তল্লাশি
কুষ্টিয়ায় মোড়ে মোড়ে তল্লাশি, আটক ১৬
কুষ্টিয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তল্লাশিতে আটক হয়েছেন ১৬ জন। তাদের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।
বুধবার বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত শহরের মোড়ে মোড়ে তল্লাশি করে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ১৮১ ভরি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
এছাড়া মোল্লা তেঘরিয়া মোড়, চৌড়হাস মোড়, মজমপুর রেলগেট, সাদ্দাম বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের গাড়ির টহল দিতে দেখা যায়।
বুধবার ৪টার দিকে চৌড়হাস মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পুলিশ রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও ব্যাগ তল্লাশি করছে। সন্দেহ হলে তাদের আটক করে গাড়িতে করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া কালেক্টরেট চত্বরের সামনে সিএনজি থেকে পাঁচজন একসঙ্গে নামলে পুলিশ তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যাগ ছিল। পরে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়। তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সন্দেহজনক ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। কোনো ছাত্রকে আটক করা হবে না। তবে কোনো দুষ্কৃতিকারীর তথ্য প্রমাণ পেলে তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি থেকে ২৩ শিক্ষার্থী আটক
বরিশালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১৫, আটক ১০
৪ মাস আগে
নৌকাডুবিতে নিখোঁজ অভিবাসীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ইতালির কোস্টগার্ড
চলতি সপ্তাহে ক্যালাব্রিয়ান উপকূল থেকে ১৯৫ কিলোমিটার (১২০ মাইল) দূরে বিপজ্জনক মধ্য ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকাডুবিতে নিখোঁজ কয়েক ডজন অভিবাসন প্রত্যাশীর সন্ধানে সমুদ্র পথে ইতালির কোস্টগার্ড অনুসন্ধান চালানোর পর বৃহিস্পতিবার থেকে আকাশ থেকেও অনুসন্ধান শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
অনুসন্ধান অভিযানের কমান্ডার বলেছেন, আংশিক ডুবে যাওয়া নৌকাটি এখনও দৃশ্যমান, তবে সেখানে কোনও মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে না।
সোমবার নৌকাডুবির পর একটি মাছ ধরার নৌকা সেখান থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করেছিল। যদিও উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে একজন পরে মারা যান। এছাড়া ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা বলছেন, আরও ৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
বেঁচে যাওয়া আরোহীদের বরাতে ইউএন শরণার্থী সংস্থা এবং জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা বলছে, ইরান, সিরিয়া ও ইরাকের প্রায় ৭৫ জন আরোহী নিয়ে তুরস্ক থেকে রওনা হওয়ার আট দিন পর নৌকার মোটরটিতে আগুন ধরে যাওয়ায় এটি ইতালির উপকূলে ডুবে যায়। এদের মধ্যে ২০ জনেরও বেশি শিশু রয়েছে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারের এক মুখপাত্র বলেন, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা মানসিক ও শারীরিক উভয় ধরনের আঘাতের শিকার হয়েছেন এবং 'খুবই বিভ্রান্ত' রয়েছেন।
গোষ্ঠীটির মানবিক বিষয়ক দায়িত্বে থাকা সিসিলিয়া মোমি বলেছেন, ‘তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ... এবং এখনও জানি না তাদের পরিবারের মধ্যে কে বেঁচে আছেন এবং কে সমুদ্রে মারা গেছেন।’
আরও পড়ুন: তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ আজ দুপুরে ঢাকায় পৌঁছাবে
তিনি বলেন, ‘অনেকের পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। কেউ হারিয়েছেন স্ত্রীকে, কেউ হারিয়েছেন সন্তানকে, আবার হারিয়েছেন স্বামীকে, বন্ধুকে এবং ভাতিজাকে।’
সোমবার আরেকটি ঘটনায় দাতব্য উদ্ধারকারী জাহাজ নাদির সিরিয়া, মিশর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা ৫১ জনকে উদ্ধার করে ল্যাম্পেদুসা বন্দরে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার শিকার ওই পাচারকারী নৌকার নিচের ডেক থেকে আরও ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যারা সেখানে শ্বাসরোধে মারা যান।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এই মৃত্যুর ফলে ৮০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে চলতি বছরে মধ্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় তারা মারা গেছেন। সেই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন মারা গেছেন।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস বলেছে, এই ঘটনাগুলো ‘অভিবাসন এবং আশ্রয়ের ক্ষেত্রে ইউরোপের ব্যর্থ দৃষ্টিভঙ্গির আরেকটি প্রমাণ। যা মানবিক অভ্যর্থনার চেয়ে বাধাদান এবং প্রতিরোধকে অগ্রাধিকার দেয়।’
আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরে দুটি নৌকাডুবিতে ১১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৬৪
৬ মাস আগে
ঢাকার প্রবেশপথে ব্যাপক তল্লাশি, অর্ধশতাধিক আটক
