কূপ
সিলেটের হরিপুর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো আরও ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
৩০ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ৭ নম্বর গ্যাসকূপ। তারপর চলতি বছর এই কূপে পুনর্খনন করে নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার পর এবার জাতীয় গ্রিড লাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে সঞ্চালন শুরু হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৩টায় জাতীয় সঞ্চালন লাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত করা হয় এই কূপ। এর ফলে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, জাতীয় গ্রিডে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে আসছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড। এবার আরও ৮ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়লো।
আরও পড়ুন: ভোলায় আরও ১৯টি গ্যাসকূপ খনন করা হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ১৯৮৬ সালে এই কূপ খনন করা হয়। ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০০ মিটার গভীরে তেল পাওয়া যায়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেল উৎপন্ন করা হয়। এরপর ২০০৪ সালে ওয়ার্ক ওভার করে ১৯০০ মিটার গভীরে গ্যাস মেলে। গত জুন মাসে এটি বন্ধ হয়ে যায়। জুলাইয়ে ফের ওয়ার্ক ওভারে গেলে ১২০০ মিটার গভীরে ৯০ থেকে ৯৫ বিলিয়ন কিউসেক ঘনফুট গ্যাসের মজুদ পাওয়া যায়। এ গ্যাস আগামী ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত উত্তোলন করা যাবে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের এমডি আরও বলেন, সিলেট-৭ নম্বর কূপ পেট্রোবাংলার ১৫তম গ্যাসক্ষেত্র। কূপ থেকে দৈনিক ৫০ কোটি টাকার গ্যাস ও ৪ লাখ টাকার কনডেনসেট উত্তোলন করা হবে।
গত ২২ অক্টোবর সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর তেলের পুরনো কূপ (সিলেট-৭ নম্বর কূপ) সংস্কার করতে গিয়ে দুই স্তরে নতুন গ্যাসের স্তরের সন্ধান মেলে। দুই দফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এক হাজার ২০০০ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, পুরনো গ্যাস কূপে জুলাই মাস থেকে অনুসন্ধান চলে। গত ১৪ অক্টোবর কূপের ২০১০ মিটার গভীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মেলে।
এরপর ২২ অক্টোবর ওই কূপের ১২০০ মিটার গভীরে আরও সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মেলে। এই টেস্ট হিসেবে এক সপ্তাহ গ্যাস উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে ওই কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এখান থেকে প্রতিদিন সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য মতে, ১৯৮৬ সালে জৈন্তাপুরের হরিপুর সিলেট-৭ নম্বর কূপে তেল উত্তোলন শুরু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেল উত্তোলন করা হয়। এরপর তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেলে ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়। এবার পুরনো কূপে দুটি লেয়ারে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। সিলেট থেকে এ পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়ে আসছিল। এখন সেটি আরও বাড়ছে।
উল্লেখ্য, এরইমধ্যে সিলেটে ১৪টি কূপে খনন ও গ্যাস উত্তোলন করে দেশীয় তেল গ্যাস উৎপাদনকারী কোম্পানি বাপেক্স। এরমধ্যে জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে দুটি কূপে, গোলাপগঞ্জের কৈলাসটিলার তিনটিতে, রশিদপুরে সাতটি, বিয়ানীবাজারের দুটি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু করার কথা ভাবছে সরকার
২ সপ্তাহ আগে
কৈলাশটিলার ৮ নম্বর কূপের খনন কাজ সম্পন্ন
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কৈলাশটিলার ৮ নম্বর কূপের খনন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে খনন কাজ করেছে বাপেক্স। এছাড়া কূপটি থেকে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের মালিকানায় রয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড (এসজিএফসিএল)।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, গ্যাস উত্তোলন পাইপ নির্মাণ শেষ। আগামী ৩ মাসের মধ্যে কূপটি থেকে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
এসজিএফসিএল আরও জানিয়েছে, কৈলাশটিলার অবশিষ্ট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস রয়েছে ১ হাজার ৯০০ বিলিয়ন ঘনফুট। ৮ নম্বর কূপে প্রাপ্ত হরাইজোন-৪ এর গ্যাস মজুদ ২৪-২৫ বিলিয়ন ঘনফুট, যা নতুন মজুদ হিসাবে যুক্ত হলো।
এছাড়া নতুন সংযোজিত গ্যাসের দাম এক হাজার ৬২০ কোটি টাকা (প্রতি ঘনমিটার ২২ দশমিক ৮৭ টাকা বিবেচনায়)। অন্যদিকে কূপটির খনন কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে: নসরুল হামিদ
বাপেক্সের বিজয়-১২ রিগ চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি খনন কাজ শুরু করে। তিন হাজার ৫০০ মিটার খনন করা হয়েছে। ৮ নম্বর কূপে প্রাপ্ত হরাইজোন-৪ এর নতুন গ্যাস স্তরের অবস্থান ৩ হাজার ৪৩৮ থেকে ৩ হাজার ৪৪৭ মিটার পর্যন্ত।
২৪ মে ডিএসটি (ড্রিল স্টেম টেস্ট) করা হয়, এতে কূপমুখে ফ্লোয়ং পেশার তিন হাজার ৩৮৩ পিএসআই (প্রেসার বর্গ ইঞ্চি) পাওয়া গেছে। এতে করে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ৮ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন এসজিএফল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, গত বছরের জানুয়ারি থেকে কৈলাশটিলার ৮ নম্বর কুপে খনন কাজ শুরু করে বাপেক্স। কূপের তিন হাজার ৪৪০ থেকে ৫৫ হাজার ফুট গভীরতায় গ্যাস পাওয়া গেছে। এখন দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে উত্তোলন হচ্ছে।
তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ উত্তোলন শুরুর আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জানা যায়, সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের উৎপাদনে থাকা কূপগুলো থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। চলতি বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে তারা সেই উৎপাদনকে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিয়ে যেতে চায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের বেধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সকল কাজ শেষ করতে পারলে শুধুমাত্র এই কোম্পানি থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট গ্যাসফিল্ডের আওতাধীন রশিদপুরের ২ নম্বর কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান মেলে। যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট।
তারও আগে গত ২৬ নভেম্বর দেশের সবচেয়ে পুরোনো গ্যাসক্ষেত্র হরিপুরের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান মেলে। খনন কাজ শেষে ওইদিন গ্যাস প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)।
গতবছরের জুনে এই কূপ খনন কাজ শুরু হয়। ১৪৯ কোটি টাকায় সিলেট-১০ নম্বর কূপ খনন করে চীনের কোম্পানি সিনোপেক।
কূপটিতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কর্তৃপক্ষ।
আর ২২ নভেম্বর সিলেটের কৈলাশটিলায় পরিত্যক্ত ২ নম্বর কুপ থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।
সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৫৫ সালে। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে এসজিএফএলের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে।
সেগুলো- হরিপুর গ্যাসফিল্ড, রশীদপুর গ্যাসফিল্ড, ছাতক গ্যাসফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড। এরমধ্যে ছাতক গ্যাসফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ১৪টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
জানা যায়, জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে দেশের ৪৬টি কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনঃখননের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
২০২৫ সালের মধ্যে এসব খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা। এতে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসজিএফএলের আওতাধীন ১৪টি কূপ খনন ও পুনঃখননের কাজ চলছে। সিলেটের ১৪ কূপের মধ্যে তিনটির খনন কাজ শেষে ২০২২ সাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়। ২০২৩ সালে আরও একটি থেকে উৎপাদন শুরু হয়।
আরও পড়ুন: শনিবার যেসব এলাকায় ১৫ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
শনিবার যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ
৫ মাস আগে
ভোলায় ইলিশা-১ নামে নতুন আরও একটি কূপে গ্যাসের সন্ধান
দ্বীপজেলা ভোলায় একের পর এক জ্বালানি গ্যাস কূপের সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছে। ভোলার ইলিশা-১ নামে নতুন আরও একটি কূপ থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে বাপেক্স। এ নিয়ে জেলার মোট ৯টি কূপে গ্যাসের সন্ধান পেল বাপেক্স।
শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৭ টা থেকে অগ্নি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এ গ্যাস উত্তোলন শুরু করে বাপেক্স। প্রতিদিন এই গ্যাস কূপ থেকে ২০ থেকে ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে আশা করা করছে সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি গ্যাসের চড়া দাম ও সংকটের মধ্যে একের পর এক গ্যাস কূপ পাওয়ায় এখন আশার আলো দ্বীপজেলা ভোলা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশে জ্বালানি সংকট দূর করার লক্ষে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। গত ৮ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে মালেরহাট সংলগ্ন এলাকায় ইলিশা-১ কুপ এ বাপেক্স খনন শুরু করে।
বাপেক্সের নকশা ও লোকেশন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার গ্যাসপ্রম কূপ খনন কাজ পরিচালনা করছে। ৩ হাজার ৪৩৬ মিটার গভীরতায় তিনটি স্তরে ডিএসটি (ড্রিল স্টেম স্টেট) এর মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয় ২৪ এপ্রিল। এরপর শুক্রবার সকাল ৭ টা থেকে আগুন জ্বালিয়ে গ্যাসের উপস্থিতি তারা নিশ্চিত করা হয়। গ্যাসের প্রবাহ ও প্রেসার পজেটিভ।
আরও পড়ুন: ভোলায় নর্থ-২ কূপে গ্যাসের সন্ধান
১ বছর আগে
বগুড়ায় শিশু হত্যা, কূপ থেকে লাশ উদ্ধার
বগুড়ার নন্দীগ্রামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে আব্দুল মুমিন নামের ওই শিশুর লাশ গ্রামের টয়লেটের কূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ এখন পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আব্দুল মুমিন নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতামাজগ্রাম ইউনিয়নের ছোট চাঙ্গুইর গ্রামের স্কুল শিক্ষক ইদ্রিস আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: উল্লাপাড়ায় নিজের ঘর থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
পরিবারের সদস্যরা জানায়, আব্দুল মুমিন বুধবার সকাল ১০টার দিকে খেলার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। দীর্ঘ সময় বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে তার মা। বেলা ১২টার দিকে গ্রামের জাহিদুল ইসলামের টয়লেটের কুয়ার ঢাকনা সরানো দেখতে পেয়ে লোকজন সেখানে যায়।
তারা দেখতে পান কুয়ার মধ্যে একটি শিশুর লাশের মাথা নিচে এবং পা ওপরের দিকে।
খবর পেয়ে কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ গিয়ে লাশ হেফাজতে নেন।
কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাথায় আঘাত করে হত্যার পর লাশ টয়লেটের কূপে গুম করার উদ্দেশে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে বাসচালকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
ভোলায় নর্থ-২ কূপে গ্যাসের সন্ধান
ভোলা জেলার নতুন কূপ নর্থ-২ এ গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একটি নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ভোলা নর্থ-২ গ্যাসক্ষেত্রে খনন কাজ শুরু হয় এবং মাটির নিচে তিন হাজার ৪২৮ মিটার গভীরে পৌঁছে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি শেষ হয়। আজ (সোমবার) ড্রিল-স্টেম টেস্টিং (ডিএসটি) শেষ হওয়ার পর এই গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধান কূপে ডিএসটি হল তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের শেষ ধাপ।
‘চূড়ান্ত উৎপাদন পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গ্যাস উৎপাদনের প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। তবে বাপেক্স আশাবাদী যে ক্ষেত্রটি প্রতিদিন ২০ এমএমসিএফ গ্যাস উৎপাদন করবে’, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নতুন গ্যাস পাওয়ায় বাপেক্সকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্যাস অনুসন্ধান অব্যাহত রাখতে হবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মোট ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন এবং ওয়ার্ক-ওভার কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান
নসরুল হামিদ চলমান গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন কার্যক্রম আরও জোরদার করার জন্য তার মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ সংস্থার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, সরকার দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধান বাড়ানোর কার্যক্রমের পাশাপাশি কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ব্রুনাইয়ের মতো তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মন্ত্রণালয় একটি ফেসবুক পোস্টে নতুন গ্যাস অনুসন্ধানের ঘোষণা দিয়ে বলেছে যে ক্ষেত্রটি প্রতিদিন ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস (এমএমসিএফডি) উৎপাদন করবে।
এই গ্যাসক্ষেত্র খনন কাজের সঙ্গে জড়িত সমস্ত কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের এই মুহুর্তে ভাল খবর নিয়ে এসেছে।’
এর আগে গত বছরের ৩ নভেম্বর ভোলার গ্যাসক্ষেত্রে নতুন গ্যাসের সন্ধানের বিষয়ে একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিল মন্ত্রণালয়।
এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ভোলা গ্যাসক্ষেত্রের অধীনে অনুসন্ধান কূপ নং-টগবি-১ থেকে ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন কাঠামোর ঘোষণা দেন।
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ‘সুসংবাদ’ ভাগ করে নেয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তবে কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু করতে এবং জাতীয় গ্যাস নেটওয়ার্কে সরবরাহ করতে দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগবে।’
আরও পড়ুন: সিলেট থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
বিয়ানীবাজারে গ্যাসের সন্ধান: বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন নিয়ে অপেক্ষা
১ বছর আগে
বিয়ানীবাজারের কূপ থেকে দিনে মিলবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত এক নম্বর কূপ খনন করে গ্যাসের মজুদ পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে এই কূপে গ্যাসের মজুদ থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হয় বাপেক্স।
এছাড়া শিগগিরই এ কূপ থেকে উত্তোলন শুরু হবে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন এই কূপ থেকে ১০ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ানীবাজারের এই কূপে খনন শুরু করে বাপেক্স।
আরও পড়ুন: শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহের সমস্যা সমাধান করা হবে: নসরুল হামিদ
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড সূত্রে জানা যায়, সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অধীন বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে দুটি কূপ রয়েছে। এর মধ্যে এক নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফের ২০১৬ সালের শুরুতে উৎপাদন শুরু হয়ে আবার ওই বছরের শেষদিকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা এই কূপে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আবার খননকাজ শুরু হয়।
খনন কাজ শুরুতে ধারণা করা হয়েছিলে, এ কূপ থেকে প্রতিদিন সাত মিলিয়ন বা ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস মিলতে পারে। তবে খনন শেষে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ কূপ থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শাহিনুর ইসলাম বলেন, আরও কিছু কার্যক্রম শেষে শিগগিরই আমরা এ কূপ থেকে উৎপাদন শুরু করতে পারবো। খনন শুরুর আগে ডিপিপিতে ধরা হয়েছিল এখানে প্রতিদিন পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মিলতে পারে। তবে এখন মনে হচ্ছে আরও বেশিই পাওয়া যাবে।
তিনি আরও জানান, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) অধীন বিয়ানীবাজারের কূপ ছাড়াও গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা-৮ ও গোয়াইনঘাট-১০ নম্বর কূপ খনন এবং রশিদপুরে একটি পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষে এসজিএফএলের গ্যাস উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া দুটি প্রকল্পের আওতায় বিয়ানীবাজার ফিল্ড এবং ব্লক-১৩ ও ১৪-এর আওতায় ডুপিটিলা, বাতচিয়া, হারারগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও সিলেট সাউথে ত্রিমাত্রিস সিসমিক জরিপ কাজ সম্পন্নের পথে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অধীনে আরও কূপ খননের কাজ চলছে জানিয়ে এই প্রকৌশলী বলেন, ‘এতে ২০২৩ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। সব প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ২০২৫ সালের মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড থেকে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাওয়ার আশা রয়েছে।’
গ্যাসের জন্য খ্যাতি রয়েছে সিলেটের। ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে।
এরপর আবিষ্কৃত হয় আরও বেশ কিছু গ্যাসক্ষেত্র।
দেশে বর্তমানে ২৮টি আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বর্গফুট (টিসিএফ)। আরও ছয় টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুত।
আরও পড়ুন: সংসদে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ কর্পোরেশন-২০২২ বিল পাস
২ বছর আগে
শ্রীকাইল-২ গ্যাসক্ষেত্রের ৪ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু
কুমিল্লার মুরাদনগরে শ্রীকাইল-২ গ্যাসক্ষেত্রের ৪ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।
৩ বছর আগে