সিইও
বিমানের এমডি ও সিইও হলেন ড. সাফিকুর
বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিমানের বিপণন ও বিক্রয় বিভাগের সাবেক পরিচালক ড. মো. সাফিকুর রহমান।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমান পরিচালনা পর্ষদ থেকে তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিমানের পরিকল্পনা ও ট্রেনিংয়ের দায়িত্ব পেলেন মমিনুল ইসলাম
তিনি বিমানের বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ, পরিচালক প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিকস সাপোর্ট এবং পরিচালক বিপণন ও বিক্রয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়াও তিনি ট্যারিফ, মার্কেট রিসার্স, রিজার্ভেশন ও কার্গোসহ বিভিন্ন শাখায় কাজ করেছেন। তিনি সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও গ্রিস স্টেশনে কান্ট্রি ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেছেন।
ড. মো. সাফিকুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ড থেকে মার্কেটিংয়ে এমবিএ এবং ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার সাউদার্ন ক্রস ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টার থেকে তিনি এভিয়েশন নিয়ে একাধিক ডিপ্লোমা ও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
সাফিকুর রহমান ১৯৮৬ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ট্রেইনি কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। সুদীর্ঘ পেশাগত জীবন শেষে তিনি ২০১৭ সালে অবসরে যান।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ২৪টি স্বর্ণের বারসহ দুই নারী আটক
প্রধান উপদেষ্টা বিদেশ যাওয়া-আসার সময় বিমানবন্দরে থাকবেন যারা
৩ মাস আগে
বিমানকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা এমডির
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি করে কেউ এগোতে পারে না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, হচ্ছে। দুর্নীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
রবিবার কুর্মিটোলায় বিমানের বলাকা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে কন্টিনজেন্ট সদস্যদের প্রতিস্থাপন করছে বিমান বাহিনী
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিমানে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই। এর আগে, এখানে যারা দুর্নীতি করেছে বিভিন্ন লেয়ারে, তাদের শাস্তি হয়েছে। কাউকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, কাউকে পদাবনতি করা হয়েছে, কারো বেতন কমানো হয়েছে। আমিও এই জায়গাগুলোতে কাজ করব এবং তা অব্যাহত থাকবে। আমরা টিকেটিংয়ের জায়গা ও দুর্নীতির জায়গা থেকে মুক্ত হতে চাই। ডিজিটালের পূর্ণ সুবিধা ব্যবহার করে যাত্রীদের সুবিধা দিতে চাই।’
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘টিকিট নিয়ে যাতে কোনো অভিযোগ না আসে তা নিয়ে কাজ করছি, টিকিট নেই, আবার সিট ফাঁকা এ ধরনের অভিযোগ থেকে বের হতে চাই। এ বিষয়ে পুরোপুরি ডিজিটাল সল্যুশনের পূর্ণ ব্যবহার করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘টিকিটিংয়ের সমস্যা আমি সম্পূর্ণভাবে সমাধান করতে চাই। এটি নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে; প্রশ্ন উঠলেও আমরা যেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উত্তর দিতে পারি৷ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এটা।’
এমডি বলেন, ‘থার্ড টার্মিনালে বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য প্রস্তুত। বিমান এটি গত ৫২ বছর ধরে করছে। বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ বিমানবন্দরে যারা ন্যাশনাল ক্যারিয়ার বা তাদের সিস্টার্স কনসার্ন তারাই দায়িত্ব পালন করে। সেই হিসেবে বিমান এটা দাবি করে। সেই হিসেবে আমরা আশাবাদী।’
গত বছর বিমান ১০ হাজার কোটি টাকা আয়ের মাইল ফলক স্পর্শ করেছে। এ বছরও সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, কার্গো থেকে ১২০০ কোটি আয়ের আশা করছি। গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের আইএসও সার্টিফিকেশন পেলে এটি বিশাল অর্জন হবে। বিভিন্ন বিভাগ থেকেই আমরা ভালো করছি।
আরও পড়ুন: বিমান চলাচলে সুইজারল্যান্ড- ইইউয়ের সঙ্গে বেবিচকের চুক্তি সই
বিমানের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে ২১ জন হজযাত্রী
৫ মাস আগে
রবির কলড্রপের হার দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম: সিইও
২০২২ সালের অক্টোবরে রবি আজিয়াটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাজীব শেঠি। এর আগে তিনি মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটর ওরেডুর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি এয়ারটেল আফ্রিকার প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ভোডাফোন, এইচপি, হাচিসন টেলিকম ও এশিয়ান পেইন্টসের মতো বিখ্যাত কোম্পানিগুলোতেও নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কেটিং, ফাইন্যান্স ও অপারেশনে এমবিএ করা শেঠির পরিচয় নতুন নয়। এর আগে তিনি গ্রামীণফোনের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউএনবির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে রবির প্রবৃদ্ধি, বাংলাদেশের টেলিকম খাতে তার অভিজ্ঞতা এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে কথা বলেন শেঠি।
ইউএনবি: ২০২৩ সালে রবির আয় ১৬ শতাংশ বেড়েছে। মুনাফাও বেড়েছে ৭৪ শতাংশ। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন কি?
রাজীব শেঠি: রেকর্ড গড়া জরুরি নয়। ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য প্রতি বছর নিজস্ব রাজস্ব রেকর্ড ভাঙা সাধারণ। তবে ২০২৩ সালে রবির ব্যবসা সম্প্রসারণের হার চোখে পড়ার মতো। প্রতিষ্ঠানটির ২৭ বছরের ইতিহাসে গত বছর সর্বোচ্চ রাজস্ব ও মুনাফা প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে রবির প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের অন্য সব টেলিকম কোম্পানিকে ছাড়িয়ে গেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবির প্রবৃদ্ধি ছিল অতুলনীয়।
ইউএনবি: এই সাফল্যের পেছনে কোন বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে আপনি মনে করেন?
রাজীব শেঠি: এটা নিরন্তর প্রচেষ্টার ফল। আমরা আমাদের নেটওয়ার্ক উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছি। আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, বর্তমানে ভয়েস কল ও ইন্টারনেট ব্যবহার উভয়ের জন্যই রবির উন্নত নেটওয়ার্ক রয়েছে। এটি আমাদের সাফল্যের একটি মূল কারণ। আমরা আমাদের ইন্টারনেট ও মিনিট প্যাকেজগুলো ব্যবহাকারীবান্ধব ও সহজ করেছি। আমাদের গ্রাহকদের চাহিদাগুলো পূরণ করে এমন প্যাকেজগুলো সরবরাহ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের ব্র্যান্ডিং প্রচেষ্টাও সফল হয়েছে। আমরা 'পারবে তুমিও' নামে একটি নতুন ব্র্যান্ডিং ক্যাম্পেইন চালু করেছি।
ইতিবাচক ব্যবসায়িক ফলাফল এই সমস্ত প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পরিণতি।
ইউএনবি: ১৯৯৭ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করা সত্ত্বেও রবি কেন তার প্রতিযোগীদের মতো একই পর্যায়ে মুনাফা অর্জন করতে পারছে না?
আরও পড়ুন: অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবে ইভ্যালি: সিইও রাসেল
রাজীব শেঠি: এখানে একাধিক ফ্যাক্টর কাজ করে। সংখ্যা ও গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর বিষয় এখানে জড়িত। গ্রাহক সংখ্যা যত বেশি, রাজস্ব ও মুনাফা তত বেশি। গ্রাহকের সংখ্যা বেশি হলে গ্রাহকপ্রতি পরিচালন ব্যয় কমে যায়। টেলিকম খাতের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায়, ছোট অপারেটরদের পক্ষে মুনাফা বাড়ানো চ্যালেঞ্জিং।
বিশ্বব্যাপী, এই ছোট সংস্থাগুলো রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে এ বিষয় উত্থাপন করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটা শুধু কোনো একক অপারেটরের লাভ-লোকসানের বিষয় নয়। বাজারে কোনো প্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া আধিপত্য থাকলে গ্রাহকরাই লোকসানে পড়েন।
ইউএনবি: বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টরের অভিজ্ঞতা আপনার আছে। এই খাতের নিয়মকানুন, নীতিমালা ও অন্যান্য বিধিবিধান সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
রাজীব শেঠি: এই প্রশ্ন বিভিন্ন উপায়ে করা যেতে পারে। একটি দৃষ্টিকোণ হলো, জনসংখ্যার অধিক ঘনত্বের কারণে বিনিয়োগের জন্য এই দেশের টেলিকম খাত আকর্ষণীয়, যা টেলিকম অবকাঠামো স্থাপনের জন্য সুবিধাজনক। জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ তরুণ এবং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনে তারা আগ্রহী। অনেক বাড়িতেই ব্রডব্যান্ড সংযোগ ছাড়াই টেলিকম খাতের জন্য বেশ সুযোগ করে দেওয়া হয়। তবে এই খাত অত্যন্ত উচ্চ করের বোঝায় জর্জরিত। ১০০ টাকা আয়ের বিপরীতে ৫৬ টাকা যায় সরকারের হাতে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় দ্বিগুণ। বিভিন্ন স্তরে টেলিকম পরিষেবা দেওয়ার জন্য সমন্বিত লাইসেন্সের অনুপস্থিতির কারণে কোনো সংস্থা স্বাধীনভাবে সব পরিষেবা সরবরাহ করতে পারে না এবং অবশ্যই টাওয়ার কোম্পানির উপর নির্ভর করতে হবে। এই নির্ভরশীলতা শুধু ব্যয়ই বাড়ায় না বরং পরিষেবার মানেও প্রভাব ফেলে।
ইউএনবি: বাংলাদেশে বসবাসরত একজন ভারতীয় হিসেবে আপনি দুই দেশের নেটওয়ার্কের মানের তুলনা কীভাবে করবেন?
রাজীব শেঠি: আসলে মানের উপর তুলনার নির্ভর করে। তবে এটুকু বলতে পারি, ঢাকায় আমি যে নেটওয়ার্কের যে মান অনুভব করি তা দিল্লির নেটওয়াকের মানকে ছাড়িয়ে গেছে।
ইউএনবি: বাংলাদেশে গ্রাহকদের কাছ থেকে সেবার মান নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে বাড়িতে নেটওয়ার্ক কভারেজের অভাব ও কল ড্রপ। এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?
রাজীব শেঠি: মানুষ যখন কোনো পরিষেবা নিয়ে অসন্তুষ্ট হয় তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের অভিযোগগুলো প্রকাশ করে এটি খুবই সাধারণ, যখন তারা সন্তুষ্ট থাকে এর ঠিক বিপরীত হয়। প্রতিদিন করা লাখ লাখ কল দেওয়া, ত্রুটিপূর্ণ রেডিও তরঙ্গের কারণে কয়েকটি কল ড্রপ অনিবার্য। কলড্রপের হার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় মানের চেয়ে বেশি কি না তা মূল্যায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন রবির কলড্রপের হার ০.২, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। যাইহোক, আমরা ক্রমাগত আমাদের সেবা উন্নত করার চেষ্টা করি। আমরা কক্সবাজারের উখিয়ার মতো কিছু চ্যালেঞ্জিং স্থানে টাওয়ার স্থাপনের চেষ্টা করছি, কিন্তু টাওয়ার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
ইউএনবি: ঢাকায় টাওয়ারের সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কি?
রাজীব শেঠি: অবশ্যই। আমাদের কাছে প্রায় ৬০০টি টাওয়ার স্থাপনের সরঞ্জাম রয়েছে, তবে স্থানের সীমাবদ্ধতার কারণে সেগুলো বর্তমানে আমাদের গুদামে অব্যবহৃত রয়েছে। আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও টাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছি। টাওয়ার বিনিময়ের ধারণাটি আশাব্যঞ্জক বলে মনে হচ্ছে এবং আমরা সেই সম্ভাবনা খুঁজছি।
ইউএনবি: বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়াতে কী কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে?
রাজীব শেঠি: বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ তাদের স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য, স্মার্টফোনগুলোকে আরও সাশ্রয়ী করা বা সামথ্যের মধ্যে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; বর্তমানে এ দেশে এটি বেশ ব্যয়বহুল। স্থানীয় কোম্পানিগুলো স্মার্টফোন উৎপাদন শুরু করেছে এবং কীভাবে তাদের দাম কমানো যায় সে বিষয়ে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: এজেন্ট ব্যাংকের আউটলেটে ১৪,৩০৫ কোটি টাকা জমা: ইসলামী ব্যাংকের সিইও
ইউএনবি: সরকার উচ্চগতির ৫-জি ইন্টারনেট পরিষেবা বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা করছে। পরিষেবা সরবরাহকারীরা কি প্রস্তুত এবং বাজারে কি ৫-জি’র চাহিদা রয়েছে?
রাজীব শেঠি: আমরা সার্ভিস প্রোভাইডাররা ৫জি-র জন্য তৈরি। তবে বাজারের প্রস্তুতি আলাদা বিষয়। তবে ৫-জি গড় ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে না, কারণ বর্তমান ইন্টারনেটে মুভি দেখার অভিজ্ঞতার মতোই হবে। ৫-জির আসল প্রয়োজনীয়তা শিল্প ও সেবা খাতে। এই খাতগুলোতে অটোমেশনের পরিমাণ মূল্যায়ন করা দরকার।
ইউএনবি: সম্প্রতি অ্যাক্সেনটেক ও আর-ভেঞ্চারস নামে রবির দুটি সাবসিডিয়ারি ফার্ম প্রতিষ্ঠা কারণ কী?
রাজীব শেঠি: এই সহায়ক সংস্থাগুলোর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ব্যবসায়িক সংস্থাগুলোতে ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করা। বর্তমানে, এই খাত থেকে আয় ন্যূনতম, তবে ভবিষ্যতে পরিষেবাগুলো প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং একজন নতুন সিইও নিয়োগ করা হয়েছে। এটি লক্ষণীয় যে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এরকম ব্যবসায়িক রাজস্ব উল্লেখযোগ্য বেড়েছে।
ইউএনবি: রবি কি পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত শেয়ার ইস্যু করার কথা ভাবছে?
রাজীব শেঠি: এটা পরিচালনা পর্ষদের আওতাভুক্ত। তবে আমার জানামতে আপাতত বিষয়টি বিবেচনায় আনা হচ্ছে না।
ইউএনবি: বাংলাদেশে বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা সম্পর্কে কোন কোন বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করবেন?
রাজীব শেঠি: বিনিয়োগকারীরা একটি স্থিতিশীল নীতিভিত্তিক পরিবেশ পছন্দ করে কারণ এটি কৌশলগত পরিকল্পনাকে সহজতর করে। বিনিয়োগ সম্পর্কিত সরকারি নীতিতে আকস্মিক পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। তৃতীয় পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার উপস্থিতি ব্যবসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এটি সাধারণত আদালতের মাধ্যমে করা হয়। বিনিয়োগের জন্য মৌলিক প্রয়োজন নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা। টেলিকম খাতে বিনিয়োগের জন্য যদি একটি দেশ নির্বাচন করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ হবে প্রধান পছন্দ। দেশটিতে বিনিয়োগের জন্য অসংখ্য সুবিধা রয়েছে।
ইউএনবি: দীর্ঘ সময় ধরে এখানে কাজ করার পর বাংলাদেশিদের সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?
রাজীব শেঠি: বাংলাদেশের প্রতি আমার গভীর অনুরাগ রয়েছে। এখানকার লোকেরা অবিশ্বাস্যভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং জ্ঞান অর্জন ও শেখার জন্য তাদের গভীর আগ্রহ রয়েছে। ক্রিকেটের প্রতি তাদের আবেগ প্রগাঢ়। দেশটিতে অনেক প্রতিভা রয়েছে, যা বিশ্ব এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি। আমরা ডিজিটাল সেক্টরে প্রতিভা অনুসন্ধানে কাজ করেছি এবং আমরা যে ব্যতিক্রমী তরুণ প্রতিভা পেয়েছি তা দেখে অবাক হয়েছি। তারা আমার মতো ৪০ থেকে ৫০ বয়সী নয়, এরা ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ। তাদের দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য উপযুক্ত একটি প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন।
২০২৩ সালের জন্য রবির আর্থিক তথ্য
রবির রাজস্ব আয় হয়েছে ৯৯.৪২ বিলিয়ন এবং কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৩.২১ বিলিয়ন টাকা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত কোম্পানিটির মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৩৮০ বিলিয়ন টাকা। কোম্পানিটির গ্রাহক সংখ্যা ৫৫.৭ মিলিয়ন। এটি ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়, যার শেয়ার বাজার মূল্য ৩১.২০ টাকা এবং এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়।
রবির সংক্ষিপ্ত বিবরণ
রবিতে মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের ৬১ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ভারতের ভারতী এয়ারটেলের হাতে রয়েছে ২৮ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার, বাকি ১০ শতাংশ বাংলাদেশের সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের হাতে। ১৯৯৭ সালে টেলিকম মালয়েশিয়া এবং এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি অব বাংলাদেশ একটেল ব্র্যান্ড নামে যৌথভাবে এই কোম্পানি চালু করে। ২০০৮ সালে এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি তাদের শেয়ার বিক্রি করে দেয়। ২০১০ সালে কোম্পানিটির নাম একটেল থেকে রবিতে পরিবর্তন করে পুনরায় ব্র্যান্ডিং করা হয়।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
৯ মাস আগে
আমি বিপিএলের সিইও হলে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে সময় লাগত ১-২ মাস: সাকিব
শুক্রবার ঢাকায় নবম আসর শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ব্যবস্থাপনা নিয়ে যখন নীরবতা, তখন সাকিব আল হাসান গভর্নিং কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি বিপিএল -এর সিইও হলে সব সমস্যার সমাধান করতে পারতেন।
এবারের বিপিএলে মোট সাতটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। প্রতিটি দল প্রতি ম্যাচে সর্বোচ্চ চারজন বিদেশি খেলোয়াড় মাঠে নামাতে পারবেন। যাইহোক, দলগুলো তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে অনিশ্চিত, কারণ বেশিরভাগ বিদেশি খেলোয়াড় টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে আসছে না। কিছু কিছু ম্যাচের পরে যোগদান করে তারা। আবার কেউ কয়েকটি ম্যাচ খেলার পরে চলে যায় এবং কেউ কেউ মাঝখানে ফিরে আসে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানকে হারাতে পারলে তা হবে ‘অঘটন’: সাকিব
সাকিব বলেন, দুর্বল ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণেই এই গন্ডগোল হচ্ছে।
’ সাকিব সিইও হলে তিনি কী করতেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘যদি আমাকে সিইও’র ভূমিকা দেয়া হয়, আমি আত্মবিশ্বাসী যে পরিবর্তন করতে পারব। আমি আশা করি যে সবকিছু ঠিক করতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়ন করতে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই মাস সময় লাগবে।
সাকিব সম্প্রতি একটি বৈশ্বিক তেল কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন এবং তিনি এই কোম্পানির একদিনের সিইও ছিলেন। আজ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বিপিএল ম্যানেজমেন্টকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাকিব, ‘নিজেই একটা পরিস্থিতি’। ‘এটি আমাদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকে (ডিপিএল) বিপিএলের চেয়ে ভালো করে তোলে কারণ ডিপিএলের দলগুলো লিগের কয়েক মাস আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে।’
বিপিএলের শুরু থেকেই ডিআরএস প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হচ্ছে বিসিবি। তবে বোর্ড জানিয়েছে যে টুর্নামেন্টের প্লে-অফ পর্বের জন্য ডিআরএস পাওয়া যাবে।
৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এটি অনিশ্চিত রয়ে গেছে যে বাংলাদেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্রিকেট ইভেন্টটিকে সম্প্রচার করবে এবং বিসিবি সম্প্রচার স্বত্ব থেকে কী আয় করতে সক্ষম হবে।
সাকিব বিশ্বাস করেন যে বিসিবি পর্যাপ্তভাবে বিপিএল বাজারজাত করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা তিনি বোর্ডের একটি বড় ত্রুটি বলে মনে করেন।
সাকিব বলেন, ‘যখন কোনো খেলোয়াড় বিগ ব্যাশ, পিএসএল বা সিপিএলে ভালো পারফর্ম করে, তখন তারা জাতীয় দলে যোগ দেয়ার সুযোগ পায়। তবে, বিপিএল একই স্তরের মর্যাদা অর্জন করেনি, যা হতাশাজনক।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম ভারত ওয়ানডে: সাকিবের স্পিন দক্ষতায় ১৮৬ রানে অল-আউট ভারত
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের ম্যাচে সাকিবের এলবিডব্লিউ কি আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল?