কেরাণীগঞ্জের কদমতলীর বাবু বাজার সেতু ও হাসনাবাদের পোস্তগোলা ব্রিজ চেকপয়েন্ট থেকে ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব-১০ ও পুলিশের সদস্যরা শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে।
এসব পয়েন্টে যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশি করছেন র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা।
কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহাবুদ্দিন কবির বলেন, ‘অভিযানে অবৈধ কার্যকলাপের সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। তাদের বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করা হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় ৩২ জনকে এবং দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ও বিএনপির সমাবেশ: ৩টি গাড়ি ভাঙচুর
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন যানবাহনে দীর্ঘ তল্লাশি চালানোয় এসব এলাকার যাত্রীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীতে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। নৌকা চলাচল ব্যাহত হওয়ায় মিটফোর্ড হাসপাতালের অসংখ্য রোগী এবং অফিসগামীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এদিকে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে হাসানাবাদ ও কদমতলী এলাকায় 'শান্তি সমাবেশ' করছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশে সম্ভাব্য সহিংসতা রোধে ঢাকায় হাজার হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলছে
শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে জড়ো হচ্ছেন আ. লীগের নেতা-কর্মীরা
১ বছর আগে
বাবার হত্যাকারী সেই ছেলে গ্রেপ্তার, মাথার খোঁজে তল্লাশি
চট্টগ্রামে বাবা হাসান আলীকে হত্যার পর লাশ কেটে টুকরো করার মামলায় ছেলে শফিকুর রহমান জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকার হাজারিবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগীর কাটা মাথা উদ্ধারে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন পিবিআই কর্মকর্তারা। এর আগে ১ ও ২ অক্টোবর জাহাঙ্গীরের স্ত্রী আনারকলিকে নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। তবে আনারকলির দেখানো মতে সাগর পাড়ে বড় বড় পাথরের ফাঁকে তন্নতন্ন করেও ভুক্তভোগীর কাটা মাথার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ ৯৫ হাজার টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম নগর ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান জানান, হাসান আলী হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত তার ছেলে শফিকুর রহমান জাহাঙ্গীরকে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকার হাজারিবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাসান আলীর কাটা মাথা উদ্ধারে পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, শফিকুর রহমান জাহাঙ্গীরের বাসায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর হাসানের লাশ খণ্ড খণ্ড করে আনারকলির লাগেজে করে ফেলে দেওয়া হয়। আরেকটি থলেতে ভরে কাটা মাথা ফেলে দেওয়া হয়। এছাড়া শরীরের কিছু অংশ আকমল আলী রোডের একটি খালে ফেলে দেওয়া হয়।
এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর পতেঙ্গা বোট ক্লাবের অদূরে ১২ নম্বর গেইটে একটি ট্রলিব্যাগ পাওয়া যায়। কফি রঙের ট্রলিব্যাগে ছিল মানব শরীরের দুই হাত, দুই পা, কনুই থেকে কাঁধ ও হাঁটু থেকে উরু পর্যন্ত অংশ। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে হাসান আলীর লাশের আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করে পিবিআই। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকায় একটি বস্তা থেকে তার শরীরের অবশিষ্ট অংশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম, আরেক ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও শফিকুর রহমান জাহাঙ্গীরের স্ত্রী আনারকলিকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
পিবিআই এর জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, মো. হাসান দীর্ঘ ২৭ বছর আলাদা ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্ত্রী-সন্তানের কাছে ফিরে আসেন। তবে এর আগে হাসানকে মৃত উল্লেখ করে সন্তান মোস্তাফিজুর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে। তিনি ফিরে আসায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এর জের ধরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে আকমল আলী সড়কের জমির ভিলার ৭ নম্বর বাসায় তাকে হত্যা করে। এরপর লাশ কেটে টুকরা করে লাগেজ ও বস্তায় ভরে পতেঙ্গা ও আকমল আলী রোডের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুত্রবধুকে নিয়ে হাসানের মাথার খোঁজে পিবিআই
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: ফখরুল
১ বছর আগে
মোদির তথ্যচিত্র প্রকাশের পর বিবিসির দিল্লি অফিসে তল্লাশি
