চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
চমেক হাসপাতাল থেকে ৫ ‘দালাল’ গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাঁচ ‘দালাল’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ নভেম্বর) হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজন হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার নজরুল ইসলামের ছেলে জুয়েল ইফতেখার শাওন, সীতাকুণ্ড উপজেলার আলী আহমেদের ছেলে আলাউদ্দিন ওরফে মাসুদ, ভোলার লালমোহন থানার মিল্লাত হাওলাদারের ছেলে সজীব হাওলাদার, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. শামীম ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার মুজাফফর আহমেদের ছেলে ওমর ফারুক।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া, বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের পরীক্ষা করতে বাধ্য করা এবং নির্দিষ্ট ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িত।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম আশেক বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সকাল থেকে তারা ওয়ার্ডের চারপাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ নানা উদ্ভট প্রতিশ্রুতি দিয়ে রোগীদের নানাভাবে হয়রানি করতেন তারা। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ১২৩ কারখানায় ভাঙচুর, ২২ মামলায় ৮৮ জন গ্রেপ্তার
সিলেটে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১২ দিনে ১৭ মামলা, গ্রেপ্তার ৫০
১ বছর আগে
চমেকে দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মারামারি, ১ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মারামারির ঘটনায় আহত এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় অপর কর্মচারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. ইলিয়াছ (৪৭) খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানার বাবুর্চি শাহজাহানের বাড়ির মৃত মো. আবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
গ্রেপ্তার সমীরণ নাথ (৪৩) পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামের দিলীপ কানঙ্গের বাড়ির মৃত প্রফুল্ল নাথের ছেলে।
এর আগে, রবিবার বিকাল ৫টার দিকে ফরেনসিক বিভাগে টাকা-পয়সা ভাগাভাগি নিয়ে প্রবর্তক মোড় হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় গুরুতর আহত হন ইলিয়াছ।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মধ্যে মারামারিতে আহত একজন মারা গেছেন। অভিযুক্ত সমীরণ নাথকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
চমেক ফরেনসিক বিভাগের অফিস সহায়ক শাহীন আলম বলেন, প্রায়ই টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে সমীরণের সঙ্গে ইলিয়াছের বাড়াবাড়ি হত। সমীরণ মা-বাবা তুলে ইলিয়াছকে গালাগাল দিত। তাই রাগ করে অনেকদিন ইলিয়াছ অফিসেও আসেনি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের মিলিয়ে দিয়েছিল।
এরইমধ্যে রবিবার সমীরণ লাঠি দিয়ে ইলিয়াছের মাথায় বাড়ি দিলে তাকে মেডিকেল নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ইলিয়াছের ছেলে মো. ইমতিয়াজ বলেন, আমার বাবাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা খুবই মর্মান্তিক। আমার বাবা একজন ভালো মানুষ ছিলেন। এভাবে বাবাকে হারাব কল্পনাও করিনি। আমি আমার বাবা হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
আরও পড়ুন: মগবাজারে নিয়ন্ত্রণ হারানো বাসচাপায় নিহত ১, আহত ১
রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
১ বছর আগে
চমেকে ২১ দিন ধরে বন্ধ সিটি স্ক্যান
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সিটি স্ক্যান বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন গরিব অসহায় রোগীরা। গত ২১ দিন ধরে বন্ধ সিটি স্ক্যান পরীক্ষা। কিন্তু চালু করার উদ্যোগ নেই।
জানা গেছে, শুধু সিটি স্ক্যান নয় বন্ধ রয়েছে- এমআরই, ব্র্যাকি থেরাপি, ক্যাথল্যাব। অচল রয়েছে ডজন খানেক মেশিন।
৪ আগস্ট মেশিনের পার্টস নষ্ট হওয়ার ফলে গরিব রোগীদের প্রতিদিন হাসপাতালের বাইরের রোগ নির্ণয়কেন্দ্র থেকে সিটি স্ক্যান করাতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বেশি টাকা ব্যয় এবং দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীদের।
চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সাল থেকে চমেক হাসপাতালে সিটি স্ক্যান পরীক্ষা সেবা শুরু হয়। এভাবে টানা ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেবা অব্যাহত থাকে। তবে ওই বছরই আগস্ট মাসে পুরোনো সিটি স্ক্যানটি অকেজো হয়ে পড়ে। এরপর ৪ বছর সিটি স্ক্যান বন্ধ থাকে হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: চমেকে ১৫০ শয্যার বার্ন ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ-চীন চুক্তি সই
পরে ২০১৮ সালে নতুন একটি সিটি স্ক্যান বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আরও এক বছর পর ১৯ সালের দিকে নতুন মেশিনের সেবা চালু হয়। এভাবে চলছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। মাঝে কয়েকবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার এসে ঠিক করে দেয়। সর্বশেষ চলতি মাসের ৬ জুন মেশিনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সে মাসের ২৩ জুন মেশিনটি সচল হয়। কিন্ত কয়েক দিন না যেতে ৪ আগস্ট তা আবার বন্ধ হয়ে যায়।
সিটি স্ক্যান সচল থাকতে প্রতিদিন ৫০ জনের পরীক্ষা করানো যেত। সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলত এই সেবা। পরীক্ষা ভেদে সিটি স্ক্যান বাবদ চমেক হাসপাতালে ফি ২ হাজার ও ৪ হাজার টাকা। কিন্তু চমেক হাসপাতালের ২ হাজার টাকার এ ফি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩ হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। আর হাসপাতালের চার হাজার টাকার এ ফি বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা চলে যাচ্ছে রোগীদের।
জরায়ু মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত সালমা বেগম চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে যান। চিকিৎসক তাকে ৩টি পরীক্ষা দেয়। তারমধ্যে সিটি স্ক্যান, আরও একটি পরীক্ষা এভারকেয়ারে করতে পরামর্শ দেন। ব্র্যাকি-থেরাপি ঢাকা গিয়ে করতে পরামর্শ দেন। কারণ এটি চট্টগ্রামে আরও কোথাও নেই। আগে চমেক হাসপাতালে করা হতো। মেশিনটি অচল প্রায় এক বছর। তাই সেবাও বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, চিকিৎসক দেখানো ছাড়া আরও কোনো সেবা পাওয়া যায় না হাসপাতালে। ওষুধ, পরীক্ষা সব বাইরে থেকে করতে হয়। আমাদের মতো গরিব রোগীদের দেখবার যেন কেউ নেই।
চন্দনাইশের বাসিন্দা রাকিব হাসান জানান, স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগ নিরূপণের জন্য চিকিৎসক তার সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। হাসপাতালে সেবা বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে তার সিটি স্ক্যান করাতে হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়ার পর হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগে সিটি স্ক্যান মেশিনটি স্থাপন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৯ সালের মার্চে এই সিটি স্ক্যান মেশিনটির সেবা পুরোপুরি চালু হয়। মেশিনটির ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়ারেন্টির মেয়াদ রয়েছে।
চমেক হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ চন্দ্র মজুমদার বলেন, ৬ জুন মেশিনটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২৩ জুন সচল করা হয়। কিন্ত চলতি মাসের ৪ আগস্ট থেকে অচল হয়ে পড়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে দুটো সিটি স্ক্যান। তার মধ্যে একটি দীর্ঘ বছর ধরে অচল। যেটি সচল ছিল তাও আর নেই। সব রোগীদের বাইরে পরীক্ষা করতে হচ্ছে। বাড়তি টাকা যাচ্ছে। গরিব রোগীদের চিকিৎসা নিতে বেগ পেতে হচ্ছে। মেশিনটি সচল করতে কাজ চলমান রয়েছে। তাও আরও কয়েকদিন লাগবে।
এ প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান জানান, সিটি স্ক্যানসহ অচল হয়ে পড়া সব মেশিন খুব দ্রুত চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি আমরা দ্রুত মেরামত করে চালু করতে পারব।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতালে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ডায়ালাইসিস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
চমেকে কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা ফের বন্ধ ঘোষণা
১ বছর আগে
চমেক হাসপাতাল থেকে ওষুধ চুরির অভিযোগে ওয়ার্ডবয় আটক
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ চুরির অভিযোগে এক ওয়ার্ডবয়কে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৯ এপ্রিল) সকালে হাসপাতালের পূর্ব গেটের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. সাদ্দাম হোসেন (৩৩) হাসপাতালের ১৩ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে বিশেষ অনুমতির ভিত্তিতে কাজ করতো।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী আটক
