তারা হলেন সাবেক যৌন কর্মী রিনা আক্তার এবং শিক্ষক রিমা সুলতানা রিমু।
কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে ঢাকায় কর্মহীন হয়ে খাদ্য সংকটে পড়া যৌন কর্মীদের মাঝে প্রতি সপ্তাহে ৪০০ জনের জন্য চাল, সবজি, ডিম ও মাংসসহ খাবার সরবরাহ করেছে রিনা ও তার সাহায্যকারী দল।
বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘লোকজন আমাদের পেশাকে ছোটো করে দেখে কিন্তু আমরা এটি করি খাবার কেনার জন্য। আমি চেষ্টা করছি যাতে এ পেশার কেউ না খেয়ে থাকে এবং তাদের বাচ্চাদের যেন এ কাজ করতে না হয়।’
অন্যদিকে, রিমু কক্সবাজারে ইয়াং উইমেন লিডার্স ফর পিসের সদস্য। এ কর্মসূচিটি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব উইমেন পিসবিল্ডার্সের অংশ যার মূল উদ্দেশ্য সংঘাতময় দেশগুলো থেকে আসা যুব নারীদের ক্ষমতায়ন করে তাদের শান্তির জন্য নেতা ও কর্মী হিসেবে তৈরি করা।
রিনা আক্তার এবং রিমা সুলতানা রিমু
রিমু তার মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি মোকাবিলায়। রোহিঙ্গা শরণার্থী বিশেষ করে যে নারী ও শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নেই তাদের জন্য লিঙ্গ সংবেদনশীল ও বয়সভিত্তিক স্বাক্ষরতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন তিনি।
সেই সাথে তিনি রেডিও সম্প্রচার ও নাটকের মাধ্যমে বিশেষ করে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তগুলো সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতা আনতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। অধিকার আদায়ের জন্য নারীর শক্তিতে আমি বিশ্বাস করি।’
বর্তমান অস্থির সময়ে পরিবর্তন ও ভিন্নতা আনার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়া নারীদের মাঝ থেকে এ বছর ১০০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে জায়গা করে নিয়েছেন ফিনল্যান্ডে নারীদের নিয়ে গঠিন জোট সরকারের প্রধান সানা মারিন, অভিনেত্রী মিশেল ইয়ো এবং করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়া সারা গিলবার্ট।