সম্প্রীতি
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পীরগঞ্জ: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আবহমান বাংলার চিরায়ত বৈশিষ্ট্যই হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এই সোনার বাংলায় যে কোনো ধর্মীয় উৎসবে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সবার এক অপূর্ব মেলবন্ধন তৈরি হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পীরগঞ্জ।
আরও পড়ুন: পরিবেশগত ঝুঁকি রোধে টেকসই সমাধান খুঁজতে হবে: স্পিকার
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনী রংপুর-৬ এর অন্তর্গত পীরগঞ্জ উপজেলার খালাশ পীর কালী মন্দির চত্বর প্রাঙ্গণে 'জয় মা সৎসঙ্গের শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় আলোচনা, ভজন কীর্তণ ও প্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
স্পিকার বলেন, পীরগঞ্জে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে সেজন্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেয়। মা-বোনসহ পরিবারের সবাই মিলে যেন ভাব-গাম্ভীর্য সহকারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারে, সেজন্য সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
স্পিকার আরও বলেন, ধর্ম যার উৎসব সবার। তাই সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে উদ্যোগী হতে হবে। এসময় তিনি যেকোনো অনুষ্ঠানের আগে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: স্পিকার
শ্রমিক-মালিক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত রচনা করতে হবে: স্পিকার
হাটখোলা সীমান্তে সম্প্রীতির বন্ধনে বিজিবি-বিএসএফ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবির হাটখোলা সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে বিএসএফকে বিজিবির মিষ্টি উপহার।
আজ (২৯ জুন) বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে দুপুরে হাটখোলা ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার নাইমুল ইসলাম সীমান্তের ২৮১/১২ পিলার এলাকায় ভারতের গয়েশপুর বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার এস সুন্দর সিংকে এ মিষ্টি উপহার দেন।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: প্রস্তুত ইসি, বিজিবি মোতায়েন
ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার নাইমুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে সৌর্হাদ্য সম্প্রীতি বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে দুই দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসবে বিজিবি-বিএসএফ একে-অপরকে মিষ্টি সহ বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দেওয়া-নেওয়া হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন,প্রত্যেক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এসব মিষ্টি উপহার দেওয়া নেওয়া হয়।ফলে দু-দেশের সৌহাদ্য সম্পর্ক অটুট থাকে।
এসময় বিজিবি ও বিএসএফের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় ঈদ সম্প্রীতির বন্ধনে বিজিবি-বিএসএফ
চামড়া পাচার ঠেকাতে হিলি সীমান্তে কঠোর নজরদারি বিজিবির
শেরপুরে সম্প্রীতি, সহিষ্ণুতা, যুবজাগরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
সম্প্রীতি, সহিষ্ণুতা, যুবজাগরণে শেরপুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে নাগরিক প্ল্যাটফরম জন উদ্যোগ যুব ফোরাম।
শুক্রবার(২৫নভেম্বর)রাতে শহরের চকবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শেরপুর জেলায় বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা নাচ, গান, আবৃত্তি, অভিনয়ের মাধ্যমে দেশপ্রেম, যুব শক্তির বিকাশ এবং পারষ্পারিক সহমর্মিতার বার্তা দেয়। সেইসঙ্গে মাদক মুক্ত সমাজ গঠন, বাল্য বিয়ে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক বক্তব্য দেয়া হয়।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুসালেহ মো. নুরুল ইসলাম হিরো এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন । জন উদ্যোগ যুব ফোরামের আহ্বায়ক শুভংকর সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে পৌরমেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, অতিরিক্তপুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক, জন উদ্যোগ আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ বক্তব্য দেন। অন্যদের মাঝে জেলা জাসদসভা পতি মনিরুল ইসলাম লিটন, কবি-লেখক জ্যোতি পোদ্দার, কবি সাংবাদিক রফিক মজিদ, জেলা মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদিকা আইরীন পারভীন, উদীচী জেলা কমিটিরসহ-সভাপতি মো. এসএম আবু হান্নান, মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা মো. মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: আজ রাধারমণ সংগীত উৎসব
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র বলেন, ‘সকল ধর্মের উৎসব আয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সবসময় পাশে আছে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য। সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে হবে আমাদের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায়। আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ অসাম্প্রদায়িক চেতনা, পারস্পরিক ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।’
রবিবার বিকালে প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের হল রুমে শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
মতবিনিময় সভায় পূজামণ্ডপে আগত শিশু ও নারী দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, যানযট নিরসণে ব্যবস্থা গ্রহণ, রাস্তাঘাট সংস্কার, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এসময় মেয়র বলেন, ‘দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, সামাজিক উৎসবও। দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশি একত্রিত হন, মিলিত হন আনন্দ-উৎসবে। তাই এ উৎসব সার্বজনীন। এ সার্বজনীনতা প্রমাণ করে, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’
