ক্ষমতা
নির্বাচন হলে ক্ষমতায় আসবে বিএনপি: আব্দুস সালাম
বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আব্দুস সালাম।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যখনই হবে তখনই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। এছাড়া হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে বার বার হুমকি দিচ্ছেন। হাসিনার দোসররা এখনও ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাদের সরাতে হবে।’
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বগুড়া জেলা বিএনপির কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ অনেকে ভয় পাচ্ছে যে, নির্বাচন তাড়াতাড়ি দিলেই বুঝি বিএনপি ক্ষমতায় চলে আসবে। কেউ রোধ করতে পারবে না। ‘ তাই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না বলেও জানান আব্দুস সালাম।
সালাম বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, বিএনপি দুর্বল। তাই ঐক্যের কথা বলছে। বিএনপি দুর্বল না। বিএনপি জাতীয় ঐক্যে বিশ্বাসী।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঐক্য ছাড়া দেশকে কোনোভাবেই গড়ে তোলা যাবে না। যদি ঐক্যে ফাটল ধরানো হয়, তাহলে আধিপত্যবাদী শক্তির পক্ষে যারা আছেন, তারা লাভবান হবেন। দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে বিএনপির উঠান বৈঠক
কর্মীসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবার রহমান, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ওবায়দুর রহমান চন্দন, বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, আলী আজগর তালুকদার হেনা, কেএম মাহবুবুর রহমান।
কর্মীসভা সঞ্চালনা করেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন নবী সালাম, কেএম খায়রুল বাশার ও জাহিদুল ইসলাম হেলাল।
১ সপ্তাহ আগে
ক্ষমতা ছাড়তে পারেন ট্রুডো
ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দিনকে দিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে তার নিজের দল লিবারেল পার্টি বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে। তাদের অভিযোগ, ৯ বছর ক্ষমতায় থাকা এ প্রধানমন্ত্রী এখন আর দেশের অভ্যন্তরীণ সংকট সামাল দিতে পারছেন না।
বিগত কয়েক বছর ধরে বড় রকমের শ্রম সংকট চলছে কানাডায়। এর বাইরে কানাডার পণ্য আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ করারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার অর্থনীতির চ্যালেঞ্জিংয়ের এ সময়ে গত বছর ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। এরপরেই ট্রুডো নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।
ডিসেম্বর থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে আসেননি। জনসমক্ষে সেভাবে তার উপস্থিতি দেখা যায়নি। লিবারেল পার্টির ট্রুডো ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তিনি রিসোর্টে ব্যক্তিগত সময় কাটাচ্ছেন। সেখান থেকে ফিরেই হয়তো পদে থাকা না-থাকা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সংসদে ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির আসন ১৫৩টি। এর মধ্যে ২০ জন সাংসদ সরাসরি ট্রুডোর পদত্যাগ চেয়েছেন। বাকিদের অনেকেই পার্টি মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিপক্ষে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
এদিকে ট্রুডোর পদত্যাগের গুঞ্জনে ডলার বিপরীতে কানাডীয় মুদ্রার দাম বাড়তে শুরু করেছে। ২০২০ সালে ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা ৭ শতাংশ অবমূল্যায়ন হলেও, বর্তমান অবস্থান করছে ডলারের মূল্যের ওপরে।
আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতের সহিংসতার অভিযোগ ট্রুডোর
তবে ট্রুডো ক্ষমতা ছাড়ার পর লিবারেল পার্টির কোন নেতা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। অনেকে ক্ষমতার চেয়ার নিয়ে দলীয় কোন্দলের শঙ্কাও করছেন।
দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চাইলে দল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত ট্রুডো নিজ পদ ধরে রাখতে পারেন। এদিকে দেশটির বিরোধী দল জানিয়েছে, সংসদের আগামী অধিবেশনে তারা সরকার পতনের ডাক দেবে। সব মিলিয়ে কানাডা বড় রকমের অস্থিরতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
১ সপ্তাহ আগে
অনির্বাচিত সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা উচিৎ নয়: ফখরুল
অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার করতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা বাংলাদেশের বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা। নির্বাচিত সরকার থাকলে এসব সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হবে।’
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশ এ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট থাকায় একটি নির্বাচিত সরকার কার্যকরভাবে সমস্যা মোকাবিলায় তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। ‘এটা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। আমরাও সংস্কারের পক্ষে। তবে আমরাও মনে করি, অনির্বাচিত সরকারের বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়।’
ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
