ইসলামিক স্টেট
বুরকিনা ফাসোতে ৭০ জনের বেশি সেনা হত্যার দায় স্বীকার আইএসের
উত্তর বুরকিনা ফাসোতে একটি সামরিক কনভয়ে অতর্কিত হামলায় ৭০জনেরও বেশি সৈন্যকে হত্যা, কয়েক ডজন মানুষকে আহত এবং পাঁচজনকে জিম্মি করার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
গ্রুপের সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’ শুক্রবার পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাহেলের ওদালান প্রদেশের দেউয়ের কাছে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার দিকে অগ্রসরমাণ একটি কনভয়কে আক্রমণ করেছে তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মরুভূমিতে মাইলের পর মাইল পশ্চাদপসরণকারী সেনাদের তাড়া করেছে এবং অস্ত্র জব্দ করেছে।
তাদের প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায় যে সামরিক ইউনিফর্ম পড়া ৫৪জন মানুষের রক্তমাখা লাশ মাটিতে পড়ে আছে।
আরও পড়ুন: জম্মু কাশ্মীরে মসজিদের বাইরে সন্ত্রাসীর গুলি, আহত ১
সেইসঙ্গে ৫০ টিরও বেশি জব্দ করা অ্যাসল্ট রাইফেল এবং বন্দী করা পাঁচজন সেনার ছবিও প্রকাশ করেছে তারা।
আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত সহিংসতায় গত সাত বছরে দেশটিতে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সহিংসতা ঠেকাতে সরকারের অক্ষমতার কারণে সৃষ্ট গণঅসন্তোষ থেকে গত বছর দুটি অভ্যুত্থান ঘটে। যার প্রতিটির আগে সেনাবাহিনীর ওপর বড় হামলা হয়েছিল।
সেপ্টেম্বরে নতুন জান্তা নেতা ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওর ক্ষমতা দখলের পর থেকে এবারের হামলাই সৈন্যদের ওপর সবচেয়ে মারাত্মক হামলা এবং বিশ্লেষকরা বলছেন যে এটি তার ক্ষমতা দখলকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
সংবাদ বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টেলনিক্স ইন্টেলিজেন্স অ্যাডভাইজরির সিইও লেইথ আলখোরি বলেছেন, ‘দেশের উত্তরে ধারাবাহিকভাবে জঙ্গি হামলার চলেছে এবং জনসাধারণ নিঃসন্দেহে নিরাপত্তা দিতে তাদের সরকারের অক্ষমতার বিষয়টি লক্ষ্য করছে। এই প্রচণ্ড আক্রমণের ফলে তার সরকার হুমকির মুখে পড়তে পারে এবং এমনকি জান্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চাপও দিতে পারে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে গত এক দশকে গুলিবর্ষণের ঘটনাগুলো চরমপন্থার সঙ্গে যুক্ত: প্রতিবেদন
সিরিয়ায় আইএসের হামলায় নিহত বেড়ে ৫৩
১ বছর আগে
কাবুলে অভিযানে ৭ আইএস সদস্য হত্যার দাবি তালেবানের
আফগানিস্তানের কাবুলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে। বুধবার একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত ও আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তালেবানের অন্যতম মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক টুইটে বলেছেন, ‘ইসলামী আমিরাতের নিরাপত্তা বাহিনী বুধবার সন্ধ্যায় কাবুলের কালাচা ও শুহাদাই সালেহেন এলাকায় আইএস জঙ্গিদের আস্তানায় অভিযান চালায়। এর ফলে সাত আইএস বিদ্রোহী নিহত এবং সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত ১৮, আহত ২১
এর আগে বুধবার বিকালে কাবুলের বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন যে পুলিশ ডিস্ট্রিক্ট ৮-এর কারতা-ই-নাউ এলাকা এবং এর আশেপাশে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
মুজাহিদ আরও বলেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী বুধবার ভোরে পশ্চিম নিমরোজ প্রদেশে প্রতিদ্বন্দ্বী আইএস বা ইসলামিক স্টেট গ্রুপের দুই সশস্ত্র বিদ্রোহীকে আটক করেছে।
আইএস বেশ কয়েকবার আফগান সরকারের বিরুদ্ধে হামলার দায় স্বীকার করেছে। এর মধ্যে কয়েকদিন আগে কাবুলের একটি সামরিক বিমানবন্দরের গেটে সর্বশেষ হামলায় এক ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত ও আহত হয়।
তবে, তালেবানের হামলার বিষয়ে আইএস এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মসজিদে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩
‘আফগানিস্তান যুদ্ধের অবশিষ্ট অস্ত্রের বিস্ফোরণে ৪ শিশু নিহত’
১ বছর আগে
সাবেক আফগান ও আন্তর্জাতিক বাহিনীর শতাধিক সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে: জাতিসংঘ
আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটির সাবেক সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী ও আন্তর্জাতিক জোটের সঙ্গে কাজ করা ১০০ জনের বেশি সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। জাতিসংঘ এ বিষয়ে ‘বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ’ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
রবিবার বার্তা সংস্থা এপি এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পেয়েছে। প্রতিবেদনে গুতেরেস বলেছেন, দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভুক্তভোগীকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে তালেবান ও এর সহযোগীরা। তবে ক্ষমতা গ্রহণের পর সাবেক আফগান সরকার ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা সবার প্রতি ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করে তালেবান।
এছাড়া আফগানিস্তানের ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কমপক্ষে ৫০ জনকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পেয়েছে দেশটিতে জাতিসংঘের রাজনৈতিক মিশন। সংস্থাটির নিরাপত্তা কাউন্সিলে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন গুতেরেস।