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম আশেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সরকারি ওষুধ বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল সে। আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে তল্লাশি চালিয়ে ওষুধগুলো জব্দ করি।
আরও পড়ুন: মেঘনায় মাছ শিকারে দায়ে ১৩ জেলে আটক
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ: ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলন করায় গ্রেপ্তার হওয়া সৈয়দ মো. মোস্তাকিমকে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সিএমপির পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন (৪২) এবং উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আজিজের (৩৮) বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা: নারাজি দিতে সময়ের আবেদন বাবার
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে মো. মোস্তাকিম এ অভিযোগ করেন।
তবে বিকাল ৫টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আদালত এ বিষয়ে কোন আদেশ দেননি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মোস্তাকিমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান জানান, পুলিশি হেফাজতে মোস্তাকিমকে নির্যাতনের অভিযোগে ওসিসহ তিন পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। মামলাটি আদালতে শুনানি হয়েছে। ভুক্তভোগী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। শুনানি শেষে আবেদনটি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন আদালত।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সৈয়দ মোস্তাকিম তার মাকে গত ৭ বছর ধরে চমেক হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস করান। সম্প্রতি ডায়ালাইসিসের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় তিনিসহ রোগীর স্বজনরা মিলে আন্দোলন করেন।
গত ১০ জানুয়ারি তারা চমেক হাসপাতালের প্রধান গেইটে মানববন্ধন করেন। সে সময় পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হন।
আরও পড়ুন: সোনাগাজীতে ১৬ বছর পর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
একপর্যায়ে ওসি নাজিম মোস্তাকিমকে আটক করে প্রথমে একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিচে মারধর করেন। পরে থানায় নিয়ে তাকে মারধর ও নির্যাতন করা হয়।
মারধরের সময় এসআই আবদুল আজিজ মোস্তাকিমকে লক্ষ্য করে নানা ধরনের গালিগালাজ করে এবং মারধরের সময় এসআই আবদুল আজিজ মোস্তাকিমকে বলেন- ‘ওসি নাজিম স্যারের সাথে আর বেয়াদবি করবি?’
সে সময় ওসি নাজিম বলেন, ‘রিমান্ডে এনে থানায় পিটাতে হবে, তারপর বুঝবি পুলিশ কী জিনিস!’ এরপর থানায় ধরে এনে মারধরের বিষয়টি ফাঁস করলে মোস্তাকিমকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়া হয়।
জানা গেছে, ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত জানুয়ারির শুরুর দিকে চমেক হাসপাতালে আন্দোলনে নামেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। কয়েকদিন ধরে চলা ওই আন্দোলনে গত ১০ জানুয়ারি চমেকের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
সেদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ করে পুলিশ। কিন্তু আন্দোলনকারীরা সড়ক না ছাড়ার ঘোষণা দেন। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন উত্তেজিত হন। তিনি নিজের মুঠোফোন বের করে বিক্ষোভকারীদের ভিডিও ধারণ করেন ও তাদের দেখে নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এরপর একযোগে আন্দোলনকারীরা ওসির বিরুদ্ধে হইচই শুরু করেন ও ভিডিও ডিলিট করার দাবি জানান।
সেসময় মোস্তাকিমও ওসির সেই মোবাইল সরিয়ে নিতে চেষ্টা করেন। এরইমধ্যে হাতাহাতিতে ওসির মোবাইল মাটিতে পড়ে ভেঙে যায়। এরপর মোস্তাকিমকে পেটাতে পেটাতে চমেকের প্রধান ফটকের বিপরীতে এপিক হাসপাতালে নিয়ে যান ওসি নাজিম উদ্দিন। সেখানেও তাকে আরেক দফা মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন: ধুনটে স্কুলছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা
কিছুক্ষণ পর এপিকের সামনে থেকে আরও একজনকে ধরে এনে ভেতরে নিয়ে যান ওসি নাজিম উদ্দিন। তখন বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন অন্য পুলিশ সদস্যরা।
একপর্যায়ে একজনকে ছেড়ে দিলেও মোস্তাকিমকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর ওই দিন রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান। এতে মোস্তাকিমকে আসামি করা হয়।
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) জেলার বাঁশখালী ও মীরসরাই উপজেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার আনোয়ারা-বাঁশখালী পিএবি প্রধান সড়কের গুনাগরী এলাকায় দুই সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যুবক গুরুতর আহত হন।
পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় পাওয়ার টিলার চালক নিহত
নিহত মো. আজগর হোসেন (৪০) উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের মাইজপাড়ার শিব্বির আহমদের ছেলে।
চমেক হাসপাতালে দায়িত্বপালনকারী পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদিকুর রহমান বলেন, বাঁশখালীর গুনাগরীতে দুই সিএনজি অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. আজগর হোসেন নামে এক যুবক গুরুতর হন। আহতাবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার লাশ মর্গে রাখা আছে।
অন্যদিকে, এদিন সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালকের সহকারী নিহত হয়েছেন।
সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিঠাছরা গাংচিল ফিলিং স্টেশন এলাকায় সিমেন্ট আনলোড করার সময় আরেকটি ট্রাকের ধাক্কায় রণির মৃত্যু হয়।
নিহত মো. রণির (২২) বাড়ি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকায়।
পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, সকাল ৯টার দিকে সেভেন রিং সিমেন্টের একটি ট্রাক থেকে সিমেন্ট আনলোড চলছিল। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সেভেন রিং সিমেন্ট বহনকারী ট্রাকের সহকারী রণিকে অপর একটি ট্রাকচাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর জানান, দুর্ঘটনায় এক ট্রাক চালকের সহকারী মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানি না। আমরা খবর নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় গ্রাম পুলিশসহ নিহত ৩
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু
১ বছর আগে
চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোগীদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার থেকে চমেক কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে পূর্ব নির্ধারিত ফি বহাল রাখার দাবিতে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে আন্দোলন করেন তারা।
আরও পড়ুন: চমেকে জোনায়েদ সাকির ওপর ছাত্রলীগের হামলা
এসময় বেসরকারি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেন্ডর কর্মচারীরা রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এর আগে একই দাবিতে শনিবার হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসানকে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল সাধারণ রোগীরা।
আন্দোলনরত রোগী ও তাদের স্বজনেরা জানিয়েছেন, প্রতিমাসে একজন রোগীকে আট বার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হয়। এরমধ্যে দুইবার ২ হাজার ৭৯৫ টাকা করে পরিশোধ করলেও বাকি ছয় বারই ৫১০ টাকা করে পরিশোধ করতে হতো একজন রোগীকে।
কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে এসে দু’বারের পরিবর্তে তা চারবার করা হয়। তাও আবার ফি বাড়িয়ে ২ হাজার ৯৩৫ টাকা করা হয়েছে। আর বাকি চারবার ৫৩৫ টাকা করা হয়েছে। এতে প্রতি রোগীর ডায়ালাইসিস ফি প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, মেডিকেলে ডায়ালাইসিস করার সক্ষমতা সাড়ে ছয় হাজার। কিন্তু এই সীমা অতিক্রম করার কারণে ফি বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সাড়ে ছয় হাজার জন ডায়ালাইসিস সুবিধা পাবে। সরকারি নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই আমাদের। তবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করছি এ বিষয়ে শিগগিরই একটি সমাধান পাবো।
তবে পূর্বের ফি না নিলে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন হাসপাতালের রোগী ও স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে পিপিপি’র আওতায় পরিচালিত চমেক হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারটি চালু হয়। বর্তমানে ৩১টি মেশিন নিয়ে চলছে এ সেন্টার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যান্ডোর এই সেন্টারে তাদের কার্যক্রম ১০ বছর চালিয়ে যাবে। এর জন্য সরকারি জায়গা ব্যবহার করবে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিটি কিডনি ডায়ালাইসিসের বিপরীতে প্রায় তিন হাজার টাকা (বর্তমানে) দিতে হয় রোগীকে।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতালের সেবা নিয়ে গণশুনানী করবে দুদক
চমেক হাসপাতালে কারাবন্দির মৃত্যু
১ বছর আগে
চমেকের সেই আলোচিত ছাত্র আকিবের মাথার হাড় প্রতিস্থাপন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে গুরুতর আহত কলেজটির শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিবের মাথার হাড় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত এ অপারেশন চলে। সফলভাবে অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নোমান খালেদ চৌধুরী।
অস্ত্রোপচার শেষে ডা. নোমান খালেদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সফলভাবে অপারেশন শেষ করেছি। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা সময় লেগেছে। আকিব ভালো আছে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
আরও পড়ুন: চমেকের আলোচিত সেই আকিব হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন
এর আগে গতকাল রবিবার বিকালে চমেক এমবিবিএস ৬২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিবকে অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তির করা হয়।
গত বছরের ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিব। এতে তার মাথার হাড় ও ব্রেইনে মারাত্মক জখম হয়। থেঁতলে দেয়া হয় তার মাথার হাড়। সে সময় পুরো মাথায় লাগানো সাদা ব্যান্ডেজে চিকিৎসকরা লিখে দেন ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না।’
পরে জটিল অস্ত্রোপচারের পর প্রায় ১৯ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আকিব। কিন্তু সেই সময়ে তার মাথায় খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়নি। প্রথম অস্ত্রোপচারের পর মাথার হাড়ের একটি অংশ খুলে পেটের ভেতর রাখা হয়েছিল। ওই হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল আকিবের মাথার ডান পাশ।
আরও পড়ুন: জ্ঞান ফিরেছে চমেক ছাত্র আকিবের
২ বছর আগে
মরদেহের সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ: চমেক মর্গের ডোম আটক
দুই নারীর মরদেহের সঙ্গে শারীরিক সংসর্গের অভিযোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গের (লাশ ঘর) এক ডোমকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে চমেক হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক মোহাম্মদ সেলিম (৪৮) কুমিল্লার লাকসাম থানার সাতেশ্বর গ্রামের মৃত নোয়াব আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগে পাঁচলাইশ মডেল থানায় মামলা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রবাসীকে হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
সিআইডি’র চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার মু. শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাতে ১২ বছরের এক কিশোরীর মরদেহ আসে চমেক হাসপাতালের মর্গে। একইভাবে পরের মাসেও রাত আড়াইটার দিকে আরেক নারীর মরদেহ আসে মর্গে।
কাকতালীয়ভাবে দুই মরদেহের ময়নাতদন্তে সংগৃহীত এইচভিএসে (হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব) একই পুরুষের শুক্রাণু পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামলে সেটি সেলিমের শুক্রাণু বলে শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ইয়ংওয়ান কর্মকর্তার মৃত্যু
তিনি বলেন, মর্গে রাতে মরদেহ এলে ময়নাতদন্ত রাতে না হয়ে পরের দিন হয়। সেই সুযোগে সেলিম ওই দুই নারীর মরদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আরও অনেক মরদেহের সঙ্গে এ কাজ করেছেন।
এ বিষয়ে আরও জানতে সিআইডি আদালতে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করবে বলেও জানান তিনি।
২ বছর আগে
হাটহাজারীতে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু, বৃদ্ধাসহ দগ্ধ ৫
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আগুনে পুড়ে পাঁচ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বৃদ্ধাসহ দগ্ধ হয়েছেন একই পরিবারের আরও ৫ সদস্য। উপজেলার পৌর সদরের রঙ্গিপাড়া এক নম্বর ওয়ার্ডে বুধবার ভোরে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে।জীবন্ত দগ্ধ শিশুটির নাম মো. রাকিব (বয়স ৫ মাস)।
আর দগ্ধরা হলেন- লাকি (৪৯), ছেনোয়ারা (৮০), মানিক (১৫), বৃষ্টি (১৮) আনোয়ারা (৩৫)। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে আগুনে শিশু নিহত, মা-মেয়ে দগ্ধ
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, ভোর রাতের দিকে ওই ঘরে আগুন লাগে। আগুন ছড়িয়ে পড়লে ২০টি ঘর পুড়ে যায়। দগ্ধ শিশুটিকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভোরে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে দুটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে লাগা আগুনে ২০টি বসতঘর পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: আগুনে পুড়ে ছাই সীতাকুণ্ডের ৩০ দোকান
৩ বছর আগে