জাহিদ মালেক
গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেশি।
তিনি বলেন, গত জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত মোট এক হাজার ৭০৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৯ মে) সচিবালয়ে করোনা টিকা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে এবং আশপাশের দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের অধিদপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত এক হাজার ৭০৪ জন ডেঙ্গুরোগী পেয়েছি। এসময়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যদি গত বছরের তুলনা করি, এ বছর রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচগুণ। অর্থাৎ অনেক রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে: জাপানে সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডেঙ্গু রোধে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে ডিজির (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক) বৈঠক হয়েছে, হাসপাতালে যেন প্রস্তুতি থাকে।
এছাড়া আমাদের ডাক্তার-নার্সদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে ডেঙ্গু সার্ভে, সেটি চলমান। রিপোর্ট দুই সিটি করপোরেশনকে দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে যেহেতু রোগী বাড়ছে, সেহেতু এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। ডেঙ্গুরোগীদের জন্য হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড এবং আলাদা কর্নার তৈরি করা হয়েছে। বছরখানেকের মধ্যে আমরা দুই হাজার ৫০০ ডাক্তার এবং নার্সকে ট্রেনিং দিয়েছি।
তিনি বলেন, জনগণকে সচেতন করার জন্য আমরা বিভিন্ন মহলকে যুক্ত করেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আছেন, ছাত্র-ছাত্রী আছেন, তাদের মাধ্যমে এটা প্রচার করা হচ্ছে।
এছাড়া সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও যুক্ত করা হয়েছে, যাতে তারা জনগণকে সতর্ক করতে পারে কীভাবে ডেঙ্গুরোগ থেকে বাঁচা যায়, মশার কামড় থেকে বাঁচা যায় এবং ডেঙ্গু হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে।
এ বিষয়ে প্রচার-প্রচারণার জন্য পোস্টার, ব্যানার ও টিভিতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মিটিং আহ্বান করেছিল। সেখানে আমাদের প্রতিনিধি গেছে। জরুরি কোনো ব্যবস্থা যদি নিতে হয়, সেজন্য প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমরা জনগণকে অবহিত করতে চাই যে, আপনারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিন। মানে বাসার আশপাশের আঙিনা পরিষ্কার রাখুন, নিজের ঘর স্প্রে করুন, আশপাশে যদি জঙ্গল থাকে সেখানে স্প্রে করুন এবং পানি বা যদি অন্যকিছু জমে থাকে সেগুলো সরিয়ে ফেলুন।
তিনি আরও বলেন, এ কাজগুলো আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে এসে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেবেন। সময়মতোত চিকিৎসা নিলে প্রায় সবাই ভালো হয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ভিসিভি ভ্যাকসিনের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ দেওয়া শুরু হবে এ সপ্তাহেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভিসিভি ভ্যাকসিনের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ দেওয়া শুরু হবে এ সপ্তাহেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘কোভ্যাকস ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে ৩০ লাখ ডোজ ভিসিভি (ভ্যারিয়েন্ট কন্টেয়নিং ভ্যাকসিন) হাতে পাওয়া গেছে। এই ভ্যাকসিন ৩য় ও ৪র্থ ডোজ হিসেবে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য এ সপ্তাহ থেকেই দেশের সিটি করপোরেশন, জেলা/ উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে স্থায়ী কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্র থেকে দেওয়া শুরু হবে।’
সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফাইজার-ভিসিভি কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু সংক্রান্ত একটি সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, চলমান কোভিড মোকাবিলায় বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সফলভাবে ভ্যাকসিন প্রদান করেছে। গোটা বিশ্বে যত ভ্যাকসিন পেয়েছে তার ১১ ভাগ ভ্যাকসিন বাংলাদেশ পেয়েছে। সেই ভ্যাকসিন থেকে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮৮ দশমিক ৫১ ভাগ মানুষকে ১ম ডোজ, ৮২ দশমিক ১৮ ভাগ মানুষকে ২য় ডোজ, ৩৯ দশমিক ৬২ ভাগ মানুষকে ৩য় ডোজ এবং ১ দশমিক ৮৫ ভাগ মানুষকে ৪র্থ ডোজ টিকা ইতোমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষকে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ভিসিভি ভ্যাকসিন ব্যবহারে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং এটির ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থার ইতিবাচক মতামত রয়েছে।
উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩য় ডোজ পাবে ১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ ব্যক্তি, ৪র্থ ডোজ পাবে ৬০ বছর বা তদুর্দ্ধ বয়সী জনগোষ্ঠী বা দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা এবং সম্মুখসারির যোদ্ধাগণ। ৩য় ডোজ দেওয়া হবে ২য় ডোজ টিকা প্রাপ্তির ৪ মাস পর, ৪র্থ ডোজ পাবেন ৩য় ডোজ প্রাপ্তির ৪ মাস পর।
ডেঙ্গু রোগ প্রসঙ্গে ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে গত বছরের তুলনায় ৫ গুণ বেশি ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য সকলের বাসা বাড়ি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য সম্মত জীবনাচার পালন করতে হবে।
এসময় স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক খানসহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে: জাপানে সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মানুষকে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিএনপি আমলে দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো কাজই করা হয়নি। তাদের সুদূরপ্রসারি কোন স্বাস্থ্য ভাবনা ছিল না।
তিনি বলেন, সেই ভঙ্গুর অবস্থা কাটিয়ে ওঠে বিশ্বমানের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা করার কাজ মোটেও সহজ কাজ নয়। তাই স্বাস্থ্য খাতকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করার সেই কঠিন কাজটিতেই আমরা এখন হাত দিয়েছি। আট বিভাগেই আটটি ১৫ তলা বিশিষ্ট উন্নত মানের ক্যান্সার, কিডনি, লিভার হাসপাতাল তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বুধবার (১০ মে) সকালে রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, আইসিইউ ইউনিট ও ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাও পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের আটটি বিভাগের স্বাস্থ্যসেবার মান সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবাকে ডিসেন্ট্রালাইজড (বিকেন্দ্রীকরণ) করা হচ্ছে। এইসব উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষ নিজ নিজ বিভাগ থেকেই তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।
এছাড়া মানুষকে আগামীতে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতা এমনি এমনি আসেনি। পরিশ্রম ও ত্যাগের ফসল এটি। করোনায় বিএনপি কোথাও ছিল না। তারা কাউকে সহায়তা করেনি। তারা শুধু টেলিভিশনের পর্দায় যারা করোনায় কাজ করেছে সেই চিকিৎসক, নার্সদের নিয়ে দিনরাত সমালোচনা করেছে, তাদেরকে নিরুৎসাহিত করেছে।
এছাড়া তারা বন্যায় কাউকে সহায়তা করে না, দুর্যোগে পাশে দাঁড়ায় না, শুধু টেলিভিশনের পর্দায় সমালোচনার কাজ করে।
ডেন্টাল হাসপাতালের সেবা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই ডেন্টাল হাসপাতালে প্রতিদিন ৬০০-৭০০ মানুষ সেবা নেয়। এই হাসপাতালসহ আমরা দেশের সব হাসপাতালের বেড দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি করেছি।
আগে দেশে বেড ছিল ২০ হাজারের মতো। এখন সেই বেড সংখ্যা ৭০ হাজার করা হয়েছে। ৪৫ হাজার নার্স ও ৩৩ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে টেকনিশিয়ান ও ফার্মাসিস্ট নিয়োগের কাজ চলমান আছে। দেশের হাসপাতালগুলোর অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি অনেকটাই কাভার করা গেছে।
এছাড়া এখন এই লোকবল পূরণ হলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় বড় উন্নয়ন ঘটবে।
উল্লেখ্য, আজ থেকেই ইমার্জেন্সি আউটডোর সেবা ব্যবস্থায় ২৪ ঘন্টা সেবা দেয়া হবে।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বোরহান উদ্দিন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনও উন্নত নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ বছরই দেশের সব হাসপাতালে সান্ধ্যকালীন সেবা চালু হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনও উন্নত নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালের কাঙ্ক্ষিত সেবা বাদ দিয়ে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন সম্ভব না।
তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনও উন্নত নয়। উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবাতেই আমাদের মূল ঘাটতি রয়ে গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদীর একটি বেসরকারি রিসোর্ট সেন্টারে এক বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, উপজেলা পর্যায়ের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর অনেক জায়গায়ই মেশিন নষ্ট ছিল। কিছু জায়গায় মেশিনই ছিল না। লোকবলের তীব্র অভাব ছিল। উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তাররা বদলি নিয়ে ঢাকায় বা জেলা পর্যায়ে চলে যেত।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি পরিবর্তনে উপজেলা পর্যায়ে আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি। নষ্ট মেশিন মেরামত এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন মেশিন কেনা হয়েছে। তদবির করে উপজেলা পর্যায় থেকে বদলি নিয়ে ঢাকায় আসা বন্ধ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত টেকনিশিয়ান ও ফার্মাসিস্ট নিয়োগের কাজও চলমান।
এছাড়া উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলো শয্যা বৃদ্ধিসহ নানাবিধ কাজ করে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান দ্বিগুণ বাড়ানো হচ্ছে।
কারণ আমরা বুঝে গেছি, উপজেলা পর্যায়ে সেবার মান না বাড়িয়ে দেশের মানুষের জন্য কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করা অসম্ভব।