নয়া দিল্লিতে বিবিসি’র কার্যালয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতের আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয় বলে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে(এপি) জানিয়েছে বিবিসি’র তিনজন সম্প্রচারকর্মী।
২০০২ সালে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা মূল্যায়ন করে এমন একটি বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রকাশ করার কয়েক সপ্তাহ পরে তল্লাশি অভিযানটি চালানো হলো।
নাম পরিচয় গোপন রেখে কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে, ট্যাক্স বিভাগের আভিযানিক দলগুলো বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বাই অফিসে অনুসন্ধান চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
ভারত গত মাসে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ দুই-অংশের ডকুমেন্টারি নিষিদ্ধ করেছে এবং কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠান প্রদর্শন বন্ধ করতে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে এর ক্লিপগুলোকে সীমাবদ্ধ করতে একটি পদক্ষেপ নেয়। সমালোচক এবং রাজনৈতিক বিরোধীরা এই পদক্ষেপকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডকুমেন্টারিটিতে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব থাকার কথা উল্লেখ করে ‘অসম্মানিত আখ্যানকে বিশেষভাবে তুলে ধরার জন্য ডিজাইন করা একটি প্রোপাগান্ডার অংশ’ বলে অভিহিত করেছে।
বিবিসি এক বিবৃতিতে বলেছে যে ডকুমেন্টারিটি নিয়ে ‘কঠোরভাবে গবেষণা করা হয়েছে’ এবং এতে বিভিন্ন কণ্ঠ ও মতামত জড়িত।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ভারত সরকারকে সিরিজে উত্থাপিত বিষয়গুলোর উত্তর দেয়ার অধিকারের প্রস্তাব দিয়েছিলাম- এতে তারা প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করেছে।’
আরও পড়ুন: দিল্লির দাঙ্গায় পুড়িয়ে দেয়া মসজিদে জুমার নামাজ আদায়
আরও পড়ুন: বাংলাসহ ১০ ভাষায় রেডিও সম্প্রচার বন্ধ করছে বিবিসি
১ বছর আগে
ট্রেনে তল্লাশি নিয়ে বিজিবি-রেল পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ৩
ট্রেন তল্লাশিকে কেন্দ্র করে বেনাপোলে বিজিবি ও রেল পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন রেল পুলিশ আহত হয়েছেন।
রবিবার বিকালে ভারত থেকে আসা যাত্রীবাহী বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেনাপোল স্টেশনে এসে পৌঁছানোর পর বিজিবি সদস্যরা তল্লাশি করতে গেলে মমিন হোসেন নামে এক রেল পুলিশের সাথে ছবি তোলা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হলে রেল পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়।
আহত রেল পুলিশের সদস্যরা হচ্ছেন-মো. সেতাফুর রহমান, মো. ইনতাজুল হক এবং মো. মমিন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রাক-পিকআপভ্যানের সংঘর্ষে চালক নিহত
বেনাপোল রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, কাস্টমস কর্মকর্তা ছাড়া ট্রেনে যাত্রীর ব্যাগেজ তল্লাশি করা যাবে না রেল পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের কথা বলার পর বিজিবি সদস্যরা মারমুখী আচরণ করে।
পরবর্তীতে বিজিবির ২০-২২ জনের একটি টিম এসে রেল পুলিশের (আরএসবি) মো. মমিনকে তাদের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায় বিজিবি ক্যাম্পে।
রেল পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় অন্যান্য রেল পুলিশ সদস্যরা বাধা প্রদান করলে বিজিবি তাদের ওপর হামলা চালায়। আহতদের মধ্যে মো. সেতাফুর রহমান ও মো. ইনতাজুল হককে আহত অবস্থায় নাভারন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ভটভটি-অটোভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১
৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাহেদ মো. মিনহাজ সিদ্দিকী জানান, সামান্য ঘটনায় উভয়ের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিয়য়টি দ্রুত মীমাংসা হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: রংপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা
২ বছর আগে
ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর চবির হলে তল্লাশি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর দুটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এসময় কিছু উদ্ধার বা কাউকে আটক করা হয়নি।সোমবার রাত ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে এ তল্লাশি চালায়।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাতে আমরা দুটি হলে তল্লাশি চালিয়েছি। হলে বহিরাগত বা অবৈধ কেউ থাকছে কি না বা অস্ত্র রেখেছে কি না, তা সন্ধানে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত
প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় দুই হলে একসঙ্গে তল্লাশি চালানো হয় বলে তিনি জানান।
এর আগে ল সোমবার দুপুরে বিবাদমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ ছাত্রলীগের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাঙামাটিতে ৩২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ
চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ
২ বছর আগে
পদ্মা সেতুর চীনা প্রকৌশলী নিখোঁজ, তল্লাশি চলছে নদীতে
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের কাছে মাঝ নদীতে বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণ কাজ করার সময় চীনা প্রকৌশলী মিস্টার জো (২৫) নিখোঁজ হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টা থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতু ঘিরে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের
সহকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা এই প্রকৌশলী কোনও ভাবে উত্তাল পদ্মায় পড়ে তলিয়ে গেছেন। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া তিন নম্বর ফেরিঘাট বরাবর মাঝ নদীতে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আওতায় জাতীয় গ্রীডের বৈদ্যুতিক টাওয়ার (টি-১৩) নির্মাণ কজে এই প্রকৌশলী কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুসহ চার মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন আগামী বছরের জুনের মধ্যে: মন্ত্রী
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, নিখোঁজ প্রকৌশলীর শিফট চলছিল। টাওয়ারের বিশাল জায়গায় শেড তৈরি করেই কর্মকর্তারা সেখানে থাকতেন। এখান থেকেই কাজে অংশ নিতেন তারা। জরুরি প্রয়োজনে বোটে করে তীরে আসতেন। জো’কে সহকর্মীরা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বিষয়টি অবহিত হয়ে সব দিকে খোঁজাখুঁজির পর দায়িত্বশীলরা এ ব্যাপারে বিষয়টি রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পুলিশকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নিয়ে বিরূপ মন্তব্যকারীরা আশাহত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
কোস্টগার্ড মাওয়া স্টেশন ও মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চালাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসও তলব করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
সিলেটে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সিলেটসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন।
আট দিনের লকডাউনের প্রথম দিন বুধবার ভোর থেকে সিলেট নগরীর সকল প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চৌকি বসিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল দিচ্ছে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ফলে নগরীর রাস্তাঘাট যানবাহন ও জনশূণ্য রয়েছে। ওষুধের দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের দোকানপাট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সকালে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অতি প্রয়োজনে যারা মোটরসাইকেল, রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশায় বের হচ্ছেন তারা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ছেন। ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছে পুলিশ। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হয়েছেন মনে করলে পুলিশ যানবাহন থেকে নামিয়ে দিচ্ছে যাত্রীদেরকে। সংশ্লিষ্ট যানবাহনের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, পাঠানটুলা, জিন্দাবাজার, শিবগঞ্জ, টিলাগড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বল্প সংখ্যক মোটর সাইকেল চলাচল করছে। বেশিরভাগ মোটর সাইকেল লকডাউনের আওতামুক্ত জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কর্মীদের। এছাড়া অনলাইনে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিয়েও কেউ কেউ মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছেন।
লকডাউনের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও ফার্মেসি ছাড়া বাকি সব ধরণের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও ফার্মেসিতেও ক্রেতাদের ভিড় নেই।
এ সময় মাঠে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, করোনা থেকে সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। সাধারণ মানুষ যাতে লকডাউনে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হয় সে ব্যাপারে কঠোর ভাবে সতর্ক রয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু; প্রজ্ঞাপন জারি
তারা জানান, সিলেট নগরীতে জরুরি সেবার আওতাভুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করছে না। সাধারণ মানুষজনও রাস্তায় নেই। আন্তজেলা সড়ক-মহাসড়কেও কোনো যানবাহন চলছে না। লকডাউন অমান্য করে এখন পর্যন্ত কাউকে বাসার বাইরে বের হতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ৮টি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলবে: রেলপথ মন্ত্রী
এদিকে, শহরের বাইরে বিভিন্ন উপজেলাতেও কঠোরভাবে লকডাউন মানছে সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: লকডাউন: স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ
৩ বছর আগে
ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে তদন্ত, চিকিৎসকের কার্যালয়ে তল্লাশি
ডিয়েগো ম্যারাডোনার এক চিকিৎসকের বাসা ও কার্যালয়ে রবিবার তল্লাশি চালিয়েছে আর্জেন্টিনার পুলিশ।
৪ বছর আগে