আরও পড়ুন: আইএস নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চায় না তালেবান
তালেবানের আশ্বাস সত্ত্বেও জাতিসংঘের রাজনৈতিক মিশন গুম ও নির্যাতনের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পেয়েছে।
গুতেরেস বলেন, এ সময়ে মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা, তাদের হুমকি, হয়রানি, বিধিবহির্ভূত আটক, অসদাচরণ, হত্যাও করা হয়।
মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘ মিশন সাময়িক আটক, মারধর ও হুমকির ৪৪টি মামলা নথিবদ্ধ করেছে। এর মধ্যে ৪২টিই করেছে তালেবান।
২০ বছর পর মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর আফগানিস্তান ত্যাগের চূড়ান্ত পর্যায়ে তালেবান দেশটির অধিকাংশ এলাকা দখলে নেয়। ১৫ আগস্ট দেশটির সেনবাহিনী ও প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই তালেবান রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: সৈন্য প্রত্যাহারের পর প্রথম তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
কাবুলে আইএসের আস্তানায় তালেবানের অভিযান
২ বছর আগে
আফগানিস্তানে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত বেড়ে ৩৭
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ এবং আহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ জনের বেশি হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মুসল্লিরা একসঙ্গে জড়ো হলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এক সপ্তাহ আগে দেশটির উত্তরাঞ্চলের অন্য আরেকটি শিয়া মসজিদে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বোমা হামলায় ৪৬ জন মারা যাওয়ার পর আবারও এ হামলার ঘটনা ঘটলো।
মুর্তজা নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, চার জন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী এ হামলা চালিয়েছে। তাদের দুজন নিরাপত্তা গেটে বিস্ফোরণ ঘটায় এবং বাকি দুজন ভেতরে ঢুকে মুসল্লিদের মধ্যে হামলা চালায়।
গণমাধ্যমে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একটি হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাদেশিক হাসপাতালের আরেক কর্মকর্তা জানান, তাদের হাসপাতালে সাতটি লাশ ও ১৩ জন আহত ব্যক্তিকে গ্রহণ করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
তালেবানের মুখপাত্র বিল্লাল কারেমি বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
আগস্টে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য চলে যাওয়ার পর দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করে তালেবান। এরপর থেকে বেশ কয়েকটি বোমা হামলা চালিয়েছে তালেবানের বিরোধী জঙ্গী গোষ্ঠি আইএস।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
আফগানিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণ: হতাহত ১০০
আইএসকে লক্ষ্য করে আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলা
৩ বছর আগে
আফগানিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণ: হতাহত ১০০
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের কুন্দুজ প্রদেশের একটি শিয়া মসজিদে বোমা হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন হতাহত হয়েছেন। নিহতের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন তালেবানের এক পুলিশ কর্মকর্তা।
শুক্রবার প্রদেশের রাজধানীর মসজিদটিতে জুমার নামাজের সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) দীর্ঘদিন ধরে দেশটির সংখ্যালঘু শিয়াদের ওপর এ ধরনের হামলা করে আসছে।
কুন্দুজ প্রদেশের পুলিশের উপপ্রধান দোস্ত মোহাম্মদ ওবায়দা বলেন, তাদের (নামাজে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের) অধিকাংশই নিহত হয়েছে। কোনো আত্মঘাতী হামলাকারী এ বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে বলে জানান তিনি। শিয়াদের নিরাপত্তার ব্যাপারে পুনঃনিশ্চয়তাও ব্যক্ত করেন তালেবান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
তালেবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, এই শিয়া মসজিদটি টার্গেটে ছিল এবং এতে অনেকে নিহত ও আহত হয়েছেন। তালেবানের বিশেষ ফোর্স ঘটনাস্থলে গেছে এবং তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।
এ হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা যদি ১০০ হয়ে থাকে তাহলে আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর প্রস্থান ও তালেবান দেশটির ক্ষমতা গ্রহণের পর কোনো হামলায় এটিই হবে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এছাড়া এর আগে গত ২৬ আগস্ট আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে এক বোমা হামলায় ১৬৯ আফগান ও ১৩ মার্কিন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান: বিপদে শিশুরা, বিবাদে তালেবান আর অথর্ব জাতিসংঘ
আফগানিস্তানে ছাড়তে পারেনি শতাধিক মার্কিন নাগরিক!
আইএসকে লক্ষ্য করে আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলা
৩ বছর আগে
নাইজেরিয়ায় ৪৩ কৃষককে গলা কেটে হত্যা করল জঙ্গিরা
নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বোর্নো প্রদেশের রাজধানী মাইদোগুরির এক গ্রামে ধানজমিতে কাজ করতে থাকা ৪৩ জন কৃষককে গলাকেটে হত্যা করেছে বোকো হারাম জঙ্গিরা।
৩ বছর আগে