বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হার্তান্তো সুবোলো বলেছেন, ৫১ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কে অগ্রগতি ও উন্নয়নে স্থিতিশীলতা ও দৃঢ়তা দেখিয়েছে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া।
তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালে দুই দেশ একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব অর্জন করেছে।’
রবিবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকায় ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস তার ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
গত মাসে জাকার্তায় সে দেশের প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময়, উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে একটি সুনির্দিষ্ট সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হন।
সেসসময় দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য, জ্বালানি ও কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
তিনি আশা করেন, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব বন্ধুত্বের চেতনায় ভাস্বর হবে এবং ভবিষ্যতে তা আরও শক্তিশালী হবে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র গং বাজিয়ে তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশে হাসপাতাল স্থাপন, ভ্যাকসিন তৈরির শিল্প এবং সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য খাতে ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। কারণ উভয় দেশের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে।
তিনি বর্ণিল কূটনৈতিক সংবর্ধনা আয়োজনের জন্য ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: জনগণের মধ্যে সংযোগের অভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: ভারতীয় বিশেষজ্ঞ