আরও পড়ুন: দেশে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক চর্চাই হয়নি: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা আশ্বস্ত করে বলেন, তার দল এখনো অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্যের আকাঙ্ক্ষাও প্রকাশ করে এর সাফল্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিতে তারা প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করেন বিএনিপির এই নেতা।
ফখরুল বলেন, তারাও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল করতে চান এবং এর সাফল্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় অনুরোধ দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করার। অন্যথায় চলমান সংকট, সমস্যা, নাশকতা, সীমান্ত ইস্যু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
তিনি বলেন, সংস্কার কোনো নতুন ধারণা নয়, বরং একটি চলমান প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, 'আপনারা (সরকার) সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছেন, তারা কাজ করছে, ভাল। কিন্তু এসব কমিশন কাদের সঙ্গে কাজ করছে? তারা কিছু পন্ডিতকে নিয়ে এসেছেন... আমরা তাদের ভালো করে চিনি এবং সম্মান করি। তবে একই সঙ্গে জনগণ কী চায় তা বোঝার জন্য তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চান মির্জা ফখরুল
৩ সপ্তাহ আগে
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না: বুলু
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, শেখ হাসিনার আমলে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই, তাদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করবে তার দল।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট বিপ্লব নয়, দেশে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে লালমনিরহাটের বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বুলু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে যথা সময়ে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। না হয় এ আন্দোলন সংগ্রামে শহীদদের রক্ত বৃথা হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান দুই বছর চেষ্টা করে রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা তৈরি করেছেন। রাষ্ট্রের এমন কোনো বিষয় নেই, যা ৩১ দফার মধ্যে নেই। এটাই রাষ্ট্রের মূল সংস্কার।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেখান থেকে উত্তোলন করতে সকলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সরকার ছাড়া দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুসহ লালমনিরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক, জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি
২ মাস আগে
৫৩ শতাংশ ভোটারের মতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ ২ বছর ক্ষমতায় থাকা উচিত: জরিপ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কতদিন হওয়া উচিত সেই বিষয়ে সম্প্রতি একটি জরিপ পরিচালনা করেছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি)।
জরিপে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ দুই বছর বা তার কম হওয়া উচিত বলে মনে করেন ৫৩ শতাংশ ভোটার।
বুধবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে নাগরিক প্রত্যাশা' শীর্ষক এক সেমিনারে এ গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: টিএসসির ত্রাণের ৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে বন্যার্তদের পুনর্বাসনে
গত ৯ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের আটটি বিভাগের ১৭টি জেলার ১ হাজার ৮৬৯ জন অংশগ্রহণকারী ভোটারের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়।
জরিপ অনুযায়ী, উত্তরদাতাদের ৬৩ শতাংশ মধ্যবয়সি (২৮-৫০ বছর বয়সি), ২২ শতাংশ জেনারেশন জেড (১৮-২৭ বছর বয়সি) এবং ১৪ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের বেশি। এদের ৫৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী শহরাঞ্চলে বসবাস করেন, বাকি ৪৬ শতাংশ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন।
জরিপে উত্তরদাতাদের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং সংস্কারে তাদের পছন্দের বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে। ৪৬ শতাংশের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে অনিশ্চিত থাকলেও ৫৪ শতাংশ মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ৯৬ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করার পক্ষে এবং ৪৬ শতাংশ উল্লেখযোগ্য সাংবিধানিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে দেন। এছাড়া ১৬ শতাংশ সম্পূর্ণ নতুন সংবিধান প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে।
উত্তরদাতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বর্তমান পারফরম্যান্স, বিশেষ করে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে বন্যা ব্যবস্থাপনা প্রচেষ্টায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তারা পুলিশ, শিক্ষা, রাজনৈতিক ও নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনি সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসআইপিজির উপদেষ্টা অধ্যাপক সালাউদ্দিন এম আনিসুজ্জামান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নবীন মুরশিদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: হর্ন বাজানো নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিসেম্বর থেকে জরিমানা
৩ মাস আগে
