মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর মৎস ভবন থেকে শুরু করে শাহবাগ হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছবির হাট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করায় বাবুনগরী ও মামুনুলকে তাত্ক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারের দাবির পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক সংগঠন এবং সাম্প্রদায়িক ভাষণ নিষিদ্ধ করা, পহেলা ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসাবে ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করারও দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য প্রদানকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘তাদের (হেফাজত নেতাদের) উচিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করা। অন্যথায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা উপযুক্ত জবাব দেবে।’
আরও পড়ুন: মদিনা সনদে দেশ চললে এদেশে ভাস্কর্য থাকতে পারে না: বাবুনগরী
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘অপ্রত্যাশিতভাবে আমরা আজ দেখতে পাচ্ছি, কতিপয় ধর্মান্ধ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দিচ্ছে।’
‘আমি তাদের এ অবস্থানের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের সতর্ক করছি যে বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতাকারী কাউকে আমাদের জনগণ ছাড়বে না,’ বলেন তিনি।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাংবাদিক আবেদ খান, ইতিহাসের অধ্যাপক ও গবেষক মুনতাসীর মামুন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।
আরও পড়ুন: ভাস্কর্য নিয়ে উসকানি দিলে সরকার বসে থাকবে না: হাছান মাহমুদ