সম্প্রীতি
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর হবে: আইজিপি
জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শত্রুদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেশের সকল পুলিশ ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। দলমত নির্বিশেষে এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সম্ভাব্য বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ সফল: আইজিপি
পুলিশ প্রধান বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান 'জিরো টলারেন্স'। বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ), কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট, এসবি, সিআইডি, র্যাব ও জেলা পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত বিষয়টি মনিটরিং করছে। তিনি বলেন, দেশে যাতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পুলিশ অত্যন্ত কঠোর ও সতর্ক রয়েছে।
পুলিশ বাহিনীর এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গি ও জামিনে থাকা অন্যান্য অপরাধীরা যাতে কোনো ধরনের অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলো তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সদর দপ্তর বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়মিত মনিটরিং করছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কেউ দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশ অপরাধীকে গ্রেপ্তারসহ তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব পুলিশকে কাজে যোগদানের নির্দেশ নতুন আইজিপির
বাংলাদেশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম
২ মাস আগে
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তুলে ধরতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি ও ঐক্য উপস্থাপনের জন্য একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করবে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘একতার বাংলাদেশ’।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অফিস কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা এই তথ্য জানায়।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী 'একতার আলোয় বাংলাদেশ' নামের এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হবে।
একতার বাংলাদেশের আহ্বায়ক প্লাবন তারেক বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশে সকল ধর্ম, বর্ণ ও মতাদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে একটি সমতাভিত্তিক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে এই প্ল্যাটফর্ম।’
তিনি বলেন, 'আমরা যারা এখানে কাজ করছি তারা সবাই মনে করি আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। তাই এখানে বিভেদের কোনো জায়গা নেই। আমরা আমাদের কর্মসূচির মাধ্যমে এই মানসিকতার প্রতিফলন ঘটাতে চাই। আমি আশা প্রকাশ করছি, ৮ ও ৯ তারিখের এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে জাতি জুলাই বিপ্লব, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ধর্ম, বর্ণ ও আদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে একটি সমতাভিত্তিক ও মানবিক রাষ্ট্রের প্রতিফলন প্রত্যক্ষ করবে।’
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহায়তায় গ্যালারি কসমসে 'আর্ট ফর এইড: রিবিল্ডিং লাইভস' প্রদর্শনী শুরু
২ মাস আগে
বাংলাদেশে সব সম্প্রদায় সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে : প্রধানমন্ত্রী
দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সম্প্রদিায়টির সভাপতি কায়েদ জোহর উজ্জয়িনওয়ালা।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতো দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ও শান্তিতে বসবাস করবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলেমিশে বসবাস করবে।’
আরও পড়ুন: কোরিয়া বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন অংশীদার : প্রধানমন্ত্রী
তাদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন শেখ হাসিনা।
প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, নিরাপত্তা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
একই সঙ্গে তারা মানবকল্যাণে শেখ হাসিনার অবদান তুলে ধরেন।
দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
তারা হাতে তৈরি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি প্রতিকৃতি এবং ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাদের কমিউনিটি নেতা শেখ তাহেরভাইয়ের একটি ছবি উপহার দেন।
দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের অনুসারীরা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশে এই সম্প্রদায়ের অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০। এরা মূলত চট্টগ্রাম ও পুরান ঢাকায় বসবাস করে। তাদের নেতা সাইয়্যেদুনা মুফাদ্দল সাইফুদ্দিন।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর বাজেটোত্তর নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৪ মাস আগে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ: ধর্মমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেন, এটি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক।
শনিবার (১৮ মে) বরিশালে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি অডিটোরিয়ামে পুরোহিত ও সেবাইতদের বিভাগীয় সম্মেলনে ধর্মমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি যেন নষ্ট না হয় সতর্ক থাকুন: হজ গাইডদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী বলেন, আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পীঠস্থান। বিভিন্ন ধর্ম-গোত্রের মানুষ এখানে মিলেমিশে বসবাস করে। উৎসব-পার্বণে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনার অন্যতম হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। স্বাধীনতার এই চেতনাকে সামনে রেখেই প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমরা আজ সম্মানজনক একটি জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন শুধু স্বপ্ন দেখে না, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে।
পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাই পারেন কমিউনিটির মানুষের মধ্যে সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানের প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি তাদের আদর্শ ও নিষ্ঠাবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজে বিদ্যমান সামাজিক ব্যাধি ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, মাদকাসক্তি, দুর্নীতি, ভেজাল প্রভৃতি প্রতিরোধেও আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য যেন কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রূপকল্প-২০৪১। এছাড়া জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা সবাইকে সমান তালে এগিয়ে নিতে চাই। সব ধর্মের মানুষকে সমান গুরুত্ব দিয়ে তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আগামী দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে আরও বেশি কাজ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
আরও পড়ুন: হজ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করছে সরকার: ধর্মমন্ত্রী
বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে: ধর্মমন্ত্রী
৬ মাস আগে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পীরগঞ্জ: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আবহমান বাংলার চিরায়ত বৈশিষ্ট্যই হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এই সোনার বাংলায় যে কোনো ধর্মীয় উৎসবে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সবার এক অপূর্ব মেলবন্ধন তৈরি হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পীরগঞ্জ।
আরও পড়ুন: পরিবেশগত ঝুঁকি রোধে টেকসই সমাধান খুঁজতে হবে: স্পিকার
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনী রংপুর-৬ এর অন্তর্গত পীরগঞ্জ উপজেলার খালাশ পীর কালী মন্দির চত্বর প্রাঙ্গণে 'জয় মা সৎসঙ্গের শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় আলোচনা, ভজন কীর্তণ ও প্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
স্পিকার বলেন, পীরগঞ্জে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে সেজন্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেয়। মা-বোনসহ পরিবারের সবাই মিলে যেন ভাব-গাম্ভীর্য সহকারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারে, সেজন্য সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
স্পিকার আরও বলেন, ধর্ম যার উৎসব সবার। তাই সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে উদ্যোগী হতে হবে। এসময় তিনি যেকোনো অনুষ্ঠানের আগে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: স্পিকার
শ্রমিক-মালিক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত রচনা করতে হবে: স্পিকার
১ বছর আগে
হাটখোলা সীমান্তে সম্প্রীতির বন্ধনে বিজিবি-বিএসএফ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবির হাটখোলা সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে বিএসএফকে বিজিবির মিষ্টি উপহার।
আজ (২৯ জুন) বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে দুপুরে হাটখোলা ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার নাইমুল ইসলাম সীমান্তের ২৮১/১২ পিলার এলাকায় ভারতের গয়েশপুর বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার এস সুন্দর সিংকে এ মিষ্টি উপহার দেন।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: প্রস্তুত ইসি, বিজিবি মোতায়েন
ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার নাইমুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে সৌর্হাদ্য সম্প্রীতি বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে দুই দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসবে বিজিবি-বিএসএফ একে-অপরকে মিষ্টি সহ বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দেওয়া-নেওয়া হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন,প্রত্যেক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এসব মিষ্টি উপহার দেওয়া নেওয়া হয়।ফলে দু-দেশের সৌহাদ্য সম্পর্ক অটুট থাকে।
এসময় বিজিবি ও বিএসএফের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় ঈদ সম্প্রীতির বন্ধনে বিজিবি-বিএসএফ
চামড়া পাচার ঠেকাতে হিলি সীমান্তে কঠোর নজরদারি বিজিবির
১ বছর আগে
শেরপুরে সম্প্রীতি, সহিষ্ণুতা, যুবজাগরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
সম্প্রীতি, সহিষ্ণুতা, যুবজাগরণে শেরপুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে নাগরিক প্ল্যাটফরম জন উদ্যোগ যুব ফোরাম।
শুক্রবার(২৫নভেম্বর)রাতে শহরের চকবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শেরপুর জেলায় বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা নাচ, গান, আবৃত্তি, অভিনয়ের মাধ্যমে দেশপ্রেম, যুব শক্তির বিকাশ এবং পারষ্পারিক সহমর্মিতার বার্তা দেয়। সেইসঙ্গে মাদক মুক্ত সমাজ গঠন, বাল্য বিয়ে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক বক্তব্য দেয়া হয়।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুসালেহ মো. নুরুল ইসলাম হিরো এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন । জন উদ্যোগ যুব ফোরামের আহ্বায়ক শুভংকর সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে পৌরমেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, অতিরিক্তপুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক, জন উদ্যোগ আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ বক্তব্য দেন। অন্যদের মাঝে জেলা জাসদসভা পতি মনিরুল ইসলাম লিটন, কবি-লেখক জ্যোতি পোদ্দার, কবি সাংবাদিক রফিক মজিদ, জেলা মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদিকা আইরীন পারভীন, উদীচী জেলা কমিটিরসহ-সভাপতি মো. এসএম আবু হান্নান, মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা মো. মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: আজ রাধারমণ সংগীত উৎসব
১ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র বলেন, ‘সকল ধর্মের উৎসব আয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সবসময় পাশে আছে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য। সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে হবে আমাদের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায়। আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ অসাম্প্রদায়িক চেতনা, পারস্পরিক ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।’