স্বাস্থ্যখাতের সেবার মান বৃদ্ধি করার গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে যায়। অনেক টাকা খরচ করে নিঃস্ব হয়। অথচ আপনাদের (চিকিৎসক ও হাসপাতাল পরিচালক, স্বাস্থ্যখাতের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা) সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা বাড়লে এটি বন্ধ হবে।
তিনি আরও বলেন, এমনভাবে সেবা দিতে হবে যাতে আগামীতে বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিতে বিদেশিরা বাংলাদেশে আসে। আপনারা করোনা মোকাবিলায় সফল হয়েছেন। একটু আন্তরিক হলে চিকিৎসা সেবাতেও সফল হবেন।
তিনি বলেন, এখন শুধু আপনাদের (চিকিৎসক ও হাসপাতাল পরিচালক, স্বাস্থ্যখাতের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা) সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা লাগবে। সরকার আপনাদের জন্য সবকিছুই করবে। কিন্তু আপনাদের এই আন্তরিকতা থাকতে হবে মন থেকে।
তিনি আরও বলেন, যিনি যে হাসপাতাল বা সরকারি স্বাস্থ্যখাত পরিচালনায় দায়িত্ব পাবেন তাকে সেই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার সকল দায়ভার নিতে হবে।
এছাড়া আপনাদের একটু প্রচেষ্টাতেই দেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হবেন। মানুষের অনেক কষ্টের টাকাও বেঁচে যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা শাখার সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক আহমেদুল কবীর।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া। এছাড়া সভায় ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলার সিভিল সার্জনস, জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, এবং ৭৬টি উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এ বছরই দেশের সব হাসপাতালে সান্ধ্যকালীন সেবা চালু হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বেসরকারি হাসপাতালে ৮০% সিজার, মেনে নেওয়া যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বেসরকারি হাসপাতালে ৮০% সিজার, মেনে নেওয়া যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির সংখ্যা বাড়লেও আশঙ্কাজনক হারে সি-সেকশন (সিজার) বেড়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে সিজারের হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সেটি ৮০ শতাংশের কাছাকাছি।
এছাড়া এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমরা মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমিয়েছি। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ডেলিভারির সংখ্যা বেড়েছে। তবে আশঙ্কাজনক বিষয় হলো সি-সেকশনও অনেক বেশি মাত্রায় বেড়েছে, যার পরিমাণ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেই অনেক বেশি। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী একটি দেশে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সিজার মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু এর বেশি কখনই মেনে নেওয়ার মতো নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।
একই সঙ্গে কিভাবে সিজারের পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়, সবরকম চেষ্টাই আমরা করে যাবো।
তিনি বলেন, আমরা গত মাসে দেশের বেশকিছু হাসপাতালে ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস (বৈকালিক সেবা) কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে দেশের সবগুলো মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রম আমরা শুরু করবো। খোঁজ নিয়ে দেখেছি, প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ সরকারি হাসপাতালের বৈকালিক সেবায় চিকিৎসা নিচ্ছে। সেবা পেয়ে একদিকে যেমন জনগণ খুশি, অন্যদিকে যারা সেবা দিচ্ছেন তারাও খুশি।
মন্ত্রী আরও বলেন, হাসপাতালের সেবা দিতে গিয়ে প্রায় সময়ই চিকিৎসকরা নানা সমস্যায় পড়েন। অনেক সময় রোগীর স্বজনদের মাধ্যমে হাসপাতাল ভাঙচুর হয়। এমনকি ভুল বোঝাবুঝির কারণে মারামারি পর্যন্ত হয়। এসব সমস্যা সমাধানে আমরা আগামী সংসদেই স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনটি পাসের চেষ্টা করবো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে শুধু হাসপাতাল বানালেই হবে না, এগুলোতে দক্ষ জনবলও প্রয়োজন। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন তিন লাখ লোক কাজ করে। জনবল ও সেবার দিক থেকে আমরা এখন সবচেয়ে বৃহৎ মন্ত্রণালয়। আমাদের চিকিৎসক-নার্স বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু জনবল দিয়েই হবে না, পর্যাপ্ত ওষুধেরও দরকার।
এছাড়া আশার দিক হলো দেশে উৎপাদিত হচ্ছে চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ। এসব ওষুধ আমরা বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করছি।
তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্য সেবায় অসংখ্য হাসপাতাল করলাম, কিন্তু আমাদের দেখতে হবে মানুষ সেগুলোতে পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে কি-না। যদিও এবিষয়টি কিছুটা ক্রিটিকেল। তারপরও আমরা সেবা নিশ্চিতের চেষ্টা করছি। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ৬০ হাজারে উন্নীত হয়েছে, কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পাঁচ হাজারও ছিল না।
এছাড়া দেশে আশঙ্কাজনক হারে অসংক্রামক ব্যাধি বাড়ছে। ক্যান্সার, কিডনি হার্ট অ্যাটাকে অসংখ্য লোক মারা যায়। ৮টি বিভাগে ৮টি বিশেষায়িত হাসপাতাল করেছি, আগামী বছর চালু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ৩০টি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেটে রোগী দেখতে পারবেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৩০টি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেটে রোগী দেখতে পারবেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ৩০ মার্চ থেকে অফিস সময়ের পর ১০টি জেলা সরকারি হাসপাতাল ও ২০টি উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে রোগীদের দেখতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রাথমিকভাবে ১০টি জেলা হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে এটি চালু করা হবে। বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালানোর অনুমতি দেয়া হবে।’
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পর্যায়ক্রমে সব সরকারি হাসপাতালে এই প্রকল্প চালু করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তবে সরকার প্রকল্পের আওতায় সিনিয়র অধ্যাপকদের সম্মানী হিসেবে ৫০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপক ও সিনিয়র পরামর্শকদের জন্য ৪০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপক ও জুনিয়র পরামর্শকদের জন্য ৩০০ টাকা এবং এমবিবিএস ও বিডিএ থাকা চিকিৎসকদের জন্য ২০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিনামূল্যে ৫০ হাজার টাকার স্বাস্থ্যসেবা পাবে ১৫ লাখ পরিবার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, এটি করা গেলে দেশের মায়েদের প্রসবকালীন যে সমস্যা ও অর্থ ব্যয় হয় তা অনেকখানী কমে যাবে।
রবিবার রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অডিটরিয়াম হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের কয়েকশ’ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইতোমধ্যে প্রসূতি মায়ের জন্য ২৪ ঘন্টা স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপনের সরকারি উদ্যোগ পুরোদমে চলছে।
তিনি তার বক্তব্যে শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ বন্ধেরও আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম-এর সভাপতিত্বে সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম)-এর লাইন ডিরেক্টর আব্দুল মান্নান, জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোমবার দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিনামূল্যে ৫০ হাজার টাকার স্বাস্থ্যসেবা পাবে ১৫ লাখ পরিবার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দরিদ্র দেশে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে উন্নত দেশগুলোকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে
দরিদ্র দেশগুলোর জনগণকে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে উন্নত দেশগুলোকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সুইজারল্যান্ডের মন্ট্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বব্যাপী রোগীদের চিকিৎসা নিরাপত্তার ওপর ৫ম আন্তর্জাতিক মিনিস্ট্রিয়াল সম্মেলনে বিশ্বের ৮০টি দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান।
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি এইচ. ই মি. এলিয়ান বারসেত এই সম্মেললের উদ্বোধন করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস সভাপতিত্ব করেন।
শুক্রবার সকালে সম্মেলনের শেষ দিবসের আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র ও অসহায়। দরিদ্র দেশগুলো নানারকম খাদ্য সমস্যায় ভোগার পাশাপাশি খুব একটা মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পায় না। এজন্য উন্নত দেশগুলোর উচিৎ অপেক্ষাকৃত সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র দেশগুলোর স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আরও বেশি ও কার্যকর ভূমিকা রাখা। দরিদ্র দেশগুলোর রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে এগিয়ে আসতে হবে। দরিদ্র দেশগুলোর হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নত যন্ত্রপাতি কেনা ও প্রশিক্ষণ সেবা বৃদ্ধি করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের বিষয়টি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সম্মেলনে আগত ৮০টি দেশের মন্ত্রীসহ বিশেষ করে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি এইচ. ই. এলিয়ান বারসেটের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশ করেছিল ১০ লাখের মত। এখন সেই জনগোষ্ঠী সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ লাখে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে সেখানে। এত বড় শরণার্থী শিবিরের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া দুরূহ কাজ। এই শরণার্থীরা দিন দিন স্থানীয় লোকজনের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। যা সামলাতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাঁদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সুইজারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের সহযোগিতা একান্ত জরুরি।’
বিভিন্ন দেশের হাসপাতালে রোগীদের সেবা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল, জবাবদিহিপূর্ণ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, সচেতনতা বৃদ্ধি করা, তথ্যের আদান-প্রদান করার ওপর জোর দেন।
সম্মেলনে অংশ নেয়া নেতাদের কোভিড-১৯ এর করণীয় পরবর্তী বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন এবং ২০২১-২০৩০ সাল ভিত্তিক একশন প্লান বাস্তবায়নে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
সম্মেলনে জাপান, সৌদি আরব, ইতালি, সিংগাপুর, মালেয়েশিয়া, হাঙ্গেরী, শ্রীলঙ্কা, ইরাক, কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, লিবিয়া, নামিবিয়া, পর্তুগাল, আরব আমিরাতসহ ৮০টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মহাখালী জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন।
দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে ৬-৫৯ মাস বয়সের দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য মায়েদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় তিন লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে চার থেকে পাঁচ ভাগ শিশু রাতকানা হয়ে জন্ম নিত। সেই হার এখন শুন্য দশমিক এক ভাগে নেমে এসেছে। ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল শিশুদের জন্য কেবল রাতকানা প্রতিরোধের জন্যই ব্যবহার হয় না, এই ক্যাপস্যুল শিশুদের মৃত্যুহার কমায় প্রায় ২৪ ভাগ। হাম, ফাইলেরিয়ার মত অসুখ হতে পারেনা। শিশুরা সুস্থভাবে বেড়ে ওঠে।
তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চাই। সোনার বাংলা করতে সোনার শিশু তৈরি করতে হবে। সেই সোনার শিশু তৈরি করতে ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়াতে হবে।
এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে এই ভিটামিন যেন নির্দিষ্ট বয়সের সব শিশু খেতে পারে তারজন্য আজকের দিনে সব মায়েদের নিজ নিজ নির্দিষ্ট বয়সী শিশুকে সঙ্গে নিকটস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে টিকা খাওয়াতে অনুরোধ জানান।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্ম্দ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা-সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল নির্দিষ্ট বয়সী শিশুদের বছরে দুবার খাওয়াতে হয়। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী সারাদশের সকল সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে খাওয়ানো হবে।
এর জন্য দুই লাখ ৪০ হাজার স্বাস্থ্যসেবী ও ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী একযোগে দেশের এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়াতে কাজ করবে।
৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশুকে নীল রঙের ক্যাপস্যুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী এক কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপস্যুল খাওয়ানো হবে।
সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনসংখ্যা পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. আব্দুল মান্নান এবং ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসি ১৮ শতাধিক কেন্দ্রে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে
সোমবার দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোমবার দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামীকাল সোমবার থেকে দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী এক কোটি ৯৫ লাখ। মোট দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুইবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখছে। ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা চার শতাংশ প্রায় নাই বললেই চলে।
আরও পড়ুন: ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে জেলা, সিটি করপোরেশন ও মাঠপর্যায়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাঠানো হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি টিভি ও রেডিও এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সব ইমামকে মসজিদে এবং হিন্দু খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মাধ্যমে সব হিন্দু পুরোহিতদের মন্দিরে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর জন্য ঘোষণা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে দুই লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। এতে ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেবেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা হয়, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা হয়।
এছাড়াও সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ কমায় ‘এ’ ক্যাপসুল। এছাড়াও হাম, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারেও কমেছে।
বিটিআরসির সাহায্যে দেশব্যাপী সব মোবাইল অপারেটরের মধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের তথ্য সম্মলিত খুদে বার্তা দেয়া হয়েছে।
দেশের সব শিশু বিশেষজ্ঞদেরকে (সরকারি-বেসরকারি) তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রংপুর মেডিকেলের ৬০০ যন্ত্রপাতির সাড়ে চারশ'ই অকেজো, এটা মেনে নেয়া যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী