ক্ষমতা
যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, এ দেশ স্বাধীন করতে যারা বিরোধিতা করেছে; ষড়যন্ত্র করেছে; মেধাবী চিকিৎসক, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে; যারা এই দেশটির স্বাধীনতাই চায়নি তারাই এখন এদেশের ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে।
রবিবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় জনসংখ্যা ও পুষ্টি ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি তারা এর আগে একবার ক্ষমতায় গিয়েছিল। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা এদেশের পতাকাকে পদদলিত করেছিল, অথচ তারাই তাদের গাড়িতে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছিল। আমরাই এক সময় তাদেরকে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে দিয়েছিলাম। তবে সেই সুযোগ তারা আর কখনই পাবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের রোল মডেল হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। দেশে খাদ্যের অভাব নেই, একটি মানুষও দেশে না খেয়ে থাকেনা। করোনায় গোটা বিশ্ব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলেও বাংলাদেশ ঠিকই মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, এসব সম্ভব হচ্ছে কারণ জাতির জনকের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন। এই দেশকে নিয়ে যেন আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় নিয়ে আসতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান আমাদেরকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। যুদ্ধকালীন চিকিৎসকদের মেরে ফেলা যায় না, নিয়ম নেই। অথচ সে সময়কার বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের হৃৎপিণ্ড উপড়ে নেয়া হয়েছিল। চক্ষু বিশেষজ্ঞের চোখ তুলে নেয়া হয়েছিল। সে লাশগুলো পরে পাওয়া গেছে। যেগুলো লাশ পাওয়া যায়নি সেগুলো আরও কত কি করেছে। তারা দেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে যা পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে বিরল। অথচ আজ তারাই এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রংপুর মেডিকেলের ৬০০ যন্ত্রপাতির সাড়ে চারশ'ই অকেজো, এটা মেনে নেয়া যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিএনপি দেশের ক্ষমতায় গেলে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে: আমীর খসরু
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আজ রাষ্ট্রে মানবাধিকার নাই, ভোটাধিকার নাই, কথা বলার স্বাধীনতা নাই, জীবনের নিরাপত্তা নাই। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য সংবিধানকে দলীয় দলিলে পরিণত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হওয়ার পর দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। তখন নতুন সরকারকে সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রকাঠামোকে মেরামত করা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায়ের পরে বিএনপি কোন নীতিতে দেশ পরিচালনা করবে, এ বিষয়কে সামনে রেখেই দীর্ঘ গবেষণার পর রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের এই রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারলে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠা করা হবে। উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষ থাকবে।
মঙ্গলবার বিকালে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে নগরীর একটি হোটেলে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’- শীর্ষক ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এতিম হয়ে গেছে: আমীর খসরু
তিনি বলেন, সংসদ বহাল রেখে জাতীয় নির্বাচন করলে নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই থাকবে। এই পদ্ধতিতে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হবে না। তাই জাতীয় নির্বাচনের তিন মাস পূর্বে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া অপরিহার্য। কিন্তু সংবিধান থেকে এটিকে বাদ দেয়া হয়েছে। জনবান্ধব সংবিধান প্রণয়ন করতে হলে সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি বলেন, যারা ক্ষমতা দখল করে আছে তা জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই এটিকে সরকার বলা যায় না। সরকার হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে আমাদের শত শত নেতাকর্মীদের গুম-খুন করেছে। এছাড়া ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়েছে। বিএনপি তার পরেও শান্তিপূর্ণ ভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে। কারণ বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা চায় না, বিএনপি শান্তি চায়।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকে বিচার বিভাগে কি হচ্ছে, তা সবাই দেখছেন। যেখানে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়, সেখানে সুবিচার পাওয়ার স্বপ্নও দেখা যায় না। আমরা বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার জন্য একটি জুডিশিয়ারি কমিশন গঠনের কথা বলেছি। তারা অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখল করবে, অন্যায় ভাবে দেশ চালাবে। এর নামই আওয়ামী লীগ।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও খন্দকার আবদুল মুক্তাদির।
জেলা বিএনপির সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক জাহেদ আহমদের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে সূচিত সভার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ‘অবৈধ’ সরকার যদি আরও কিছুদিন থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না: আমীর খসরু
আ.লীগ বিরোধী দলের মতো আচরণ করছে: আমীর খসরু
ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে বিএনপির সৃষ্টি: তথ্যমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন বর্তমান সরকার দায়িত্ব পালন করবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সৃষ্টি হয়েছিল ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে। রাস্তায় যখন হালুয়া-রুটি ছড়িয়ে দেয়া হয়, তখন কাক যেমন জড়ো হয়, তেমনি রাজনীতিতেও কাক আছে। রাজনীতির কাকদের নিয়েই বিএনপির সৃষ্টি।
