প্রভাবশালী
মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও নেতাদের সম্পৃক্ত করুন: রাষ্ট্রপতি
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও জননেতাদের অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইমাম, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক এবং বিভিন্ন পেশাজীবীদের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও জননেতাদের অন্তর্ভুক্ত করলে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত হবে।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
'সবার জন্য স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায়বিচার' প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাজের পরিধি সারা দেশে বিস্তৃত উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কমিশন মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও নিশ্চিতকরণে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ হলো মানবাধিকার ইস্যু সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
তিনি বলেন, মানবাধিকার সচেতনতা বৃদ্ধি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিদের প্রতিকারের পথ প্রশস্ত করবে।
তিনি পারস্পরিক সংলাপ, সভা, সেমিনার, কর্মশালা, শিক্ষা ও মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধির সব কার্যক্রমে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার সংস্কৃতির বিকাশে কমিশনকে গবেষণা ও প্রকাশনা বৃদ্ধি, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সার্বক্ষণিক মনিটরিং বৃদ্ধি, মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
দেশের যেখানেই মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটছে সেখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপস্থিতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, কমিশনকে নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং নিপীড়কদের শাস্তি দেওয়ার জন্য সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে এবং শোষিত ও নিপীড়িতদের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দুর্নীতিবিরোধী সক্রিয় প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি সব ধরনের সংঘাতের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে এবং নির্যাতিত ও নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যুদ্ধ নয়, সংলাপের মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিদ্যমান বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতিতে যেকোনো বিবেকবান ব্যক্তি বিরক্ত বোধ করবে। যুদ্ধ, জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্নভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, গাজায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, লাখ লাখ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বিশ্বের নীরবতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, অনেক শক্তিশালী দেশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, অনেক দেশ ও সংস্থা মানবাধিকারের নামে দ্বৈত নীতিতে লিপ্ত।
মানবাধিকার ইসলামকে সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এবং কোনো বৈষম্য বা পক্ষপাতিত্ব করা উচিত নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আমি আশা করি, বিশ্বে যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে, সব দেশ, মানবাধিকার সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীরা জাতি, ধর্ম, দলমত নির্বিশেষে প্রতিবাদে সোচ্চার হবেন।’
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য সেলিম রেজা, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন পাকিস্তান, মিশর, ভ্যাটিকান সিটি ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
সুনামগঞ্জে নদীর পাড়ে জব্দকৃত বালু-পাথর চুরি: রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর পাড়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করা জব্দকৃত বালু-পাথর রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব, দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
জানা যায়, গত ২৪ মার্চ বাদাঘাট ইউনিয়নের বিন্নাকুলি ব্রীজের উত্তর পশ্চিমপাশে ঘাগটিয়া বালুর টেক উত্তর পাশে শিমুলগাছ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের বালু ও পাথর জব্দ করে প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও র্যা বের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স। জব্দকৃত ৯০ হাজার ফুট বালু-পাথর পৃথকভাবে দুজনের কাছে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে প্রায় ৩৬ লাখ টাকায়।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধে দক্ষিণ সুনামগঞ্জে চাচা ভাতিজার মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, প্রশাসনের গাফিলতির কারণে কোটি টাকার বালু-পাথর নিলাম হচ্ছে না। রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা।
এদিকে, শিমুল গাছ থেকে শুরু করে পাকা রাস্তা পর্যন্ত আরও প্রায় ২৫ জন ব্যবসায়ীর ১ লাখ ৩০ হাজার ফুট বালু-পাথর মৌখিকভাবে জব্দ করলেও টাস্কফোর্স নিলাম না দেয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘একই অপরাধে দুই আইন তা হতে পারে না। নদীর তীরে থাকা অবৈধ বালু-পাথর কিছু নিলামে দিবেন আর কিছু নিলাম দেবেন না তা মেনে নিতে কষ্ট হয়। আমাদের দাবি অবশিষ্ট বালু-পাথরও যেন নিলাম দেয়া হয়। ফলে সরকারি কোষাগারে জমা হবে প্রায় কোটি টাকা।'
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, যাদুকাটা নদীর পাড়ে থাকা অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু-পাথর সবাই রেখেছে। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ীর জন্য এক আইন আর অন্যদের জন্য আরেক আইন তা হতে পারে না। প্রশাসন ইতোমধ্যে প্রায় ৯০ হাজার ফুট বালু ও পাথর বিক্রি করেছে এবং সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে আরো ২০-২৫ জন ব্যাবসায়ীর লক্ষাধিক ফুট বালু-পাথর। এসব বালু-পাথরও নিলামে বিক্রির দাবি জানাই।'
আরও পড়ুন: কলমা নদীতে গ্যাস উদ্গীরণ, সুনামগঞ্জে আতঙ্কে গ্রামবাসী
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, 'আমরা জব্দকৃত বালু-পাথর নিলামে বিক্রি করেছি। অন্যদিকে এখনো যারা আইনের বাহিরে রয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।'
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'বিষয়টি আমার জানা আছে। লকডাউনের কারণে দেরি হয়ে গেছে। শিগগরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
৩ বছর আগে
বিবিসি সেরা ১০০ নারীর তালিকায় ২ বাংলাদেশি
বিশ্বে অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী এবং প্রভাবশালী ১০০ নারী নিয়ে ২০২০ সালে বিবিসির তৈরি করা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন দুই বাংলাদেশি।
৪ বছর আগে