গণপূর্ত
রাজউক ও গণপূর্তকে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আগুনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
শনিবার (২ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত ২৩তম আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সেমিনার থেকে বের হওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। সামান্য একটা ভুলের জন্য ৪৬টা প্রাণ চলে গেল, এর থেকে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না। আমি মনে করি, এর বিরুদ্ধে অভিযান চলা উচিত। এই দুই প্রতিষ্ঠান আরও বেশি সতর্ক হলে অগ্নিকাণ্ড সামনের দিনে কমে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও থাকবে। কিন্তু সে হাসপাতালগুলোকে নিয়ম মেনে ও সব শর্ত মেনে চলা দরকার।’
মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলবে। অতীতে কী হয়েছে সেগুলো মনে রাখা যাবে না। ইচ্ছা করলেই অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না। অভিযান লাগাতার চলবে।
আরও পড়ুন: দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রাক্তন স্বামীর আগুনে দগ্ধ চিকিৎসকের খোঁজ নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৮ মাস আগে
পটুয়াখালী গণপূর্তের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে মানুষের বসবাস
পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১৪৪টি আবাসিক ভবনের ৫৩টি ভবন বসবাসের সম্পূর্ণ অযোগ্য ঘোষণা করা হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখনো অনেকে স্বপরিবারে ওইসব ভবনে বসবাস করছেন। পরিত্যক্ত এসব ভবন সংলগ্ন আবাসিক এলাকার বসতিরা ভবন ধসে পড়ার অজানা আতঙ্কে রয়েছেন।
জানা গেছে, ১৯৬৯ সালে পটুয়াখালীকে মহাকুমা থেকে জেলায় রুপাস্তরিত করা হয় দেশের অন্য ১৮টি জেলার মতো। জেলা হেড কোয়াটার নির্মাণের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত বিভাগ দায়িত্ব পায়। সেই থেকে সিঅ্যান্ডবির তত্ত্বাবধানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসস্থান জন্য এ টাইপ, বি ও সি টাইপ নামক আবাসিক ভবন গড়ে তোলা হয়। শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে ভবনগুলোর অবস্থান। সরকারি এসব ভবনের মধ্যে এ টাইপ ক্যাটাগরির ৩২টি ভবনের ২৪টি, বি টাইপ ভবনের ৭২টির মধ্যে ১৭ ও ৪০টি সি টাইপ ভবনের ১২টি ভবন বসবাসের জন্য সম্পূর্ণ অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আর এসব পরিত্যক্ত ভবনগুলো রাতের বেলায় অপরাধীদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়। তবুও নিম্নশ্রেণির কর্মচারীরা ওইসব ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় দিন পার করছেন।
আরও পড়ুন: ‘ফকির মিসকিনও এই গ্রামোত আসপের চায় না’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বি টাইপের একটি জরাজীর্ণ ভবনে বসবাসরত একজন কর্মচারী জানান, তিনিসহ অধিকাংশই অনুমতি ব্যতিত বসবাস করছেন। বহু আগেই ভবনগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী ও কর্তৃপক্ষের ঝুকিপূর্ণ সম্বলিত সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়া হলেও স্বল্প আয়ের মানুষগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দিন পার করছেন।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের একজন রাখাল সাহা জানান, দিন যায় ভালো কিন্তু রাতটি প্রতিনিয়ত আতঙ্ক নিয়ে পার করতে হয়। যেকোন সময় ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। তিনি ছাড়াও পার্শ্ববর্তী অনেক আবাসিক বসতিদের মধ্যে এই আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরকারিভাবে প্রতি বছর আবাসিক ভবনগুলো মেরামতের কোন উদ্যোগ না থাকায় গণপূর্ত বিভাগ অসহায় হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাণহীন জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরি!
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ জানান, জরাজীর্ণ ভবনগুলোকে শিগগিরই নিলাম করা হবে। আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এর মধ্যে ১০তলা বিশিষ্ট সাতটি বহুতল আবাসিক ভবনের নকশা প্রস্তুত করে স্থাপত্য অধিদপ্তরে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
৩ বছর আগে
ডিসেম্বরের মধ্যেই পূর্বাচলের আদি অধিবাসীরা প্লট পাবেন: গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ সোমবার বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকার আদি অধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে।
৩ বছর আগে