এসময় মেয়র পূজামণ্ডপের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ, নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো, যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, রাস্তাঘাট সংস্কারে ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন। ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিমকে সর্বদা প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা ডিএনসিসির আওতাধীন অঞ্চলের পূজামণ্ডপের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন। এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মো. আবু ইউসুফ পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি উপস্থাপন করেন।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সেলিম রেজা’র সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান ও কাউন্সিলররা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মো. আবু ইউসুফ এবং ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০ ফিটের কম প্রশস্তের রাস্তার উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ নেই: মেয়র আতিক
ঢাকা শহরকে বাঁচাতে গাছ লাগাতে হবে: মেয়র আতিক
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম বলে মন্তব্য করেছেন ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা সকলে একসঙ্গে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি।
আমাদের স্লোগান ছিল – ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’, ‘বীর বাঙ্গালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’। কে হিন্দু, কে মুসলিম সেই ভেদাভেদ ছিল না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গ্রামগুলো আজ শহরে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম আজ আলোকিত, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা পদ্মাসেতু তৈরি করেছি। কর্ণফুলী ট্যানেলের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।
আরও পড়ুন: তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি। আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবো। আওয়ামী লীগ সরকারের এসব উন্নয়ন বিএনপি দেখে না।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল। এক - বাংলাদেশ স্বাধীন করা। দুই - ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
প্রথমটি জাতির জনক করে গেছেন। দ্বিতীয়টি করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হয়েছে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, আজও আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছি। বিশেষ করে ভোলায় আমরা সকল ধর্মের মানুষ এক এবং অভিন্ন হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে অত্যন্ত শান্তিতে বসবাস করছি।
এছাড়া আমাদের ধর্মের দিক থেকে কেউ মুসলিম, কেউ হিন্দু। কিন্তু মনের দিক থেকে আমরা সকলে এক। আমাদের ঈদে হিন্দু ভাইরা আসেন। তাদের পূজায় আমরা যাই। আমাদের মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই।
ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে এর সভাপতিত্বে তোফায়েল আহমদের ভোলার গাজীপুর রোডস্থ বাসভবনে এই মতবিনিময় সভায় বক্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, সদর উপজেলা ভাইরাস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ, সদর উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি মানস ঘোষ শান্ত প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আর কখনও নির্দলীয় সরকার হবে না: তোফায়েল আহমেদ
দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে: তোফায়েল আহমেদ
আমরা শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য কাজ করছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সমাজে যদি কোনো ধরনের সন্ত্রাস-উগ্রবাদ না থাকে, সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয়, যদি শান্তি বজায় থাকে, তাহলে মানুষের মঙ্গল হয়। আমরা শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য কাজ করছি।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় সিলেট নগরের যুগলটিলাস্থ আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) সিলেট মন্দিরে উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, আমাদেরকে সর্তক থাকতে হবে, কারণ বিভিন্ন সময় ধর্ম নিয়ে গুজব সৃষ্টি করা হয়। স্বাধীনতার পর থেকেই একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আসছে, বর্তমানেও তাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাই এদের কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, সাবেক ট্রাস্টি চন্দন রায়, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া প্রমুখ।
সভা শেষে মঙ্গল প্রদীপ জ্বলিয়ে রথযাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অতিথিরা। পরে বর্ণাঢ্য সাজে তিনটি বিশাল রথে জগন্নাথদেব, শুভদ্রা ও বলরামের বিগ্রহসহ বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়।শোভাযাত্রাটি নগরের রিকাবীবাজার, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, নাইওরপুল, বন্দরবাজার, তালতলা, রিকাবীবাজার হয়ে ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: বন্যা দুর্গতদের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ত্রাণ সহায়তা হস্তান্তর
বন্যার ক্ষতি এড়াতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এক আঙিনায় মসজিদ-মন্দির, সম্প্রীতির উজ্জ্বল নিদর্শন
