গাড়িবহরে হামলা
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা: জায়েদ খান-জয়-সাজু খাদেমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২০১৫ সালে নির্বাচনি প্রচারণার সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগে চিত্রনায়ক জায়েদ খান, অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় ও অভিনেতা সাজু খাদেমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রবিবার (২৫ আগস্ট) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবীর আদালতে বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন শিল্পী আসিফ ইমাম।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে অভিযোগটি মতিঝিল থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী, মেয়রসহ ১১০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মামলার অপর আসামিরা হলেন- শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, কর্নেল ফারুক খান, ফজলে নূর তাপস, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, সাবের হোসেন চৌধুরী, মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, সাইদ খোকন, বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সাংবাদিক শাবান মাহমুদ, আবু আহম্মেদ মন্নাফী, মতিঝিল জোনের তৎকালীন এডিসি মেহেদী হাসান, একে এম মমিনুল হক সাঈদ ও মোস্তফা জামান পপি।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচনি প্রচারণার সময় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্রসহ তার গাড়িবহরে হামলা চালায় আসামিরা। এসময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ১২-১৪টি গাড়ি ভাঙচুর করে, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং নেতাকর্মীদের মারধর করে তারা। খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আসামিরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে সাধারণ পথচারীরা আহত হন। আওয়ামী লীগের ১৪ দলীয় জোট এবং এর অঙ্গ সংগঠনসমূহের ২০০-৩০০ জন নেতাকর্মী দেশি অস্ত্র হাতে নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় লিটনসহ ৪২ জনের নামে মামলা
চট্টগ্রামে থানায় হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলা, আসামি ৪০ হাজার
২ মাস আগে
বগুড়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা বন্দরে রোডমার্চ চলাকালীন গণতন্ত্র মঞ্চের গাড়িবহরে লাঠিসোটা ও ইট পাটকেল নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। এসময় গণতন্ত্র মঞ্চের তিন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছেন মঞ্চের নেতারা।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের শীর্ষ নেতা গণসংহতির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী অভিযোগ করেন, মোকামতলা বন্দরের অদূরে জয়পুরহাট রোড মোড়ে রোড মার্চের সমাবেশ শেষে গাড়িবহর ৫০ গজ বগুড়া শহরের দিকে গেলে গাড়িবহরকে লক্ষ্য করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে হামলা করে।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বৈঠক করেছে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ
এসময় ইট গাড়ির কাচ ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তিন জন আহত হন। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ অসহযোগীতামূলক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন সাকি।
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের শীর্ষ নেতা সাইফুল হকসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার বিকালে শিবগঞ্জ উপজেলা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে পথসভায় ভিডিও কলে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কাওসার, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা অ্যাডভোকেট সানোয়ার।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলন: গণতন্ত্র মঞ্চের ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
এসময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্য নেতা আব্দুল বাছেদ বাদশা, বিদ্যুৎ আমিন সৈকত, এসএম সাদ্দাম হোসেন, সাইদুর রহমান সাগর, হারুনুর রশিদ, এনামুল হক, যুব নাগরিক ঐক্য নেতা অমিত হাসান, রশিদুল ইসলাম, নাগরিক নারী ঐক্য নেত্রী বিউটি বেগম, নাজমা খাতুন, ছাত্র ঐক্য নেতা রাশেদ মাহমুদ তুষার, সিয়াম চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। এ সরকার অবৈধ, ভোটারাধিকার কেড়ে নিয়ে এ সরকার জনগণের বিপক্ষে অবস্থা নিয়েছেন। বর্তমান সরকার সংবিধান পরিবর্তন করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার পায়তারা করছে। অনতিবিলম্বে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আনতে হবে। এই সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যাবে না। তাদেরকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে। জনগণকে রাস্তায় নেমে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
১ বছর আগে
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: দণ্ডিত ৭ আসামির জামিন স্থগিতই থাকছে
সাতক্ষীরায় প্রায় দেড় যুগ আগে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত সাত আসামিকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের ওপর স্থগিতাদেশের মেয়াদ তিন সপ্তাহ বাড়িয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সাথে এ সময়ের মধ্যে তাদের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। একই সাথে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল শুনানির জন্য ২০ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে। ফলে এ সময় পর্যন্ত তাদের জামিন স্থগিতই থাকছে।
যে সাত দণ্ডিত ব্যক্তির জামিন স্থগিতই থাকছে তারা হলেন-আবদুস সাত্তার, গোলাম রসুল, আবদুস সামাদ, জহিরুল ইসলাম, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম। এ মামলায় ২৫ মে হাইকোর্ট সাত দণ্ডিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা ২৭ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি ৩০ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি ও আদেশ হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন।
জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সদর হাসপাতালে যান। তিনি মাগুরায় ফেরার পথে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ পাওয়া যায় সাতক্ষীরা-১ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
হামলায় শেখ হাসিনাসহ তার গাড়ি বহরে থাকা লোকজন, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিকসহ অন্তত এক ডজন লোক আহত হন। ওই ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদল সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৭০-৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিভিন্ন আদালত ঘুরে হাইকোর্টের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উলেখ করে ৩০ জনকে সাক্ষী করে পেনাল কোর্ট, অস্ত্র আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক তিনটি অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ৭ আসামির জামিন স্থগিত
সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে বিচারাধীন পেনাল কোর্টের মামলাটি ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর এবং সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালতে বিচারাধীন অস্ত্র আইনে ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দুটির কার্যক্রম যথাক্রমে ২০১৭ সালের ৯ ও ২৩ আগস্ট আসামীপক্ষ হাইকোর্টে স্থগিত করেন। গতবছর ৮ অক্টোবর ওই রুল খারিজ করে রায় দেন আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রাকিবুর। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। এরপর বিচার শেষে সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের সর্বোচ্চ ১০ বছর করে এবং বাকি ৪৭ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন। এরপর আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন চেয়ে আবেদন জানান।
৩ বছর আগে
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় আরও ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত।
৩ বছর আগে