শুক্রবার ঢাকায় নবম আসর শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ব্যবস্থাপনা নিয়ে যখন নীরবতা, তখন সাকিব আল হাসান গভর্নিং কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি বিপিএল -এর সিইও হলে সব সমস্যার সমাধান করতে পারতেন।
এবারের বিপিএলে মোট সাতটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। প্রতিটি দল প্রতি ম্যাচে সর্বোচ্চ চারজন বিদেশি খেলোয়াড় মাঠে নামাতে পারবেন। যাইহোক, দলগুলো তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে অনিশ্চিত, কারণ বেশিরভাগ বিদেশি খেলোয়াড় টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে আসছে না। কিছু কিছু ম্যাচের পরে যোগদান করে তারা। আবার কেউ কয়েকটি ম্যাচ খেলার পরে চলে যায় এবং কেউ কেউ মাঝখানে ফিরে আসে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানকে হারাতে পারলে তা হবে ‘অঘটন’: সাকিব
সাকিব বলেন, দুর্বল ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণেই এই গন্ডগোল হচ্ছে।
’ সাকিব সিইও হলে তিনি কী করতেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘যদি আমাকে সিইও’র ভূমিকা দেয়া হয়, আমি আত্মবিশ্বাসী যে পরিবর্তন করতে পারব। আমি আশা করি যে সবকিছু ঠিক করতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়ন করতে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই মাস সময় লাগবে।
সাকিব সম্প্রতি একটি বৈশ্বিক তেল কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন এবং তিনি এই কোম্পানির একদিনের সিইও ছিলেন। আজ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বিপিএল ম্যানেজমেন্টকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাকিব, ‘নিজেই একটা পরিস্থিতি’। ‘এটি আমাদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকে (ডিপিএল) বিপিএলের চেয়ে ভালো করে তোলে কারণ ডিপিএলের দলগুলো লিগের কয়েক মাস আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে।’
বিপিএলের শুরু থেকেই ডিআরএস প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হচ্ছে বিসিবি। তবে বোর্ড জানিয়েছে যে টুর্নামেন্টের প্লে-অফ পর্বের জন্য ডিআরএস পাওয়া যাবে।
৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এটি অনিশ্চিত রয়ে গেছে যে বাংলাদেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্রিকেট ইভেন্টটিকে সম্প্রচার করবে এবং বিসিবি সম্প্রচার স্বত্ব থেকে কী আয় করতে সক্ষম হবে।
সাকিব বিশ্বাস করেন যে বিসিবি পর্যাপ্তভাবে বিপিএল বাজারজাত করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা তিনি বোর্ডের একটি বড় ত্রুটি বলে মনে করেন।
সাকিব বলেন, ‘যখন কোনো খেলোয়াড় বিগ ব্যাশ, পিএসএল বা সিপিএলে ভালো পারফর্ম করে, তখন তারা জাতীয় দলে যোগ দেয়ার সুযোগ পায়। তবে, বিপিএল একই স্তরের মর্যাদা অর্জন করেনি, যা হতাশাজনক।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম ভারত ওয়ানডে: সাকিবের স্পিন দক্ষতায় ১৮৬ রানে অল-আউট ভারত