অর্থ পাচারকারী
অর্থ পাচারকারীদের দায়মুক্তির সমালোচনা সংসদ সদস্যদের
সাত শতাংশ কর দিয়ে পাচার করা অর্থ বৈধ করার বিষয়ে বাজেট প্রস্তাবের কঠোর সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।
রবিবার সংসদে তারা ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব করায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সমালোচনা করেন।
অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, যারা টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তা না হলে অর্থপাচার বিরোধী আইনের প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে আনার সুযোগ বাতিলের আহ্বান টিআইবির
পীর ফজলুর রহমান বলেন, যারা টাকা চুরি, অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করেছে তাদের দায়মুক্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এটি মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়।
গাইবান্ধা থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী অর্থমন্ত্রীকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি এই সাধারণ ক্ষমা পাসের পর চলমান মামলার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
পাটোয়ারী বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে এই সাধারণ ক্ষমা লাভ করা যাবে না এমন একটি নীতি থাকা উচিত।
জাতীয় পার্টির সাংসদ বলেন, ভারতে এ ধরনের সাধারণ ক্ষমা দেয়া হলেও তা কোনো সফলতা আনতে পারেনি।
সিলেট থেকে নির্বাচিত গণফোরামের সাংসদ মোকাব্বির খান দেশের শীর্ষ ১২ দুর্নীতিবাজের শাস্তি দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনলে কোনো প্রশ্ন করা হবে না: অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা দেশের ৫০ শতাংশ দুর্নীতি কমিয়ে আনতে পারব, অন্যথায় আমি সংসদ থেকে পদত্যাগ করব।’
মোকাব্বির খান অভিযোগ করে বলেন,বড় বড় পদে থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করা বড় দুর্নীতিবাজদের ছোঁয়ার সাহস কর্তৃপক্ষের নেই।
কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল দত্ত অর্থ পাচারকারীদের সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব সংশোধনের জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটার কোনো ইতিবাচক প্রভাব নেই, যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে, তারা সৎ থাকলে দেশেই টাকা রাখত।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: পাচার হওয়া অর্থ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ
২ বছর আগে
দুর্নীতিবাজ রুই-কাতলদের আইনের আওতায় আনতে হবে: হাইকোর্ট
দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীরা যত বড় রুই-কাতল হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ছাড় দিলে চলবে না বলে বুধবার মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে
অর্থ পাচারকারীদের দেশের শত্রু উল্লেখ করে তাদের তথ্য চেয়েছে হাইকোর্ট
বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের দেশ ও জাতির শত্রু উল্লেখ করে তাদের নাম-পরিচয়সহ যাবতীয় তথ্য চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, এনবিআর চেয়ারম্যানকে এ তথ্য দাখিল করতে বলা হয়েছে।
৪ বছর আগে