ক্ষমতা
ক্ষমতায় গেলে গুমের সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার সালাহউদ্দিনের
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনাদের এই কথা বলতে পারি, যদি জনগণ আমাদের ম্যান্ডেট দেয়, গুম প্রতিরোধের জন্য, গুমের সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন করার জন্য প্রথমে যা যা করতে হয়—আইন প্রণয়ন ও তা কার্যকর—সবকিছু করা হবে। আমরা সেই বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছি, যেখানে কোনো ব্যক্তি গুমের শিকার হবে না,’ বলেন তিনি।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকালে বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন প্রত্যয়ের কথা জানান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দীর্ঘ সময় একটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ চলেছে। সেই ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে আমাদের সন্তানদের রক্ত দিতে হয়েছে। যারা বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটিকে করদরাজ্যে পরিণত করতে আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের এখনো অনুশোচনা নেই। তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার তো দূরের কথা, উল্টো অভ্যুত্থানকারীদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করছে।’
পড়ুন : গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
তিনি বলেন, ‘এরপরও বাংলাদেশের মানুষ কি কখনো তাদের রাজনীতিতে আহ্বান করতে পারবে? বাংলাদেশের মানুষ কি কখনো তাদের ক্ষমা করতে পারবে? ক্ষমা তারা চায়নি। আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অপেক্ষা করছি। আজ রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কারের জন্য আমরা সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, যা আগে কখনো কল্পনাও করা যেত না।’
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যে ফাটল ধরানোর একটা চেষ্টা কোনো একটা পক্ষ করছে। কিন্তু আমরা তর্ক-বিতর্ক করছি, সংস্কারের বিপক্ষে আলোচনা করছি, নির্বাচন নিয়ে দুয়েকটা পক্ষ ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। আমি আহ্বান জানাব, ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য দেশের মানুষ ১৬ বছর সংগ্রাম করেছেন, রক্ত দিয়েছেন, সেই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যখন একটি রাস্তা তৈরি হয়েছে, তাতে যাতে আমরা কাঁটা না বিছাই। সবার প্রতি এই আহ্বান জানাই।’
গুমের শিকার হয়ে আর ফিরে না আসা মানুষদের ছবির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে আমি আজ জীবিত আছি, আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। নাহলে আমারও ছবি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। আমার সহকর্মীদের অনেকের ফিরে আসার সৌভাগ্য হয়নি। তাদের খোঁজ মিলছে না। কেন যে আয়নাঘর নামটা দেওয়া হলো? কিন্তু আয়নাঘরে তো আয়না ছিল না, ছিল জমদূত, ছিল মৃত্যুর পরোয়ানা। সেই আয়নাঘরে আমরা ছিলাম।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাকে একটা গুপ্তগুহায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন যদি আমার চোখ বন্ধ না থাকত, তাহলে হয়তো আমার বিশ্বাস হতো না যে এখানে মানুষ থাকতে পারে। তবে রুমের ভিতরে চোখ খোলা থাকত। একদিনই কেবল চোখ খোলা রেখে বাইরে নেওয়া হয়েছিল। আমার তারিখ গণনায় সেদিন ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষ উদযাপনের দিন। তাদের মধ্যে কয়েকজন অফিসার সম্ভবত ছিল সেই অনুষ্ঠানে, আমাকে বলল যে আজ ম্যাডাম পার্টি অফিসের সামনে অনুষ্ঠান করেছে, পহেলা বৈশাখের। আমাকে নিউজ দিতে চাইল যে দেশে এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি চলছে।’
‘আমি কোনো জবাব দিতাম না। সেদিনই চোখ খোলা রেখে রুমের বাইরে কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখেছিল। কারণ রুমটা পরিষ্কার করতে হবে। রুমটা ছিল ময়লা আর দুর্গন্ধে ভরা, বাতাস চলাচলের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পাঁচ ফুট বাই দশ ফুট বা তার চেয়ে ছোট হতে পারে রুমটা। দুই মাস একদিন অর্থাৎ ৬১ দিনের মাথায় আমাকে বের করে যমটুপি ও কালো চশমা পরিয়ে গামছা দিয়ে হাত বেঁধে বলা হলো—আজ আপনাকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে, ফিরে আসতে আপনার দু-তিন দিন লাগতে পারে। তবে আমাকে জীবিত ছেড়ে দেবে, সেটা আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না,’ বলেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘তাদের বলতাম, যদি আমার মৃত্যু এখানে হয়, তাহলে আমার লাশটা আমার পরিবারের কাছে ফেরত দিও। তারা কোনো জবাব দিত না। আল্লাহর কাছে সবসময় প্রার্থনা করতাম, যদি আমার হায়াত থাকে, আমাকে ঈমানের সঙ্গে জীবন দিও, ঈমানের সঙ্গে মৃত্যু দিও। আর যদি এখানেই আমার মৃত্যু হয়, তাহলে আমাকে ঈমানের মৃত্যু দিও। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য প্রার্থনা করতাম।’