একই উঠানে মসজিদ ও মন্দির। এক পাশে ধূপকাঠি, অন্য পাশে আতরের সুঘ্রাণ। এক পাশে উলুধ্বনি, অন্য পাশে চলছে জিকির। এভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যুগ যুগ ধরে চলছে পৃথক দু’টি ধর্মীয় উপাসনালয়।
ধর্মীয় সম্প্রীতির এমন উজ্জ্বল নিদর্শন সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট শহরের কালীবাড়ী এলাকার পুরান বাজার জামে মসজিদ ও কালীবাড়ী কেন্দ্রীয় মন্দিরটি একই উঠানে রয়েছে। যে যার মতো ধর্ম পালন করে চলেছেন। এখন চলছে শারদীয় দুর্গোৎসব।
স্থানীয়রা জানান, ১৮৩৬ সালে কালী মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময় লালমনিরহাট শহরে কালীবাড়ী এলাকার পুরান বাজার এলাকায় বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসলমান ব্যবসায়ীরা নামাজ করার জন্য তার পাশেই একটি ছোট ঘর তোলেন। আর সেটির নামকরণও করা হয় পুরান বাজার জামে মসজিদ হিসেবে। ওই সময় থেকে এক উঠানে চলছে দুই ধর্মের দুই উপাসনালয়ের কাজ। পূজা শুরুর আগে মসজিদ ও মন্দির কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেন। এ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মন্দির ও মসজিদ দেখতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছে সাধারণ মানুষ। কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতও এই মন্দির ও মসজিদ পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, আজানের সময় থেকে নামাজের প্রথম জামায়াত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্দিরের মাইক, ঢাক-ঢোলসহ যাবতীয় শব্দ বন্ধ থাকে। নামাজের প্রথম জামায়াত শেষ হলে মন্দিরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। এখানে কোনো বিশৃঙ্খলাও হয় না। শালীনতা বজায় রেখে একই উঠানে দীর্ঘদিন বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন উভয় ধর্মের মানুষ।
পড়ুন: চট্টগ্রামে ৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। দেশে যাতে কোনভাবেই জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ফিরে না আসে এ বিষয়ে সরকার তৎপর রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত থাকলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকীতে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত গরীব-অসহায়, কর্মহীনদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও বিশেষ প্রার্থনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় বঙ্গবন্ধু, তাঁর স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র মূলনীতি লিপিবদ্ধ করেছিলেন। এদেশের উন্নয়ন যেমন আজকের বিশ্বের বিস্ময়, রোলমডেল; ঠিক তেমনি এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
তিনি আরও বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। বিভিন্ন সময় স্বার্থান্বেসী মহল বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুন্দর পরিবেশকে নস্যাৎ করতে চায়। আমাদের সকলকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের মহান লক্ষ্যে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণে পর্যাপ্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। যার সুফল সকল সম্প্রদায়ের জনগণ ভোগ করছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ২০০৯-২০২১ সময়ে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের স্থায়ী মূলধন ২১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকায় উন্নিত করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই প্রথম সমগ্র দেশে মন্দির ও সনাতন ধর্মাবলম্বিদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ২২৮কোটি টাকা ব্যয়ে সারাদেশে এক হাজার ৮১২টি মঠ/মন্দির/শ্মশান সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি কর্মসূচির অধীনে শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির ও শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় মোট ১৯৯টি মঠ/মন্দির/শ্মশান সংস্কারের জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট: বঙ্গভবনে জাতির পিতার দোয়া অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩২৪টি মঠ/মন্দির/আশ্রম ও শ্মশান সংস্কার/উন্নয়নের জন্য ১৪ কোটি ৯১ লাখ ২৫ হাজার ৩৫০ টাকার অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও আরও অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম চালু রয়েছে।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী সুব্রত পাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী মনোরঞ্জন শীল, এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামলী লীগ এর সাংস্কৃতিক সম্পাদক শ্রী অসীম কুমার উকিল এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামলী লীগ এর দপ্তর সম্পাদক, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামলী লীগ এর ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক
শ্রী সুজিত রায় নন্দী, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সভাপতি শ্রী নির্মল রঞ্জন গুহ, সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন পূজা পরিষদ এর সভাপতি শ্রী জয়ন্ত কুমার দেব, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এ-র
সচিব ড. দিলীপ কুমার ঘোষ প্রমুখ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় এবং গরীব-অসহায় কর্মহীনদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সুপরিকল্পিত: নানক
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার আহ্বান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর
বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ: সঞ্জিব ভাট্টি
ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। এ কারণে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত সরকার নানাভাবে অবদান রাখার চেষ্টা করে বলে সোমবার জানিয়েছেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাট্টি।