ক্ষমতা
ছয় মাসেও ইউনূস সরকারের খাতায় লবডঙ্কা, তাহলে রেখে লাভ কী, প্রশ্ন দুদুর
ক্ষমতায় বসার ছয় মাস চলে গেলেও অন্তর্বর্তী সরকারের খাতায় লবডঙ্গা আখ্যায়িত করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘তাহলে এই সরকারকে রেখে লাভ কী?’
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার মাঠে ‘নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এবং পতিত ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা’ শীর্ষক জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার পতনের এতগুলো দিন হয়ে গেলো। আপনি পারেননি চালের দাম কমাতে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমাতে। লক্ষ লক্ষ মানুষ বেকার হয়ে পড়ে আছে, যাদের কর্মসংস্থানও আপনি করতে পারেননি। অবনতি হয়েছে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলার। এ ৬ মাসে ইউনুস সরকারের খাতায় লবডঙ্কা ছাড়া আর কিছুই নেই, তাহলে রেখে কি লাভ?’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও ফ্যাসিবাদ-সহযোগীর মিলনে গণতন্ত্র পরিপুষ্ট হবে না: দুদু
ছাত্র সমন্বয়কদের সমালোচনা করে দুদু বলেন, ‘আপনারা ছাত্ররাই যে একমাত্র গণঅভ্যুত্থান করেছেন; তা কিন্তু না। ৯০-এ আমরাও গণঅভ্যুত্থান করেছি, সক্রিয় রাজনীতি করার পরও এমপি মন্ত্রী হয়েও আমরা এখনও যে গাড়িতে চড়তে পারিনি, আপনারা তা করছেন। আপনারা ছাত্র সমন্বয়করা কোন চাকরি করেন না, ব্যবসা করেন না, তাহলে দুদিনেই রাজনীতিতে এসে দামি গাড়ি আর রুপায়ন টাওয়ারের ফ্লাট নেওয়ার টাকার উৎস আপনাদের কোথায়?’
তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন শিক্ষার্থীদের একটা দল থাকা দরকার। তার মানে আপনি শিক্ষার্থীদের পক্ষে এবং আপনি নিরপেক্ষ নন। আপনি শিক্ষার্থীদের হয়ে দুই নম্বরি কারবার করলেও করতে পারেন। আপনার পদত্যাগ কিন্তু বিএনপি এখনো দাবি করেনি। দুই নম্বরি করা কিন্তু একজন নোবেল বিজয়ীর কাজ না। এতে আপনার ও আপনার সরকারের সুনাম নষ্ট হয়ে যাবে।’
জামায়াতসহ অন্যান্য দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে না, সারা বিশ্বে বিএনপির জনপ্রিয়তা অনেক। নির্বাচনে বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে এটা দেখে তাদের সহ্য হচ্ছে না। তবে আপনাদের জন্য বিএনপির দরজা সব সময়ের জন্য খোলা আছে।’
৫৬ দিন আগে
নির্বাচনে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের নির্দেশ ডিসিদের
জাতীয় নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন৷
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী উদ্যানে তিন দিন ব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি৷
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন ঘিরে ইসির যতটুকু ক্ষমতা আছে তার সর্বোচ্চটা প্রয়োগ করবে৷ একইসাথে সারা দেশের জেলা প্রশাসকরা যাতে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করেন সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তথ্য ফাঁস ঠেকাতে এনআইডি ভেরিফিকেশনে নতুন সিদ্ধান্ত ইসির
সিইসি বলেন, আমরা ছেলেবেলায় পড়েছি জেলা প্রশাসকরা হলো - সরকারের চোখ, হাত এবং মুখ৷ এই ডিসিদের চোখ দিয়ে সরকার দেখে, মুখ দিয়ে সরকার বলে এবং হাত দিয়ে সরকার কাজ করে৷ কিন্তু এই চোখ, মুখ এবং হাত আজ নষ্ট হয়ে গেছে৷
তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় উচ্চ পর্যায়ের কোনো চাপ ডিসিদের ওপর যাবে না৷ যদি চাপ আসে সেটা ইসি অবজারভ করবে৷ সুতরাং মাঠ পর্যায়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করতে হবে৷ কোনো ব্লেমিং গেম শোনা হবে না৷ কার কারণে কি করতে পারে নাই; এসব শোনা হবে না৷
৬০ দিন আগে
আমরা চিরদিন থাকার জন্য আসেনি, নির্বাচন হলেই চলে যাব: উপদেষ্টা
আমরা চিরদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য আসেনি, নির্বাচন হলেই চলে যাব বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি হবে, ততই আমাদের জন্য মঙ্গল।’
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত ভবন উদ্বোধনকালে এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘ সময় বেসিক কাজ করেছি, ডিপ্লোমেসি করেছি। এ দেশের সরকার অনেক উদার, পাহাড়ের একজন মানুষকে ডিপ্লোমেট বানিয়েছেন। এদেশের মানুষ বৈচিত্র্য বিশ্বাস করে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাঙালিদের পাশাপাশি যারা পাহাড়ি আছি তারাই দিয়েছি এই বৈচিত্র্য। সুতরাং এই বৈচিত্র্য ধরে রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
এ সময় সুপ্রদীপ চাকমা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার।
৬৮ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে আপনাদের কথা মনে রাখব: সরকারি কর্মচারীদের মঈন খান
জনগণের ভোটের মাধ্যমে ফের ক্ষমতায় যেতে পারলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কথা মনে রাখবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্কে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের বনভোজন ও পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ঠেকাতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: মঈন খান
মঈন খান বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমরা যদি নির্বাচিত হই, তবে অবশ্যই আপনাদেরকে পুরস্কৃত করব। আপনাদেরকে এ দেশের মানুষ ও সংবিধান অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আপনারা সে দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করবেন।’
‘যে জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন আপনাদের ও আমাদের ওপর হয়েছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে দেশের মানুষকে হয়রানিমুক্ত সেবা দিতে হবে। সংবিধানে রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভের কথা বলা হয়েছে। চেয়ারের চারটি পা থাকে, কিন্তু রাষ্ট্রের যে ভিত্তি সেটা হচ্ছে তিনটি,’ বলেন সাবেক এই মন্ত্রী।
‘একটি হলো জাতীয় সংসদ, দ্বিতীয়টি সুপ্রিম কোর্ট এবং তৃতীয়টি হচ্ছে সচিবালয়। সচিবালয় হলো এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ (নির্বাহী শাখা)। আর এটিই হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আপনারা সে হিসেবে রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অর্থাৎ এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ।’
মঈন খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা রয়েছেন, তাদের পরিবার বর্গের অনেকেই এক কঠিন সময় পার করে এসেছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর আপনারা কিভাবে দিন কাটিয়েছেন, আমার চেয়ে বেশি কেউ জানেন না। সে সময়ও আপনারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, আমি ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। আপনারা ধৈর্য ধরেছেন, এ জন্যই আজকে একটি সুদিনের স্বপ্ন আপনারা দেখতে পারছেন।’
‘কোনো অন্যায় চিরকাল টিকে থাকতে পারে না। অন্যায় ও স্বৈরশাসক বাংলাদেশ থেকে দূর হয়েছে। এ দেশে হয়তো রাজনীতিকরা সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠন করবে, সে সময়ে আমি আপনাদের কথা মনে রাখবো,’ বলেন মঈন খান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করলেন মঈন খান
তিনি বলেন, ‘মানুষকে আপনারা সেবা দিয়ে থাকেন, রাজধানী থেকে শুরু করে অজপাড়াগাঁ পর্যন্ত আপনাদের সেবার পরিধি। সে কারণেই একটি দেশ পরিচালনায় আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আপনারা দেশের জনগনের কথা মাথায় রেখে হয়রানিমুক্ত সেবা করবেন। দেশের মানুষও আপনাদের সেবা করবে। দেশের মানুষ আপনাদেরকে মাথায় তুলে রাখবে।’
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড্রিম হলিডে পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা। অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বাস ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা সারোয়ার মৃধা, বাবুল সরকার, আব্দুর রশিদ, ভিপি মনির ও শাহানশাহ শানু।
৭০ দিন আগে
হাসিনা যাবে, অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে বলে আন্দোলন করিনি: আখতার
হাসিনা যাবে, অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে—এ জন্য মানুষ আন্দোলন করেননি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) আসাদ দিবস উপলক্ষে ‘শহীদ আসাদ থেকে শহীদ আবু সাঈদ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এমন কথা বলেন তিনি।
আখতার বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান থেকে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের রাজনীতির রোডম্যাপ হবে পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে আর কোনোভাবে রাজনীতিতে প্রসঙ্গিক না করা।’
‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সূক্ষ্ম পার্থক্য হচ্ছে, ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে কোনো রাজনৈতিক দল স্বনামে সক্রিয় ছিলেন না। জনগণ ছাত্রদের ডাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাঠে নেমেছেন এবং আন্দোলন করেছেন।’
জনগণের প্রত্যাশার প্রসঙ্গে আখতার বলেন, ‘হাসিনা যাবে অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে এজন্য মানুষ আন্দোলন করেনি। মানুষ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল সংস্কার চেয়েছে, তাই পথে নেমেছে।’
‘বিগত দিনের ফ্যাসিবাদী সরকার আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু কোনোভাবেই জাতীয় নাগরিক কমিটি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং দেশের সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগকে আগামীতে রাজনীতি করতে দেবে না।’
এই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার রক্ষাকবচ হিসেবে বাহাত্তরের সংবিধান সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে আখতার বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
বর্তমান সংবিধানে আওয়ামী লীগ এবং ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয় দাবি করে আখতার বলেন, ‘সাধারণ ছাত্ররা নতুন সংবিধানের রোডম্যাপ দিতে পারলেও রাজনৈতিক দলগুলো এখন পর্যন্ত এর কোনো রোডম্যাপ দিতে পারেনি।’
‘বাংলাদেশে বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রাজনীতি করা যাবে না। রাজনীতি হবে নয়া এক বন্দোবস্তর মাধ্যমে।’
নতুন ব্যবস্থায় রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান আখতার।
৮৯ দিন আগে
নির্বাচন হলে ক্ষমতায় আসবে বিএনপি: আব্দুস সালাম
বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আব্দুস সালাম।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যখনই হবে তখনই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। এছাড়া হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে বার বার হুমকি দিচ্ছেন। হাসিনার দোসররা এখনও ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাদের সরাতে হবে।’
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বগুড়া জেলা বিএনপির কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ অনেকে ভয় পাচ্ছে যে, নির্বাচন তাড়াতাড়ি দিলেই বুঝি বিএনপি ক্ষমতায় চলে আসবে। কেউ রোধ করতে পারবে না। ‘ তাই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না বলেও জানান আব্দুস সালাম।
সালাম বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, বিএনপি দুর্বল। তাই ঐক্যের কথা বলছে। বিএনপি দুর্বল না। বিএনপি জাতীয় ঐক্যে বিশ্বাসী।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঐক্য ছাড়া দেশকে কোনোভাবেই গড়ে তোলা যাবে না। যদি ঐক্যে ফাটল ধরানো হয়, তাহলে আধিপত্যবাদী শক্তির পক্ষে যারা আছেন, তারা লাভবান হবেন। দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে বিএনপির উঠান বৈঠক
কর্মীসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবার রহমান, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ওবায়দুর রহমান চন্দন, বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, আলী আজগর তালুকদার হেনা, কেএম মাহবুবুর রহমান।
কর্মীসভা সঞ্চালনা করেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন নবী সালাম, কেএম খায়রুল বাশার ও জাহিদুল ইসলাম হেলাল।
১০৩ দিন আগে
ক্ষমতা ছাড়তে পারেন ট্রুডো
ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দিনকে দিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে তার নিজের দল লিবারেল পার্টি বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে। তাদের অভিযোগ, ৯ বছর ক্ষমতায় থাকা এ প্রধানমন্ত্রী এখন আর দেশের অভ্যন্তরীণ সংকট সামাল দিতে পারছেন না।
বিগত কয়েক বছর ধরে বড় রকমের শ্রম সংকট চলছে কানাডায়। এর বাইরে কানাডার পণ্য আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ করারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার অর্থনীতির চ্যালেঞ্জিংয়ের এ সময়ে গত বছর ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। এরপরেই ট্রুডো নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।
ডিসেম্বর থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে আসেননি। জনসমক্ষে সেভাবে তার উপস্থিতি দেখা যায়নি। লিবারেল পার্টির ট্রুডো ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তিনি রিসোর্টে ব্যক্তিগত সময় কাটাচ্ছেন। সেখান থেকে ফিরেই হয়তো পদে থাকা না-থাকা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সংসদে ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির আসন ১৫৩টি। এর মধ্যে ২০ জন সাংসদ সরাসরি ট্রুডোর পদত্যাগ চেয়েছেন। বাকিদের অনেকেই পার্টি মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিপক্ষে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
এদিকে ট্রুডোর পদত্যাগের গুঞ্জনে ডলার বিপরীতে কানাডীয় মুদ্রার দাম বাড়তে শুরু করেছে। ২০২০ সালে ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা ৭ শতাংশ অবমূল্যায়ন হলেও, বর্তমান অবস্থান করছে ডলারের মূল্যের ওপরে।
আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতের সহিংসতার অভিযোগ ট্রুডোর
তবে ট্রুডো ক্ষমতা ছাড়ার পর লিবারেল পার্টির কোন নেতা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। অনেকে ক্ষমতার চেয়ার নিয়ে দলীয় কোন্দলের শঙ্কাও করছেন।
দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চাইলে দল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত ট্রুডো নিজ পদ ধরে রাখতে পারেন। এদিকে দেশটির বিরোধী দল জানিয়েছে, সংসদের আগামী অধিবেশনে তারা সরকার পতনের ডাক দেবে। সব মিলিয়ে কানাডা বড় রকমের অস্থিরতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
১০৪ দিন আগে
অনির্বাচিত সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা উচিৎ নয়: ফখরুল
অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার করতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা বাংলাদেশের বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা। নির্বাচিত সরকার থাকলে এসব সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হবে।’
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশ এ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট থাকায় একটি নির্বাচিত সরকার কার্যকরভাবে সমস্যা মোকাবিলায় তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। ‘এটা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। আমরাও সংস্কারের পক্ষে। তবে আমরাও মনে করি, অনির্বাচিত সরকারের বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়।’
ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
আরও পড়ুন: দেশে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক চর্চাই হয়নি: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা আশ্বস্ত করে বলেন, তার দল এখনো অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্যের আকাঙ্ক্ষাও প্রকাশ করে এর সাফল্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিতে তারা প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করেন বিএনিপির এই নেতা।
ফখরুল বলেন, তারাও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল করতে চান এবং এর সাফল্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় অনুরোধ দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করার। অন্যথায় চলমান সংকট, সমস্যা, নাশকতা, সীমান্ত ইস্যু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
তিনি বলেন, সংস্কার কোনো নতুন ধারণা নয়, বরং একটি চলমান প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, 'আপনারা (সরকার) সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছেন, তারা কাজ করছে, ভাল। কিন্তু এসব কমিশন কাদের সঙ্গে কাজ করছে? তারা কিছু পন্ডিতকে নিয়ে এসেছেন... আমরা তাদের ভালো করে চিনি এবং সম্মান করি। তবে একই সঙ্গে জনগণ কী চায় তা বোঝার জন্য তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চান মির্জা ফখরুল
১১৩ দিন আগে
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না: বুলু
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, শেখ হাসিনার আমলে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই, তাদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করবে তার দল।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট বিপ্লব নয়, দেশে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে লালমনিরহাটের বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বুলু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে যথা সময়ে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। না হয় এ আন্দোলন সংগ্রামে শহীদদের রক্ত বৃথা হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান দুই বছর চেষ্টা করে রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা তৈরি করেছেন। রাষ্ট্রের এমন কোনো বিষয় নেই, যা ৩১ দফার মধ্যে নেই। এটাই রাষ্ট্রের মূল সংস্কার।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেখান থেকে উত্তোলন করতে সকলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সরকার ছাড়া দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুসহ লালমনিরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক, জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি
১৫৪ দিন আগে
৫৩ শতাংশ ভোটারের মতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ ২ বছর ক্ষমতায় থাকা উচিত: জরিপ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কতদিন হওয়া উচিত সেই বিষয়ে সম্প্রতি একটি জরিপ পরিচালনা করেছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি)।
জরিপে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ দুই বছর বা তার কম হওয়া উচিত বলে মনে করেন ৫৩ শতাংশ ভোটার।
বুধবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে নাগরিক প্রত্যাশা' শীর্ষক এক সেমিনারে এ গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: টিএসসির ত্রাণের ৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে বন্যার্তদের পুনর্বাসনে
গত ৯ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের আটটি বিভাগের ১৭টি জেলার ১ হাজার ৮৬৯ জন অংশগ্রহণকারী ভোটারের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়।
জরিপ অনুযায়ী, উত্তরদাতাদের ৬৩ শতাংশ মধ্যবয়সি (২৮-৫০ বছর বয়সি), ২২ শতাংশ জেনারেশন জেড (১৮-২৭ বছর বয়সি) এবং ১৪ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের বেশি। এদের ৫৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী শহরাঞ্চলে বসবাস করেন, বাকি ৪৬ শতাংশ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন।
জরিপে উত্তরদাতাদের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং সংস্কারে তাদের পছন্দের বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে। ৪৬ শতাংশের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে অনিশ্চিত থাকলেও ৫৪ শতাংশ মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ৯৬ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করার পক্ষে এবং ৪৬ শতাংশ উল্লেখযোগ্য সাংবিধানিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে দেন। এছাড়া ১৬ শতাংশ সম্পূর্ণ নতুন সংবিধান প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে।
উত্তরদাতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বর্তমান পারফরম্যান্স, বিশেষ করে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে বন্যা ব্যবস্থাপনা প্রচেষ্টায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তারা পুলিশ, শিক্ষা, রাজনৈতিক ও নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনি সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসআইপিজির উপদেষ্টা অধ্যাপক সালাউদ্দিন এম আনিসুজ্জামান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নবীন মুরশিদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: হর্ন বাজানো নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিসেম্বর থেকে জরিমানা
২০০ দিন আগে