‘আমি খুব বিশ্বাসী মানুষ, আমি অনেক কিছু দেখেছি। সে জন্য অনেক অবিশ্বাসী মানুষকে বলি—আমি শুধু আল্লাহর অস্তিত্ব চোখ দিয়ে দেখিনি, কিন্তু আমি অনুভব করেছি, আমি অনেক কিছু জেনেছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে অনেক কিছু দেখিয়েছেন। সেগুলো আমি বাস্তব জীবনে পেয়েছি। এটা হয়তো যারা বিশ্বাস করতে চাইবেন, তারাই বিশ্বাস করতে পারবেন। এটা অনুধাবনের বিষয়।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে গুম হওয়া পরিবারের মধ্যে নতুন কেউ যোগ হয়নি, এটা সুসংবাদ। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী দিনের রাজনীতিবিদরা যাতে নিশ্চিত করেন আগামী দিনে যেন গুম হওয়া পরিবারের সদস্যদের এমন কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না হয়। আসলে সে জন্যই আমরা এখানে অনবরত সংগ্রাম করে যাচ্ছি।
ইউএনবি/জেএ
৯৭ দিন আগে
নিজের নয়, জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতায় বসেছি: ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পরিবর্তনের দাবি ব্যক্তিগতভাবে তার পক্ষ থেকে আসেনি, এটি জনগণের পক্ষ থেকে এসেছে এবং তিনি কেবল তাদের নির্বাচিত পথ ধরে পথপ্রদর্শন করছেন।
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা বারনামাকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, 'এটা আমার নয়, এটা সেসব মানুষের চাওয়া, যারা পরিবর্তন চেয়েছিলেন। তারা যেভাবে চলতে চান, আমি শুধু তাদের সেভাবে চলতে সহায়তা করছি।'
গত ১১-১৩ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে দেশটিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর করেন প্রধান উপদেষ্টা।
সফরের শেষ দিকে বারনামার প্রধান সম্পাদক আরুল রাজু দুরার রাজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারটি দেন প্রধান উপদেষ্টা। সঙ্গে ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল নিউজ সার্ভিসের সম্পাদক ভুন মিয়াও পিং ও বারনামার ইকোনমিক নিউজ সার্ভিসের সহকারী সম্পাদক কিশো কুমারী সুশেদারাম।
ড. ইউনূস বলেন, 'আমি নিজের কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিই না। আমি অপেক্ষা করি এবং মানুষের ইচ্ছা কী তা দেখার জন্য অপেক্ষা করি। তারপর তা বাস্তবায়ন করি।'
অধ্যাপক ইউনূস নিজের বর্তমান ভূমিকা একজন নেতা নয় বরং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একজন অভিভাবক হিসেবেই তুলে ধরেন।
তবে, নিজের সামনে থাকা বিশাল চ্যালেঞ্জগুলোও স্বীকার করেন তিনি।
পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'বাংলাদেশে অসুবিধা অনেক। অনেকেই এটাকে ব্যাহত করতে চায়।'
তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত রাজনৈতিক শক্তিগুলো পুরো ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।'
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, 'বাংলাদেশে গত দেড় দশকে অনেকে নতুন ভোটার হয়েছেন, তাদের বড় অংশ আগে কখনো ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। কেউ ১০ বছর ধরে অপেক্ষা করছেন। কেউ ১৫ বছর ধরে।'
তিনি বলেন, 'একবার ভাবুন, আপনার ১৮ বছর বয়স হয়েছে, আপনি ভোট দিতে আগ্রহী। কিন্তু আপনি সেই সুযোগ কখনো পাননি। এর কারণ হলো— কখনো সুষ্ঠু নির্বাচনই হয়নি। এখন তারা ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবার ভোট দিতে পারবেন।'
১১০ দিন আগে
যারা ক্ষমতায় যাবেন, তারা যেন দুর্নীতি না করেন: প্রত্যাশা উপদেষ্টা শারমীনের
আগামীতে যারা দেশের ক্ষমতায় আসবেন, অন্তর্বর্তী সরকার যেভাবে দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্স দেখিয়েছে, তারাও সেটা দেখান বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
শনিবার (২১ জুন) ঢাকার এফডিসিতে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ছায়া সংসদে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় দুর্নীতি আমাদের সব অগ্রযাত্রাকে উঁইপোকার মতো খেয়ে ফেলেছে। সে সময়ে প্রতিটি প্রকল্পেই দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকার জিরো টলারেন্স দেখিয়ে আসছে। আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবেন, তারা যেন দুর্নীতি না করেন, সেই প্রত্যাশা থাকবে।’
‘একটি স্বৈরাচারী সমাজব্যবস্থার ভিতরে আমরা একটি সংবেদনশীল, যত্নশীল পলিসি প্রত্যাশা করতে পারি না। বিগত সরকার বাল্যবিবাহের মতো একটি সংবেদনশীল সামাজিক বিষয়ের সংজ্ঞা পরিবর্তনের মাধ্যমে বিয়ের বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করে ভয়ঙ্কর উদাহরণ তৈরি করেছিল।’
ফলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমাদের দীর্ঘদিনের অর্জন টেকসই হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, ‘যে দেশে আইন করে যৌতুক ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যায়নি, সেই দেশে আইন দিয়ে শিশুশ্রম বন্ধ করা কঠিন। শিশুশ্রম সম্মানজনক নয়। এটি শিশুর অধিকার হরণ করে।’
‘কোনো সমাজে শিশুশ্রম থাকলে সেখানকার অর্থনীতির নৈতিকতা থাকে না। দারিদ্র্য ও শিশুশ্রম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই, শিশুশ্রম নিরসনে দারিদ্র্য বিমোচনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে মহাদুর্যোগ দেখা দেবে: গোলাম পরওয়ার
উপদেষ্টা বলেন, ‘শিশুশ্রম নিরসনে রাষ্ট্র ও সমাজকে মুখোমুখি দাঁড় করানো যাবে না। রাষ্ট্র, সমাজ, প্রাইভেট সেক্টর, উন্নয়ন সহযোগীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’
প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করেছে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামে বিতার্কিকদের একটি সংগঠন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান ও আইএলও বাংলাদেশ অফিসের শ্রম প্রশাসন বিভাগের প্রধান নীরান রামজুঠান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এবং মন্ত্রিপরষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) জাহেদা পারভীন।
১৬৬ দিন আগে
ফ্যাসিবাদের পরিবর্তে ফ্যাসিবাদ যেন ক্ষমতায় না বসে: রফিকুল ইসলাম খান
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ২৪’র জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করা ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন হতে হবে।
শনিবার (৩১ মে) বেলা ১২টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের বিসিক এলাকায় অনুষ্ঠিত জামায়াতের ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক ফ্যাসিবাদের পরিবর্তে আরেক ফ্যাসিবাদ যেন ক্ষমতায় বসতে না পারে। যুদ্ধাপরাধী হিসাবে জামায়াতের যেসব নেতাদের বিচারিক প্রক্রিয়ায় হত্যা করা হয়েছে, তারও বিচার করতে হবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যদি আগামীতে জামায়াতে ইসলামীকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, তাহলে জামায়াত রাজা হবে না, জনগণকে প্রজাও বানাবে না—আমরা হবো দেশের মানুষের সেবক।
আরও পড়ুন: বাজেটে নতুন চমক থাকছে না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ‘মানুষ সন্ত্রাস, নৈরাজ্যমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়।’
অধ্যাপক রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এই সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা আমির বদরুদ্দিন, গোপালগঞ্জের সাবেক জেলা আমির অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন সরদার প্রমুখ।
১৮৭ দিন আগে
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই-আগস্টে শহীদ-আহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রিজভী
জুলাই-আগস্টে শহীদদের রক্তের উপর থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে শহীদদের তালিকা না থাকায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আজকে যারা জুলাই আন্দোলনের সুফল পাচ্ছেন, যারা উপদেষ্টাসহ বড় বড় পদ পাচ্ছেন, এমনকি রাজনৈতিক দল গড়ে তুলছেন—তাদের শহীদদের পরিবারের আরও বেশি খোঁজ-খবর নেওয়া উচিত।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘যারা এতো এতো কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন! শহীদদের রক্তের উপর থাকা এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে শহীদদের তালিকা নেই কেন? যাদের রক্তের উপর আজকের সরকার এবং আমরা রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছি।’
বিএনপি ক্ষমতায় এলে জুলাই-আগস্টে শহীদ এবং আহতদের সকলের পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার মেহেরপারা ইউনিয়নের চৌয়া এলাকার চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরমানের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আজকে আমরা যতটুকু স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছি, এর জন্য যারা নিজের জীবন দিয়েছেন—তাদের মধ্যে অন্যতম শহীদ বীর আরমান মোল্লা। যে লোকটি জীবন দান করেছেন, দেশের মুক্ত বাতাস কেনার জন্য, সে পরিবারের সন্তানরা বাড়িতে না থেকে এতিমখানায় থাকতে হবে, এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক।
তিনি বলেন, আমরা আরমানের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এখানে এসেছি। এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের পর গণমানুষের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি এই পরিবারের দায়িত্ব নেন এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ ও আমাদেরকে তিনি তার বাড়িতে পাঠিয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আমরা বিএনপি পরিবারের সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা আবুল কাশেম, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মেহের পাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে সম্মেলন নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
গত বছরের ২১ জুলাই নরসিংদীর শিলমান্দী ইউনিয়নের সামনে আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আরমান।
বর্তমানে আরমান মোল্লার স্ত্রী সালমা বেগম তিনটি নাবালক সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তিনি বড় মেয়ে মাহি (১০) ও ছেলে রাফিকে (৭) দিয়েছেন একটি এতিমখানায় আর ছোট মেয়ে আফরামনিকে (৩) নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ইউএনবি/জেএ
