রোনালদো
এমবাপ্পেকে নিয়ে রোনালদোর ২ মাস আগের মন্তব্য আলোচনায়
পিএসজি ও ফ্রান্সের জার্সিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে তারকার তকমা নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে এলেও ক্লাবটিতে এখনও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। একের পর এক নিষ্প্র্রভ পারফরম্যান্সের কারণে ইতোমধ্যে ফুটবল পাড়ার সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার।
গত রাতে আথলেকিত বিলবাওয়ের বিপক্ষে পেনাল্টি মিসের পর ২-১ হেরে বার্সেলোনাকে হটিয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে আরোহনের সুযোগ হাতছাড়া করেছে এমবাপ্পের রিয়াল মাদ্রিদ।
ভিনিসিউস জুনিয়রের অনুপস্থিতিতে যেখানে দলের হাল ধরে নাবিকের ভূমিকা পালনের কথা ছিল এমবাপ্পের, সেখানে সমর্থকদের সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনায় পুড়তে হচ্ছে তাকে।
তবে এমন যে হতেই পারে, দুই মাস আগেই এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবল মহাতারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
আরও পড়ুন: হেরে পিএসজি অধ্যায় শেষ করলেন এমবাপ্পে
গত ১২ সেপ্টেম্বর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়াল মাদ্রিদে কিলিয়ান এমবাপ্পের ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলেন রোনালদো।
সে সময় তিনি বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ পিএসজি নয়, তাই তার (এমবাপ্পে) মাথা কতটা পরিষ্কার এবং সে কতটা চাপ সামলাতে পারে তা আমরা দেখব।’
‘আমি আপনাকে বলতে পারি যে, এমবাপ্পে রিয়ালে যাওয়ার পর আপনি ভাবছেন, তাকে পেয়ে রিয়াল মাদ্রিদ কি আসলেই আরও ভালো দল হবে? আমরা জানি না, তবে সামনে তা দেখা যাবে।’
রোনালদো বলেন, ‘আমার বিশ্বাস দল হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদ শক্তিশালীই থাকবে, তবে (তাকে নিয়ে) গত বছরের চেয়ে ভালো দল হবে কিনা জানি না। কেবল ঈশ্বরই তা জানেন।’
তবে দারুণ সব খেলোয়াড় নিয়ে দলটি এবারও অসাধারণ বলে উল্লেখ করেন ৩৯ বছর বয়সী আল নাসর তারকা।
বিলবাওয়ের বিপক্ষে হেরে ১৫ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় বার্সেলোনা। এছাড়া ১৫ ম্যাচে রিয়ালের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় আতলেতিকো মাদ্রিদ। আর রিয়ালকে হারিয়ে ১৬ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে এর্নেস্তো ভালভার্দের আথলেতিক বিলবাও।
আগামী শনিবার রাতে জিরোনার বিপক্ষে মাঠে নামবে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। তার আগে সন্ধ্যায় রিয়াল বেতিসের মাঠে খেলতে নামবে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
১ সপ্তাহ আগে
নেইমারের পাঁচটি ব্যালন দ’র জেতা উচিত ছিল: বুফন
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রতিপক্ষের সবচেয়ে কঠিন ফুটবলার হিসেবে মেসি, রোনালদো নয়, বরং নেইমারকে বেছে নিয়েছেন ইতালি ও ইউভেন্তুসের কিংবদন্তি গোলরক্ষক জানলুইজি বুফন। ব্রাজিলের এই তারকা ফুটবলারের অন্তত পাঁচটি ব্যাল দ’র জেতা উচিৎ ছিল বলে মনে করেন তিনি।
২৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ার শেষে ২০২৩ সালে গ্লাভস খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন বুফন। বর্তমানে ইতালি জাতীয় দলের টিম অপারেশন ম্যানেজারের ভূমিকায় রয়েছেন সাবেক এই ফুটবলার।
সম্প্রতি মিলানভিত্তিক ইতালির জাতীয় দৈনিক করিয়েরে দেল্লা সেরাকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বুফন। সেখানে নিজের আত্মজীবনী উপস্থাপন করেন তিনি। এ সময় ক্যারিয়ারের অসংখ্য বিষয় নিয়ে কথা বলেন ৪৬ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি।
কেন গোলরক্ষক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গোলরক্ষক হওয়ার মাঝে একটা আকর্ষণ আছে। ব্যাথা পেয়েও তা থেকে আনন্দ খুঁজে নেওয়া, ব্যাপারটি একেবারেই ব্যতিক্রম।’
