আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটির সাবেক সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী ও আন্তর্জাতিক জোটের সঙ্গে কাজ করা ১০০ জনের বেশি সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। জাতিসংঘ এ বিষয়ে ‘বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ’ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
রবিবার বার্তা সংস্থা এপি এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পেয়েছে। প্রতিবেদনে গুতেরেস বলেছেন, দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভুক্তভোগীকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে তালেবান ও এর সহযোগীরা। তবে ক্ষমতা গ্রহণের পর সাবেক আফগান সরকার ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা সবার প্রতি ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করে তালেবান।
এছাড়া আফগানিস্তানের ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কমপক্ষে ৫০ জনকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পেয়েছে দেশটিতে জাতিসংঘের রাজনৈতিক মিশন। সংস্থাটির নিরাপত্তা কাউন্সিলে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন গুতেরেস।
আরও পড়ুন: আইএস নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চায় না তালেবান
তালেবানের আশ্বাস সত্ত্বেও জাতিসংঘের রাজনৈতিক মিশন গুম ও নির্যাতনের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পেয়েছে।
গুতেরেস বলেন, এ সময়ে মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা, তাদের হুমকি, হয়রানি, বিধিবহির্ভূত আটক, অসদাচরণ, হত্যাও করা হয়।
মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘ মিশন সাময়িক আটক, মারধর ও হুমকির ৪৪টি মামলা নথিবদ্ধ করেছে। এর মধ্যে ৪২টিই করেছে তালেবান।
২০ বছর পর মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর আফগানিস্তান ত্যাগের চূড়ান্ত পর্যায়ে তালেবান দেশটির অধিকাংশ এলাকা দখলে নেয়। ১৫ আগস্ট দেশটির সেনবাহিনী ও প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই তালেবান রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: সৈন্য প্রত্যাহারের পর প্রথম তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক