমদানিতে অব্যাহত সুবিধা বজায় রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরী দল পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
অপরদিকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন। নেপালের পররাষ্ট্র সচিব সেওয়া লামসাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
উল্লেখ্য, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৭টি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড নিয়ে এই জোট গঠিত হয়।
আরও পড়ুন: জিডিসির সমাপনী অধিবেশনে ডিজিটাল রূপান্তরে বিমসটেকের সহযোগিতার আহ্বান ঢাকার
২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় বিমসটেকের সদর দপ্তর উদ্বোধন করেন।
বিমসটেকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, পর্যটন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, মৎস্যসম্পদ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পোশাক ও চামড়া শিল্পসহ আরও অনেকগুলো ক্ষেত্র বিমসটেকের আওতাভুক্ত।
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশকে জিরো ট্যারিফ সুবিধা দেবে চীন
৩ মাস আগে
জিডিসির সমাপনী অধিবেশনে ডিজিটাল রূপান্তরে বিমসটেকের সহযোগিতার আহ্বান ঢাকার
এই অঞ্চলে অর্থবহ ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ, আন্তঃসীমান্ত তথ্য প্রবাহ এবং উন্নয়নমুখী উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার (২৩ জুন) ঢাকায় দুই দিনব্যাপী 'রিজিওনাল কনসালটেশন অন গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট (জিডিসি)'র সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সরকার ও বিমসটেক সেক্রেটারিয়েট যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এই আঞ্চলিক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ বিমসটেক মহাসচিবের
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে জিডিসি সম্পর্কিত চলমান আলোচনায় ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর সহজতর করার জন্য অভিন্ন উদ্দেশ্য এবং প্রাসঙ্গিক অগ্রাধিকারগুলো চিহ্নিত ও প্রচার করা এই আলোচনার লক্ষ্য।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের ভবিষ্যৎ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা জিডিসি গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্প-২০৪১ এর আলোকে ডিজিটাল কূটনীতিতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
এ প্রসঙ্গে তিনি গত বছর জাতিসংঘে 'জিরো ডিজিটাল ডিভাইড' বিষয়ে আইসিটি ডিভিশনের অধীনে এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) উত্থাপিত প্রস্তাবের কথা স্মরণ করেন। তিনি ডিজিটাল পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারি এবং ইনোভেশন বিষয়ে গ্লোবাল সাউথের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের শেয়ার করা বেশ কয়েকটি উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার পাশাপাশি তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, সরকার সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক নিয়ম ও মান মেনে একটি তথ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে।
বৈঠকের সভাপতি পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন পরবর্তী বিমসটেক চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আঞ্চলিক পরামর্শের মাধ্যমে সৃষ্ট গতিকে এগিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন।
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, তিনি ডিজিটাল সাক্ষরতা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য উদীয়মান প্রযুক্তির মানব-কেন্দ্রিক প্রয়োগের প্রচারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন।
শামসুল আরেফিন তার বক্তব্যে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি, সাইবার নিরাপত্তা ও ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো বিনিময়ের জন্য 'বিমসটেক সেন্টার অব এক্সিলেন্সি' প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস সবার জন্য উন্মুক্ত, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে জাতিসংঘের উদ্যোগকে ঘিরে আঞ্চলিক আলোচনা সভা আয়োজনে বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
পিছিয়ে পড়াদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করাসহ আগামী বছরগুলোতে জিডিসি বাস্তবায়নে দেশগুলোকে সহায়তা করতে জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রীলঙ্কার অধ্যাপক ভেরানজা করুনারত্নে, বিমসটেক সচিবালয়ের পরিচালক (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন) মাহিশিনি কোলন এবং বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ ফর ইউনিফাইড ভয়েসেস অন গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট ও ইউএন সামিট অব দ্য ফিউচার ২০২৪-এর নির্বাহী সমন্বয়ক এ এইচ এম বজলুর রহমান।
দুই দিনের এই আয়োজনে পাঁচটি কারিগরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়; যেখানে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলো জিডিসির পাঁচটি মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কিত অভিন্ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করে।
কারিগরি আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ ও এমইএ) ফাইয়াজ মুরশীদ কাজী।
আরও পড়ুন: উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য পরবর্তী বিমসটেক সম্মেলনে কিছু উল্লেখযোগ্য ফলাফল আসতে যাচ্ছে: মহাসচিব
৪ মাস আগে
শ্রীলঙ্কা সফরে ষষ্ঠ সামিটের প্রত্যাশা তুলে ধরলেন বিমসটেক মহাসচিব
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা সফর করেছেন বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে।
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি মহাসচিবের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তার প্রথম শ্রীলঙ্কা সফর।
সফরকালে মহাসচিব শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম ইউ এম আলী সাবরি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী রমেশ পাথিরানার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিমসটেক মহাসচিব।
এছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব অরুনি বিজয়বর্ধন, প্রধানমন্ত্রীর সচিব অনুরা দিসানায়েকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. পলিথা মাহিপালা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব থিলাকা জয়সুন্দরার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১২-১৩ মে ঢাকায় বিমসটেকের বৈঠক
প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ২০২২ সালের মার্চে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে বিমসটেকের অগ্রগতি এবং ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন থেকে প্রত্যাশা তুলে ধরেন মহাসচিব।
এ সময় প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে বিমসটেকের প্রতি শ্রীলঙ্কার অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
বিমসটেক মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ব্যাংককে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে বিমসটেকের আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথা স্মরণ করেন।
বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের জনগণ যাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার সুফল পায় এজন্য বিমসটেকের গতিশীলতা বাড়াতে ও সাফল্য নিশ্চিত করতে সব স্তরে ঘন ঘন ও নিয়মিত বৈঠকের গুরুত্বের ওপর জোর দেন তিনি।
মানবসম্পদ উন্নয়নে শ্রীলঙ্কার বিমসটেকের শীর্ষস্থানীয় সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সচিব অনুরা দিসানায়েকের সঙ্গে মহাসচিবের বৈঠক হয়।
তারা বিমসটেকের মানবসম্পদ উন্নয়ন এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ে বিমসটেকের কর্ম পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করতে বিমসটেক বিশেষজ্ঞ গ্রুপের (এইচআরডি) প্রথম বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা জোরদারে পরিকল্পনা বাস্তবে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার বিমসটেক প্রধানের
বিমসটেকের স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিকল্পনায় শীর্ষস্থানীয় সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বিমসটেক স্বাস্থ্য এজেন্ডা নিয়ে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা করেন ইন্দ্র মণি। এ সময় বিমসটেকের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের প্রথম বৈঠক আহ্বান নিয়েও আলোচনা করেন তারা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠকে শ্রীলঙ্কায় বিমসটেক প্রযুক্তি স্থানান্তর সুবিধা স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করেন বিমসটেক মহাসচিব। ২০২২ সালে কলম্বোতে পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সময় এ নিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের স্মারক সই হয়েছিল। এর পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা আহ্বানের বিষয়েও আলোচনা হয়।
আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছাড়াও বিমসটেক মহাসচিব লক্ষ্মণ কাদিরগামার ইনস্টিটিউট (এলকেআই) আয়োজিত 'বিমসটেকের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা' শীর্ষক একটি উন্মুক্ত আলোচনা কর্মসূচি এবং অ্যাডভোকাটা ইনস্টিটিউট ও বন্দরনায়েকে সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (বিসিআইএস) আয়োজিত দুটি গোলটেবিল অধিবেশনে অংশ নেন।
এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ, গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের মতামত ও ধারণা জানার সুযোগ পান মহাসচিব। বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বিমসটেকের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে অনেকের কাছে নিজের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ পান তিনি।
এছাড়াও শ্রীলঙ্কার সানডে মর্নিং সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার এবং টেলিভিশন মাধ্যমে আদা ডেরানার 'অ্যাট হাইড পার্ক' অনুষ্ঠানে একটি সাক্ষাৎকার দেন বিমসটেক মহাসচিব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
৬ মাস আগে
১২-১৩ মে ঢাকায় বিমসটেকের বৈঠক
বিমসটেকের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে এমিনেন্ট পারসনস গ্রুপের (ইপিজি) তৃতীয় বৈঠক আগামী ১২-১৩ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
বিমসটেক নেতাদের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে ইপিজি।
এর আগে গত ১১-১২ মার্চ ঢাকার বিমসটেক সচিবালয়ে ইপিজির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিমসটেকের বর্তমান চেয়ারম্যান থাইল্যান্ডের ইপিজি সদস্য ডক্টর সুনথর্ন চাইনদিপম।
বৈঠকে ৬টি বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রের ইপিজি সদস্যরা অংশ নেন।
বিমসটেকের মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডের নেতৃত্বে ইপিজির আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
বিমসটেক-২০৩০ এজেন্ডা অনুযায়ী একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বঙ্গোপসাগর অঞ্চল গড়তে বিমসটেকের সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুপারিশ করার লক্ষ্যে সংস্থাটির প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়াসহ কাঠামো নিয়ে কাজ করছে ইপিজি।
দুই দিনের বৈঠকে বিমসটেকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনার সময় প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ কাঠামোর পাশাপাশি বিমসটেকের বাহ্যিক সম্পর্ক এবং সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করে ইপিজি।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় প্রথম বৈঠক হয়।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা জোরদারে পরিকল্পনা বাস্তবে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার বিমসটেক প্রধানের
৭ মাস আগে
বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসায় বাংলাদেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে।’
আরও পড়ুন: জননিরাপত্তা নিশ্চিতে অপচেষ্টা প্রতিহত করুন: প্রধানমন্ত্রী
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন দেশ সামরিক শাসনের অধীনে নিমজ্জিত ছিল।
দেশের মানুষকে তার অন্যতম শক্তি হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সব সময় গ্রামীণ উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, তিনি অসংখ্য গ্রাম পরিদর্শন করেছেন এবং জনগণকে খাদ্য উৎপাদন ছাড়া এক ইঞ্চি আবাদি জমিও ফেলে না রাখতে উৎসাহিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি সবাইকে অনুরোধ করেছি যেভাবেই হোক খাদ্য উৎপাদনে সম্পৃক্ত হতে।’
তিনি আরও বলেন, অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ।
তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে অনেক সাহায্য করেছে ভারত। সেসময় প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয়ও দিয়েছে দেশটি।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তিনি এবং তার বোন শেখ রেহানা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বিমসটেক মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান।
তিনি বিমসটেকের সঙ্গে বাংলাদেশের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিমসটেকের চমৎকার সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্ব দিন: একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রীর ভিশন এবং স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সপ্তম শীর্ষ সম্মেলনের সময় বিমসটেক নেতাদের উদ্বোধনের লক্ষ্যে আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রস্তাবিত বিমসটেক সচিবালয় ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।
প্রতিটি সেক্টরের জন্য একটি শীর্ষস্থানীয় দেশ সহ সাতটি খাতে নামিয়ে আনাসহ বিমসটেকের অধীনে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো পুনর্গঠন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বিমসটেক সহযোগিতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত এবং বাংলাদেশ এ খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের পর বাংলাদেশ যখন সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে তখন পরবর্তী বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন ফোরামের কার্যক্রম আরও জোরদার করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক প্রক্রিয়াকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যেহেতু নতুন মহাসচিব ও সভাপতিত্বে থাকবে দুটি অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ- ভারত ও বাংলাদেশ এবং সচিবালয়ের আনুষ্ঠানিকতা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
৬ষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের পর এই গ্রুপের সভাপতিত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ বিমসটেক প্রক্রিয়ায় আরও দায়িত্ব গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে ও বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মনি পান্ডে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত লিন্ডের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান সবুজ জ্বালানি ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহযোগিতা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে সুইডেনের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনায় মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।
সুইডেন এ বিষয়ে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানায় রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় ড. হাছান মাহমুদকে দেওয়া সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দনপত্রটি মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
১৯৯৭ সালে গঠিত বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড এই সাত দেশের আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকনোমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) নতুন সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্র মনি পান্ডের সঙ্গে বৈঠকে বহুপক্ষীয় আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রসার নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ, আঞ্চলিক পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, যোগাযোগ অবকাঠামোসহ নানা বিষয়ের পাশাপাশি চলতি বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকও আলোচনায় স্থান পায়।
আরও পড়ুন: কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
৯ মাস আগে
বিমসটেকের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে শিগগিরই যোগ দেবেন ভারতের ইন্দ্র মণি পান্ডে
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) পরবর্তী মহাসচিব হচ্ছেন ইন্দ্র মণি পান্ডে।
তিনি ১৯৯০ ব্যাচের একজন ভারতীয় ফরেন সার্ভিস অফিসার এবং বর্তমানে জেনেভায় জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় ভারতের রাষ্ট্রদূত/স্থায়ী প্রতিনিধি।
শনিবার পান্ডে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের প্রধান আঞ্চলিক সংস্থা বিমসটেকের মহাসচিবের মর্যাদাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব আমাকে অর্পণ করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা।’
আরও পড়ুন: বিমসটেক সম্মেলন: নভেম্বরে থাইল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারই প্রথম কোনো ভারতীয় বিমসটেকের মহাসচিবের পদে অধিষ্ঠিত হবেন।
ইন্দ্র মণি পান্ডে শিগগিরই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
বিদায়ী বিমসটেক মহাসচিব তেনজিন লেকফেল ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর বিমসটেকের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিনি বিমসটেকের তৃতীয় মহাসচিব।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কলম্বোতে বিমসটেক সনদ স্বাক্ষরিত
প্রধানমন্ত্রী বছরের শেষ দিকে থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেবেন
১ বছর আগে