‘কিশোর বয়সে আমি যখন খেলা শুরু করেছি, তখনও (ফুটবলের) পরিস্থিতি ৭০-এর দশকের মতো- পিচগুলো সিমেন্টের মতো শক্ত। ক্ষতবিক্ষত হাত, পেছনে কালশিটে পড়ে যাওয়া এবং কতবার রক্তাক্ত হয়েছে- এসব দিয়ে তখনকার গোলরক্ষকদের বিচার করা হতো।’
আরও পড়ুন: এবার ‘লিটল ম্যাজিশিয়ান’ ইনিয়েস্তার বিদায়
১৯৯৫ সালে পার্মার জার্সি গায়ে চড়িয়ে পেশাদার ফুটবলে নাম লেখান বুফন। ছয় বছরে পার্মাকে বেশ কয়েকটি শিরোপা জেতাতে ভূমিকা রাখেন তিনি। এর মধ্যে ১৯৯৯ সালে ক্লাবটির হয়ে উয়েফা কাপ, কোপা ইতালিয়া ও ইতালিয়ান সুপার কাপ জেতেন এই গোলরক্ষক। পার্মায় থাকাকালেই নিজের প্রতিভা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন তিনি। এরপর ২০০১ সালে তৎকালীন রেকর্ড ট্রান্সফার ফি-তে নাম লেখান ইউভেন্তুসে।
ওল্ড লেডিদের জার্সিতেই টানা ১৮ বছর কাটিয়ে এবং অসংখ্য রেকর্ডের পাশে নিজের নাম লিখিয়ে কিংবদন্তির তকমা অর্জন করেন বুফন। ২০১৮ সালে ইউভেন্তুস থেকে বিদায় নিয়ে এক বছর পিএসজিতে কাটান তিনি। তবে পরের বছরই ফেরেন তুরিনে। আরও দুই বছর সাদা-কালো জার্সিতে খেলে শৈশবের ক্লাব পার্মায় ফেরেন ২০০৬ বিশ্বকাপ জয়ী এই গোলরক্ষক। ২০২৩ সালে সেখান থেকেই অবসরে যান তিনি।
তবে শেষবার ইউভেন্তুস ছাড়ার পর বার্সেলোনায় ভেড়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
‘বার্সা আমাকে ডেকেছিল তাদের রিজার্ভ গোলরক্ষক হওয়ার জন্য। (ক্রিস্তিয়ানো) রোনালদোর সঙ্গে খেলেছি, মেসির সঙ্গেও খেলার সুযোগ তখন এসেছিল; তবে শেষমেষ পার্মায়ই ফিরে গেলাম। যেখানে শুরু হয়েছিল, সেখান থেকেই (ক্যারিয়ার) শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
৪ সপ্তাহ আগে
অবসর নিয়ে আরও স্পষ্ট বার্তা রোনালদোর
অবসর নিয়ে কিছুদিন আগেই নিজের ভাবনা জানিয়েছেন পর্তুগিজ ফুটবল সুপারস্টার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। এবার সেটি আরও স্পষ্ট করেছেন তিনি।
৩৯ পেরিয়ে ৪০-এ পা দিতে আর বেশিদিন দেরি নেই। এই বয়সেও দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলেছেন রোনালদো। গতরাতে নেশন্স লিগে পোল্যান্ডকে ৫-১ গোলে হারানোর ম্যাচেও জোড়া গোল পেয়েছেন তিনি। তার দ্বিতীয় ও পর্তুগালের পঞ্চম গোলটি আসে দৃষ্টিনন্দন এক বাইসাইকেল কিক থেকে।
এর ফলে জাতীয় দলের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের (১৩২টি) রেকর্ড এখন রোনালদোর। এই রেকর্ড গড়ার পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন তারই সাবেক ক্লাব সতীর্থ সের্হিও রামোসকে। ২০২১ সালে স্পেনের জার্সিতে বিদায় নেওয়ার আগে ১৩১ ম্যাচ জেতেন এই রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি।
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি বয়সে জোড়া গোল করার রেকর্ডটিও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে তার গোলসংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫টিতে।
নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের ১ নম্বর গ্রুপের পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও একটি ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ইতোমধ্যে কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পর্তুগাল। একইসঙ্গে ৫ গোল নিয়ে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতাও পর্তুগিজ মহাতরকা। অবশ্য সমান সংখ্যক গোল নিয়ে স্লোভেনিয়ার বেনিয়ামিন শেশকোও তার পাশে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
এই ম্যাচের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবারও অবসরের প্রসঙ্গটি উঠে আসে।
তার কথায়, ‘এখন শুধু (খেলা) উপভোগ করতে চাই। অবসর নিয়ে পরিকল্পনা বলতে… যদি নিতে হয় তো আগামী বছর দুয়েকের মধ্যেই নিয়ে নেব।’
‘আসলে কী হবে জানি না। ৪০-এ পড়তে যাচ্ছি…. এখন যতদিন পারি ফুটবল উপভোগ করতে চাই। তবে যতক্ষণ খেলার অনুপ্রেরণা পাচ্ছি, চালিয়ে যেতে থাকব। যখন দেখব ভেতর থেকে আর (খেলার) তাড়না পাচ্ছি না, অবসর নিয়ে নেব।’
তবে খেলা ছাড়ার পর সত্যিই যে ফুটবলের সঙ্গে আর থাকার ইচ্ছা নেই, সে কথাও উল্লেখ করতে ভুললেন না আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪০-এ পা দিতে চলা এই স্কোরিং মেশিন।
‘জাতীয় দল ছাড়ার সিদ্ধান্তটি অবশ্যই ভেবেচিন্তে নেব। তারপর ম্যানেজার হিসেবে আর (ফুটবলে) ক্যারিয়ার শুরু করার পরিকল্পনা নেই। যদিও সময় অনেক কিছু পাল্টে দেয়, তবে এখন পর্যন্ত ফুটবলের বাইরে কিছু করার পরিকল্পনাই রয়েছে আমার।’
কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করায় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে রোনালদোকে বিশ্রাম দেওয়া হব বলে জানিয়ে দিয়েছেন কোচ রবের্তো মার্তিনেস।
ক্লাবের হয়েও চলতি মৌসুমের শুরুটা ভালো হয়েছে রোনালদোর। আল-নাসরের হয়ে ১৫ ম্যাচে ১০ গোলের পাশাপাশি তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
১ মাস আগে
হ্যাটট্রিক করে রোনালদোকে ছুঁলেন মেসি
ক্যারিয়ারের একেবারে শেষপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। তারপরও রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলায় একের পর এক একে অপরকে টেক্কা দিয়ে চলেছেন।
মঙ্গলবার রাতে লাতিন আমেরিকা পর্বের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বলিভিয়াকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি আরও দুটি অ্যাসিস্টসহ মোট ৫ গোলে অবদান রেখেছেন আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো।
বলিভিয়ার বিপক্ষে এটি ছিল মেসির ক্যারিয়ারের ৫৮তম হ্যাটট্রিক, দেশের জার্সিতে যা দশম। এতেই পর্তুগিজ মহাতারকার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তিনি।
২০২১ সালে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে পর্তুগালের ৫-০ গোলের জয়ের ম্যাচে দেশের জার্সিতে দশম হ্যাটট্রিক করেন রোনালদো। ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে সুইডেনের সভেন রিডেলের সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের রেকর্ড (৯) ভেঙে সেদিন অনন্য উচ্চতায় ওঠেন তিনি। এর তিন বছরের মধ্যে তাকে ছুঁয়ে ফেললেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মেসি।
অবশ্য ১০ম হ্যাটট্রিকের দেখা পেতে ১৯১ ম্যাচ খেলা লাগে রোনালদোর, মেসির সেখানে লাগল ১৮৯ ম্যাচ।
আরও পড়ুন: পর্তুগালের জয়ের রাতে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
তবে আন্তর্জাতিক গোলসংখ্যায় মেসির চেয়ে অনেক উপরে রয়েছেন রোনালদো। পর্তুগালের হয়ে ২১৬ ম্যাচে ১৩৩ গোল করেছেন তিনি, যেখানে এই ম্যাচের পর ১৮৯ ম্যাচে ১১২ গোল হলো মেসির। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলের তালিকায় এ দুজনই সবার উপরে। ১৪৮ ম্যাচে ১০৮ গোল নিয়ে তাদের পরে রয়েছেন ইরানের সাবেক ফরোয়ার্ড আলী দাইয়ি।
এদিকে, ক্যারিয়ার হ্যাটট্রিকেও মেসির চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন রোনালদো। মেসির ৫৮ হ্যাটট্রিকের জায়গায় রোনালদোর হ্যাটট্রিক সংখ্যা ৬৬টি। তবে পেশাদার ফুটবলে তাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন আরও তিন ফুটবলার। ১৪১টির বেশি হ্যাটট্রিক নিয়ে এই তালিকায় সবার উপরে জার্মানির এরভিন হেলমশেন, ১০১টির বেশি হ্যাটট্রিক করেছেন অস্ট্রিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের হয়ে খেলা জোসেফ বাইকান এবং ১০০টির বেশি হ্যাটট্রিক রয়েছে হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ডিকের।
এছাড়া, লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি হ্যাটট্রিক করলেন মেসি। এর ২টিই বলিভিয়ার বিপক্ষে, অন্যটি ইকুয়েডরের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
এদিনের ম্যাচের পর ১০ ম্যাচে ৭ জয় ও ১ ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করল আর্জেন্টিনা। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলম্বিয়া।
দিনের অপর ম্যাচে রাফিনিয়ার জোড়া পেনাল্টির পর পেরুকে ৪-০ গোলে হারিয়ে সমান সংখ্যক ম্যাচে ৫টি জয় ও একটি ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকায় তিনে রয়েছে উরুগুয়ে। ইকুয়েডরের বিপক্ষে এদিন গোলশূন্য ড্র করেছে মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যরা।
২ মাস আগে
পর্তুগালের জয়ের রাতে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
ইউরোর ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে নেশন্স লিগ দিয়ে নতুন শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলন পর্তুগিজ কোচ রবের্ত মার্তিনেস। তার আহ্বানে সাড়া দিয়েই নেশন্স লিগ অভিযান শুরু করল পর্তুগাল।
রাজধানী লিসবনে বৃহস্পতিবার রাতে ‘এ’ লিগের গ্রুপ-১ এর ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে উয়েফা নেশন্স লিগে শুভসূচনা করেছে পর্তুগাল।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটে দিয়োগো দালোর গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর ৩৪তম মিনিটে পর্তুগালের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। বিরতির আগে দালোর আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমায় ক্রোয়েশিয়া। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল না হওয়ায় ওই ব্যবধান ধরে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রবের্ত মার্তিনেসের শিষ্যরা।
ম্যাচের ৩৪তম মিনিটের ওই গোলে অনন্য এক ইতিহাস গড়েছেন রোনালদো। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৯০০তম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ৩৯ বছর বয়সী এই মহাতারকা।
গত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচটি ম্যাচ খেলে একটিও গোল না পাওয়ায় সমালোচকদের তোপের মুখে পড়তে হয় রোনালদোকে। অনেকে তার অবসর নেওয়ার সময় হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন। তবে ৯০০ ক্যারিয়ার গোলের মাইলফলক ছুঁয়ে সমালোচকদের মুখে কুলুপ এঁটে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
গোলটি করে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড। মাঠের মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। পরে সতীর্থরা এসে তাকে জড়িয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি অভিনন্দন জানান।
৩ মাস আগে
২১ বছর পর ব্যালন দ’র লড়াইয়ে নেই মেসি-রোনালদো
অনেক জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে ব্যালন দ’রে মনোনয়ন পাওয়া ফুটবলারদের সংক্ষিপ্ত তালিকা। ৩০ জনের এই তালিকায় ২০০৩ সালের পর এবারই প্রথম দেখা যায়নি ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি এবং আল নাসরের পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে।
গত ১৬ বছরের মধ্যে ১৩ বারই বিশ্ব ফুটবলের সেরা এই ব্যক্তিগত পুরস্কার ভাগাভাগি করেছেন বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের দুই গ্রেট। ২০২৩ সালে সর্বশেষ ব্যালন দ’র জেতেন মেসি। সেটি ছিল কোনো ফুটবলারের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যালন দ’র জয়। তবে আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর গত বছর থেকেই ব্যালন দ’রের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার এই পুরস্কার জেতা রোনালদো।
২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই দুজনের আধিপত্যে ব্যালন দ’র স্পর্শ করতে পারেননি আর কোনো ফুটবলার। পরের বছর এটি জেতেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়াট মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ। এরপর ২০১৯ সালে ষষ্ঠবারের মতো মেসির হাতে ওঠে পুরস্কারটি। এর ফলে তিনি রোনালদোকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ ব্যালন দ’র জয়ের চূড়ায় ওঠেন।
আরও পড়ুন: রদ্রির ব্যালন দ’র নিশ্চিত হয়ে গেছে
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালে পুরস্কারটি স্থগিত করে ফেঞ্চ ফুটবল। সেবার দুর্দান্ত পারফর্ম করে ব্যালন দ’র জয়ের দৌড়ে সবার চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন তৎকালীন বায়ার্ন মিউনিখ ও বর্তমান বার্সেলোনা স্ট্রাইকার রবের্ট লেভানডোভস্কি। তবে পরের বছর আবারও জিতে রোনালদোর সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়ান মেসি। তারপর ২০২২ সালে তৎকালীন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা জেতেন পুরস্কারটি। এরপর ২০২২ বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা জেতার পর ২০২৩ সালে অষ্টমবারের মতো ব্যালন দ’র জিতে অনন্য উচ্চতায় ওঠেন মেসি।
গত মৌসুমে আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা জিতলেও ক্লাব ফুটবলে খুব বেশি অর্জন ছিল না লিওনেল মেসির। অন্যদিকে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে সৌদি প্রো লিগে ৩১ ম্যাচে ৩৫ গোল এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৫ ম্যাচে ৪৪ গোল করেন রোনালদো। কিন্তু গত জুন-জুলাইয়ে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ইউরোয় পর্তুগালের পাঁচ ম্যাচে একবারও জালের দেখা পাননি ৩৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। কোয়ার্টার-ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় বিদায় নিতে হয় ২০১৬ আসরের চ্যাম্পিয়নদের।
এবারের ব্যালন দ’র জেতার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র, ক্লাবটির স্প্যানিশ অধিনায়ক দানি কারভাহাল, ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ অধিনায়ক রদ্রি এবং ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেস।
আরও পড়ুন: ব্যালন দ’র: ভিনিসিউস, বেলিংহ্যামকে ফেভারিট মনে করেন না কারভাহাল
ব্যালন দ’রের জন্য মনোনীত ৩০ জন: জুড বেলিংহ্যাম (রিয়াল মাদ্রিদ), রুবেন দিয়াস (ম্যানচেস্টার সিটি), ফিল ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি), ফেদেরিকো ভালভার্দে (রিয়াল মাদ্রিদ), এমিলিয়ানো মার্তিনেস (অ্যাস্টন ভিলা), আর্লিং হালান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি), নিকো উইলিয়ামস (আথলেতিক বিলবাও), গ্রানিট জাকা (বায়ের লেভারকুজেন), আর্তেম দবভিক (জিরোনা/রোমা), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিউস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), দানি অলমো (লাইপসিগ/বার্সেলোনা), ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস (বায়ের লেভারকুজেন), মার্টিন ওডেগোর্ড (আর্সেনাল), মাটস হুমেলস (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি), হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ), ডেকলান রাইস (আর্সেনাল), ভিতিনিয়া (পিএসজি), কোল পালমার (ম্যানচেস্টার সিটি/চেলসি), দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ), লামিন ইয়ামাল (বার্সেলোনা), বুকায়ো সাকা (আর্সেনাল), হাকান চালানোলু (ইন্টার মিলান), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল), কিলিয়ান এমবাপ্পে (পিএসজি/রিয়াল মাদ্রিদ), লাউতারো মার্তিনেস (ইন্টার মিলান), আদেমোলা লুকমান (আতালান্তা), আন্টোনিও রুয়েডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ) ও আলেক্স গ্রিমালদো (বায়ের লেভারকুজেন)।
৩ মাস আগে
অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
প্রায় দুই যুগ আগে পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু করেছিলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। বয়স ৩৯ বছর হয়ে গেলেও এখনও মাঠে আলো ছড়িয়ে চলেছেন তিনি। তবে বয়স বেড়ে যাওয়ায় প্রায়ই অবসর নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় এই তারকা ফুটবলারকে। তবে এ বিষয়ে আগেভাগে কাউকে কিছু জানাবেন না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।
পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি যখন জাতীয় দল ছাড়ব, তার আগে কাউকে কিছু জানাব না। এটি আমার পক্ষ থেকে একটি সাবলীল সিদ্ধান্ত হবে।’
সদ্য অনুষ্ঠিত ইউরো আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেললেও মাঠের খেলায় গোলশূন্য ছিলেন রোনালদো। এমনকি, শেষ ষোলোয় স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি পেলেও তা মিস করেন পাঁচবারের ব্যালন দ’র জয়ী এই ফুটবলার। সবশেষ কোয়ার্টারে ফ্রান্সের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার পর তার অবসরের প্রসঙ্গটি উঠছে প্রায়ই।
তবে এসব আশঙ্কার মাঝেও জাতীয় দলের জার্সিতে ফের ডাক পেতে মরিয়া ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়।
আরও পড়ুন: রোনালদোর অর্জনের মুকুটে আরও একটি পালক
আগামী মাসে শুরু হতে চলা উয়েফা নেশন্স লিগের জন্য যে কোনো সময় স্কোয়াড ঘোষণা করতে পারেন পর্তুগাল কোচ রবের্ত মার্তিনেস। এই স্কোয়াডে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে আল নাসর ফরোয়ার্ডের বক্তব্য, ‘এই মুহূর্তে জাতীয় দলকে সহযোগিতা করার কথাই শুধু আমার মাথায় রয়েছে। আমাদের সামনে এখন নেশন্স লিগ এবং সত্যিকার অর্থেই আমি (টুর্নামেন্টে) খেলতে চাই।’
২০১৬ সালের ইউরো অভিযানে সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের দিকনির্দেশনা দিতে দেখা যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও ইউভেন্তুসের হয়ে খেলা এই তারকাকে। তার পর থেকে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর তার কোচিংয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা আলোচনা হয়েছে অনেক। তবে রোনালদো নিজে এ বিষয়ে ভাবছেনই না বলে জানালেন।
‘এই মুহূর্তে আমি মূল দল বা কোনো দলেরই কোচ হওয়ার কথা ভাবছি না। এটি আমার মাথায় কখনো আসেইনি। ভবিষ্যতে আমি নিজেকে কোচ হিসেবে দেখছি না।’
অবসরের পর ফুটবল নয়, এর বাইরে গিয়ে কিছু করবেন বলে জানালেন আন্তার্জতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
‘আমি নিজেকে ফুটবলের বাইরে অন্যকিছু করতে দেখছি, তবে ভবিষ্যতে কী হবে তা ঈশ্বরই জানেন।’
আরও পড়ুন: শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
সৌদি প্রো লিগে আজ রাত ১২টায় আল ফাইহার বিপক্ষে খেলতে নামবে রোনালদোর আল নাসর। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নেশন্স লিগে নিজেদের যাত্রা শুরু করবে পর্তুগাল। জাতীয় দলে সুযোগ পেলে ওই ম্যাচের পর ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলে সৌদি আরব ফিরবেন তিনি।
নেশন্স লিগের লিগ ‘এ’ এর গ্রুপ-১ এ পর্তুগালের অন্য প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড। অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে পোলিশদের মুখোমুখি হবে তারা।
৩ মাস আগে
ইউটিউবে যাত্রা শুরু রোনালদোর
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ফুটবল মাঠে রাজত্ব করে চলা পর্তুগিজ মহাতরকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগে থেকেই সক্রিয়। এবার ইউটিউবে নতুন যাত্রা শুরু করেছেন তিনি।
ফেসবুক, এক্স ও ইনস্টাগ্রামে আগে থেকেই সক্রিয় ছিলেন রোনালদো। এর মধ্যে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে তো অনুসারীর সংখ্যায় তার ধারেকাছেও কেউ নেই। ইউটিউবে যোগ দেওয়ার পরও দেখা গেল একই ধারা।
বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘ইউআর ক্রিস্তিয়ানো’ খোলার ঘোষণা দেন রোনালদো। এরপর থেকেই চ্যানেলটিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে তার ভক্ত-সমর্থকরা।
চ্যানেলটি খোলার প্রথম ঘণ্টাতেই ৩৯ বছর বয়সী এই মহাতারকার অনুসারীর সংখ্যা ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ইউটিউবে দ্রুততম এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার অর্জনের রেকর্ড এটি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চ্যানেলটির মোট সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২ কোটি ১৪ লাখ ছাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, ফুটবল অঙ্গনে তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিকে তিনি অতিক্রম করেছেন মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই।
আরও পড়ুন: রোনালদোর অর্জনের মুকুটে আরও একটি পালক
ইউটিউব চ্যানেল খুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোনালদো লেখেন, ‘অপেক্ষার প্রহর শেষ। অবশেষে আমার ইউটিউব চ্যানেল এসেছে।’
নিজের ট্রেডমার্ক উদযাপন সিউ…-এর ভঙ্গিতে অনুসারীদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘সাবস্ক্রাইব করে নতুন এই যাত্রায় আমার সঙ্গে থাকুন।’
উল্লেখ্য, এক্সে ১১ কোটি ২৫ লাখ, ফেসবুকে ১৭ কোটি এবং ইনস্টাগ্রামে ৬৩ কোটি ৬০ লাখ অনুসারী পাঁচবার ব্যালন দ’র জয়ী এই ফুটবলারের।
ইউরোপীয় ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে কয়েক বছর আগে সৌদি আরবে ফুটবল খেলছেন রোনালদো। সৌদি প্রো লিগের নতুন মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ রাতে আল-রাইদের বিপক্ষে মাঠে নামবে রোনালদোর আল নাসর।
আরও পড়ুন: শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
৩ মাস আগে
শেষ মুহূর্তের গোলে পর্তুগালের নাটকীয় জয়
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো-রাফায়েল লেয়াওদের একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে দিয়ে ম্যাচটি ড্রয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিল চেক প্রজাতন্ত্র। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তের গোলে পর্তুগালকে নাটকীয় জয় এনে দিলেন ফ্রান্সিসকো কনসেইসাও। খেলার ৯০তম মিনিটে বদলি হিসেবে নেমে দুই মিনিটের মধ্যেই গোল করে জয়ের নায়ক বনে গেলেন পোর্তোর ২১ বছর বয়সী এই উইঙ্গার।
মঙ্গলবার রাতে লাইপসিগের রেড বুল আরেনায় অন্যরকম এক লড়াইয়ে চেক প্রজতন্ত্রের বিপক্ষে ২-১ গোলের জিতেছে পর্তুগাল। এর ফলে জয় দিয়ে ইউরো অভিযান শুরু করলেন রোনালদোরা।
পুরো ম্যাচজুড়ে পর্তুগালের একের পর এক আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত থাকলেও এদিন ম্যাচের ৬২তম মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন চেক প্রজাতন্ত্রের লুকাশ প্রোভোদ। তবে তাদের এগিয়ে থাকাটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সাত মিনিট পরই পর্তুগালকে একটি গোল উপহার দেন চেক প্রজাতন্ত্রের ডিফেন্ডার রবিন হ্যারানাচ। এরপর ৮৭তম মিনিটে দিয়োগো জোতা একটি গোল পেলেও পর্তুগিজদের উল্লাসে বাধা দেয় ভিএআর। গোল করার আগে অফসাইডে থাকায় তাদের জয়োল্লাস থেমে যায়। তবে অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোলটি করে শেষটা রাঙিয়েই মাঠ ছাড়েন কনসেইসাওরা।
মাঠে নেমে শুরুতে দুই দলই কিছুটা অগোছালো খেলতে থাকে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের চেহারায় ফেরে পর্তুগাল। শুরু করে একের পর এক গেম ডেভেলপমেন্ট। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে তাদের। তবে রাফায়েল লেয়াওয়ের ক্রসে রোনালদো ঠিকঠাক হেড দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সে প্রচেষ্টা বিফলে যায়।
আরও পড়ুন: ইউরোয় দ্রুততম গোলের রেকর্ড
২৪তম মিনিটে ব্রুনো ফের্নান্দেসের দূরের জোরালো শট প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এর দুই মিনিট পর ফের চেক সমর্থকদের বুক কাঁপিয়ে দেয় পর্তুগাল। ব্রুনো ফের্নান্দেসের গোলমুখে বাড়ানো ক্রসটি স্লাইড করেও স্পর্শ করতে ব্যর্থ হন লেয়াও। ৩২তম মিনিটে রোনালদোকে দারুণ একটি পাস দেন ফের্নান্দেস। গোলরক্ষককে একা পেয়ে খানিকটা ছুটে গিয়ে প্রথম স্পর্শেই শট শানান রোনালদো, তবে চেক গোলরক্ষক ইন্দ্রিক স্তানেকের অসাধারণ নৈপুণ্যে সে যাত্রায়ও বেঁচে যায় তারা।
এর ফলে দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেও গোলবঞ্চিত থেকে বিরতিতে যায় পর্তুগাল। প্রথমার্ধে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করা পর্তুগালের পায়ে ৭২ শতাংশ সময় বল ছিল। এর মধ্যে তাদের ৯টি প্রচেষ্টার তিনটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত থাকা চেক প্রজাতন্ত্র গোলের কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি।
৬ মাস আগে
শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
এক যুগ আগে শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করেছিলেন ফুটবলের দুই বরপুত্র লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ক্যারিয়ারের গোধুলি লগ্নে তা থেকে অনেকটাই বের হয়ে গেছেন তারা; দুজনের পথ গেছে দুদিকে বেঁকে। তারপরও জাদুকরি ফুটবল দক্ষতায় যেসব কাজ তারা প্রতিনিয়ত করে চলেছেন, তাতে সেই পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফের টেনে আনতে বাধ্য হন ভক্ত-সমর্থকরা।
শনিবার সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠে আল ওয়েহদাকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আল নাসর। এই ম্যাচে আরও একটি হ্যাটট্রিক নিজের ঝুলিতে পুরেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।
এ নিয়ে ৭ ম্যাচে তৃতীয়বার হ্যাটট্রিক করলেন রোনালদো। আল নাসরের হয়ে সব মিলিয়ে তার হ্যাটট্রিক হলো ৬টি। গোটা ক্যারিয়ারে ৬৬টি।
অসামান্য পারফর্ম্যান্স দিয়ে যখন মরুর সন্ধ্যা আলোকিত করছেন রোনালদো, তখন অন্যপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে মায়াবী ফুটবলের প্রদর্শনী চালাচ্ছেন ফুটবলের আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো লিওনেল মেসি।
মায়াবীই বটে। টানা ছয় ম্যাচে অপরাজিত থাকা নিউ ইয়র্ক রেড বুলসকে গোলের বন্যায় ভাসিয়ে দিল ইন্টার মায়ামি। একটি মাত্র গোল করেছেন মেসি। কিন্তু তার চেয়েও বেশি কিছু তার পারফর্ম্যান্স।
রেড বুলসকে ৬-২ গোলে হারানোর ম্যাচে পাঁচটি গোলই তৈরি করে দিয়েছেন মেসি। নিজে করেছেন বাকি গোলটি। বন্ধু সুয়ারেজকে দিয়ে করিয়েছেন হ্যাটট্রিক।
এক গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করা মায়ামিকে যখন আরও একটি হার চোখ রাঙাচ্ছিল, ঠিক তখনই জ্বলে ওঠেন এ ক্ষুদে জাদুকর। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক জাদুর ছোঁয়ায় দর্শকদের মোহাচ্ছন্ন করে রাখেন তিনি। অসাধারণ সব ড্রিবলিং, ওয়ান টু ওয়ান আর বক্সে মাপা পাস বাড়িয়ে যখন সতীর্থদের দিয়ে একেকটি অনিবার্য গোল করাচ্ছিলেন, তখন মন্ত্রমুগ্ধের মতো হাততালি দিচ্ছিল প্রতিপক্ষের দর্শকরাও।
এক ম্যাচে পাঁচ অ্যাসিস্টের ঘটনা মেজর সকার লিগে এটিই প্রথম। আর সেটা যেন ফুটবলের কাছ থেকে সবকিছু পাওয়ার পর মেসির কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি ভঙ্গি মাত্র।
এ নিয়ে চলতি মৌসুমে ১১ ম্যাচে ১২ গোলের পাশাপাশি ১১টি অ্যাসিস্ট, অর্থাৎ ১১ ম্যাচে ২৩ গোলে অবদান রাখলেন মেসি।
অন্যদিকে, চলতি মৌসুমে ৫২ ম্যাচ খেলে ৫২ গোল ও ১৪টি অ্যাসিস্ট, অর্থাৎ ৬৬টি গোলে সরাসরি অবদান রোনালদোর।
ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসেও প্রদীপ্ত প্রদীপের মতো উজ্জ্বল অথচ মায়াবী আলো ছড়িয়ে চলেছেন ফুটবল ভক্তদের মাঝে আসা ঈশ্বরের দুই আশীর্বাদ।
৭ মাস আগে