সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পূর্বাচল আবাসিক প্রকল্পে আদি অধিবাসীদের জন্য প্লট বরাদ্দ বিষয়ক এক সভায় একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রকল্প এলাকায় যারা স্থায়ী বাসিন্দা ছিল এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের জন্য প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
এসময় যে সকল প্লট মালিকানা পরিবর্তন বা অন্য কোনো কারণে খালি হয়েছে সেগুলোর তালিকা প্রস্তুত করতে বলেন তিনি।
গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে কেউ একটি প্লট বরাদ্দ পাওয়ার পর অন্য কোনো প্লটের জন্য আবেদন করেছেন। পরবর্তীতে তার নামে আরেকটি প্লট বরাদ্দ দেয়া হলেও পূর্বের বরাদ্দ বাতিল করা হয়নি। এ ধরনের তথ্য হালনাগাদ করে খালি থাকা প্লটের একটি ডাটাবেজ প্রস্তুতির জন্য পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের পরিচালক এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দ দেয়া সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টে চলমান মামলার ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে সাক্ষাৎ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্লট বরাদ্দে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের স্বার্থে একাজে কারও বিন্দুমাত্র শৈথিল্য বা গাফিলতি সহ্য করা হবে না।
রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারী উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের সেবক, প্রকৃত সেবার মনোভাব নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করবেন। মানুষকে হয়রানিমুক্ত সেবা দেয়ার চেষ্টা করবেন। দায়িত্ব পালনে শৈথিল্য কিংবা উদাসীনতা প্রদর্শন থেকে বিরত থাকবেন।
অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর, গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।