আরও পড়ুন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার (১৫ মার্চ) সচিবালয়ের মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক দুইটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল, রিজভী, খন্দকার মোশাররফ অন্য দল করতেন। রাজনীতির কাকদের নিয়ে বিএনপির সৃষ্টি। এ কারণে তাদের মধ্যে কোনো আদর্শ নেই। তারা পদ বাণিজ্যও করে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে না। তারা আওয়ামী লীগের অধীন নির্বাচনে যেতে চাইলেও সেই সুযোগ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সংলাপের দরকার নেই। আমরা তাদের সংলাপে ডাকিনি। কাজেই আমরা ডাকলে তারা বলতে পারতো, সংলাপে যাবে কি-যাবে না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার কোনো প্রশ্নই আসে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। যেভাবে সংসদীয় গণতন্ত্রে অন্য দেশগুলোতে নির্বাচন হয়, সেভাবেই জাতীয় নির্বাচনের সময়ে চলতি সরকার দায়িত্ব পালন করবে। এ বিষয়ে সংলাপ করার প্রশ্নই আসে না।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা অনুযায়ী আরেকটি 'সাজানো' নির্বাচন করতে চায়।
শনিবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য প্রতিবেশি দেশের জন্য ঘুষ হিসেবে ভারতীয় আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি রাষ্ট্রবিরোধী বিদ্যুত চুক্তি সই করেছে।
দেশের সব মহানগর ও জেলায় যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা। ফখরুলের নেতৃত্বে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মসূচিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
এসময় বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সংবিধানকে ‘বিকৃত’ করেছে এবং একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুটি নির্বাচন হয়েছে জনগণের ভোট ছাড়াই… এখন তাদের ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা রয়েছে। সেই নীলনকশা নিয়ে তারা ২০২৪ সালেও একই পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে চায়।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে দেশের মালিক মনে করে, আর জনগণ তার প্রজা।
আরও পড়ুন: ১৮ মার্চ সব মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
বিদেশিদের সমর্থনে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ আর নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশিদের সমর্থনে বিএনপির ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে তারা (বিএনপি) স্বপ্ন দেখছে দেশের বাইরে থেকে কেউ এসে তাদের ক্ষমতায় বসাবে। সম্ভবত তারা একবার (অন্যদের) অনুগ্রহে তা করতে সক্ষম হয়েছিল। এখন বাইরের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই।’
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে আর বিএনপি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি শাসনামলে তার দলকে মিছিল-সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। আ.লীগ সর্বত্র বাধার সম্মুখীন হয়েছে এবং নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এমনকি রাস্তায় আওয়ামী লীগের নারীদের মারধর ও তাদের কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা কিভাবে ভুলতে পারি? কিন্তু আমরা প্রতিশোধ নিতে যাইনি। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছি এবং আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করেছি।’
তিনি বলেন, বিএনপি করলেও এখন আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করে না। এর পরেও তারা অভিযোগ করছে এবং দেশে-বিদেশে সুবিধা কেনার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে ‘জঙ্গি গোষ্ঠীর’ পৃষ্ঠপোষক: কাদের
আ. লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা আব্বাস
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগ যার নেতৃতে যখনই ক্ষতায় গেছে, তখনই দেশে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার বিকালে ময়মনসিংহে পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
সমাবেশ শেষে নগরীর টাউন হল মোড়ে পদযাত্রা বের করে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি। তারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন বাজার দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে পদযাত্রা শেষ করে।
‘বিএনপির কোনো বন্ধু নাই’ আওয়ামী লীগের এমন বক্তব্যের জবানে তিনি বলেন, দেশের বাইরে আমাদের কোনো প্রভু নাই, আমাদের দেশের বাইরে যদি কোনো বন্ধু না থাকে তাহলে প্রয়োজনও নাই। দেশের মানুষই আমাদের বন্ধু। কারণ তারা বিএনপিকে পছন্দ করে।
এর আগে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে নেতাকর্মীরা। এছাড়া সকাল থেকেই বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে নতুন বাজার বিএনপি কার্যালয় এবং আশপাশে অবস্থান নেয় পুলিশ।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আমারা যখনই সমাবেশের ডাক দেই তারা তখনই সারা দেশে শান্তি সমাবেশ করে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের মতো অশান্তি সৃষ্টিকারী দল আর একটিও নেই। আজ তারা শান্তি সমাবেশ করছে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেস আলী মামুন ও শরীফুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর
পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া নেতাবিহীন দলের ক্ষমতায় আসারও কোনো সুযোগ নেই। তাই আগে নেতা খুঁজুন, তারপর রাজনীতিতে আসুন।
শনিবার বিকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে হবে। পেছনের দরজা দিয়ে রাজনীতি করা, ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করা চলবে না। নির্বাচনে আসুন, নির্বাচনে এসে জনগণের ভোট প্রার্থনা করুন, ভোটের মাধ্যমে জনগণ ক্ষমতায় নিলে আপনারা ক্ষমতায় যাবেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি শুধু ক্ষমতায় আসতে চায়। তার জন্য দেশে বিশৃঙ্খলা করছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলেই লুটপাট শুরু করবে।
কাজেই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা যাবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, শিক্ষা ছাড়া যেমন ভালো মানুষ হওয়া যায় না তেমনি, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যায় না। লেখাপড়ার মাধ্যমে প্রকৃত মানুষ হতে পারবে। নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারবে। তাহলে জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা রাজনীতি করে উন্নয়নের জন্য। দেশের মানুষের শান্তির জন্য। কাজেই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। রাজনীতিতে ঐক্য থাকতে হবে। রাজনীতিতে ঐক্য না থাকলে তৃতীয় শক্তি ক্ষমতা নিয়ে যাবে।
জাগীর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শামীম মিয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, পৌর মেয়র মো. রমজান আলী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পহেলা মার্চ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানেই রোগী দেখতে পারবেন সরকারি চিকিৎসকরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ক্ষমতা ভোগ করতে নয়, জনগণকে কিছু দিতে এসেছি: বিএএসএ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে চায় যেখানে মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ডলার।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএসএ) বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএসএ) বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা আমাদের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু আমরা এই পর্যায়ে থেমে থাকতে চাই না, বরং পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের লক্ষ্য হল ২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু কমপক্ষে ১২ হাজার ডলার আয় করা।’
আরও পড়ুন: খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পাঁচ ধাপ এগিয়ে বিশ্বের ৩৫ তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে, যা ছোট বিষয় নয়। তবে মনে রাখবেন যে আপনি যত দ্রুত এগিয়ে যাবেন, তত বেশি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মুখোমুখি হবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে অনেকেই চায়নি বাংলাদেশ স্বাধীন হোক। তাই, অনেকেই আমাদের অগ্রগতি পছন্দ করেন না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আমাদের সমর্থন করেনি তারা এখন ভাবতে পারে যে আমরা (বাংলাদেশ) তাদের উপেক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি নিজেকে জনগণের সেবায় নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, আমি ক্ষমতা ভোগ করতে নয়, জনগণকে কিছু দিতে এসেছি।
তার সরকার দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা এখন ঘোষণা করেছে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে আইটি জ্ঞান, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার (ই-গভর্নেন্স) দিয়ে সজ্জিত একটি স্মার্ট জনসংখ্যা থাকবে।
আরও পড়ুন: বার্ষিক জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন কারণ তাদের আন্তরিক কাজের কারণে দেশটি এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পেরেছে। কোভিড-১৯ মহামারির সময়েও আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল ছিল। তাই, আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটি সম্ভব হয়েছে কারণ প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএএসএ’র সভাপতি ও নৌ পরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাসার মহাসচিব ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আলম।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
আগামী নির্বাচনে আ.লীগ ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনে তার দল ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত রাখবে এবং জনগণের সেবা করবে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবনে বুধবার চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের উপ-প্রধানমন্ত্রী চেন ঝো এর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী নির্বাচনে আমরা যদি ক্ষমতায় আসি, তাহলে আমরা দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখব এবং জনগণের সেবা করব।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন হয়েছে এবং মানুষ এর সুফল ভোগ করছে।
এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ সংঘাত চায় না এবং এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: সরকার উৎখাতে বিএনপির সঙ্গে ডান-বামরা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে বিএনপির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে বিএনপির বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে দলটির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের সিএনবি এলাকায় বিসিএস লাইভস্টক একাডেমিতে ৪০ তম বিসিএস লাইভস্টক ও বিসিএস মৎস্য ক্যাডার এর নব যোগদানকারীদের অবহিতকরণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন,বিএনপি ক্ষমতায় যাবার যে স্বপ্ন দেখছে তা দিবা স্বপ্নে পরিণত হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে এমন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ আর অসাংবিধানিক ভাবে ক্ষমতা দখলের সাহস না পায়।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে বিএনপি কেন সহিংসতা করছে তা আমরা জানি: কাদের
মন্ত্রী বলেন,টেমস নদীর পাড় থেকে ফখরুল সাহেবদের প্রতি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। তবে অবৈধ ক্ষমতা দখল এবং পঁচাত্তরের ঘটনার পুনরাবৃত্তির চেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে। বিএনপি জনগণের মাঝ থেকে জন্ম নেয়নি। ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া এই দলটির সব সময় বিদেশি শক্তির সহায়তায় ও বন্দুকের নল দেখিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধ উপায়ে টেনে হিঁচড়ে ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন দেখার দিন আর নেই বলেও জানান মন্ত্রী।
বিএনপির উদ্দেশ্য ২০১৩ এবং ২০১৪ সালের মতো পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ মারার রাজনীতির ফিরিয়ে আনা। দেশের মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অসংবিধানিক উপায় ক্ষমতা দখলের পায়তারা করা। তবে সেই স্বপ্ন কোনদিনই বাস্তবায়িত হবে না বলেও জানান তিনি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,মৎস্য প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব,শ্যামল চন্দ্র সরকার,এ টি এম মোস্তফা কামাল,আব্দুল কাইয়ুম,মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুল হক,বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড.এস এম জাহাঙ্গীর আলম, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা.মনজুর মোহাম্মদ শাহাজাদাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।