রবিবার বিকালে প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের হল রুমে শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
মতবিনিময় সভায় পূজামণ্ডপে আগত শিশু ও নারী দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, যানযট নিরসণে ব্যবস্থা গ্রহণ, রাস্তাঘাট সংস্কার, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এসময় মেয়র বলেন, ‘দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, সামাজিক উৎসবও। দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশি একত্রিত হন, মিলিত হন আনন্দ-উৎসবে। তাই এ উৎসব সার্বজনীন। এ সার্বজনীনতা প্রমাণ করে, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’
এসময় মেয়র পূজামণ্ডপের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ, নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো, যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, রাস্তাঘাট সংস্কারে ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন। ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিমকে সর্বদা প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা ডিএনসিসির আওতাধীন অঞ্চলের পূজামণ্ডপের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন। এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মো. আবু ইউসুফ পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি উপস্থাপন করেন।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সেলিম রেজা’র সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান ও কাউন্সিলররা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মো. আবু ইউসুফ এবং ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০ ফিটের কম প্রশস্তের রাস্তার উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ নেই: মেয়র আতিক
ঢাকা শহরকে বাঁচাতে গাছ লাগাতে হবে: মেয়র আতিক
২ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম বলে মন্তব্য করেছেন ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা সকলে একসঙ্গে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি।
আমাদের স্লোগান ছিল – ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’, ‘বীর বাঙ্গালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’। কে হিন্দু, কে মুসলিম সেই ভেদাভেদ ছিল না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গ্রামগুলো আজ শহরে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম আজ আলোকিত, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা পদ্মাসেতু তৈরি করেছি। কর্ণফুলী ট্যানেলের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।
আরও পড়ুন: তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি। আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবো। আওয়ামী লীগ সরকারের এসব উন্নয়ন বিএনপি দেখে না।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল। এক - বাংলাদেশ স্বাধীন করা। দুই - ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
প্রথমটি জাতির জনক করে গেছেন। দ্বিতীয়টি করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হয়েছে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, আজও আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছি। বিশেষ করে ভোলায় আমরা সকল ধর্মের মানুষ এক এবং অভিন্ন হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে অত্যন্ত শান্তিতে বসবাস করছি।
এছাড়া আমাদের ধর্মের দিক থেকে কেউ মুসলিম, কেউ হিন্দু। কিন্তু মনের দিক থেকে আমরা সকলে এক। আমাদের ঈদে হিন্দু ভাইরা আসেন। তাদের পূজায় আমরা যাই। আমাদের মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই।
ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে এর সভাপতিত্বে তোফায়েল আহমদের ভোলার গাজীপুর রোডস্থ বাসভবনে এই মতবিনিময় সভায় বক্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, সদর উপজেলা ভাইরাস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ, সদর উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি মানস ঘোষ শান্ত প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আর কখনও নির্দলীয় সরকার হবে না: তোফায়েল আহমেদ
দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে: তোফায়েল আহমেদ
২ বছর আগে
আমরা শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য কাজ করছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সমাজে যদি কোনো ধরনের সন্ত্রাস-উগ্রবাদ না থাকে, সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয়, যদি শান্তি বজায় থাকে, তাহলে মানুষের মঙ্গল হয়। আমরা শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য কাজ করছি।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় সিলেট নগরের যুগলটিলাস্থ আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) সিলেট মন্দিরে উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, আমাদেরকে সর্তক থাকতে হবে, কারণ বিভিন্ন সময় ধর্ম নিয়ে গুজব সৃষ্টি করা হয়। স্বাধীনতার পর থেকেই একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আসছে, বর্তমানেও তাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাই এদের কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, সাবেক ট্রাস্টি চন্দন রায়, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া প্রমুখ।
সভা শেষে মঙ্গল প্রদীপ জ্বলিয়ে রথযাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অতিথিরা। পরে বর্ণাঢ্য সাজে তিনটি বিশাল রথে জগন্নাথদেব, শুভদ্রা ও বলরামের বিগ্রহসহ বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়।শোভাযাত্রাটি নগরের রিকাবীবাজার, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, নাইওরপুল, বন্দরবাজার, তালতলা, রিকাবীবাজার হয়ে ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: বন্যা দুর্গতদের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ত্রাণ সহায়তা হস্তান্তর
বন্যার ক্ষতি এড়াতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে