জুনাইদ বাবুনগরী
হেফাজতের কমিটি প্রত্যাখ্যান করে যা বললেন শফীপুত্র ইউসুফ মাদানী
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ৩৩ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে দেয়া পদ প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ মাদানী।
সোমবার নতুন এ কমিটি ঘোষণার পর বিকালে নিজ হাতে লেখা এক চিঠিতে ওই পদ প্রত্যাখানের ঘোষণা দেন তিনি।
এর আগে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জুনাইদ বাবুনগরীকে আমির এবং নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিব করে ৩৩ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এতে সংগঠনের প্রয়াত আমির আহমদ শফীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ মাদানী সহকারী মহাসচিব করা হয়েছে।
ঢাকার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম খিলগাঁও মাদ্রাসায় এ সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন নুরুল ইসলাম জিহাদী।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হাঙ্গামার পর আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর নভেম্বরে যে সম্মেলন হয়, তাতে শফীর অনুসারী সবাইকে বাদ দেয়া হয়। এমনকি সম্মেলনে কাউকে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি।
গত মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে নেমে সহিংসতায় জড়ানো হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেয়া হয় ২৫ এপ্রিল।
আরও পড়ুন: হেফাজতের নতুন কমিটি ঘোষণা, বিতর্কিত নেতাদের বিদায়
ওই রাতেই গঠন করা হয় আহ্বায়ক কমিটি। আর এর দেড় মাস পর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে নতুন যে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন এই কমিটিতে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক কোনো নেতাকে রাখা হয়নি। এবং ঘোষিত নতুন কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয় বির্তকিত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে।
গণমাধ্যমে পাঠানো ইউসুফ মাদানীর হাতে লেখা বিবৃতিতে হেফাজতের নতুন কমিটিকে ‘তথাকথিত’বলে উল্লেখ করা হয়।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমার নাম দেখে আমি মর্মাহত। অতএব যে বা যাহারা আমার পিতাকে কষ্ট দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় দিয়েছেন তাদের সঙ্গে আমি কখনও এক হতে পারি না।
শফীপুত্র বলেন, ‘আজকের ঘোষিত তথাকথিত হেফাজতের কমিটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।’
৩ বছর আগে
বাবুনগরী, মামুনুলকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি আ’লীগ ও সহযোগীদের
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা এবং ‘সংবিধান অবমাননা’ করায় হেফাজতে ইসলামের নতুন আমির জুনাইদ বাবুনগরী এবং যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে যৌথভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবীদের ৬৫ সংগঠন।
৪ বছর আগে