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবারের চাহিদানুযায়ী খাদ্য সহায়তার দেবে সরকার: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি যদি ভবিষ্যতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে ফ্যামিলি কার্ড চালু করবে। যার মাধ্যমে জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, 'অতীতের মতো ভবিষ্যতেও যদি বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশের জন্য কাজ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়, তাহলে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি কাজ করতে চাই। আমার পরিকল্পনা হলো...। আমরা বাংলাদেশে পরিবারের সংখ্যা গণনা করব। আমরা রাষ্ট্র থেকে প্রতিটি পরিবারকে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড দেব।’
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে এক জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ছাত্র-গণ গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের বেশ কয়েকজন পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
তারেক রহমান বলেন, একটি পরিবারে মা বা গৃহিণীর নামের বিপরীতে পারিবারিক কার্ড দেওয়া হবে এবং এই কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে গ্রামাঞ্চলে শুরু হবে এবং পরে ধীরে ধীরে শহরাঞ্চলে প্রসারিত হবে। এই কার্ডের আওতায় প্রতিটি পরিবারকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, এই সহায়তা প্রদান করা হবে যাতে প্রতিটি পরিবার স্বস্তি পায় এবং তাদের পরিবারের সঞ্চয় কিছুটা হলেও বাড়াতে পারে। এভাবে কয়েক বছর চলতে পারলে গ্রামীণ পরিবারের মানুষ সচ্ছল হবে বলে আমার বিশ্বাস।
তারেক রহমান বলেন, মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একই সঙ্গে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনই বিএনপির মূল লক্ষ্য।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে চাই।’
তিনি গণআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দেশকে গড়ে তোলার মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত অর্জনকে সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, স্বৈরশাসক ক্ষমতাচ্যুত হলেও স্বৈরশাসকের কিছু প্রেতাত্মা এখনো দেশে রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসকের পতন হলেও সব বিপদ এখনো কাটেনি। সামনে এখনও বিপদ আছে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
তারেক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন বর্তমান সরকার জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে পদক্ষেপ নেবে, কারণ জনগণ গত ১৭ বছর ধরে এসবের জন্য সংগ্রাম করে আসছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজের সময় যাতে স্বৈরশাসক নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে পারে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসকের প্রেতাত্মারা বসে থাকে না, তারা তাদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যায়। প্রতিটি গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দল এবং গণতন্ত্রপন্থী প্রতিটি মানুষকে এখন সতর্ক থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
দেশ ও জাতি গঠনে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই কেবল এ ধরনের কাজ করতে সক্ষম। কারণ নির্বাচিত সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা থাকবে।’
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছিল। তবে বিএনপি বিভক্তি চায় না বরং জাতির মধ্যে ঐক্য চায়।
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন এবং যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের আত্মত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যদি শহীদ ও নিহতদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে হয়, তাহলে দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে কাজ করবে।
তারেক ঘোষণা করেন, বাংলাদেশের বাইরে তার কোনো ঠিকানা (বাড়ি) নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এর আগে বলেছিলেন, দেশের বাইরে তার কোনো ঠিকানা নেই।
তারেক বলেন, 'খালেদা জিয়ার ছেলে হিসেবে আজ আমি আপনাদের বলতে চাই, বাংলাদেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। বাংলাদেশ আমার প্রথম ঠিকানা এবং বাংলাদেশই আমার শেষ ঠিকানা। তাই দেশ ও জনগণের কল্যাণে আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম।
আরও পড়ুন: হাসিনার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: রিজভী
৩ মাস আগে
বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে বিইআরসির ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও স্টেকহোল্ডাররা।
তারা বলেন, এ ধরনের কর্তৃত্ব জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ফেরত গেলে কোনো কারণ ছাড়াই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ঘন ঘন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রবণতা বন্ধ হবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জেষ্ঠ সহসভাপতি অধ্যাপক এস এম শামসুল আলম বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।’
এর আগে গণশুনানি ছাড়াই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের সুযোগ রেখে ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন-২০০৩ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি জারি করেছে।
অধ্যাদেশ জারির আগে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের আইনি ক্ষমতা ছিল বিইআরসির। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে গণশুনানি করতো বিইআরসি।
বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমতউল্লাহ বলেন, ‘এ ধরনের গণশুনানি যে কোনো মূল্য বাড়ানোর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং এর মাধ্যমে জনগণের কাছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্য ও অগণতান্ত্রিক চর্চার অবসান ঘটানোর দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাই সব ধরনের জ্বালানির দাম নির্ধারণের কর্তৃত্ব বিইআরসির কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
অধ্যাদেশ জারির পর থেকে গণশুনানি ছাড়াই নিয়ম করে বিরতি দিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে সরকার।
এই অধ্যাদেশ জারির আগ পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম বা গ্যাসের দাম নির্ধারণের আগে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের স্ব স্ব প্রস্তাব জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থায় জমা দিতে হতো। এরপর তাদের পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরার জন্য গণশুনানি করতে হতো।
আরও পড়ুন:বিপিডিবির বকেয়া বিল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা
গণশুনানিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাই ও দীর্ঘ বিতর্কের পর বিইআরসি সিদ্ধান্ত নিত।
গণশুনানিতে স্টেকহোল্ডার ও ভোক্তারা প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসান ও মুনাফার হালনাগাদ তথ্য এবং দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কারণ সম্পর্কে জানতে পারেন।
অধ্যাপক এস এম শামসুল আলম বলেন, গণশুনানি প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জেনে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারহান নূর বলেন, বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বিইআরসিকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘এর ফলে ভোক্তাদের প্রকৃত পরিস্থিতি বুঝতে এবং দাম বাড়ানোর যে কোনও পদক্ষেপের আগে পক্ষে ও বিপক্ষে যৌক্তিকতা খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: নগদ অর্থ সংকটের মধ্যেই আদানি পাওয়ারের সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনার আহ্বান
৫ মাস আগে
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে: মির্জা ফখরুল
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনাকে 'গণহত্যা' আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশ শাসন করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নিহত, পঙ্গু ও আহত হওয়া নিরীহ মানুষের সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
ফখরুল বলেন, সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে ছাত্র-জনতার ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমন করা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার ও সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করাই আ. লীগের লক্ষ্য: মির্জা ফখরুল
তিনি দাবি করেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় লাশের ওপর দিয়ে হেঁটে ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে গত কয়েকদিনে নিরীহ ছাত্র ও জনতাকে পাখির মতো গুলি করে চালানো গণহত্যার ঘটনা পাকিস্তানি আগ্রাসনের স্মৃতি জাগায়।’
ফখরুল বলেন, জনগণের টাকায় কেনা গোলাবারুদ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড শিক্ষার্থীদের ওপর কী পরিমাণ ব্যবহার করা হয়েছে তা দেশবাসীকে জানাতে হবে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, 'রাষ্ট্রীয় টাকায় কেনা হেলিকপ্টার ব্যবহার করে' এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকারকে একদিন জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'যে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা দিতে পারে না, সে সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।’
নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ভয়ানক ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠীকে পরাজিত করতে এবং জনগণের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে সব দেশপ্রেমিক, রাজনৈতিক দল, ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক ও পেশাজীবীদের প্রতি বিএনপি আহ্বান জানাচ্ছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব রাষ্ট্রীয় শক্তি ও ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের উচ্ছেদ করে বিএনপির নেতা-কর্মী ও ছাত্রদের গ্রেপ্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: খালেদার নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে পরিণতি ভোগ করতে হবে: মির্জা ফখরুল
সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অন্তত তিন হাজার লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ‘এটা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জাজনক।’
তিনি দাবি করেন, বিরোধী দলের নেতাদের তুলে নিয়ে গিয়ে দমন করার চার-পাঁচ দিন পর আদালতে হাজির করা হচ্ছে, যা আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার গুমের ভয়ংকর সংস্কৃতি অব্যাহত রেখে মানুষের মনে ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। ‘আমি এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ হামলায় হতাহতের যে নৃশংস নজির সৃষ্টি হয়েছে, তা দেশে-বিদেশের সব স্বৈরশাসকের নির্মম নিষ্ঠুরতাকে ছাড়িয়ে গেছে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতা ঢাকতে নির্বিচারে বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করছে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, ‘আজকেও (শুক্রবার) আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ অনেক সিনিয়র নেতার বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। সাধারণ মানুষের গ্রেপ্তার, কারাবাস, নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে।’
বিরোধী দলের গ্রেপ্তার হওয়া সব নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা 'মিথ্যা' মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ স্বাধীনতা হারাবে: মির্জা ফখরুল
৫ মাস আগে
খালেদা জিয়া কেন জিয়া হত্যার বিচার করেননি: প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
দুই পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি বা খালেদা জিয়া কেন জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার করেননি- সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের গুলশান টেরাসে নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
আরও পড়ুন: জ্যামাইকা ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি ৩০ মে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু দিবসে নানা বক্তব্য দেয়। কিন্তু তারা ক্ষমতায় থেকেও এই হত্যার বিচার করেননি। বরং এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা।'
তিনি বলেন, জিয়া হত্যায় তার কাছের ও পরিবারের কারো হাত ছিল কি না- সে প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।
হাছান বলেন, 'জিয়া হত্যায় তার পরিবার যেভাবে লাভবান হয়েছিল তা নজিরবিহীন। বেগম জিয়া পেয়েছিলেন ৭ একর জমির ওপর বাড়ি ও বিপুল ব্যাংকসুবিধা আর জাতিকে দেখানো জিয়াউর রহমানের ভাঙা ব্রিফকেস থেকে পরে বেরিয়ে এসেছিল বহু জাহাজ ও ব্যবসা-বাণিজ্য।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী রাখতে ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখতে সবাইকে তৎপর ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদ, যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম চৌধুরী, ফজলুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা বিষয়ে ওআইসি দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিং
বঙ্গবন্ধুর বৈদেশিক নীতি অনুযায়ী শান্তির প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের অগ্রভাগে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ মাস আগে
বিদেশি শক্তির ‘দালালি’ করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না: গয়েশ্বরের হুঁশিয়ারি
প্রতিবেশী দেশের 'দালাল' সেজে কাজ করে সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, 'আমাদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের কর্মীরা ক্লান্ত কিন্তু হতাশ নয়। দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা যেভাবে নির্যাতন ও অন্যায় সহ্য করে বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তা ছিনিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা প্রতিবেশী দেশসহ কারোরই নেই’
শুক্রবার (১০ মে) এক সমাবেশে ক্ষমতাসীনদের হুঁশিয়ার করে গয়েশ্বর বলেন, দমন-পীড়ন চালিয়ে কোনো সরকার বিদেশিদের সহায়তায় ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে দালালি করে শেখ হাসিনা বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। বিভিন্ন দেশে যারা অন্যায়ভাবে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আকঁড়ে ছিল তাদের পরিণতির ইতিহাস পড়ুন। তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে, আপনারা যেভাবে নিপীড়নমূলক কাজ ও লুটপাটে লিপ্ত হয়েছেন, তাতে আপনি কারো কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার এবং মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও পাবেন না।’
খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
বিএনপিকে কারা নিয়ন্ত্রণ করছে এমন প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, তাদের দলের রিমোট কন্ট্রোলার খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘আপনার দলের রিমোট কন্ট্রোলার কোথায়?’ আপনার সরকারের রিমোট কন্ট্রোলার কি মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) হাতে, নাকি অজিত দোভালের (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) হাতে নাকি অমিত শাহের (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) হাতে। তাদের রিমোট কন্ট্রোলে আপনাদের চলতে হবে।’
‘গণতন্ত্রের নামে অনেক দেশের ষড়যন্ত্রের মধ্যে ভারত পাশে না দাঁড়ালে আওয়ামী লীগ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে পারত না’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনাও করেন গয়েশ্বর।
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধে নীরব ভূমিকার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ব্যানার, ফেস্টুন এবং খালেদা ও তারেক রহমানের ছবি নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন।
সমাবেশ শেষে তারা নয়াপল্টনে বিভিন্ন সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন প্রমাণ করে জনগণ এই সরকারের সঙ্গে নেই: মান্না
৮ মাস আগে