বিমসটেকের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনাবিষয়ক এমিনেন্ট পারসনস গ্রুপের (ইপিজি) পঞ্চম বৈঠক আগামী ১৬-১৯ জুলাই ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
চার দিনব্যাপী এই বৈঠকে বিমসটেক ব্যাংকক ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়ন এবং ইপিজির খসড়া প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ইপিজি তাদের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে বিমসটেক নেতাদের কাছে তার প্রতিবেদন জমা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিমসটেকের বর্তমান চেয়ারম্যান থাইল্যান্ডের ইপিজির সদস্য ড. সুনথর্ন চাইনদিপম।
বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর ইপিজির সদস্যরা এ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
বিমসটেক সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডের নেতৃত্বে বিমসটেক সচিবালয় এই বৈঠকের আয়োজন করছে এবং ইপিজিকে আলোচনায় সহায়তা করবে।
একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক ও উন্নত বিমসটেক অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিমসটেকের সংস্কার, পুনরুজ্জীবন ও পুনর্গঠনের জন্য সুপারিশ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইপিজিকে।
একটি সুরক্ষিত, উন্নত ও সমৃদ্ধ বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের লক্ষ্য অর্জনে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার ও গভীর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিশ্রুতির পরিচায়ক এই ইপিজি।
বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের ৭টি দেশ বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড নিয়ে বিমসটেক গঠিত।
বিমসটেক ৭টি খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা দিয়ে থাকে সেগুলো হলো- কৃষি ও খাদ্য সুরক্ষা; কানেক্টিভিটি; পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন; মানুষে মানুষে যোগাযোগ; বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন; নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন।
ব্লু ইকোনমি, মাউন্টেন ইকোনমি, জ্বালানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়নসহ ৮টি উপখাতে সহযোগিতা করে থাকে বিমসটেক।