১ বছর আগে
এমজিএইচ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধভাবে ১৩৬ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমজিএইচ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিস আহমেদ গোর্কির বিরুদ্ধে বুধবার মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুদক সচিব মাহবুব হোসেন।
উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আনিসের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে জানান তিনি।
দুদক সচিব মাহবুব বলেন, মানি লন্ডারিংসহ শত শত কোটি টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আনিস আহমেদের নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দিতে কমিশন আদেশ জারি করেছে।
আরও পড়ুন: কাউন্সিলর মতি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র
তার দায়ের করা সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আসামি আনিস আহমেদ কর বছরে সাল ২০২০-২১, ২০০৮-২০০৯ থেকে ২০২১-২০২২ পর্যন্ত আয়ের বিভিন্ন উৎস থেকে ১৩৬ কোটি তিন লাখ টাকার আয়ের তথ্য দিয়েছেন।
সম্পদের বিবরণী যাচাইয়ের সময় অভিযুক্তকে একজন নিয়মিত আয়করদাতা হিসেবে পাওয়া গেছে কিন্তু আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ধারা ১৯ এএএএএ-তে উল্লিখিত মোট আয় পরিমাণকে ২০২০-২১ কর বছরের আয়কর রিটার্নে বিনিয়োগ হিসাবে দেখানো হয়েছে।
দুদক জানায়, অভিযুক্ত আনিস আহমেদ ঘোষিত অর্থ বিনিয়োগ হিসেবে দেখানোর পক্ষে কোনো সন্তোষজনক রেকর্ড দেখাতে পারেননি।
কমিশনও বলেছে, আনিস অসৎ উদ্দেশ্যে অসৎ উপায়ে অর্জিত এই অর্থের অবৈধ সম্পদকে বৈধতা দিতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন:আমীর খসরুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
তদন্তকালে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত স্বার্থে আর্থিক ফায়দা হাসিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের চলমান তদন্তে অভিযুক্ত হওয়া এড়াতে তিনি ওই অর্থ বিনিয়োগ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে কমিশন দেখতে পায়।
অর্থ আইন-২০২০ (সংশোধিত ২০২১) আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ১৯ এএএএএ অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল করার তারিখ বা তার আগে বা সংশোধিত রিটার্ন আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর অধীন কর ফাঁকির জন্য যে কোন কার্যধারা বা যেকোনও অধীন কোন আর্থিক কার্যক্রম অন্যান্য আইনে প্রতিষ্ঠিত হয়। তাহলে এই বিভাগটি আর কাজ করবে না।
কমিশনের কর্মকর্তা বলেছিলেন, যেহেতু কমিশন তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তদন্ত এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছিল, তাই তার পরে এই আইনী সুবিধা পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
১ বছর আগে
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানার মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এর মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হলো।
আরও পড়ুন: ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন পণ্য বিক্রিতে যেতে পারে ইভ্যালি
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মেহেদী হাসানের আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিন কারাগারে আটক আসামি রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়।
তবে জামিনে থাকা আসামি শামীমা নাসরিন উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন।
আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে আসামি রাসেলের উপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
তিন লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশান থানায় আরিফ বাকের নামে এক গ্রাহক প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২৯ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ইভ্যালি‘র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু: ২৮ অক্টোবর ‘ধন্যবাদ উৎসব’
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে ইভ্যালির সাবেক সিইও ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স ভিক্তিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করা হয়েছে।নগরীর চকবাজার থানার ডিসি রোডের ব্যবসায়ী চৌধুরী নাঈম সরোয়ার বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পণ্য ক্রয়ে লোভনীয় অফারে প্রতারিত হয়ে এবং চেক ডিজঅনারের অভিযোগে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।মামলার এজাহারে অভিযোগ আনা হয়, চৌধুরী নাঈম সরোয়ার ইভ্যালির বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার মোটরসাইকেল অর্ডার দেন। কিন্তু দীর্ঘসময়ে তার কাছে কোনো মোটরসাইকেল সরবরাহ করা হয়নি। পরে ইভ্যালির অফিস থেকে একটি চেক দেয়া হয়। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে প্রত্যাখ্যাত হয়।বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে চেক প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মো. ফারুক বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে চেক প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রামের আরেক ব্যবসায়ী একই আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিলেন।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়ে ইভ্যালি। এত অল্প সময়ে বিপুল টাকা কোথায় গেল, তার হদিস এখনও মেলেনি। ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্বজনসহ ইভ্যালির রাসেলের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
২ বছর আগে
ইভ্যালির সিইও রাসেলের জামিন মঞ্জুর
চেক প্রতারণার ৯টি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে রাসেলের বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা থাকায় তিনি এখনই জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন না।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে তার আইনজীবী আহসান হাবিব জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
গত ৬ এপ্রিল ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের ছয় মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি চেয়ারম্যান কারামুক্ত
ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত বাদীর সঙ্গে আপস মীমাংসা শর্তে বিভিন্ন সময়ে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালি এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব।
অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৬ এপ্রিল বিকাল পৌনে ৬টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান শামীমা নাসরিন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি: রাসেল-শামীমার শেয়ারের ৫০ শতাংশ হস্তান্তরে হাইকোর্টের অনুমতি
ইভ্যালির ৭ গাড়ি নিলামে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকায় বিক্রি
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দেশের বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোছাম্মৎ শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার দুপুর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন মো. ফারুক নামে এক ব্যবসায়ী। অভিযোগের বিষয়ে বাদী মো. ফারুক বলেন,ইভ্যালির বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে আমি সাত লাখ ৩০ হাজার টাকার পণ্যের অর্ডার দিই। কিন্তু দীর্ঘসময়ে আমার কাছে কোনও পণ্য সরবরাহ করা হয়নি। পরে ইভ্যালির অফিস থেকে চেক দেয়া হয়। সে চেক ব্যাংকে ডিজঅনার হয়।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
বাদী পক্ষের আহনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সালেহ উদ্দীন বলেন,চেক প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী তথা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা। তাদের একাধিকবার রিমান্ডেও নেয়া হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: ফের রিমান্ডে ইভ্যালির সিইও
ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
৩ বছর আগে
ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাব সদর দপ্তর সূত্র জানায়, এলিট ফোর্সের সদস্যরা বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মোহাম্মদপুরের ওই বাসায় অভিযান শুরু করে। বিকাল ৫টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইভ্যালির চেয়ারম্যান পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
ইভ্যালি মালিকরা কয়েকশ’ কোটি টাকা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একজন ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর এই গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়।
বুধবার রাতে আরিফ বাকের নামে ওই ভুক্তভোগী এই দম্পতিকে অভিযুক্ত করে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) অহিদুল ইসলাম বলেন, টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আকাশ ও ইভ্যালির মধ্যে চুক্তি
ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্টে (এফআইআর) আরিফ বেকার উল্লেখ করেছেন, তিনি এই বছরের ২৯ মে থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত ইভ্যালির কাছে অনলাইনে তিন লাখ ১০ হাজার টাকার পণ্য অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সময়মতো অর্ডার করা পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়।
এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অপরাধ তদন্ত শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ২৭ আগস্ট চিঠির মাধ্যমে সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ইভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের পরিচালিত সমস্ত ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির আর্থিক লেনদেন, ই বাণিজ্য তদন্ত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইভ্যালি তার গ্রাহকদের একটি পণ্যের অগ্রিম অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে ১০০ বা ১৫০ শতাংশের মতো অস্বাভাবিক ক্যাশব্যাক অফার করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
ই-কমার্স ব্যবসায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো প্রতিষ্ঠানই পণ্য কেনার বিপরীতে শতভাগ বা তার বেশি ক্যাশব্যাক দিতে পারে না।
অভিযোগ করা হয়েছিল, যখন একজন গ্রাহক একটি পণ্য কিনতে টাকা জমা দেন, তখন ইভ্যালি পণ্যটি সরবরাহ করতে খুব বেশি সময় নিয়েছিল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা অধিদপ্তরও ভোক্তাদের কাছ থেকে ইভ্যালির বিরুদ্ধে ‘প্রতারণা’র অভিযোগ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির অধ্যাপক মোর্শেদ হাসানকে অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানের ই-ওয়ালেটে ভোক্তাদের টাকা জমা দিতে বাধ্য করা, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
৩ বছর আগে