১৯৫ দিন আগে
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ঢাকায় ওয়ার্ডভিত্তিক খেলার মাঠ তৈরি করবে: তারেক রহমান
আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাজধানী ঢাকায় সকলের জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক খেলার মাঠ তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘খেলাধুলাটি কমপক্ষে দুইটি ওয়ার্ডের মাঝামাঝি তিন থেকে চার বিঘা জমিতে তৈরি করা হবে। যেখানে শিশুরা খেলাধুলা করবে, বয়স্করা হাঁটাহাঁটি করতে পারবেন—আমাদের এমনই একটি চিন্তাভাবনা আছে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হাসনাত আব্দুল্লাহর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহরের দাবি বিএনপির
সোমবার (১৯ মে) লন্ডনের একটি হোটেলে ক্রীড়া সংগঠক প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তারেক তার পরিকল্পনার কথা জানান।
কোকোর স্মৃতি স্মরণ করে তারেক বলেন, তার ছোট ভাই দেশের ক্রীড়া অঙ্গনে অবদান রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সম্ভাবনাময় তরুণ ক্রীড়াবিদদের বাছাই করে তাদের গড়ে তোলার জন্য বিকেএসপির চারটি বিভাগীয় অফিস সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।
জীবনে খেলাধুলার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, তার দল দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলাকে অগ্রাধিকার দেবে।
ঢাকায় খেলার মাঠের সংকটের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, শিক্ষার উৎকর্ষ সাধনের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই।
১৯৯ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান
জামায়াত দেশে কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ পরিসরে আন্দোলন ও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াতের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাদেরকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠালে সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ তা’য়ালা ভয় ও জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হবে। দুনিয়ার কোনো পরাশক্তির কাছে মাথানত করা হবে না। তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে নতুন প্রজন্মকে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।’
শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাফরুলের তালতলা হালিম ফাউন্ডেশন স্কুল মাঠে কাফরুল দক্ষিণ থানা জামায়াত আয়োজিত সহযোগি সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা দেশে হযরত ওমরের (রা.) মতো সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর এ কাজ করতে গেলে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, মত-পথ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এজন্য সকলকে সীসাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশে আওয়ামী স্টাইলে কোনো নির্বাচন হবে না: রফিকুল ইসলাম খান
তিনি বলেন, যুব সমাজকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, বিশ্বের যত বড় বড় অর্জন সবই এসেছে যুব সমাজের হাত ধরেই। তাই দেশ ও জাতির এমন ক্রান্তিকালে দেশের নতুন প্রজন্মকেই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।
জামায়াতপ্রধান বলেন, মোমিন জীবনের প্রকৃত সাফল্যই হচ্ছে শাহাদাত। মূলত, নবুয়াতের দরজা বন্ধ হলেও এখনো শাহাদাতের দরজা বন্ধ হয়নি। আর শাহাদাতের মৃত্যুই হচ্ছে সবচেয়ে সম্মান ও মর্যাদার। তাই মরতে যখন হবেই তখন আমাদের সকলের শাহাদাতের মৃত্যুই কাম্য।
তিনি নিজের জন্য শাহাদাতরে তামান্নার কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য যদি একজনেরও শাহাদাতের প্রয়োজন হয়, তাহলে সে শাহাদাত যেন আল্লাহ তা’য়ালা তার জন্যই নসীব করেন। তিনি সকলকে শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
থানা আমির উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবু নাহিদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
২০১ দিন আগে
সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর উপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছে।
তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার (৮ মে) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ১৩ মার্চ থেকে তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ দুই মাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৩ মে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তারাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) 'দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮' এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
এর মেয়াদ হবে ১৪ মে থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত। সারাদেশে তারা এ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা 'ফৌজদারী কার্যবিধির, ১৮৯৮' এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বিচারপতি নজরুলকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন
প্রথমে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসার (সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তা) এ ক্ষমতা দেওয়া হয়। অর্থাৎ শুধু সেনাবাহিনী নয়, বিমান ও নৌবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদেরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। তখন ৬০ দিনের জন্য এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। সেই মেয়াদ নভেম্বরের মাঝামাঝি শেষ হয়েছিল। পরে সেই ক্ষমতার মেয়াদ তিন দফা বাড়ানো হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১৯ জুলাই কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে অনেক পুলিশ সদস্যও হতাহত হন। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা, লুট করা হয় অস্ত্র। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থানা ছেড়ে কর্মবিরতিতে যায় সারা দেশের পুলিশ।
এ সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেসময় সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়।
২১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করলেন আলবানিজ
নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়ের মধ্যদিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি আলবানিজ।
আনুষ্ঠানিক ভোট গণনা কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হবে না। তবে সারা দেশে লিবারেল ন্যাশনাল জোটের শোচনীয় পরাজয়ের পর আলবানিজের বামপন্থী সরকার নাটকীয়ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
আরও পড়ুন: গোয়েন্দাদের ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ইরাকে যুদ্ধ হয়: অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী
শনিবার (৩ মে) আলবানিজ বলেছেন, ‘আজ অস্ট্রেলিয়ার জনগণ মূল্যবোধের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, ন্যায্যতা, আকাঙ্ক্ষা ও সুযোগ সৃষ্টির জন্য। এটি প্রতিকূলতায় সাহস দেখানোর শক্তি এবং যাদের প্রয়োজন তাদের প্রতি দয়া দেখানো।’
জোট নেতা পিটার ডাটন নিজের ২৪ বছর ধরে জয় পাওয়া নিজের আসনে হেরেছেন। তিনি দলের পরাজয়ের জন্য নিজের সম্পূর্ণ দায় স্বীকার করে দলীয় এমপিদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা
২১৫ দিন আগে
অতীতের নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে, অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি: নূরুল ইসলাম বুলবুল
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, অতীতে নির্বাচনের মাধ্যমে কেবল ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি।
তিনি বলেন, বার বার অসৎ নেতৃত্বের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যাওয়ার কারণে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। বরং যখন যেই দল ক্ষমতায় বসে, তখন সেই দলের সবোর্চ্চ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মী পর্যন্ত—সবাই দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসীতে লিপ্ত হয়েছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে শাহজাহানপুর পূর্ব থানা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুলবুল বলেন, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি বলে তাদের কোনো দায়বদ্ধতা ছিল বলে তারা মনে করেনি। নিজের খেয়াল খুশি মতো রাষ্ট্র পরিচালনা করে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে। জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। জামায়াত জনগণের অধিকারের দাবিতে রাজপথে আসলেই রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে দমন-নিপীড় চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জামায়াত আমিরের সাথে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে জামায়াতে ইসলামী মানবিক প্রয়োজনে সমানভাবে সমাজ সেবা করে আসছে। এটাই ইসলামের শিক্ষা। এটাই ইসলামী রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য। ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ হলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করতে হবে।
জামায়াত নেতা বলেন, তাদের জান ও মালের সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রই পালন করবে। সকল ধর্মের মানুষ সমাজে সমান মর্যাদা ও অধিকার লাভ করবে। রাষ্ট্রের কাছে ধর্মের কোন বিভেদ থাকবে না। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিতে হচ্ছে, সম্পদ পাহারা দিতে হচ্ছে।
শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমির মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারী মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইনের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন কালী পদ চন্দ্রশীল, লতিফ চন্দ্রশীল, লোকনাথ সরকার ও স্বপন চন্দ্রশীল প্রমুখ।
এসময় অনুষ্ঠানে থানা দায়িত্বশীল নেতারাসহ এলাকার ভিন্ন ধর্মাবলম্বী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২২০ দিন আগে